ঢাকা, মঙ্গলবার ০৪ মার্চ ২০২৫
১৯ ফাল্গুন ১৪৩১, ০৩ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, মঙ্গলবার ০৪ মার্চ ২০২৫
১৯ ফাল্গুন ১৪৩১, ০৩ রমজান ১৪৪৬

নারী ফুটবলের পাশে এবিজি বসুন্ধরা

ক্রীড়া প্রতিবেদক
ক্রীড়া প্রতিবেদক
শেয়ার
নারী ফুটবলের পাশে এবিজি বসুন্ধরা
ছবি : শেখ হাসান

বাংলাদেশের নারী ফুটবলের পৃষ্ঠপোষক হলো এবিজি বসুন্ধরা। আজ ২৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসুন্ধরা গ্রুপের এমডির বাসভবনে এবিজি লিমিটেড এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের মধ্যে একটি চুক্তি সাক্ষরিত হয়। তিন বছর মেয়াদী চুক্তি শেষ হবে ২০২৫ সালে। এবিজি লিমিটেডের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর এবং বাফুফের নারী ফুটবল দলের পক্ষে মাহফুজা আক্তার কিরন চুক্তিপত্রে সাক্ষর করেছেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও মহিলা উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, 'বসুন্ধরা গ্রুপ সত্যিকার অর্থে স্পোর্টস লাভার। সেটা না হলে আজকের এই সাইনিংটা হতো না। আনভীর ভাই (বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর) আমাদের কমিটমেন্ট করেছিলেন, সেটা উনি রাখলেন।'

বাফুফের সহ সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ মহী বলেছেন, 'বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগিতা আমদের অনুপ্রাণিত করবে।

আশা করি, বসুন্ধরা গ্রুপের সম্পৃক্ততায় মেয়েদের ফুটবল অনেকদূর এগিয়ে যাবে।'

বসুন্ধরা কিংসের প্রেসিডেন্ট ইমরুল হাসান বলেছেন, 'বসুন্ধরা গ্রুপ একটা ক্রীড়া পরিবার। তারা বাংলাদেশের খেলাধুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভালো কিছু অর্জন করার একটা মিশন নিয়েছে। তারা শেখ জামাল, শেখ রাসেল, হকি, তায়কোয়ান্দো, গলফ ইত্যাদি অনেক ক্ষেত্রে পৃষ্ঠপোষকতা করছে।

আজকে আমাদের স্বপ্ন পূরণের সম্প্রসারিত রূপ। বাংলাদেশের মেয়েরা সাফল্য পাচ্ছে। এই সাফ্যল্যটকে আরও সামনে এগিয়ে নিতে চাই। বসুন্ধরা গ্রুপের সম্মানিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন। অনেক ব্যস্ততার মাঝেও তিনি ফুটবল নিয়ে ভাবেন।
বাফুফের সঙ্গে বসুন্ধরা গ্রুপ আছে এবং থাকবে। বিশেষ করে নারী ফুটবলের সঙ্গে।'

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বিসিবির কাছে ৪৮ লাখ টাকা পাওনা সাকিবের

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
বিসিবির কাছে ৪৮ লাখ টাকা পাওনা সাকিবের
সাকিব আল হাসান। ছবি : এএফপি

গতকালই বোর্ড সভায় বসেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সভায় নতুন বছরে চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক ও ম্যাচ ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। এ ছাড়া নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তির বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে কোন কোন ক্রিকেটার জায়গা পাচ্ছেন তাও অনেকটাই চূড়ান্ত।

এতকিছুর মাঝেও আলাদা ভাবে আসছে সাকিব আল হাসানের নাম। জানা গেছে আগের বছরে চুক্তিতে থাকা  সাকিবের চার মাসের পারিশ্রমিক এখনো বাকি।

