কাশি দূর করার প্রাকৃতিক উপায়

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
কাশি দূর করার প্রাকৃতিক উপায়
সংগৃহীত ছবি

আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে কাশির প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। এই সময়ে কুসুম গরম পানি দিয়ে গার্গল করলে কাশি ও গলা ব্যথা দুটোই কমে যায়। তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তন, শুষ্ক বাতাস এবং ঠাণ্ডা থেকে গরম পরিবেশে প্রবেশ- এসবই সর্দি-কাশির প্রকোপ বাড়িয়ে তোলে। তবে কিছু ঘরোয়া উপায়ে এই সমস্যার থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

মধু 
সর্দি এবং কাশির জন্য পরীক্ষিত একটি ঘরোয়া প্রতিকার হচ্ছে মধু। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য গলা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। সর্দি এবং কাশি নিরাময়ের জন্য মধু অনেক কার্যকর এবং এটি ওষুধের চেয়ে বেশি উপকারী হতে পারে।

আদা
চিকিৎসকদের মতে, কাশির সমস্যা দূর করতে আদা অত্যন্ত কার্যকর।

ছোট ছোট আদা টুকরোর সঙ্গে লবণ মিশিয়ে কিছুক্ষণ পরপর খেলে কাশি কমে যায়। এ ছাড়া আদা চা করে খেলেও কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

লবঙ্গ
কাশির সমস্যায় উপকারী হতে পারে লবঙ্গ। কিছু টুকরো লবঙ্গ মুখে রেখে মাঝেমধ্যে একটু চাপ দিয়ে রস বের করে গিলে ফেললে গলা আরাম পায় এবং জীবাণু দূর হয়।

তুলসী
তুলসীপাতা ও মধু মিশিয়ে কাশি কমানোর জন্য একটি কার্যকর মিশ্রণ তৈরি করা যেতে পারে। দিনে দুই থেকে তিনবার এটি খেলে কাশি অনেকটা কমে যায়।

সূত্র : নিউজ ১৮

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ইফতারে যে খাবারগুলো এড়িয়ে চলা ভালো

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ইফতারে যে খাবারগুলো এড়িয়ে চলা ভালো
সংগৃহীত ছবি

দীর্ঘ সময় রোজা রাখার পর ইফতার করতে বসলে খাবার বাছাইয়ে সতর্ক হওয়া জরুরি। খালি পেটে কিছু বিশেষ খাবার খেলে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু খাবার আছে যা খালি পেটে গ্রহণ করলে তাৎক্ষণিক অ্যাসিডিটি, পেট ব্যথা কিংবা বুকে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে এসব অভ্যাস শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে, এমনকি ক্যানসারের মতো জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।

পুষ্টিবিদরা পরামর্শ দেন, ইফতারে কিছু নির্দিষ্ট খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। চলুন জেনে নিই, কোন খাবারগুলো ইফতারে না খাওয়াই উত্তম—

সাইট্রাস ফল ও ঠাণ্ডা শরবত
ইফতারে ফল খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে, তবে খালি পেটে সাইট্রাস জাতীয় ফল যেমন কমলা, মুসুম্বি ইত্যাদি খাওয়া ঠিক নয়। এগুলো পেটে অতিরিক্ত এসিড উৎপন্ন করে, যা অস্বস্তির কারণ হতে পারে।

এ ছাড়া এসব ফলে থাকা ফ্রুক্টোজ হজম-প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়।

সাইট্রাস ফলের তৈরি ঠাণ্ডা শরবতও ইফতারে না খাওয়াই ভালো, কারণ ঠাণ্ডা পানীয় সর্দি-কাশির প্রবণতা বাড়াতে পারে এবং হজমের গতি মন্থর করে।

তৈলাক্ত ও ভাজাপোড়া খাবার
ইফতারে সমসাময়িক ট্রেন্ড অনুযায়ী বিভিন্ন ভাজাপোড়া ও তৈলাক্ত খাবার যেমন পেঁয়াজু, বেগুনি, চপ, আলুর চপ ইত্যাদি খাওয়া হয়। তবে দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকার পর এ ধরনের খাবার খেলে গ্যাস, অস্বস্তি এবং পেটের অন্যান্য সমস্যার সৃষ্টি হয়।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নিয়মিত তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার ফলে পেটে মেদের পরিমাণ বাড়তে পারে।

দীর্ঘমেয়াদে এটি অন্ত্রের সমস্যা, আলসার এমনকি ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই ইফতারে যতটা সম্ভব তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।

