দ্বীপের কাছে আটকে গেছে বিশ্বের বৃহত্তম হিমশৈল, এরপর কী?

বিবিসি
বিবিসি
শেয়ার
দ্বীপের কাছে আটকে গেছে বিশ্বের বৃহত্তম হিমশৈল, এরপর কী?
সংগৃহীত ছবি

বিশ্বের বৃহত্তম হিমশৈলটি (আইসবার্গ) যুক্তরাজ্যের প্রত্যন্ত দক্ষিণ জর্জিয়া নামক দ্বীপের অগভীর পানিতে আটকে গেছে। ওই দ্বীপে লক্ষ লক্ষ পেঙ্গুইন ও সিলের মতো জলজ প্রাণীর আবাস।

মৎস্যজীবীরা আশঙ্কা করছেন, দ্বীপের সঙ্গে এটির সংঘর্ষ ঘটবে এবং এর কারণে এ অঞ্চলে বিচরণকারী পেঙ্গুইন ও সিলের মতো প্রাণীগুলো ঝুঁকিতে পড়বে।

অ্যান্টার্কটিকার বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিপুল পরিমাণে পুষ্টি উপাদান বরফের মধ্যে আটকে রয়েছে।

এটি গলতে শুরু করলে মহাসাগরে জীবনের বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।

এটিকে শূন্য মরুভূমির মাঝে পুষ্টির বোমা ফেলার মতো বলে উল্লেখ করেছেন ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের প্রফেসর নাদিন জনস্টন।

দক্ষিণ জর্জিয়া সরকারের পরামর্শক পরিবেশবিদ মার্ক বেলচিয়ার বলেছেন, ‘এটি যদি ভেঙে যায়, তাহলে বরফখণ্ড স্থানীয় স্রোতের সঙ্গে চলাচল করে জাহাজের জন্য বিপদ সৃষ্টি করতে পারে। স্থানীয় মাছ ধরার এলাকায় প্রবেশের পথ সীমাবদ্ধও করতে পারে এটি।

বিশালাকারের হিমশৈলটি এ২৩এ নামে পরিচিত। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো হিমশৈলগুলোরও একটি। ১৯৮৬ সালে হিমশৈলটি অ্যান্টার্কটিকার ফিলচনার বরফ সোপান (আইসশেলফ) থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং সমুদ্রতলে আটকে পড়ে। 

পরে আবার একটি সামুদ্রিক ঘূর্ণিতে আটকা পড়ে এটি।

শেষ পর্যন্ত গত ডিসেম্বরে হিমশৈলটি সামুদ্রিক ঘূর্ণি থেকে মুক্ত হয়ে দ্রুতগতিতে বিলীন হওয়ার পথে এগিয়ে যায়।

উত্তরের উষ্ণ পানিতে ‘আইসবার্গ অ্যালি’ নামে পরিচিত অঞ্চলে এটি অক্ষত অবস্থায় ছিল। কয়েক দিন ধরে এটিকে ঘূর্ণায়মান মনে হয়েছিল। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে প্রতিদিন প্রায় ৩০ কিলোমিটার (২০ মাইল) গতিতে চলতে শুরু করে।

গত শনিবার ৩০০ মিটার উঁচু এই বরফ দৈত্যটি ভূখণ্ডের প্রায় ৮০ কিলোমিটার (৫০ মাইল) দূরে অগভীর মহাদেশীয় শেলফে আঘাত হানে এবং এখন দৃঢ়ভাবে আটকে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের প্রফেসর অ্যান্ড্রু মেইজার্স বলেন, ‘এটি সম্ভবত যেখানে আছে সেখানেই থাকবে, যতক্ষণ না খণ্ডগুলো ভেঙে পড়ে।’

এটি ক্ষয়ের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। একসময় এর আয়তন ছিল ৩,৯০০ বর্গ কিলোমিটার (১,৫০০ বর্গমাইল), কিন্তু উষ্ণ সমুদ্রের দিকে চলার সময় এটি ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়েছে। বর্তমানে এটি প্রায় ৩,২৩৪ বর্গকিলোমিটার বলে অনুমান করা হচ্ছে।

প্রফেসর মেইজার্স বলেন, ‘যদি এর নিচের বরফটি পচা হয় বা লবণ দ্বারা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, তাহলে এটি চাপের কারণে ভেঙে পড়বে। এরপর হয়তো আরো অগভীর কোথাও ভাসবে।’

কিন্তু যেখানে বরফটি শেলফ স্পর্শ করছে, সেখানে হাজার হাজার ছোট ছোট প্রাণী যেমন প্রবাল, সমুদ্রের শামুক এবং স্পঞ্জ রয়েছে।