২০২৪ সালে তিন সংস্করণেই সর্বোচ্চ ক্যাটাগরির চুক্তিতে ছিলেন সাকিব। আর সেই চুক্তির সাপেক্ষে বিসিবি থেকে এখনো ৪৮ লাখ (ট্যাক্স বহির্ভূত) পাওনা তার।

ওই বছরের শেষ চার মাসের বেতন তাকে এখনো দেওয়া হয়নি বলে ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে নিশ্চিত করেছেন বিসিবির এক কর্মকর্তা, ‘এটা সত্যি সে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বরের বেতন পায়নি কারণ তার ব্যাংক একাউন্ট ফ্রিজ করা আছে।’

গত নভেম্বরে রাজনৈতিক কারণে সাকিব ও তার স্ত্রীর দেশে থাকা ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করা আছে। সেই কারণেই বিসিবি তাকে এখনো প্রাপ্য পারিশ্রমিক বুঝিয়ে দিতে পারছে না। তবে তার প্রাপ্য টাকা বিসিবি দিয়ে দেবে বলে ক্রিকবাজকে জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদিন ফাহিম, ‘চুক্তি অনুযায়ী সে তার টাকা পাবে।

এই সময়ে খেলুক কিংবা না খেলুক চুক্তির প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হবে।’

গত সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে কানপুর টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি আগে অবসরের ঘোষণা দেন সাকিব। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দেশে খেলতে চেয়েছিলেন বিদায়ি টেস্ট। ওয়ানডে থেকে অবসর নিতে চেয়েছিলেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলে। তার কোন চাওয়া পূরণ হয়নি।

এরই মধ্যে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া প্রতারণার মামলার তার বিরুদ্ধে আছে গ্রেফতারি পরোয়ানা। এরই মাঝে সাকিবের ওপর আছে বোলিং অ্যাকশনের নিষেধাজ্ঞা। এর পর তাকে আর কোন দলে বিবেচনা করা হয়নি। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতেও দেশে ফিরতে পারেননি বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের সংসদ সদস্য হওয়া সাকিব। 

মন্তব্য

রোহিতকে নিয়ে কংগ্রেস নেতার মন্তব্যে বিজেপির তীব্র প্রতিক্রিয়া

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
রোহিতকে নিয়ে কংগ্রেস নেতার মন্তব্যে বিজেপির তীব্র প্রতিক্রিয়া
রোহিত শর্মা। ছবি : আইসিসি

গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে গ্রুপসেরা হয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে ভারত। সেই ম্যাচে ১৫ রান করে আউট হন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এর পর সামাজিক যোগায়োগ মাধ্যমে পোস্ট করে ভারতের দলে রোহিতের থাকা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেসের মুখপাত্র শামা মোহামেদ। একই সুর তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য সৌগত রায়ের কণ্ঠেও।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ রোহিতের সমালোচনা করে কংগ্রেস নেতা শামা মোহামেদ লিখেছেন, ‘রোহিত শর্মা খেলোয়াড় হিসেবে যথেষ্ট স্থূলকায়। তার ওজন কমানো দরকার। ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে আকর্ষণহীন অধিনায়ক সে। পূর্বসূরিদের সঙ্গে তুলনা করলে তার মধ্যে বিশ্বমানের এমন কী আছে? সে মাঝারি মানের খেলোয়াড় ও অধিনায়ক, সৌভাগ্যবশত ভারতের অধিনায়ক হয়েছে।

তার এই মন্তব্য ভালোভাবে নেননি বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া। টুর্নামেন্টের মাঝপথে অধিনায়ককে নিয়ে এমন কথাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন দেবজিৎ। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে এ নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘দল যখন আইসিসি টুর্নামেন্ট খেলছে, তখন একজন দায়িত্ববান ব্যক্তির কাছ থেকে এমন তুচ্ছ কথা দুর্ভাগ্যজনক। এটা দল কিংবা খেলোয়াড়দের ওপর ব্যক্তিগতভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

