চতুর্থ শ্রেণির এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত প্রতিবেশীকে কামড় দিয়ে রক্ষা পায় ওই শিশু।
যশোরের চৌগাছা উপজেলায় গতকাল রবিবার এ ঘটনা ঘটে। চৌগাছা থানায় এ ঘটনায় ধর্ষণচেষ্টার মামলা হয়েছে।
চতুর্থ শ্রেণির এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত প্রতিবেশীকে কামড় দিয়ে রক্ষা পায় ওই শিশু।
যশোরের চৌগাছা উপজেলায় গতকাল রবিবার এ ঘটনা ঘটে। চৌগাছা থানায় এ ঘটনায় ধর্ষণচেষ্টার মামলা হয়েছে।
শিশুটির পরিবারের অভিযোগ— অভিযুক্ত প্রতিবেশী সম্পর্কে শিশুটির চাচা হয়। দাদি ডাকছেন বলে তাকে একটি কবরস্থানে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টা করা হয়। এ সময় ওই প্রতিবেশীর হাতে কামড়ে দেয় এবং চিৎকার করতে থাকে। চিৎকার শুনে মাঠের লোকজন এগিয়ে এলে অভিযুক্ত পালিয়ে যান।
এ ঘটনার পর শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, মেয়েটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তার অভিভাবকরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তকে আটক করতে পুলিশ অভিযানে রয়েছে।
সম্পর্কিত খবর
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় নাশকতা মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা শাহজামাল (৩৬) ও মো. আব্দুর রশিদকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় শাহজামাল হোসেনকে উপজেলার নিয়ামতপুর উত্তর বাজার নিজ বাড়ি থেকে এবং আব্দুর রশিদকে উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়নের মিরাপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার শাহজামাল উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলার হাজিনগর ইউনিয়নের উপরকুড়া শালবাড়ীর মৃত নবীর উদ্দিনের ছেলে। আব্দুর রশিদ উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সভাপতি ও উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়নের মিরাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১ নভেম্বর নিয়ামতপুরে উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়নের বীরজোয়ান গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে ও যুবদল নেতা মেহেদী হাসান বাদি হয়ে নাশকতার অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আবেদ হোসেন মিলন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ, ঈম্বর চন্দ্র বর্মন, নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব, হাজিনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, চন্দননগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বদি, ভাবিচা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওবাইদুর রহমান, নিয়ামতপুর সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বজলুর রহমান নঈম, রসুলপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোতালেব হোসেন বাবরসহ ৩৭ জন ও অজ্ঞাত নামা আরো ২০০ জনকে আসামি করা হয়। ওই মামলার আসামি হিসেবে হাবিবুর রহমান ও নজরুল কাজিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই মামলার আসামি হাজিনগর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, চন্দননগর ইউপি চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বদি, ভাবিচা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ ওবাইদুর রহমান, নিয়ামতপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ বজলুর রহমান নঈম ইতি, রসুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোতালেব হোসেন বাবর ইতি পূর্বে অন্য একটি হত্যা মামলায় ঢাকার গাজিপুরে আদালতে জামিন নিতে গেলে জামিন নামমঞ্জুর হলে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়।
নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, মো. শাহজামাল ও আব্দুর রশিদ এই দুইজনই নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি। মঙ্গলবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে চার দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে আমিনা আক্তার খাদিজা (১৩) নামের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী। বড় মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন খাদিজার মা। পরের দিন খাদিজা নিজ বাড়ি থেকে মায়ের কাছে যেতে বোনের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
নিখোঁজ থাকা আমিনা আক্তার খাদিজা তাহিরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের রতনশ্রী গ্রামের মৃত শাহীন মিয়ার মেয়ে ও তাহিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির নিয়মিত ছাত্রী।
পুলিশ ও তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, খাদিজার মা কানন বেগম গত ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার তার বড় মেয়ের বাড়ি একই এলাকার শ্রীপুর গ্রামে বেড়াতে গিয়েছিলেন। এরপর ১৫ মার্চ শুক্রবার সকালে খাদিজা তার মায়ের কাছে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। প্রতিবেশী ও নৌকা দিয়ে নদী পার হওয়ার সময় গ্রামের লোকজনকে সে বলেছে শ্রীপুর যাচ্ছে।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘রতনশ্রী গ্রামের এক স্কুলছাত্রী চার দিন আগে বোনের বাড়িতে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। কিন্তু সে নাকি বোনের বাড়িতে যায়নি, বাড়িতেও ফেরেনি। এই ঘটনায় থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। আমরা নানাভাবে তার খোঁজখবর নিচ্ছি।
যমুনার বুকে নির্মিত সেতু দিয়ে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচলের মধ্য দিয়ে স্বপ্নের যমুনা রেলসেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে টাঙ্গাইলের ইব্রাহিমাবাদ স্টেশন থেকে স্পেশাল ট্রেন পশ্চিমে সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদ স্টেশনে পারাপারের মধ্য দিয়ে সেতুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
সেতুটি উদ্বোধনের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হলো। ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার মূল সেতু পার হতে উদ্বোধনী ট্রেনটি ১২০ কিলোমিটার গতিতে সময় নেয় ৩ মিনিট ২১ সেকেন্ড।
সকালে ইব্রাহিমাবাদ রেল স্টেশনে চত্বরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলাম। বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি ও জাইকার সাউথ এশিয়া ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর জেনারেল ইতো তেরুকি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জাইকার কর্মকর্তা এবং সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
যমুনা রেলসেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ প্রকল্পের ব্যয় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ অর্থায়ন এসেছে দেশীয় উৎস থেকে এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ ঋণ দিয়েছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। জাপানি ৫টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে। জাপান, ভিয়েতনাম, নেপাল, অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপাইন ও বাংলাদেশের ৭ হাজারেরও বেশি কর্মীর টানা ৪ বছরের পরিশ্রমে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়।
সেতুটিতে ৫০টি পিলার ও প্রতি দুই পিলারের মাঝে একটি করে মোট ৪৯টি স্প্যান রয়েছে। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার হলেও দুদিকে ৭ দশমিক ৬৬৭ কিলোমিটার রেলওয়ে অ্যাপ্রোচ এমব্যাংকমেন্ট এবং লুপ, সাইডিংসহ মোট ৩০ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে।
যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী তানভীরুল ইসলাম জানান, সমান্তরাল ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের এ সেতুর প্রতিটি স্প্যানের ওপর জাপানিদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রেললাইন বসানো হয়েছে। ফলে সেতুর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করতে পারবে।
তিনি আরো জানান, নির্মিত এ সেতুটি ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে হামলা চালিয়ে আটক ৪ মাদক কারবারিকে ছিনিয়ে নিয়েছে তাদের সহযোগীরা।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ জেলার একটি টিম অভিযানে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
পরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. মোনাব্বর হোসেনের নেতৃত্বে বিজিবি ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিপুল পরিমাণ গাঁজা, ইয়াবা, ফেনসিডিল, বিদেশি মদ ও দেশীয় অস্ত্র জব্দ করে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ জেলা সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে ফতুল্লা থানাধীন মাসদাইরে বেগম রোকেয়া খন্দকার স্কুলের বিপরীতে একটি বাড়িতে মাদক বেচাকেনার খবর পেয়ে তারা অভিযানে যান।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. মোনাব্বর হোসেন জানান, জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।