স্বল্পমেয়াদে এই প্রজাতিগুলোর জন্য এটি বিপর্যয়কর। তবে প্রফেসর মেইজার্সের মতে, এটি এ অঞ্চলের জীবনের স্বাভাবিক চক্রের একটি অংশ। এটি একটি জায়গায় কিছু ধ্বংস করছে, কিন্তু অন্য জায়গায় পুষ্টি এবং খাবার সরবরাহ করছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, হিমশৈলগুলো মহাসাগরীয় জীবনে অবিশ্বাস্য অবদান রাখে। বরফ গলে তাজা পানি লবণপানিতে মিশে যায়।

অধ্যাপক গ্রিফিথস বলেন, ‘বরফ ছাড়া আমাদের এই বাস্তুতন্ত্রগুলো থাকত না। এগুলো বিশ্বের সবচেয়ে উৎপাদনশীল বাস্তুতন্ত্রগুলোর মধ্যে একটি এবং ব্লু হোয়েলের মতো বিশ্বের বৃহত্তম প্রাণীদের খাবার সরবরাহ করে।’

বরফের জীবনচক্র একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া, তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অ্যান্টার্কটিকা উষ্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরো বরফখণ্ড বিচ্ছিন্ন হয়ে দ্রুত গলতে পারে, যা অঞ্চলের বন্য প্রাণী এবং মাছ ধরার ধরনে বিঘ্ন ঘটাতে পারে।

অতীতে বড় হিমশৈল এসে ধাক্কা খাওয়ার কারণে সাউথ জর্জিয়ার বরফাচ্ছাদিত সাগরতীর ও খাঁড়িতে বিচরণকারী অগণিত পাখি ও সিল মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটে। খাবার সংগ্রহের পথ রুদ্ধ হয়ে এদের মারা যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

প্রথমবারের মতো ভারত সফরে দুবাইয়ের যুবরাজ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
প্রথমবারের মতো ভারত সফরে দুবাইয়ের যুবরাজ
সংগৃহীত ছবি

প্রথমবারের মতো ভারতে রাষ্ট্রীয় সফরে গিয়েছেন দুবাইয়ের যুবরাজ শেখ হামদান। আজ মঙ্গলবার তিনি ভারতের দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছেন। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই দিনের এই সফর শেষ হবে ৯ এপ্রিল।

প্রথমদিনই ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন যুবরাজ হামদান। 

এর আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দেখা করেন যুবরাজ। এ ছাড়া আজ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গেও দেখা করার কথা রয়েছে তার। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক কিভাবে জোরদার করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হবে দুই দেশের।

 

খালিজ টাইমস জানায়, দুবাইয়ের যুবরাজ শেখ হামদান বিন মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম ভারতে পৌঁছানোর পর দিল্লি বিমানবন্দরে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। তাকে স্বাগত জানান ভারতের প্রতিমন্ত্রী সুরেশ গোপী। তার সম্মানে বিমানবন্দরে একটি সাংস্কৃতিক পরিবেশনাও করা হয়।

মন্তব্য

জাতিসংঘের শরণার্থী পুনর্বাসন স্থগিত করেছে জার্মানি

ডয়চে ভেলে
ডয়চে ভেলে
শেয়ার
জাতিসংঘের শরণার্থী পুনর্বাসন স্থগিত করেছে জার্মানি
সংগৃহীত ছবি

জাতিসংঘের শরণার্থী পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় নতুন করে কোনো শরণার্থীকে আপাতত গ্রহণ করবে না ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশ জার্মানি।

জাতিসংঘের পুনর্বাসন কর্মসূচিটি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে জার্মান সরকার। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে জার্মান বার্তাসংস্থা ডিপিএ।

স্থগিতাদেশের কারণ জানতে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে ইউএনএইচসিআরের প্রতিক্রিয়াও জানার চেষ্টা করছে রয়টার্স।

চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি জার্মানিতে অনুষ্ঠিত হয় পার্লামেন্ট নির্বাচন। এর আগে অভিবাসন ছিল দেশটির রাজনীতির সবচেয়ে আলোচিত বিষয়।

তারও আগে জার্মানিতে ঘটে যাওয়া কয়েকটি সহিংস হামলার সঙ্গে অভিযুক্ত হিসেবে উঠে আসে শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থীদের নাম। এর জের ধরে ভোটের মাঠে ভালো ফল করেছে অভিবাসনবিরোধী অতি-ডানপন্থী দল অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি)। সাধারণ নির্বাচনে ভোটের হিসাবে তাদের অবস্থান ছিল দ্বিতীয়।

