২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক শ্রেণির কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। আবেদন শুরু হয়েছিল গত ১৫ ফেব্রুয়ারি। ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৩ হাজার ৮৬৩টি আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৯৪ হাজার ৩৬টি। আবেদনের প্রেক্ষিতে আসন প্রতি লড়বে প্রায় ২৫ জন শিক্ষার্থী।
কৃষি গুচ্ছ ভর্তিতে আসন প্রতি লড়বে ২৫ শিক্ষার্থী
শেকৃবি সংবাদদাতা

আজ সোমবার (১৭ মার্চ) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. হেলাল উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেন। কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা ৯টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। তবে প্রয়োজনে একাধিক উপকেন্দ্র রাখা হতে পারে বলে অবহিত করেন কৃষি গুচ্ছের অন্তর্ভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর উপাচার্যদের সমন্বয়ে গঠিত ভর্তি বিষয়ক এই কমিটি।
প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১২ এপ্রিল বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে এবং পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে ১৭ এপ্রিল।
সমন্বিত কৃষি গুচ্ছের অর্ন্তভুক্ত ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় হলো, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
সম্পর্কিত খবর

১২৮ জনের তালিকা পূর্ণাঙ্গ নয়, আরো তদন্ত হবে : ঢাবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সহিংসতার ঘটনায় সত্যানুসন্ধান কমিটি দায়ী হিসেবে যে ১২৮ জনের তালিকা করেছে সেটি পূর্ণাঙ্গ নয় বলে জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অধিকতর তদন্তের জন্য সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলামকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি ১২৮ জনের তালিকা আমলে নিয়ে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হল, বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে সহিংস ঘটনায় জড়িতদের তথ্য চেয়ে চিঠি দেবে।
প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেবে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহিংসতার ঘটনায় দায়ী হিসেবে ১২৮ জনের তালিকায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের নাম রয়েছে।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহিংসতায় জড়িত শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার করা হবে।
এদিকে তালিকায় ‘চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের নাম বাদ পড়েছে’ এমন অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার দুপুরে মিছিল নিয়ে তারা প্রশাসনিক ভবনের সামনে আসেন। তারা তালিকা পরিমার্জন করে হামলাকারীদের যুক্ত করার দাবি জানান।

গ্রামীণ ট্রাস্টের অধীনে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিল সরকার
অনলাইন ডেস্ক

গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি, ঢাকা নামে নতুন আরো একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ট্রাস্টের অধীনে বিশ্ববিদ্যালয়টি হবে।
সোমবার (১৭ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২২টি শর্তে গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমোদন দিয়ে আদেশ জারি করে।বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকছেন গ্রামীণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল হাসান।
আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল হাসানকে চিঠি দিয়ে অনুমোদনের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এ নিয়ে দেশে অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়াল ১১৬টি।

২৫০০ শিক্ষার্থীকে কোরআন উপহার দিচ্ছে জবি ছাত্রশিবির
জবি প্রতিনিধি

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের মাঝে কোরআন বিতরণ কর্মসূচি শুরু করেছে শাখা ছাত্রশিবির। সংগঠনটি ২৫০০ শিক্ষার্থীকে পবিত্র কোরআন উপহার দেবে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
জানা যায়, ছাত্রসংগঠনটি কোরআন উপহার পেতে ছাত্রশিবির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পেজে দেওয়া লিংক থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
শিবিরের এ উদ্যোগ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির অসাধারণ একটি উদ্যোগ নিয়েছে। মুসলিম হিসেবে আমাদের সকলের উচিত অর্থসহ কোরআন পড়া।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সব সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়েই কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা যাতে করে নৈতিকতাসম্পন্ন মেধাবী মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারেন, এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

ক্ষীর
- অষ্টম শ্রেণির শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বইয়ের প্রথম অধ্যায়ে তোমরা ক্ষীর সম্পর্কে পড়েছ। ভূরিভোজের পর শেষ পাতে মিষ্টি খাবার হিসেবে বেশ জনপ্রিয় বিশেষ এই পদ
অনলাইন ডেস্ক

কোনো গভীর বা ঘনিষ্ঠ অবস্থা বোঝাতে আমরা প্রায়ই বলি বিষয়টি জমে ক্ষীর। দুধকে আগুনে জ্বাল দিয়ে শুকিয়ে ধীরে ধীরে ক্ষীর বানানো হয়। অর্থাৎ দুধের ঘনীভূত অবস্থা বা জমে যাওয়া অবস্থাটিই ক্ষীর। এখানেই শেষ না! রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাইপো অবনীন্দ্রনাথ আঁকাআঁকির কারণে খ্যাতি পেয়েছিলেন।
তবে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ তাঁকে সাহিত্যকর্মে মন দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করতেন। উৎসাহিত হয়ে তিনি প্রথমে লিখেছিলেন ‘শকুন্তলা’। এরপর ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয় তাঁর রূপকথাধর্মী গ্রন্থ ‘ক্ষীরের পুতুল’। শিশুসাহিত্যে বিশেষ স্থান দখল করে রাখা এই সাহিত্যকর্ম পরবর্তী সময়ে ইংরেজি, ফরাসি, সুইডিশ, হিন্দি, মারাঠিসহ বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়।
বাঙালির ক্ষীরপ্রেমের শিকড় সুদূর অতীতে। ধারণা করা হয়, ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাচীনকাল থেকেই ক্ষীর তৈরি হয়ে আসছে। বিশেষ করে মোগল আমলে এই খাবার রাজকীয় পদ হিসেবে উচ্চ মর্যাদা পায়। তখন দুধ ঘন করে রান্না করে নানা রকম বাদাম ও মসলা মিশিয়ে এটি পরিবেশন করা হতো।
পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন অঞ্চলে নিজস্ব স্বাদ ও রীতি অনুসারে তৈরি হতে থাকে বৈচিত্র্যময় ক্ষীর। কোনো অঞ্চলে লালচে রঙের পায়েসের মতো ক্ষীর জনপ্রিয়। আবার কোথাও একদম ঘন মালাইয়ের মতো ক্ষীর বেশি প্রিয়। ক্ষীর তৈরির প্রধান উপাদান হলো দুধ। দুধকে ধীরে ধীরে ঘন করে তাতে চাল, চিনি, গুড় বা কনডেন্সড মিল্ক মেশানো হয়।
তারপর এটি ধীর আঁচে রান্না করে তৈরি করা হয় ঘন ও সুগন্ধি একটি মিশ্রণ। স্বাদ বাড়াতে অনেকে কাজুবাদাম, পেস্তাবাদাম, কিশমিশ কিংবা এলাচ-দারচিনির মতো মসলা যোগ করে। ঈদ, পূজা, নববর্ষ কিংবা বিয়েসহ বিভিন্ন সামাজিক ও পারিবারিক অনুষ্ঠানের ভূরিভোজে ক্ষীর না হলে চলে!
অনেকে পায়েস, ফিরনি ও ক্ষীরকে একই পদ ভেবে ভুল করে। পায়েস কিছুটা পাতলা হয়, অন্যদিকে ফিরনি আঠালো দেখতে। ক্ষীর হয় একেবারেই জমাট এবং এতে চালের দানাগুলো ভালোভাবে সিদ্ধ হলেও আস্ত থাকে। ক্ষীরের তৈরি অনেক মিষ্টি আমাদের দেশে জনপ্রিয়, বিশেষ করে ক্ষীর কদম, কানসাট, ক্ষীরের বরফি, পাতক্ষীর, ক্ষীরের পুতুল নিয়ে মাতামাতির শেষ নেই।
আল সানি