সবাই নিজেদের সেরাটা নিংড়ে দিচ্ছে এবং ফলও দেখা যাচ্ছে। আশা করি ব্যক্তিগত প্রচারের লক্ষ্যে লোকে এসব অবমাননাকর মন্তব্য পরিহার করবেন।’

ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বিজেপির নেতারাও শামার এই মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন। বিজেপি নেতা শেহজাদ পুনাওয়ালা এক্স–এ টুইট করেন, ‘রাহুল গান্ধীর অধিনায়কত্বে যারা ৯০টি নির্বাচনে হেরেছে, তারা রোহিত শর্মার অধিনায়কত্বকে আকর্ষণহীন বলছেন! তাহলে দিল্লিতে ৬টি ডাক, ৯০টি নির্বাচনে হার আকর্ষণীয় হলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় আকর্ষনীয় নয়। রোহিতের অধিনায়কত্বের ট্র্যাক রেকর্ড অসাধারণ।

বিজেপি নেতা রাধিকা খেরাও ছেড়ে কথা বলেননি শামাকে। ‘কী দুঃসাহস! এই একই কংগ্রেস দশকের পর দশক অ্যাথলেটদের অপমান করেছে, স্বীকৃতি দেয়নি, আর এখন ক্রিকেটের কিংবদন্তিকেও উপহাস করছে! রোহিত শর্মা বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। তোমাদের নেতা রাহুল গান্ধী তো নিজের দলেরও অধিনায়ক হতে পারেনি।’

তবে শামার সুরে সুর মিলিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য সৌগত রায়ও। ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইকে সৌগত বলেছেন, আমি একমত। এটা রাজনীতি নয়, ক্রিকেট। রোহিত শর্মাকে আর কত দিন ছাড় দেওয়া হবে? দুই বছরে একটি সেঞ্চুরি করে অন্য ম্যাচগুলোয় দ্রুত আউট হয়ে যাওয়াটা দলে তার জায়গার পক্ষে কথা বলে না। দলে তার কর্তৃত্বের জায়গাটা থাকা উচিত না। কংগ্রেস নেতা ঠিকই বলেছেন। এমনকি তার ওজন নিয়েও শঙ্কার জায়গা আছে। হ্যাঁ, তার ওজন বেশি। কিন্তু লোকে এসব পাত্তা দেয় বলে মনে হয় না।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা যদি ফিট ও সামর্থ্যবান অধিনায়ক চাই, দলে অনেক নতুন খেলোয়াড় আছেন যারা ভালো খেলছেন। ফিটনেসই প্রধান বিষয় হলে বুমরার মতো কেউ যে ফিট থাকলে দারুণ অধিনায়ক হতে পারে। এমনকি শ্রেয়াস আইয়ারেরও ভালো সম্ভাবনা আছে। কিন্তু রোহিত শর্মার দলে জায়গা থাকা অনুচিত।’

শামার এই মন্তব্য নিয়ে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। দলের পক্ষ থেকে জানায়, শামার এই মন্তব্যে দলের অবস্থানের প্রতিফলন ঘটেনি এবং পোস্টটি মুছে ফেলার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। অবশ্য তুমুল সমালোচনার কারণে পোস্টটি পরে মুছেও ফেলা হয়।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দুবাইয়ে আজ প্রথম সেমিফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া।

মন্তব্য

ভারতকে হারাবে অস্ট্রেলিয়া, বিপদজনক হতে পারে হেড : শেবাগ

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
ভারতকে হারাবে অস্ট্রেলিয়া, বিপদজনক হতে পারে হেড : শেবাগ
বীরেন্দ্র শেবাগ। ছবি : এক্স থেকে

২০২৩ সারের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেটাই ওয়ানডেতে দুই দলের শেষ দেখা। এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে তারা। সেই সেমিফাইনালে ভারতের চেয়ে অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে রাখছেন সাবেক ভারতীয় ওপেনার বীরেন্দ্র শেবাগ।

