ঈদ উৎসবে দীর্ঘ ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে সেলামিতে নতুন টাকা দেয় অনেকে। এ কারণে বিশেষ দিনটির আগে চাহিদা বাড়ে ঝকঝকে টাকার। চাহিদাকে সামনে রেখে প্রতিবছর নতুন টাকা বাজারে ছাড়ে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবারও ২১১ কোটি টাকা ছাড়ার কথা ছিল।
ঈদ উৎসবে দীর্ঘ ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে সেলামিতে নতুন টাকা দেয় অনেকে। এ কারণে বিশেষ দিনটির আগে চাহিদা বাড়ে ঝকঝকে টাকার। চাহিদাকে সামনে রেখে প্রতিবছর নতুন টাকা বাজারে ছাড়ে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবারও ২১১ কোটি টাকা ছাড়ার কথা ছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, প্রতি ঈদে ঘটা করে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি টাকা ছাপানোর সংস্কৃতি থেকে সরে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কারণ এতে অনেক খরচ।
গত সপ্তাহে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছিল, আগামী ১৯ মার্চ থেকে নতুন নোট সংগ্রহ করতে পারবে গ্রাহকরা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা ধীরে ধীরে অনলাইনভিত্তিক লেনদেনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। তাই নগদ টাকার ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে।
টাকা ছাপাতে সরকারের খরচ : প্রতিবছর নতুন টাকা ছাপাতে সরকারের খরচ হয় সর্বনিম্ন ৫০০ কোটি টাকা। কোনো বছর ৭০০ কোটিও ছাড়িয়ে যায়। কারণ নানা কারণে টাকা নষ্ট হয়। প্রতিবছর বাংলাদেশ ব্যাংক নষ্ট নোট বাজার থেকে তুলে নিয়ে তার বিপরীতে নতুন নোট ছাড়ে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, এক হাজার টাকার নোট ছাপাতে পাঁচ টাকা ও ৫০০ টাকার নোট ছাপাতে খরচ পড়ে চার টাকা ৭০ পয়সা। ২০০ টাকার নোটে তিন টাকা ২০ পয়সা, ১০০ টাকার নোটে চার টাকা এবং ১০, ২০, ৫০ টাকার সব নোটেই দেড় টাকা। আর পাঁচ টাকা ও দুই টাকার নোট ছাপাতে খরচ পড়ে এক টাকা ৪০ পয়সা। সবচেয়ে বেশি খরচ হয় কয়েন তৈরিতে। প্রতিটি কয়েনে প্রায় সমপরিমাণ টাকা খরচ হয়। তবে কয়েন বেশি টেকসই। নোট ছাপানোর খরচের কথা চিন্তা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডিজিটাল মুদ্রা তথা ক্যাশলেস ব্যবস্থার দিকে ঝুঁকছে। তবে বিশ্বব্যাপী কাঁচামালের দাম বাড়ার কারণে এই খরচ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা।
টাকার প্রচলন কমানোর উদ্যোগ : তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই এখন নগদ টাকার ব্যবহার কমেছে। বাংলাদেশ সেই পথে হাঁটতে শুরু করেছে। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক আন্ত ব্যাংকিং লেনদেনের সুবিধার্থে নিয়ে এসেছে ‘বিনিময়’ নামে অ্যাপ। এর সাহায্যে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে সহজে লেনদেন করা যাবে। আর কেনাকাটায় গ্রাহক ও দোকানির মধ্যে সহজ লেনদেনের জন্য রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘বাংলা কিউআর’। এগুলো এখন কার্যত নিষ্ক্রিয় হলেও নতুনরূপে এগুলো ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
টাকার নকশা থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বাদ যাচ্ছে। তাঁর পরিবর্তে যুক্ত হতে যাচ্ছে জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি। আপাতত ২০, ১০০, ৫০০ ও এক হাজার টাকার নোটের নকশা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নতুন নোট ছাপানোর জন্য কার্যক্রম শুরু করেছে টাকশাল। কিন্তু এবারের ঈদে জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি নয় বরং শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিসহ নোটই বাজারে ছাড়া হচ্ছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী মে মাসের মধ্যেই বাজারে আসবে নতুন নকশার নোট।
সম্পর্কিত খবর
শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক : শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির ৮৯৩তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালক ও নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো. তৌহীদুর রহমান। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ব্যাংকের পরিচালক ও কমিটির সদস্য মো. সানাউল্লাহ সাহিদ, মহিউদ্দিন আহমেদ এবং মোহাম্মদ ইউনুছ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসলেহ উদ্দীন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
এআইবি : আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৪১৮তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
র্যাংগস : র্যাংগস ইলেকট্রনিকস ‘ঈদ উৎসব থ্রি ইন ওয়ান অফার’ শিরোনামে বিক্রয় ক্যাম্পেইন শুরু করেছে। র্যাংগস ইলেকট্রনিকসের অ্যাডভাইজার মেজর মোহাম্মদ সোলায়মান তালুকদার (অব.), চিফ ফিন্যানশিয়াল অফিসার মোস্তফা ওয়াকি চৌধুরী, সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ জানে আলম যৌথভাবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন র্যাংগস ইলেকট্রনিকসের বিভাগীয় কর্মকর্তারা।
ফুডপান্ডা : পান্ডা-রাইডার ঈদ কম্পিটিশনে ওমরাহ প্যাকেজ জিতে নিয়েছেন ফুডপান্ডার দুজন রাইডার। বিজয়ী রাইডার মোহাম্মদ বিল্লাল জোয়ার্দার ও মাসুম বিল্লাহ মুন্সীর জন্য বিমানের টিকিট এবং মক্কা ও মদিনায় থাকার সুব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে অনলাইন ফুড ও গ্রোসারি ডেলিভারি প্ল্যাটফরমটি। এ ছাড়া বাকিদের হাতে মোটরসাইকেল ও স্মার্টফোনসহ নানা আকর্ষণীয় পুরস্কার তুলে দেয় ফুডপান্ডা। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সুজুকি বাংলাদেশ নিয়ে এসেছে বিশেষ উৎসব অফার ‘সুজুকি ঈদ ফেস্ট’। ক্রেতারা সীমিত সময়ের এই অফারে সুজুকির বিভিন্ন মডেলের মোটরসাইকেলের ওপর সর্বোচ্চ সাত হাজার টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক উপভোগ করতে পারবেন। এই অফারে জিক্সার মনোটোন এখন দুই লাখ পাঁচ হাজার ৯৫০ টাকার পরিবর্তে মাত্র এক লাখ ৯৯ হাজার ৯৫০ টাকা অর্থাৎ থাকছে ছয় হাজার টাকা ক্যাশব্যাক। জিক্সার মনোটোন ক্লাসিক প্লাস দুই লাখ আট হাজার ৯৫০ টাকার পরিবর্তে দুই লাখ দুই হাজার ৯৫০ টাকা অর্থাৎ থাকছে ছয় হাজার টাকা ক্যাশব্যাক।