ময়মনসিংহ

র‌্যাবের অভিযানে আরাকান আরসার ৪ সদস্য আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ
শেয়ার
র‌্যাবের অভিযানে আরাকান আরসার ৪ সদস্য আটক
সংগৃহীত ছবি

ময়মনসিংহ নগরীতে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে আরাকান আরসার চার সদস্যকে আটক করেছে। গতকাল রবিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে নগরীর নতুন বাজার এলাকার গার্ডেন সিটি নামে একটি বহুতল ভবনে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে দুইজন পুরুষ ও দুইজন নারী আছেন।

আছে দুই শিশুও।

আরো পড়ুন

শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন আজ

শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন আজ

 

অভিযানের প্রায় ঘণ্টাখানেক আগে পুরো ভবনটি ঘেরাও করে ফেলা হয়। 

আরো পড়ুন

ঝিনাইদহে বিএনপির ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

ঝিনাইদহে বিএনপির ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

 

অভিযানের বিষয়ে র‌্যাব কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের জানান, তারা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এ অভিযান চালিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে এর চেয়ে বিস্তারিত আর কিছু তারা বলেননি।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ঝিনাইদহে বিজিবির অভিযান, স্বর্ণের বারসহ আটক ১

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা
মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা
শেয়ার
ঝিনাইদহে বিজিবির অভিযান, স্বর্ণের বারসহ আটক ১

ঝিনাইদহের মহেশপুর অধীনস্থ জীবননগর সীমান্ত থেকে ৬টি স্বর্ণের বারসহ রাজ রফি (৩২) নামের একজনকে আটক করেছে (বিজিবি)। সোমবার (১৭ মার্চ) বিকালে জীবননগর সীমান্ত থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত রাজ রফি জীবননগর উপজেলায় গয়েশপুর গ্রামের রেজাউল হক লিটনের ছেলে।

মহেশপুর ব্যাটালিয়নের (৫৮ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. রফিকুল আলম কালের কণ্ঠকে জানায়, বাংলাদেশ থেকে ভারতে সোনা পাচার হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্ত এলাকায় টহল জোরদার করে বিজিবি।

সে সময় তাকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে স্বীকার না করলেও পরবর্তীতে মলত্যাগ করানো হলে তার মলদার থেকে দুটি কস্টেপ প্যাচানো পোটলা বের হয়ে আসে।

উক্ত পোটলা দুটি খোলা হলে ৬ পিস স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বারসমূহ জুয়েলারি সমিতির মাধ্যমে পরীক্ষা করত পুলিশ এবং আদালতের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মন্তব্য
এক ট্রেন চালাতে তিন ইঞ্জিন

ঢাকা-কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রেলপথে শিডিউল বিপর্যয়

নিজস্ব প্রতিবেদক, হাওরাঞ্চল
নিজস্ব প্রতিবেদক, হাওরাঞ্চল
শেয়ার
ঢাকা-কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রেলপথে শিডিউল বিপর্যয়

একটি ট্রেন চালাতে তিন-তিনটি ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। তবু প্রায় চার ঘণ্টা বিলম্বে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছেছে ট্রেনটি। এরকম ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটেছে সোমবার (১৭ মার্চ) ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রেলপথে চলাচলকারী ‘কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস’ নামক আন্তঃনগর ট্রেনটিতে। মূলত ট্রেনটির ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় এ পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে।

ফলে ঢাকা-কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রেলপথে সিডিউল বিপর্যয় ঘটায় এ দুই রেলপথের অন্তত চারটি ট্রেনের কয়েক হাজার যাত্রী আজ দিনভর সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন।

প্রত্যক্ষদর্শী রেলযাত্রী ও রেলওয়ে সূত্রগুলো জানায়, শনিবার (১৭ মার্চ) নির্ধারিত সময় বেলা সাড়ে ১০টায় ‘কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস’ (৭৮১ ডাউন) নাম ট্রেনটি কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। নির্দিষ্ট সময়ে ভৈরব জংশনে পৌঁছে বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে ট্রেনটি কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কয়েক মিনিট পরই তাতারকান্দি নামক স্থানে ট্রেনের ইঞ্জিন (নং ২৯১৩, এমইআই-১৫) বিকল হয়ে পড়ে। 

এতে কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী আন্তঃনগর এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সরারচর স্টেশনে এবং ময়মনসিংহের বাহাদুরাঘাট থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী ‘নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি কুলিয়ারচর স্টেশনে আটকা পড়ে।

এরপর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বিকল হয়ে পড়া ট্রেনটি ভৈরব জংশনে ফিরিয়ে নিতে নাসিরাবাদ এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনটি (নং ২৭১৪, এমইএল-১৫) এনে আটকেপড়া কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি উল্টো ধাক্কায় ভৈরব নেওয়ার চেষ্টা চালায়।

অবশ্য টানা প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়েও নাসিরাবাদ এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন বিকল বসে থাকা ট্রেনটিকে ভৈরবের দিকে নিতে পারেনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ‘সচল’ ইঞ্জিনটি বিকল ট্রেনকে কিছুদূর সামনে নেয় তো আবার পিছিয়ে যায়। বিকাল ৪টা পর্যন্ত এরকম ‘ইঁদুর-বেড়াল’ খেলা চলার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া জংশন থেকে একটি রিলিফ ইঞ্জিন এসে বাকি দুই ইঞ্জিনসমেত বিকল ট্রেনটিকে ভৈরব স্টেশনে ফিরিয়ে নিতে সক্ষম হয়।

