পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার জরুরি বৈঠক শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার জরুরি বৈঠক শুরু
ফাইল ছবি

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের ১২৭ জন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার (১৭ মার্চ) বেলা সোয়া ১১টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার তেজগাঁও কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করছেন প্রধান উপদেষ্টা নিজেই।

আরো পড়ুন

সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান রিমান্ডে

সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান রিমান্ডে

 

এর আগে, হতকাল রবিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, 'আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মানুষের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ রয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে সোমবার সারা দেশের মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা।' 

তিনি আরো জানান, পুলিশ সুপার ও তার উপরের পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই বৈঠক হবে। বিভিন্ন মহানগর কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, ক্রাইম টিমের সদস্যসহ ১২৭ জন শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা বিশেষ বৈঠকে যোগ দেবেন। পুলিশের আইজিপি সেখানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন।

 

আরো পড়ুন

র‌্যাবের অভিযানে আরাকান আরসার ৪ সদস্য আটক

র‌্যাবের অভিযানে আরাকান আরসার ৪ সদস্য আটক

 

৫ আগস্টের পর পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তারা প্রধান উপদেষ্টাকে জানাবেন। একইসঙ্গে পুলিশের মোরাল অ্যাকটিভিটিজ ফিরিয়ে আনার জন্য কী কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাও অবহিত করবেন।

আরো পড়ুন

তাপপ্রবাহে পুড়ছে ঢাকাসহ ১২ জেলা, অব্যাহত থাকতে পারে

তাপপ্রবাহে পুড়ছে ঢাকাসহ ১২ জেলা, অব্যাহত থাকতে পারে

 

ব্রিফিংয়ে বলা হয়, এবার পুলিশ সপ্তাহ হবে ২৯ এপ্রিল। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা বক্তব্য রাখবেন এবং দিক নির্দেশনা দেবেন।

তার আগে সোমবারের সভায় পুলিশকে বিশেষ দিক নির্দেশনা দেয়ার জন্য ডাকা হয়েছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিপীড়ন-হত্যাকাণ্ড যুদ্ধাপরাধের শামিল হতে পারে : ফর্টিফাই রাইটস

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিপীড়ন-হত্যাকাণ্ড যুদ্ধাপরাধের শামিল হতে পারে : ফর্টিফাই রাইটস

বাংলাদেশে রোহিঙ্গা বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সদস্যরা মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন এবং হুমকি দিয়েছে, যা যুদ্ধাপরাধের শামিল হতে পারে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ফর্টিফাই রাইটস এর প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকাল ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির এক প্রতিবেদন প্রকাশকালে এ দাবি করা হয়। 

‘বাংলাদেশ : রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের যুদ্ধাপরাধের জন্য জবাবদিহিতার আওতায় আনুন, আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার সাথে সহযোগিতা করুন’ শির্ষক সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্থাটির পরিচালক জন কুইনলি, সিনিয়র অ্যাডভোকেসি স্পেশালিস্ট পেট্রিক ফংসাথর্ন ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নাভিন মুর্শিদ। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গা পুরুষ, নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী গোষ্ঠির নির্দিষ্ট কিছু কর্মকাণ্ড যুদ্ধাপরাধের আওতায় পড়ার যৌক্তিক ভিত্তি রয়েছে। এসব অপরাধমূলক ঘটনা ও মিয়ানমারে চলমান সশস্ত্র সংঘাতের মধ্যে একটি সুস্পষ্ট যোগসূত্র বিদ্যমান। 