চা ও কফি
ইফতারের পর অনেকেই চা বা কফি পান করতে অভ্যস্ত। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারী খাবারের পর চা বা কফি পান করা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

এটি শরীরে অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে রক্তে শর্করার ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।

পাশাপাশি, অগ্ন্যাশয় ও যকৃতের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই ইফতারের পরপরই চা বা কফি পান না করাই ভালো।

ইফতারে কী খাবেন?
ইফতারে স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাবার গ্রহণ করা উচিত। খেজুর, দই, ইসবগুলের শরবত, শাকসবজি এবং সহজে হজম হয় এমন খাবার খেলে শরীর সুস্থ থাকবে এবং রোজার পর পেটের কোনো সমস্যা হবে না।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

মা-বাবার যেসব ভুলে ওজন বাড়ে সন্তানের

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
মা-বাবার যেসব ভুলে ওজন বাড়ে সন্তানের
সংগৃহীত ছবি

বর্তমানে শিশুদের মধ্যে স্থূলতা একটি বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও শারীরিক কার্যকলাপের অভাব শিশুর ওজন বৃদ্ধি ও স্থূলতার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। চিকিৎসকদের মতে, ছোটবেলা থেকেই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত শারীরিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এই সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব।

সন্তানদের ওজন ও স্থূলতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে মা-বাবারও কারণ রয়েছে।

তাদের কারণে সন্তানরা কিছু অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। আর সে কারণেই সন্তানদের স্থূলতা বৃদ্ধি পায়। কিভাবে শিশুদের ওজন কমানো ও স্থূলতা রোধ করা যায়, তা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। চলুন, জেনে নেওয়া যাক কিছু পরামর্শ।

আরো পড়ুন
চুল পড়া কমাবে নারকেলের পানি, কিভাবে ব্যবহার করবেন

চুল পড়া কমাবে নারকেলের পানি, কিভাবে ব্যবহার করবেন

 

সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করুন

শিশুদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাদের সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় প্রচুর শাক-সবজি, ফলমূল ও শস্য রাখুন। প্রক্রিয়াজাত ও টিনজাত খাবার এড়িয়ে চলুন। কারণ এতে থাকা সংরক্ষণকারী রাসায়নিক শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

শিশুদের যথেষ্ট পরিমাণে পানি খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন। পরিবারের সঙ্গে বসে খাওয়ার অভ্যাস করান এবং খাবার খাওয়ার সময় স্ক্রিন (মোবাইল/টিভি) থেকে দূরে রাখুন, যাতে শিশু খাবারে মনোযোগ দিতে পারে।

জাংক ফুড এড়িয়ে চলুন

অনেক মা-বাবা শিশুদের আবদারে জাংক ফুড খেতে দেন, যা অত্যন্ত ক্ষতিকর। জাংক ফুডের প্রতি শিশুর আকর্ষণ কমাতে বাড়িতেই স্বাস্থ্যকর বিকল্প তৈরি করুন। টিভি বা মোবাইলে ফাস্ট ফুডের লোভনীয় বিজ্ঞাপনের প্রভাব থেকে শিশুকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন।

শারীরিক কার্যকলাপের প্রতি উৎসাহ দিন

শিশুর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে তাকে নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপে যুক্ত করা প্রয়োজন। দৌড়ানো, লাফানো, সাইক্লিং, সাঁতার বা খেলার মাঠে খেলতে উৎসাহ দিন। শিশুদের বাইরে খেলতে নিয়ে যান। এতে তাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

আরো পড়ুন
গরমে ফিট রাখবে যে ৫ সুপারফুড

গরমে ফিট রাখবে যে ৫ সুপারফুড

 

স্ক্রিন টাইম কমান

আজকাল শিশুদের অধিকাংশ সময় স্ক্রিনের সামনে কাটে। যা স্থূলতার অন্যতম কারণ। শিশুদের মোবাইল বা টিভি দেখার সময়সীমা নির্দিষ্ট করুন। স্ক্রিন টাইম কমিয়ে বই পড়া, খেলাধুলা বা সৃজনশীল কাজে তাদের আগ্রহী করে তুলুন।

পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন

শিশুর শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শিশুকে ঘুমাতে পাঠান। ঘুমের ঘাটতি ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। তাই ঘুমের রুটিন বজায় রাখুন।

