বছরের প্রথম তাপপ্রবাহ কয় দিন থাকবে, জানা গেল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বছরের প্রথম তাপপ্রবাহ কয় দিন থাকবে, জানা গেল
প্রতীকী ছবি

দেশের কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে বছরের প্রথম তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়াবিদরা এটিকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে বর্ণনা করেছেন। 

শনিবার থেকে শুরু হওয়া এই তাপপ্রবাহ সোমবার পর্যন্ত চলতে পারে।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, ঢাকা, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, খুলনা বিভাগের বেশির ভাগ জেলা, রাঙামাটির ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

আরো পড়ুন
‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ কাঠামো প্রত্যাখ্যান করে তিতুমীর শিক্ষার্থীদের হুঁশিয়ারি

‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ কাঠামো প্রত্যাখ্যান করে তিতুমীর শিক্ষার্থীদের হুঁশিয়ারি

 

দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে ৩৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

হাফিজুর রহমান জানান, এরপর হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। তারপর তাপপ্রবাহ কিছুটা কমে আসবে। তবে ২০ মার্চের পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে।

এপ্রিল ও মে মাস নাগাদ বেশ কয়েকটি তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ঢাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঢাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে

ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সোমবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

আরো পড়ুন
‘ধর্ষণ’ নিয়ে ডিএমপি কমিশনারের বক্তব্যের নিন্দা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের

‘ধর্ষণ’ নিয়ে ডিএমপি কমিশনারের বক্তব্যের নিন্দা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের

 

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ দুপুর পর্যন্ত আংশিক মেঘলা থাকতে পারে ঢাকা ও আশাপাশের এলাকার আকাশ। এ সময় আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

পাশাপাশি পশ্চিম/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। সেই সঙ্গে প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে দিনের তাপমাত্রা। 

এদিকে সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৮ শতাংশ।

 

মন্তব্য

‘ধর্ষণ’ নিয়ে ডিএমপি কমিশনারের বক্তব্যের নিন্দা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
‘ধর্ষণ’ নিয়ে ডিএমপি কমিশনারের বক্তব্যের নিন্দা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের

‘ধর্ষণ’ শব্দের ব্যবহার এড়িয়ে যাওয়ার বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। গতকাল রবিবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।

বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় জানায়, ‘ধর্ষণ মানে ধর্ষণ, তা আট বছরের শিশুর বিরুদ্ধে হোক বা ৮০ বছরের বৃদ্ধার বিরুদ্ধে। এমন ভয়াবহ অপরাধকে তার যথাযথ নামেই ডাকতে হবে।

এতে আরো বলা হয়, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের প্রতি যেকোনো ধরনের সহিংসতা কঠোরভাবে প্রতিহত করবে এবং এ বিষয়ে কোনো ধরনের আপস করা হবে না।

গত শনিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার বলেন, “আমি দুটি শব্দ খুব অপছন্দ করি, আমি অনুরোধ করব এই দুটি শব্দ বলবেন না। একটা ভুলে গেলাম, একটা এবার বলি। সেটা হলো—ধর্ষণ শব্দটা ব্যবহার করবেন না প্লিজ।

আমাদের শুনতে খুব খারাপ লাগে। আপনারা ‘নারী নির্যাতন’ বলবেন, নারী ‘নিপীড়ন’ বলবেন।”

ডিএমপি কমিশনারের এই বক্তব্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও সমালোচনার ঝড় বইছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

একনজরে আজকের কালের কণ্ঠ (১৭ মার্চ)

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার

সকাল থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা মেট্রোরেল কর্মীদের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সকাল থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা মেট্রোরেল কর্মীদের
সংগৃহীত ছবি

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) চারজন সহকর্মী এমআরটি পুলিশ সদস্যের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে মেট্রোরেল কর্মীরা।

এমআরটি পুলিশ সদস্য কর্তৃক ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) চারজন সহকর্মী মৌখিক ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে মেট্রোরেল কর্মীরা। ফলে আজ (১৭ মার্চ) সকাল থেকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকবে।
 
সোমবার (১৭ মার্চ) মধ্যরাতে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেট্রোরেলের একাধিক কর্মী।

তার আগে ‘ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কম্পানি লিমিটেডের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের’ ব্যানারে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনা তুলে ধরে ৬টি দাবি জানানো হয়।

