চতুর্থ শ্রেণির এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত প্রতিবেশীকে কামড় দিয়ে রক্ষা পায় ওই শিশু।
যশোরের চৌগাছা উপজেলায় গতকাল রবিবার এ ঘটনা ঘটে। চৌগাছা থানায় এ ঘটনায় ধর্ষণচেষ্টার মামলা হয়েছে।
চতুর্থ শ্রেণির এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত প্রতিবেশীকে কামড় দিয়ে রক্ষা পায় ওই শিশু।
যশোরের চৌগাছা উপজেলায় গতকাল রবিবার এ ঘটনা ঘটে। চৌগাছা থানায় এ ঘটনায় ধর্ষণচেষ্টার মামলা হয়েছে।
শিশুটির পরিবারের অভিযোগ— অভিযুক্ত প্রতিবেশী সম্পর্কে শিশুটির চাচা হয়। দাদি ডাকছেন বলে তাকে একটি কবরস্থানে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টা করা হয়। এ সময় ওই প্রতিবেশীর হাতে কামড়ে দেয় এবং চিৎকার করতে থাকে। চিৎকার শুনে মাঠের লোকজন এগিয়ে এলে অভিযুক্ত পালিয়ে যান।
এ ঘটনার পর শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, মেয়েটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তার অভিভাবকরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তকে আটক করতে পুলিশ অভিযানে রয়েছে।
সম্পর্কিত খবর
খুলনায় আট বছরের শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে আবুল কাশেম (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের কাশিমনগরে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত আবুল কাশেম কাশিমনগরের বাসিন্দা। তিনি মসজিদ ভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় সরদারপাড়া জামে মসজিদের মক্তব্যে শিশুদের আরবি পড়াতেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বাদী আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ফৌজদারি কার্যবিধি ৯-এর ৪(খ) ধারায় থানায় মামলা করেছেন। পাইকগাছার থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সবজেল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে ওই শিশুটি সরদারপাড়া জামে মসজিদের মক্তবে অন্য শিশুদের সাথে আরবি শিখতে যায়। আবুল কাশেম স্লেটে আবরি বানান শিখাতে গিয়ে বারবার ওই শিশুটির স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন হয়রানি করেন।
পাইকগাছার থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সবজেল হোসেন জানান, শিশুটি নিপীড়ন ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
মোটা চাল কেটে মিনিকেট নামে ব্র্যান্ডিং করার প্রতারণা বন্ধ হয়নি ঝিনাইদহে। বিভিন্ন জাতের চিকন ধানের চাল তৈরি করে মিনিকেট বলে বাজারে ছাড়ছেন চালকল মালিকরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, মিনিকেট নামে কোনো ধান আমাদের দেশে উৎপাদন করা হয় না। অথচ মিনিকেট নামের চাল দেশের বাজার দখল করে নিয়েছে।
জানা যায়, নব্বইয়ের দশকে ভারতের একটি কিট বক্সে চাষিদের মধ্যে বিতরণ করা হয় নতুন একটি ধানের জাত। ভারতীয় চাষিদের মাধ্যমে এ ধান বাংলাদেশে চলে আসে। ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকা ঝিনাইদহের মহেশপুর, যশোরের শার্শা, চৌগাছা, ঝিকরগাছা ও চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার চাষিরা চাষ করার সময় ভারতীয় চাষিদের কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করে চাষ শুরু করে এ জাতের ধান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আমাদের দেশে বর্তমানে বিআর-২৮, বিআর-২৯, বিআর -২৮, বি আর-৪৯, বিনা-৭, বিআর- ৫৮, বিআর ৬৭, বিআর-৭৪, বিআর- ৮১, বিআর -৮৮, বিআর-৮৯, বিআর-৯২ ও বিআর -৯৬ জাতের ধান চাষ করা হচ্ছে। এসব জাতের ধান চিকন হয়। আর এসব ধানের চাল তৈরি করে মিনিকেট লেখা বস্তায় ভরে বাজারজাত করছে চালকল মালিকরা।
ঝিনাইদহ শহরের ছোট বাজারের চাল ব্যবসায়ী আসাদুর রহমান বলেন, ‘এটা করছে চালকল মালিকরা। তারা যা বলছেন আমরা তাই বিক্রি করছি। প্রশাসন যদি মিনিকেট চাল নিয়ে তদারকি করে তাহলে এ জটিলতা নিরসন হবে। এছাড়া আমাদের কিছু করণীয় নেই।’
জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘আমরা কৃষকদের কাছ থেকে মিনিকেট ধান কিনে চাল তৈরি করি। মিনিকেট চাল নিয়ে আমরা কোনো প্রতারণা করছি না। এ চাল নিয়ে একেক সময় একেক ধরনের গুজব সৃষ্টি করে কিছু মানুষ।’
ঝিনাইদহের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহের বলেন, ‘কতিপয় চালকল মালিক ও অসাধু ব্যবসায়ীরা মিনিকেটের নামে ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। এমন প্রতারণা শুধু এ জেলাতেই নয় সারাদেশেই চলছে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে আমাদের ঊর্ধতন কর্তপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। আমরা নির্দেশনা পেলেই মিনিকেট চাল নিয়ে প্রতরণা বন্ধে অভিযান চালাবো।’
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ষষ্ঠী চন্দ্র রায় কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের দেশে মিনিকেট নামে কোনো চাল নেই। এমনকি এ জাতের কোনো ধানও নেই। ভারতের কিছু চিকন জাতের ধান এদেশে চাষ করা হয়। সেটাকে এ দেশে মিনিকেট বলে চালানো হচ্ছে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তে পদ্মা নদীতে মাছ ধরার সময় ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করার অভিযোগে আটক বাংলাদেশি জেলেকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার ওয়াহেদপুর সীমান্ত দিয়ে তাকে ফেরত দেওয়া হয়।
বিজিবি ৫৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মনির-উজ-জামান বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওই বাংলাদেশির নাম মো. আলমগীর শেখ।
বিজিবি অধিনায়ক মো. মনির-উজ-জামান বলেন, ‘সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর সীমান্তের ৭/৯-এস পিলার সংলগ্ন এলাকায় পদ্মা নদীতে মাছ ধরার সময় ভারতে চলে যান আলমগীর। এ সময় ভারতের ৭০০ গজ অভ্যন্তরে তাকে আটক করে বিএসএফের নিমতিতা ক্যাম্পের সদস্যরা। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে বিএসএফের কমান্ডারের সঙ্গে কথা বলে তাকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়।
বিজিবি অধিনায়ক আরও বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ওয়াহেদপুর সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফর কম্পানি কমান্ডার পর্যায় পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিএসএফ সদস্যরা আলমগীরকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। এ সময়র তার ব্যবহৃত মাছ ধরার জাল ও নৌকাটিও ফেরত দেওয়া হয়।’
অনুপ্রবেশের অভিযোগে আলমগীরের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের শিবগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের পর তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আট বছরের শিশু আদর (ছদ্মনাম)। একটি মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। মা অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেন। সুযোগ বুঝে আদরকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায় এক প্রতিবেশী।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনা ঘটার দু’দিন পর ২৬ ফেব্রুয়ারি থানায় অভিযোগ দেন আদরের মা। এতে ইমরান নামে অভিযুক্তকে আসামি করা হয়। তবে মামলা হওয়ার তিন সপ্তাহেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। যদিও মামলা দায়েরের পর থেকে সে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
আদরের মা এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমি গরীব মানুষ।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মামুনুর রশিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘অভিযুক্তও কম বয়সী একটা ছেলে। ঘটনার পর থেকেই সে পলাতক আছে। নানা কৌশলে তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।’