 

এরপরই সরারচর স্টেশনে আটকেপড়া এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভৈরব জংশন হয়ে নির্ধারিত সময়ের প্রায় দুই ঘণ্টা পর ঢাকার পথে ছেড়ে যায়।

কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী অ্যাডভোকেট শহীদুল ইসলাম হুমায়ুন ও তার স্ত্রী সৈয়দা তামান্না জানান, সন্ধ্যা ৭টার পর তিনি ট্রেন থেকে নেমে বাসায় পৌঁছাতে পেরেছেন। ইফতার করতে হয়েছে গচিহাটা স্টেশনে। চার ঘণ্টা ট্রেনে বসে থেকে তার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এ ছাড়া নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনটি কয়েক ঘণ্টা বিলম্বে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনের সহকারী লোকোমাস্টার ইসমাইল হোসেন কালের কণ্ঠকে জানান, তার ট্রেনের ইঞ্জিনের সাধ্যে কুলায়নি বলেই বিকল ট্রেনটি চালাতে সক্ষম হননি। এদিকে ‘কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস’ ট্রেনের দুই চালক (লোকোমাস্টার) আব্দুল হান্নান খান ও মো. সুমন মিয়া জানান, তার ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ায় ট্রেন আটকে ছিল। 

ঢাকা-কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রেলপথে নিয়মিত যাতায়াত ও চলাচলকারী যাত্রীরা জানায়, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও অবহেলায় এ দুই রেলপথের বিশেষ করে কিশোরগঞ্জ জেলার ট্রেনযাত্রীরা বছরের পর বছর ধরেই সীমাহীন কষ্ট-দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এ রেলপথের উন্নয়নে কেউ কখনো নজর দিচ্ছে না। 

রাষ্ট্রের সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম গতকালের দুর্ভোগের বিষয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে লেখেন, ‘ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রেল ব্যবস্থা বাংলাদেশের সবচাইতে অবহেলিতগুলোর একটি। অবিলম্বে এর সংস্কার দাবি করছি’। 

রেলওয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মচারীরাও স্বীকার করেন, ইঞ্জিনের সঙ্কট রয়েছে। ফলে বেশকিছু ইঞ্জিন পথিমধ্যে প্রায়ই বিকল হয়ে পড়ছে। এরকম একটি ত্রুটিপূর্ণ ইঞ্জিনই গতকাল সোমবার কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে যুক্ত করা হয়।

কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের গার্ড নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় কালের কণ্ঠকে জানান, প্রায় চার ঘণ্টা বিলম্বে পৌনে ৭টা নাগাদ ট্রেন নিয়ে তিনি কিশোরগঞ্জ স্টেশনে পৌঁছান এবং একইরকম বিলম্বে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করেন।

তবে বিকল ইঞ্জিন দিয়ে ট্রেন চালানোর কারণ জানতে ঢাকা রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণ বিভাগের বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোকো) জহিরুল ইসলামের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে বারবার কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

মন্তব্য

গোপালগঞ্জে দুই ইউপি মেম্বারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১০

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
গোপালগঞ্জে দুই ইউপি মেম্বারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১০
সংগৃহীত ছবি

গোপালগঞ্জে বর্তমান ও সাবেক দুই ইউপি মেম্বারের এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৫ জনকে গোপালগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

আজ সোমবার (১৭ মার্চ) রাত ৮টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বোড়াশী ইউনিয়নের ভেন্নাবাড়ি গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

 

পুলিশ ও আহতদের সূত্রে জানা গেছে, বোড়াশী ইউনিয়নের বর্তমান মেম্বার মিটু মোল্লার সঙ্গে সাবেক মেম্বার আলিম মোল্লার সঙ্গে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলেছিল। এর আগেও একাধিকবার উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এরই জের ধরে আজ সোমবার রাত ৮টার দিকে মিটু মোল্লার নেতৃত্বে তার সমর্করা আলিম মোল্লাসহ তার লোকজনের উপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির মো. সাজেদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে । 

মন্তব্য

চাঁদা না দেওয়ায় সাবেক পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখম

সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
চাঁদা না দেওয়ায় সাবেক পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখম
সংগৃহীত ছবি

ফরিদপুরের সালথায় চাঁদা না দেওয়ায় মো. গোলাম মোস্তফা (৬০) নামে অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের সোনাতন্দী গ্রামের এ ঘটনায় সোমবার (১৭ মার্চ) বিকেলে সালথা থানায় একটি মামলা করেছেন আহত গোলাম মোস্তফার স্ত্রী মোসা. মঞ্জু বেগম।

মামলার বাদী মঞ্জু বেগম কালের কণ্ঠকে বলেন, হামলা-মামলার ভয় দেখিয়ে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মোস্তফার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন রহমান মিয়া ও হুমাউন মিয়াসহ তাদের সহযোগিরা। ওই টাকা না দেওয়ায় গত রবিবার (১৬ মার্চ) সকালে বাড়ির পাশে ফসলি জমিতে কাজ করার সময় মোস্তফার উপর অতর্কিত হামলা চালায় রহমান মিয়া ও হুমায়ন মিয়াসহ ৫-৬।

এ সময় হামলাকারীরা তাকে কুপিয়ে মারাত্বক জখম করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় মোস্তফাকে উদ্ধার করে মুকসুদপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

হামলার বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যর উপর হামলার ঘটনায় সোমবার একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।

আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