তার মতে স্মিথের দল আরো একটি আইসিসি শিরোপা জিততে পারে।

আরো পড়ুন
বিপিএল আর বিশ্ব আসরের বোলিং এক নয়

বিপিএল আর বিশ্ব আসরের বোলিং এক নয়

 

এবার অস্ট্রেলিয়া দলে বোলিংয়ে নেই কামিন্স, স্টার্ক, হ্যাজলউডের মতো নিয়মিত তারকারা। ব্যাটিংয়ে মার্কাস স্টয়নিস, মিচেল মার্শরাও খেলছেন না। আর সেমিফাইনালের আগে চোটে ছিটকে গেছেন ম্যাথু শর্ট।

অস্ট্রেলিয়া দলের এই অবস্থায় যেখানে সবাই ভারতকে এগিয়ে রাখছেন সেখানে সেখানে শেবাগের ফেবারিট স্মিথের দল। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেও তিনি বলেছিলেন শিরোপা জিতবে অস্ট্রেলিয়া। এবার সেমিফাইনালের আগে ক্রিকেট ভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের আলোচনায় একই সুরে কথা বললেন। 

ক্রিকবাজের উপস্থাপক শেবাগকে প্রশ্ন করেছেন, আপনি তো টুর্নামেন্ট শুরুর আহে অস্ট্রেলিয়া প্রেডিক্ট করেছিলেন।

এবার ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনাল, এখনো কি সেটাই বলবেন? উত্তরে শেবাগ জানান, তিনি আগের অবস্থানিই আছেন,  ‘হ্যাঁ নিশ্চয়ই। আমি এখনো বলছি (অস্ট্রেলিয়া জিতবে)। ওরা যদি আগে ব্যাট করে আড়াইশ থেকে তিনশো করে ফেলে তাহলে সুযোগ ওদেরই থাকবে। আবার যদি আড়াইশ তাড়া করতে যায় তাহলে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের মতন এরা আউট হবে না।’

আরো পড়ুন
চ্যাম্পিয়নস লিগে মাদ্রিদ ডার্বির রোমাঞ্চ আজ

চ্যাম্পিয়নস লিগে মাদ্রিদ ডার্বির রোমাঞ্চ আজ

 

অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে রাখার পেছনে দলটির নকআউট পর্বের ইতিহাস টেনে আনছেন শেবাগ।

২০১১ সালের বিশ্বকাপে নক আউট পর্বে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিলো ভারত। এরপর বিশ্বকাপ মঞ্চে অজিদের আরো দুবার হারালেও সেসব ছিল রাউন্ড রবিন লিগ ধাপে। যে দুবার নকআউটে মুখোমুখি হয়েছিলো অস্ট্রেলিয়ার, দুবারই হেরেছিলো তারা। সবচেয়ে তাজা ক্ষত হয়ে আছে ২০২৩ বিশ্বকাপ ফাইনাল। ভারতকে ঘরের মাঠে স্তব্ধ করে শিরোপা জিতেছিল প্যাট কামিন্সের দল।

আরো পড়ুন
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি সেমিফাইনাল : আবার অস্ট্রেলিয়া, না ভারতের প্রতিশোধ?

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি সেমিফাইনাল : আবার অস্ট্রেলিয়া, না ভারতের প্রতিশোধ?

 

২০২৩ বিশ্বকাপ ফাইনালে যিনি গড়েছিলেন ব্যবধান সেই ট্রেভিস হেড আবারও বিপদজনক হতে পারেন বলে মনে করেন শেবাগ। সেই সঙ্গে শর্টের জায়গায় সুযোগ পেলে জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগুর্ক দেখাতে পারেন নিজের সামর্থ্য।