বাড়িতে স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করুন

বাইরের খাবারের বদলে বাড়িতে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার রান্না করুন। বেকিং বা গ্রিলিংয়ের মাধ্যমে তেল কমিয়ে সুস্বাদু খাবার তৈরি করুন। শিশুকে রান্নার কাজে যুক্ত করুন। এতে তার স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়বে।

আরো পড়ুন
ইফতারের পর ক্লান্তিভাব দূর করবেন যেভাবে

ইফতারের পর ক্লান্তিভাব দূর করবেন যেভাবে

 

মানসিক স্বাস্থ্যেও খেয়াল রাখুন

শিশুর মানসিক চাপ বা হতাশাও ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। তার অনুভূতির প্রতি সংবেদনশীল হন। প্রয়োজনে শিশু মনোবিদের পরামর্শ নিন।

কৃত্রিম পানীয় এড়িয়ে চলুন

সফট ড্রিংকস বা অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয় শিশুদের স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ায়। শিশুদের ফলের রস বা স্বাভাবিক পানি পান করতে উৎসাহিত করুন। ফ্লেভার্ড মিল্ক বা প্যাকেটজাত পানীয়ের বদলে ঘরে তৈরি লাচ্ছি, লেবুর শরবত দিন।

ভালো অভ্যাস গড়ে তুলুন

শিশুকে ছোটবেলা থেকেই নিয়মিত শরীরচর্চা, সঠিক সময় ঘুমানো ও খাবারের রুটিন মেনে চলার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে ভবিষ্যতে স্থূলতার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।

আরো পড়ুন
ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার বাড়ানোর কৌশল

ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার বাড়ানোর কৌশল

 

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন

যদি শিশুর ওজন নিয়ন্ত্রণে না থাকে বা ডায়েট ও শরীরচর্চার পরও ওজন বৃদ্ধি পায়, তাহলে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। শিশু পুষ্টিবিদ বা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ডায়েট ও রুটিন নির্ধারণ করুন।

সূত্র : আজতক বাংলা

মন্তব্য

রক্তের গ্রুপের কারণে কি মশা বেশি কামড়ায়?

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
রক্তের গ্রুপের কারণে কি মশা বেশি কামড়ায়?

সবার সঙ্গে একসাথে আড্ডা দিলেও মশা কামড়ায় গুটি কয়েকজনকে। আর তারা মশা তাড়াতেই ব্যস্ত। মশা কি সত্যিই নির্দিষ্ট কিছু মানুষকে বেশি কামড়ায়? নাকি পুরো ব্যাপারটাই মানসিক?

আমাদের চারপাশের অনেকেই এমন দাবি করেন যে বেছে বেছে কিছু মানুষকে মশা বেশি কামড়ায়। বিষয়টি কিছুটা সত্যি।

পৃথিবীর প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ মশার অত্যধিক ‘ভালোবাসা’র শিকার। নির্দিষ্ট রক্তের গ্রুপের মানুষদের প্রতি মশা বেশি আকৃষ্ট হয় বলে দাবি রয়েছে। বিজ্ঞানও এই দাবিটি উড়িয়ে দিচ্ছে না। তবে এর সপক্ষে এখনো শক্ত কোনো প্রমাণ মেলেনি।

২০০৪ সালে জার্নাল অব মেডিক্যাল এনটোমলজিতে প্রকাশিত এক গবেষণায় দাবি করা হয়, যাদের রক্তের গ্রুপ ও তাদের প্রতিই বেশি আকর্ষিত হয় মশা।

আরো পড়ুন
ইফতারে রাখুন তরমুজের জুস

ইফতারে রাখুন তরমুজের জুস

 

ওই গবেষণাপত্রে জানানো হয়, পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যাদের রক্তের গ্রুপ ও, তাদের ওপর মশা ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি বি, এ গ্রুপের মানুষজনের ওপরও মশা ছাড়া হয়। কিন্তু ও যারা, তাদেরই বেশি কামড়ায় মশা।

বিজ্ঞানীদের মতে, মশা রক্তে থাকা প্রোটিন শনাক্ত করতে পারে। রক্তের গ্রুপের নিরিখে এই প্রোটিন বা অ্যান্টিজেন আলাদা হয়। এক্ষেত্রে তাও গুরুত্বপূর্ণ।

তবে শুধু রক্তের গ্রুপের নিরিখে নয়, ঘাম, গন্ধ, শরীর থেকে কার্বন ডাই অক্সাইডের নিঃসরণ, পোশাকের রঙের ওপর নির্ভর করেও মশা কামড়াতে পারে। এ ছাড়া আর কী কারণ আছে এবং কিভাবে মশার হাত থেকে বাঁচবেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুন
চুল পড়া কমাবে নারকেলের পানি, কিভাবে ব্যবহার করবেন