যুদ্ধাপরাধ প্রতিষ্ঠার জন্য তিনটি অপরিহার্য উপাদান উপস্থিত থাকতে হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এরমধ্যে রয়েছে- এক. একটি সশস্ত্র সংঘর্ষ বিদ্যমান থাকতে হবে। দুই. একটি নিষিদ্ধ কার্যকলাপ অবশ্যই এমন ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংঘটিত হতে হবে, যিনি সশস্ত্র সংঘর্ষে সক্রিয়ভাবে জড়িত নন এবং তিন. সশস্ত্র সংঘর্ষ ও সংঘটিত কার্যকলাপের মধ্যে অবশ্যই একটি যোগসূত্র থাকতে হবে। বাংলাদেশে শরণার্থী শিবিরে সংগঠিত অপরাধগুলোতে এসব উপাদান বিদ্যমান থাকার যুক্তিসঙ্গত ভিত্তি আছে। ফলে অন্ততপক্ষে চলমান যুদ্ধাপরাধের সম্ভাবনা নিয়ে আরও তদন্ত করা উচিত।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি আরসা এবং রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) বিদ্রোহীরা মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সশস্ত্র সংঘর্ষে জড়িত। তারা উভয়ই মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে অবস্থিত জাতিগত সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে মিয়ানমার জান্তার পক্ষে লড়াই করছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে তাদের সশস্ত্র অভিযান জোরদার করার জন্য তারাই বাংলাদেশে শরণার্থীদের অপহরণ করেছে এবং তাদের মিয়ানমারে যুদ্ধ করতে বাধ্য করেছে। যা যুদ্ধের আইনের গুরুতর লঙ্ঘন এবং সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ হিসেবে তদন্ত করা উচিত। সংস্থাটি আরসা ও আরএসও-এর সাবেক ও বর্তমান সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছে এবং তাদের অপরাধের স্বীকারোক্তি নথিভুক্ত করেছে।

প্রতিবেদনের তথ্যমতে, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা রোহিঙ্গা বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর হাতে বছরের পর বছর ধরে সহিংসতা ও হত্যার শিকার হয়েছে। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে মোহিবুল্লাহ হত্যার পর থেকে বিদ্রোহী সহিংসতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। শরণার্থী শিবিরভিত্তিক বিদ্রোহীদের দ্বারা সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে সংখ্যা ২০২১ সালে ২২টি, ২০২২ সালে ৪২টি, ২০২৩ সালে ৯০টি এবং ২০২৪ সালে কমপক্ষে ৬৫টি রিপোর্ট করা হয়েছে।

জন কুইনলি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারে প্রায় সম্পূর্ণ দায়মুক্তির সঙ্গে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। যুদ্ধাপরাধ সাধারণত সশস্ত্র সংঘাতের প্রত্যক্ষ ক্ষেত্রেই সংঘটিত হয়। তবে এই ক্ষেত্রে, বাংলাদেশে সংঘটিত নির্দিষ্ট অপরাধগুলো মিয়ানমারের যুদ্ধে সরাসরি সংযুক্ত এবং যুদ্ধাপরাধের শামিল।’ 

তিনি বলেন, ‘সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আন্তর্জাতিক বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করা উচিত।’

তিনি আরো বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ড বন্ধ করা জরুরি। এর জন্য যারা দায়ী, বিশেষ করে আরসা ও আরএসও সদস্যদের অবশ্যই জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত। দাতা সরকারগুলোর উচিত ঝুঁকিতে থাকা শরণার্থীদের সহায়তায় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করা। যার মধ্যে রয়েছে সুরক্ষিত স্থান, চলাচলের স্বাধীনতা এবং তৃতীয় দেশে পুনর্বাসনের জন্য আরো বিকল্প প্রদান।’

শরণার্থী শিবিরে চলমান সহিংসতা নিয়ে ১১৬ জনের সাক্ষাতকার নিয়ে ৭৭ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে ভুক্তভোগী রোহিঙ্গাদের উপর অমানবিক নির্যাতন, হুমিকি ও ভয় ভীতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। 

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের রোহিঙ্গা নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী গোষ্ঠী থেকে রক্ষা করতে ব্যাপকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। বহু বছর ধরে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের অস্তিত্ব ও কার্যক্রমের কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। এর ফলে ভুক্তভোগী শরাণার্থী রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ন্যায়বিচারের সুযোগ ও যথাযথ প্রতিক্রিয়ার অভাব দেখা দেয়।’

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, সাম্প্রতিক মার্কিন সরকারি তহবিল কাটছাঁটের ফলে শরণার্থী শিবিরগুলোতে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের জন্য আরও বেশি সুযোগ তৈরি হচ্ছে। যা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপত্তা ব্যাপকভাবে আরও খারাপ করবে। এছাড়াও রোহিঙ্গা শিবিরে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় এবং বাংলাদেশে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ রোধে বেশ কিছু প্রতিকার উল্লেখ করা হয়।
 

মন্তব্য

২৭৩ কোটি টাকার ভোজ্য তেল ও মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
২৭৩ কোটি টাকার ভোজ্য তেল ও মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত
সংগৃহীত ছবি