মন্তব্য

বিপিএল আর বিশ্ব আসরের বোলিং এক নয়

    নিউজিল্যান্ডার হলেও তিনি এখন থিতু হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। সেখান থেকে কয়েক দিন ধরে যোগাযোগ রক্ষা করলেও পারিবারিক ব্যস্ততায় সময় করে উঠতে পারছিলেন না বাংলাদেশ দলের ফাস্ট বোলিং কোচ আন্দ্রে অ্যাডামস। অবশেষে গতকাল কথা বলার সময় হলো তাঁর। জানালেন, বাংলাদেশের ব্যর্থ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি অভিযানে প্রশংসিত পেসারদের বোলিংয়েও অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি দেখেছেন তিনি। বোলারদের পারফরম্যান্সে দেখেছেন দেশে বিপিএল খেলে আসার কুফলও।
শেয়ার
বিপিএল আর বিশ্ব আসরের বোলিং এক নয়
বাংলাদেশ দলের ফাস্ট বোলিং কোচ আন্দ্রে অ্যাডামস।

১প্রশ্ন : পেছন ফিরে তাকালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশ দলের কোন বিষয়টিকে বিশেষ বলে মনে হয় আপনার?

আন্দ্রে অ্যাডামস : সত্যি যদি দারুণ কিছুর ইঙ্গিত আমরা দিয়ে থাকি, তাহলে সেটি অবশ্যই আমাদের বোলিং। নিউজিল্যান্ড ম্যাচে দারুণ বোলিং করে যেতে থাকা ছেলেরা (ফাস্ট বোলাররা) উইকেট তুলে নিতেও মরিয়া ছিল। তার মানে শিকারের নেশা এবং মানসিকতায় ওরা ঠিকঠাকই ছিল; যদিও দিনের শেষে আমাদের সফল দল বলে মনে হচ্ছে না একদমই।

প্রশ্ন : বোলিং ভালো হওয়ার পরও দল পুরোপুরি ব্যর্থ।

বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি অভিযানকে আপনি মূল্যায়ন করবেন কিভাবে?

অ্যাডামস : আমরা ব্যাটিংয়েই ভুগেছি বেশি। আর একই রকম ভোগান্তির মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও পড়েছিলাম। এটি মোটামুটি একটি ট্রেন্ডই হয়ে গেছে যে মাঝের ওভারগুলোতে আমরা একের পর এক উইকেট হারাতে থাকব। তবে ব্যাটিংয়ে আরো বেশি কার্যকর হওয়ার পথও আমাদেরই খুঁজে বের করতে হবে।

দেখুন, দুবাইতে (ভারত ম্যাচে) আমাদের ঘাটতি ছিল ৪০ রানের। রাওয়ালপিন্ডিতে (প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড) তা আরো বেশি। সেখানে ৫০ থেকে ৮০ রান আমরা কম করেছি। কাজেই আমাদের এই অভিযানকে গড়পড়তার বেশি কিছু বলার সুযোগ নেই।

প্রশ্ন : এটিও বলতে হয়, দুই ম্যাচেই ভালো শুরু দিয়েছেন ফাস্ট বোলাররা, কিন্তু পরের পর্যায়ে আর সেই ছন্দ তাঁরা ধরে রাখতে পারেননি। ধারাবাহিকতার এই অভাব কেন?

অ্যাডামস : এমন নয় যে ওরা হাল ছেড়ে দিয়েছিল। উইকেট নেওয়ার জন্য বাড়তি চেষ্টা করতে গিয়েও বাজে বল বেরিয়েছে ওদের হাত থেকে। সত্যি কথা বললে, গত কয়েক বছরে বোলিংয়েও কিন্তু খুব ধারাবাহিক দল আমরা ছিলাম না। তবে এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি ধারাবাহিক অবশ্যই।

কিভাবে ও কখন আক্রমণে যেতে হবে, সেটি বোঝার ব্যাপারও আছে এখানে। পেস বিভাগে সবাই আবার একই রকম অভিজ্ঞও নয়।

প্রশ্ন : একাদশে তাসকিন আহমেদ আর মুস্তাফিজুর রহমান থাকলে তো অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকার কথা নয়।