চুল পড়া কমাবে নারকেলের পানি, কিভাবে ব্যবহার করবেন

 

কার্বন ডাই-অক্সাইড বেশি ছাড়লে

কার্বন ডাই–অক্সাইডের প্রতিও মশাদের একটা ভালো লাগা আছে। কাজেই আপনি যদি বেশি বেশি নিশ্বাস নেন, একটু ভালো স্বাস্থ্যের অধিকারী হন, তবে অন্যদের থেকে আপনাকে মশা বেশি কামড়াবে।

শরীরের তাপমাত্রা বেশি হলে

আপনার শরীরের তাপমাত্রা যদি বেশি হয়, তবে মশা অন্যদের তুলনায় আপনার শরীরে বেশি বসবে। কাজেই দৌড়ানোর সময় বা ব্যায়াম করে এসে বসার সময় খুব সাবধান।

ঘামে ভেজা শরীর

ঘাম সবার অপছন্দ হলেও মশার কাছে খুবই প্রিয়। বিশেষ করে ঘামে থাকা ল্যাকটিক এসিড, অ্যামোনিয়া মশাকে অনেক বেশি আকর্ষণ করে। অতএব ঘামে ভেজা শরীর নিয়ে কোথাও বসার আগে সাবধান।

আরো পড়ুন
ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার বাড়ানোর কৌশল

ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার বাড়ানোর কৌশল

 

অন্তঃসত্ত্বা হলে

দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০০০ সালের দিকে করা এক গবেষণায় দেখা যায়, সাধারণ মানুষের তুলনায় অন্তঃসত্ত্বা নারীদের মশা কামড়ানোর হার দ্বিগুণ!

নির্দিষ্ট খাবারের ফলে

অনেক সময় আপনার খাবারও হতে পারে মশায় ধরার কারণ। যদিও এ বিষয়ে খুব বেশি গবেষণা নেই, তারপরও মিষ্টি, ঝাল ও পটাশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার মশার বেশি পছন্দ বলে মনে করা হয়। উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু গবেষক কলাকেও মশার আকর্ষণীয় খাবার হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। সুতরাং কলা খাওয়ার আগে সাবধান।

নির্দিষ্ট রঙের পোশাক

শুধু খাওয়াদাওয়া বা ব্যায়াম নয়, আপনার পোশাকও মশাকে আকর্ষণে ভূমিকা রাখে। গবেষণা বলছে, হালকা বা সাদা রঙের তুলনায় কালো আর সবুজ রঙের পোশাক পরা লোকজনকে মশা বেশি ধরে। পাশাপাশি, ঘন নীল, ঘন লাল, এমন গাঢ় রঙের পোশাক পরলেও মশার কামড় একটু বেশিই খেতে হয়।

আরো পড়ুন
গরমে ফিট রাখবে যে ৫ সুপারফুড

গরমে ফিট রাখবে যে ৫ সুপারফুড

 

বাঁচার উপায়

মশার কামড় শুধু যন্ত্রণাদায়ক ও বিরক্তিকরই নয়, বরং মশা অনেক বিপজ্জনক রোগজীবাণুও বহন করে। কাজেই ওপরের কারণগুলোর মধ্যে যেগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেগুলোর দিকে খেয়াল রাখা ভালো। রক্তের গ্রুপের মতো বিষয়গুলো যেহেতু পরিবর্তন করা সম্ভব নয়, তাই ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখা, পানি জমতে না দেওয়া, পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন রাখা ও থাকা, মশা তাড়ানোর প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করা, হাত ও পায়ের খোলা জায়গায় মশা না কামড়ায় সে জন্য সেসব জায়গায় মশারোধী লোশন ব্যবহার করতে পারেন।

সূত্র : ভেরি ওয়েল মাইন্ড ও এবিপি লাইভ

মন্তব্য

গরমে ফিট থাকতে যে ধরনের পানীয় এড়িয়ে চলবেন

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
গরমে ফিট থাকতে যে ধরনের পানীয় এড়িয়ে চলবেন
সংগৃহীত ছবি

এখন বসন্ত ঋতু চললেও সূর্যের তাপে পুড়ছে শরীর। সেটি বোঝা যায় বাইরে বের হলেই। বসন্তের মৃদু বাতাসের বদলে গরম হাওয়ার আঁচ এসে লাগছে চোখে-মুখে। সেই সঙ্গে গরমে অস্বস্তি তো আছেই।