ভোট শেষ হলেও অভিবাসন এখনো সমানভাবে আলোচিত।

ভোটের হিসাবে তৃতীয় স্থানে থাকা সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের নিয়ে জোট সরকার গঠনের আলোচনা করছে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া রক্ষণশীল সিডিইউ/সিএসইউ। সেখানেও অভিবাসন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অনিয়মিত অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে প্রতিবেশী ৯টি দেশের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ শুরু করে জার্মানি। এ বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেই নিয়ন্ত্রণ জারি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানির বিদায়ী সরকার। সিডিইউ/সিএসইউ চায়, নিরাপদ দেশ থেকে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের জার্মানির সীমান্ত থেকেই ফিরিয়ে দিতে।

এ নিয়েও চলছে বিতর্ক।

সরকার গঠনের আলোচনা চূড়ান্ত না হলেও এই দুটি রাজনৈতিক দল কোনো কোনো বিষয়ে একমত হয়েছে। তেমন একটি নথি দেখেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সেই নথি অনুযায়ী, নতুন করে কোনো ধরনের শরণার্থী পুনর্বাসন কর্মসূচি চালু না করতে সম্মত হয়েছে জার্মানি সম্ভাব্য সরকারের দুই শরিক দল। এ রকম যেসব কর্মসূচিগুলো জার্মানিতে চালু আছে, সেগুলোও যতটা সম্ভব বন্ধ করে দিতেও ঐকমত্যে পৌঁছেছেন দল দুটির শীর্ষ নেতারা।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পুনর্বাসন কর্মসূচির অংশ হিসাবে চলতি বছর ছয় হাজার ৫৬০ জন শরণার্থীকে গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানি। এই কর্মসূচির আওতায় সাধারণত মিশর, জর্দান, কেনিয়া, লেবানন, পাকিস্তান, লিবিয়াসহ বিভিন্ন দেশের শরণার্থী বা রাষ্ট্রহীন মানুষদের আশ্রয় দেওয়া হয়। আশ্রয় আবেদনের হিসেবে জার্মানি এখন আর ইইউর শীর্ষ দেশ নয়।

আশ্রয় আবেদন কমেছে জার্মানিতে

ইউরোপীয় ইউনিয়নে চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে জমা হওয়া আশ্রয় আবেদনের হিসাবেও জার্মানি এখন আর শীর্ষ দেশ নয়। বেশ কয়েক বছর পর এবার জার্মানিকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেছে ফ্রান্স ও স্পেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি গোপন নথির বরাত দিয়ে সোমবার (৭ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে জার্মান দৈনিক ভেল্ট আম জনটাগ।

এতে বলা হয়েছে, বছরের প্রথম প্রান্তিকে অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে ফ্রান্স এবং স্পেনে আশ্রয় চেয়ে বেশি আবেদন জমা হয়েছে।

ইইউ'র পরিসংখ্যান কার্যালয় ইউরোস্ট্যাটের ফেব্রুয়ারির পরিসংখ্যানেও তেমন আভাস মিলেছে। দেখা গেছে, এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে জার্মানিতে ১২ হাজার ৭৭৫টি নতুন আশ্রয় আবেদন জমা হয়েছিল। সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ৬৫টি আবেদন জমা পড়েছে ফ্রান্সে এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ হাজার ৯৭৫টি জমা হয়েছে স্পেনে।

৭ এপ্রিল জার্মানির অভিবাসন ও শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (বিএএমএফ) জানিয়েছে, জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে জমা হওয়া প্রথমবারের মতো আশ্রয়ের আবেদনের সংখ্যা ২০২৪ সালের তুলনায় প্রায় ৪৫ শতাংশ কমেছে। আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে বরাবরের মতোই শীর্ষে রয়েছে সিরিয়া, আফগান ও তুরস্কের নাগরিকরা।

সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, এ বছরের প্রথম তিন মাসে জার্মানিতে অন্তত ৪১ হাজার আশ্রয়ের আবেদন জমা পড়েছে। তবে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশগুলোর কোনো তথ্য তারা প্রকাশ করেনি।

বিএএমএফ বলছে, মার্চে ৯ হাজারেরও কম আবেদন জমা পড়েছে। বেশ কয়েক বছর পর এই সংখ্যাটি প্রথমবারের মতো ১০ হাজারের নিচে নেমেছে।