অ্যাডামস : খেলা নিয়ে বোঝাপড়ার কথা বলছিলাম। গেম রিড করে বোলিং করার ক্ষেত্রে তাসকিনকে ব্যতিক্রমীই বলতে হয়। তবে (নাহিদ) রানা এখনো অনভিজ্ঞ। আর ফিজ তো মূলত টি-টোয়েন্টিই খেলে বেশি। সে অভিজ্ঞ হলেও ওয়ানডেতে কিভাবে বোলিং করতে হয়, তা এখনো শিখছে। তা ছাড়া (চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে) আপনি কোথায় খেলে এসেছেন, সেটিও বিবেচনায় রাখতে হবে।

প্রশ্ন : চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে তো শুধু বিপিএলেই খেলেছেন ক্রিকেটাররা। এই আসরের জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতির অভাব নিয়ে কথা বলেছেন আরো অনেকেই।

অ্যাডামস : বাংলাদেশের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে বলা যেতেই পারে যে (বিপিএলে) আমাদের বোলারদের আধিপত্য ছিল। কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে ব্যাটারদের ওপর চড়ে বসা আর এ রকম একটি টুর্নামেন্টে বিশ্বমানের খেলোয়াড়দের বোলিং করা এক ব্যাপার নয় কিন্তু। তা ছাড়া আপনি খেলেও এসেছেন টি-টোয়েন্টি লিগ। খেলাটির চরিত্রের কারণেই এই সংস্করণে আপনার ধৈর্যেরও প্রয়োজন পড়েনি খুব। কিন্তু ভারত ও নিউজিল্যান্ডের মতো দলের সামনে ওয়ানডেতে কী করতে হবে, তা জানা-বোঝার ব্যাপার আছে। ওরা শিখছে এবং এগোচ্ছে। অগ্রগতির হার আমার জন্য সন্তোষজনকই।

প্রশ্ন : ব্যাটিংটা ভালো হলে কি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বোলাররা বাংলাদেশকে এগিয়ে দিতে পারতেন?

অ্যাডামস : হয়তো। পাকিস্তানে ফ্ল্যাট উইকেট থাকলেও দুবাইয়েরটি ছিল চ্যালেঞ্জিং এবং স্পিন সহায়ক। দুই জায়গায়ই আমরা বোলিং ভালো করেছি, তবে অসাধারণ কিছু নয়। তা ছাড়া আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সবচেয়ে অমূল্য মুদ্রা হলো রান। আপনি উইকেট নিতে পারেন, কিন্তু রান না করলে কোনোই লাভ নেই; সেটি যে সংস্করণেই হোক না। তবে ধারাবাহিকভাবে ওয়ানডেতে ৩০০ রান করার সামর্থ্যের কাছাকাছিই আমরা আছি বলে মনে হয় আমার। কিছু তরুণ ক্রিকেটার আমাদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। আবার কেউ কেউ নিজেদের ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়ে আছে। একদিন না একদিন ওদের বিদায় দিতেই হবে আমাদের। নিশ্চিত করতে হবে, ওদের বিদায়ের সময় যেন পরবর্তী ক্রিকেটাররা তৈরি থাকে।

প্রশ্ন : মুস্তাফিজ অনেক দিন ধরেই সেরা ছন্দে নেই, তবু খেলে যাচ্ছেন। তিনি কি অটো চয়েস হয়ে গেছেন?

অ্যাডামস : দলে একজন বাঁহাতি বোলারের প্রয়োজন সব সময় থাকেই; বিশেষ করে ডেথ ওভারে ওর স্লোয়ার বলগুলো ভীষণ কার্যকর হয়ে ওঠে। শরিফুলের মতো বাঁহাতি বোলার ফিজকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখেও ফেলতে সক্ষম। তবে আপনি নিজের সেরা দলটিই মাঠে নামাতে চাইবেন। তা ছাড়া কেউ যদি উন্নতির চেষ্টা করে যেতে থাকে এবং নিজের শতভাগ দেয়, তাহলে তাকে আপনি ফেলে দিতে পারবেন না।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