রমজানের এই সময়ে তাই অনেকে বাইরে বের হতে চান না। যারা বের হন তারাও কাজ সেরে তাড়াতাড়ি ফেরার চেষ্টা করেন। তৃষ্ণা মেটাতে অনেকে ইফতারে বিভিন্ন ধরনের পানীয় রাখেন। কিন্তু নিজেকে ফিট রাখতে কী ধরনের পানীয় খাবেন, কী ধরনের পানীয় খাবেন না, তা অনেকেই জানেন না।

চলুন, জেনে নিই।

তীব্র গরমে সুস্থ থাকতে চাইলে বেশি করে পানি খাওয়া ছাড়া উপায় নেই। শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে গেলেই বিপদ। তাই সারা দিন রোজা রাখার পর ইফতারের নির্দিষ্ট সময় পর পর পানি পানের চেষ্টা করুন।

আরো পড়ুন
ইফতারে রাখুন তরমুজের জুস

ইফতারে রাখুন তরমুজের জুস

 

শুধু গরমকাল বলে নয়, রোগবালাই থেকে দূরে থাকতে হলে পানি খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা থেকে অন্য কোনো রোগের ঝুঁকি, পানিতেই লুকিয়ে রয়েছে সুস্থ থাকার রসদ। তবে সারা বছরই প্রাপ্তবয়স্কদের তিন থেকে সাড়ে তিন লিটার পানি খাওয়ার কথা বলা হয়।

গরমে কি পানি খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে

চিকিৎসকদের মতে, যে হারে গরম বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে, তাতে পানি বেশি করে খেতেই হবে। শরীরে পানির পরিমাণ যদি কমে যায়, তাহলে নানা রোগবালাই এই সময় জাঁকিয়ে বসবে।

সেটা ডায়রিয়া থেকে সংক্রমণ, যেকোনো কিছুই। তা ছাড়া ডিহাইড্রেশনের ভয় তো আছেই। তাই কিছুতেই শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হতে দেওয়া যাবে না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, তিন থেকে সাড়ে তিন লিটারের বেশি পানি খাওয়ার দরকার নেই। এই পরিমাণ পানি খেলেই হবে। তবে ডায়াবেটিক, হার্টের রোগের ক্ষেত্রে পানি খাওয়ার নির্দিষ্ট পরিমাণ রয়েছে। সেই পরিমাণটা সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের থেকে জেনে নিতে হবে।

আরো পড়ুন
চুল পড়া কমাবে নারকেলের পানি, কিভাবে ব্যবহার করবেন

চুল পড়া কমাবে নারকেলের পানি, কিভাবে ব্যবহার করবেন

 

অনেকেরই পানি খাওয়ার কথা মনে থাকে না। তাই পানির বিকল্প খোঁজেন। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, পানির বিকল্প পানিই। পানি খেলে যে উপকার পাওয়া যাবে, তা আর অন্য কোনো কিছুতেই মিলবে না। তবে কে, কতটা পানি খাবেন সেটা নির্ভর করে ব্যক্তির বয়স, উচ্চতা, ওজনের ওপর।

আবার কে, কোন পরিবেশে থাকছেন, তার ওপরেও পানি খাওয়ার পরিমাণ নির্ভর করে। যিনি বাইরের রোদে ঘুরে কাজ করেন, স্বাভাবিক ভাবেই তার শরীর থেকে বেশি পানি বের হয়। ফলে তাকে পানি খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতেই হবে। অন্যদিকে দিনভর এসিতে থাকলেও যে পানি খাওয়ার প্রয়োজন নেই, তা একেবারেই নয়।

যে পানীয় থেকে দূরে থাকবেন

গরমে সাময়িক স্বস্তি পেতে অনেকেই আখের রস, কোল্ড ড্রিংকসে গলা ভেজাচ্ছেন। তাৎক্ষণিক তৃপ্তি দিলেও এই ধরনের পানীয় শরীরের জন্য একেবারেই ভালো নয় বলে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। তারা জানিয়েছেন, কোল্ড ড্রিংক উল্টো শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি করে। রাস্তায় ভ্যানে করে যে আখের রস বিক্রি করা হয় তা কতটা স্বাস্থ্যকর ও পরিষ্কার, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তবে আখ কিনে এনে চিবিয়ে খেতে পারলে ভালো।

আরো পড়ুন
যে ডাল খেলে কমবে ইউরিক এসিড

যে ডাল খেলে কমবে ইউরিক এসিড

 

সূত্র : এই সময়

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