কর্মীদের দাবিগুলো হচ্ছে— আগামী এক কার্যদিবসের মধ্যে ঘটনার মূল হোতা ওই পুলিশ সদস্যকে (এস আই মাসুদ) স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করতে হবে ও ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সব পুলিশ সদস্যকে (কনস্টেবল রেজনুল, ইন্সপেক্টর রঞ্জিত) শাস্তি প্রদান করতে হবে এবং তাদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে; মেট্রোরেল, মেট্রো স্টাফ ও যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে হবে; এমআরটি পুলিশকে অবিলম্বে বাতিল করতে হবে; স্টেশনে দায়িত্বরত সিআরএ টিএমও, স্টেশন কন্ট্রোলারসহ অন্য সব কর্মীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে; অফিসিয়াল পরিচয় পত্র ছাড়া ও অনুমতি ব্যতি কোনো ব্যক্তি যেন স্টেশনের পেইড জোনে প্রবেশ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে এবং আহত কর্মীর সম্পূর্ণ চিকিৎসার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে।
 
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কর্মসূচি ঘোষণা করে বলা হয়, দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা মেট্রোরেলের সব স্টাফ কর্মবিরতি পালন করবো এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবো। আমরা আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং মেট্রো স্টেশনে নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করবেন।


 
মেট্রোরেল কর্মীরা গণমাধ্যমকে বলেছেন, আজ ১৭ মার্চ সকাল থেকে আমরা ট্রেন চালাব না। আমাদের দাবি মেনে নিলে আমরা ট্রেন চালাব। আমাদের ঘটনার বিষয়ে হেড অফিসের বড় স্যাররা অবগত আছেন। ঘটনার পর তারা সচিবালয়ে মিটিং করেছে।
আমাদের প্রেস রিলিজ সরকারি ডেকোরাম মেনে তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
 
বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে বলা হয়, আনুমানিক বিকেল সোয়া ৫টায় দুজন মহিলা কোনো প্রকার পরিচয়পত্র প্রদর্শন না করেই সিভিল ড্রেসে বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ করে এসে ইএফও অফিসের পাশে থাকা সুইং গেট ব্যবহার করে পেইড জোন থেকে বের হতে চান। যেহেতু তারা নির্ধারিত ইউনিফর্ম পরিহিত ছিলেন না ও তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি, তাই দায়িত্বপ্রাপ্ত সিআরএ নিয়ম অনুযায়ী তাদের সেখান থেকে পিজি গেইট ব্যতীত সুইং গেট দিয়ে বের হওয়ার কারণ জানতে চান। তবে, সংশ্লিষ্ট পুলিশের কর্মকর্তারা এতে উত্তেজিত হয়ে তর্কে লিপ্ত হন এবং একপর্যায়ে এমআরটি পুলিশের কন্ট্রোল রুমে চলে যান।

পরবর্তীতে ঠিক একইভাবে দুজন এপিবিএন সদস্য সুইং গেট ব্যবহার করে সুইং গেট না লাগিয়ে চলে যান, উক্ত বিষয়ের কারণ তাদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা পূর্বের ঘটনার জের ধরে তর্কে জড়িয়ে পড়েন।

কিছুক্ষণ পরে পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে আরও কয়েকজন পুলিশ এসে দায়িত্বে থাকা সিআরএ এর সঙ্গে ইএফওতে তর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং ইএফও থেকে বের হওয়ার সময় কর্মরত সিআরএ এর কাঁধে বন্ধুক দিয়ে আঘাত করে এবং কর্মরত আরেকজন টিএমও এর শার্টের কলার ধরে জোরপূর্বক এমআরটি পুলিশ বক্সে নিয়ে গিয়ে মারধর করে এবং গুলি করার জন্য বন্দুক তাক করে। উপস্থিত স্টেশন স্টাফ ও যাত্রীগণ বিষয়টি অনুধাবন করে উক্ত এমআরটি পুলিশের হাত থেকে কর্মরত টিএমওকে বাঁচিয়ে নিয়ে আসে। উক্ত পরিস্থিতি মেট্রোরেল কর্মপরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। বর্তমানে আহত (রাইফেল দিয়ে কাঁধে আঘাত করা হয়) সিআরএকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রদান করার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় এবং টিএমও (যাকে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে হেনস্তা করা হয়, গুলি করার জন্য বুকে রাইফেল ধরা হয়) উক্ত ঘটনার বিবৃতি দেওয়ার পর বাসায় যাওয়ার পথে জ্ঞান হারিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