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) জন্য ১ কোটি ১০ লাখ লিটার পরিশোধিত রাইস ব্রান তেল এবং ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে সরকারের মোট ব্যয় হবে ২৭২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, গ্রিন অয়েল অ্যান্ড পোল্ট্রি ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ, মজুমদার প্রডাক্টস লিমিটেড এবং মজুমদার ব্রান অয়েল মিলস লিমিটেড থেকে এই তেল কেনা হবে।

প্রতি লিটার রাইস ব্রান তেলের দাম ধরা হয়েছে ১৬২ টাকা ৫০ পয়সা। সে হিসেবে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার তেল কিনতে খরচ হবে ১৭৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

এর মধ্যে গ্রিন অয়েল অ্যান্ড পোল্ট্রি ফিড ইন্ডাস্ট্রিজের কাছ থেকে ২০ লাখ লিটার, মজুমদার প্রডাক্টস লিমিটেডের কাছ থেকে ৪৫ লাখ লিটার এবং মজুমদার ব্রান অয়েল মিলস লিমিটেডের কাছ থেকে ৪৫ লাখ লিটার রাইস ব্রান তেল কেনা হবে।

বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা। প্রতি কেজি ডালের দাম ধরা হয়েছে ৯৪ টাকা ২৩ পয়সা।

মেসার্স মদিনা ট্রেডিং করপোরেশন ও মেসার্স পায়েল ট্রেডার্স থেকে এই ডাল কেনা হবে। এর মধ্যে মদিনা ট্রেডিং থেকে কেনা হবে ৫ হাজার মেট্রিক টন এবং পায়েল ট্রেডার্স থেকে কেনা হবে ৫ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল।

মন্তব্য

৪ বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির শঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
৪ বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির শঙ্কা
সংগৃহীত ছবি

ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। একই সময়ে সারা দেশে আগামী ২৪ ঘণ্টায় দিনে তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থেকে রাতে কমতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

আরো পড়ুন
ভোজ্য তেলে কর ছাড় ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর সুপারিশ

ভোজ্য তেলে কর ছাড় ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর সুপারিশ

 

 
এতে বলা হয়েছে, আজ সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতে সামান্য কমতে পারে।

আগামীকাল বুধবার সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে এবং রাতে সামান্য বাড়তে পারে। পরদিন বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতে সামান্য বাড়তে পারে। বৃষ্টির বিষয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। 

আরো পড়ুন
চক্ষুশীতলকারী স্ত্রী-সন্তান চেয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া

চক্ষুশীতলকারী স্ত্রী-সন্তান চেয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া

 

মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে—এ অবস্থায় আজ ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, আগামীকাল বুধবার অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। পরদিন বৃহস্পতিবার ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এ দিন বর্ধিত পাঁচ দিনের প্রথম দিকে সারা দেশে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

মন্তব্য

বিএফআইডিসির রাবার বাগানের ৩৮ হাজার একর জমির লিজ নবায়ন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বিএফআইডিসির রাবার বাগানের ৩৮ হাজার একর জমির লিজ নবায়ন
ছবি: কালের কণ্ঠ

বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফআইডিসি) ও বন অধিদপ্তরের মধ্যে ৪০ বছরের জন্য রাবার বাগানের লিজ নবায়ন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। বন অধিদপ্তর থেকে বিএফআইডিসিকে ১৮টি রাবার বাগানের জন্য ৩৮ হাজার ১৮৪ দশমিক ৪৮ একর জমি বিভিন্ন সময়ে বাস্তব হস্তান্তর করা হয়।

আরো পড়ুন
বহিষ্কৃতদের তালিকায় নেই ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নাম

বহিষ্কৃতদের তালিকায় নেই ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নাম

 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

চুক্তিতে বন অধিদপ্তরের পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী এবং বিএফআইডিসির পক্ষে কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ২০০৩ সালে লিজ চুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় মন্ত্রণালয়ের বিশেষ উদ্যোগে এটি নবায়ন করা হলো। এ চুক্তির ফলে সরকারের আয় বৃদ্ধি পাবে।

পাশাপাশি, ভূমি জবরদখলমুক্ত করতে আইনগত জটিলতা দূর হবে। এ ছাড়া, প্রাকৃতিক রাবার চাষ জলবায়ু পরিবর্তনের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