এমনকি গত বছরেও আশ্রয় আবেদনের হিসাবে শীর্ষে ছিল জার্মানি। ২০২৪ সালে দুই লাখ ৫০ হাজার ৬১৫টি আশ্রয় আবেদন জমা পড়েছিল দেশটিতে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা স্পেনে জমা হয়েছিল এক লাখ ৬৬ হাজার ১৭৫টি আবেদন। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ইতালিতে জমা হয়েছিল এক লাখ ৫৮ হাজার ৬০৫টি আবেদন।

মন্তব্য
মার্কিন শুল্ক

৫ বিমানবোঝাই আইফোন ভারত থেকে নিয়ে গেল অ্যাপল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
৫ বিমানবোঝাই আইফোন ভারত থেকে নিয়ে গেল অ্যাপল
ফাইল ছবি : এএফপি

বিদেশি পণ্যে শুল্ক বসিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অতিরিক্ত এই শুল্ক এড়াতে তড়িঘড়ি করে ভারত ও চীন থেকে বিমানবোঝাই আইফোন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে অ্যাপল।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগেই মার্চের শেষ সপ্তাহে তিন দিনে ভারত থেকে পাঁচটি ফ্লাইটে আইফোন ও অন্যান্য প্রডাক্ট যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে অ্যাপল।

ভারতে কর্মরত অ্যাপলের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাতে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫ এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়া ট্রাম্পের ১০ শতাংশ ‘রিসিপ্রক্যাল ট্যারিফ’ এড়াতেই জরুরি ভিত্তিতে এসব পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, শুধু ভারত থেকেই নয়, চীনের কারখানাগুলো থেকেও যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি ভিত্তিতে পণ্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সূত্রের বরাতে ওই প্রতিবেদনে টাইমস অব ইন্ডিয়া বলেছে, শুল্ক এড়াতে ভারত, চীনসহ অন্যান্য দেশের কারখানাগুলো থেকে জরুরি ভিত্তিতে আইফোন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছে। আপাতত ঝক্কি সামাল দেওয়া যাবে। তাই এখনই আইফোনের মূল্য বাড়ার সম্ভাবনা নেই।

মন্তব্য

বাংলাদেশি পণ্যে শুল্ক আরোপ করা উচিত হয়নি : নোবেলজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বাংলাদেশি পণ্যে শুল্ক আরোপ করা উচিত হয়নি : নোবেলজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ
নোবেলজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ পল ক্রুগম্যান। ছবিসূত্র : এএফপি

বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পোশাকের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্ক আরোপের বিরোধিতা করেছেন নোবেলজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ পল ক্রুগম্যান। নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি মন্তব্য করেন, ‘বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানির ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ ঠিক হয়নি। এটি এমন একটি জিনিস, যা আমেরিকার ভোক্তাদের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি করবে এবং এমন সিদ্ধান্ত আমাদের নিরাপত্তা বাড়াতে কোনো ভূমিকা রাখবে না।’

সাক্ষাৎকারে ক্রুগম্যান বলেছেন, জাতীয় নিরাপত্তার কথা বলে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।

এটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি বন্ধু ও প্রতিবেশী দেশেও উৎপাদন করা প্রয়োজন, এতে সরবরাহব্যবস্থার ওপর ভরসা করা যায়। এই উভয় বিবেচনায় বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, কানাডা ও মেক্সিকোর মতো দেশের পণ্যে উচ্চ শুল্ক আরোপ করা ঠিক হয়নি।

বাণিজ্য ঘাটতি প্রসঙ্গে ক্রুগম্যান বলেন, সব দেশই কিছু পণ্য উৎপাদন করে, যে পণ্য অন্য দেশ তৈরি করে না, সেটা তারা আরেক দেশ থেকে আমদানি করে। কিন্তু প্রতিটি দেশের সঙ্গেই যে বাণিজ্য ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে, এর কোনো কথা নেই।

সব কিছুই হতে পারে। কোনো দেশের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি থাকার অর্থ এই নয়, যে দেশের হাতে উদ্বৃত্ত আছে, সেই দেশ অন্যায্য বাণিজ্যনীতি অনুসরণ করছে। কিন্তু পরিস্থিতি দেখে বোঝা যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন এসব বিশ্বাস করে।

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পারস্পরিক শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

ফলস্বরূপ, আমেরিকান পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপকারী যেকোনো দেশের মতো বাংলাদেশি পণ্যের দাম এখন থেকে আমেরিকান বাজারে আরো বেশি হবে। ট্রাম্পের ঘোষণা অনুসারে, বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক ৩৭শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাংলাদেশি পণ্যের ওপর আগে গড়ে ১৫শতাংশ শুল্ক ছিল, কিন্তু নতুন শুল্ক এখন দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে গেছে।


 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