<p>মেক্সিকোর পশ্চিম সিনালোয়া রাজ্যে গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে সিনালোয়া কার্টেলের প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ৫৩ জন নিহত হয়েছে এবং ৫১ জন নিখোঁজ রয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ গতকাল শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে। </p> <p>কর্তৃপক্ষ আরো জানিয়েছে, ভয়ঙ্কর এ সহিংসতা থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সিনালোয়া কার্টেলের দুটি সবচেয়ে শক্তিশালী গ্যাংয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয় গত জুলাই মাস থেকে। এরপর ৯ সেপ্টেম্বর সেঘর্ষ বেড়ে গেলে রাজধানী কুলিয়াকানে দৈনন্দিন জীবনকে ব্যাহত হতে শুরু করে। এর ফলে কিছুদিন বন্ধ রাখা হয় স্কুল এবং রেস্তোঁরা। এ ছাড়া এলাকার দোকানগুলো তাড়াতাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হতো। </p> <p>সিনালোয়া গভর্নর রুবেন রোচা মোয়া শুক্রবার বলেছেন, এ ঘটনায় সাম্প্রতিক সময়ে ৪০ জনেরও বেশি লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া সিনালোয়াজুড়ে ৫ হাজারের বেশি খাবার প্যাকেজ বিতরণ করা হয়েছে। মেক্সিকোর সামরিক বাহিনী সহিংসতা থামাতে সংগ্রাম করে যাচ্ছে।</p> <p>সিনালোয়া কার্টেলের গ্যাংয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মেক্সিকোর মাদকসম্রাট ইসমায়েল এল মায়ো জাম্বাদাকে গত ২৫ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে নাটকীয়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পরেই এই সংঘর্ষ শুরু হয়। এল মায়ো জাম্বাদা দাবি করেছিলেন, তাকে মেক্সিকোতে অপহরণ করা হয়েছিল এবং তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে মার্কিন হেফাজতে দেওয়া হয়েছিল। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কুখ্যাত মাদকসম্রাট এল মায়ো যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/07/26/1721979989-707565add7318d6bfe65c70ebadee06f.gif" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কুখ্যাত মাদকসম্রাট এল মায়ো যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/07/26/1408906" target="_blank"> </a></div> </div> <p>জাম্বাদাকে (৭৬)  সাবেক সিনালোয়া রাজা জোয়াকিন গুজমান লোপেজের সঙ্গে আটক করা হয়েছিল। তিনি একসময়ের আলোচিত মাদকসম্রাট জোয়াকিন আর্চিভালদো গুজমান লোয়েরা তথা এল চ্যাপোর ছেলে। জোয়াকিন এল চ্যাপো গুজমানের সঙ্গে মিলে অপরাধী সংগঠন সিনালোয়া কার্টেল প্রতিষ্ঠা করেন। এল চ্যাপো এখন যুক্তরাষ্ট্রে কারাগারে রয়েছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করছেন।</p> <p>এদিকে লস নিনিস হলো সিনালোয়া কার্টেলের গ্যাংয়ের উপদলের প্রধান সশস্ত্র শাখা, যা লস চ্যাপিটোস নামে পরিচিত। ২০ থেকে ৩৫ বছর বয়সী অনুগত যুবকরা এর সদস্য। যারা শহুরে যুদ্ধ অভিযানে প্রশিক্ষিত এবং দলটির নেতাদের নিরাপত্তা বাহিনী হিসেবে কাজ করে। গত বৃহস্পতিবার লস চ্যাপিটোসের নেতা এবং কারাগারে বন্দি সাবেক সিনালোয়া রাজা জোয়াকিন এল চ্যাপো গুজমানের ছেলে ইভান আর্কিভালদো গুজম্যানের নিরাপত্তা প্রধানকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।</p> <p>মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডোর বৃহস্পতিবার বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অস্থিতিশীলতার জন্য আংশিকভাবে দায়ী কারণ তারা ‘এই অপারেশনটি’ শুরু করেছে। মার্কিন কর্মকর্তাদের এবং জোয়াকিন গুজমান লোপেজের (জাম্বাদাকে অপহরণকারী ও পাচারকারী) মধ্যে আত্মসমর্পণের পূর্বের আলোচনার উল্লেখ করে তারা এ কথা বলেন।  </p> <p>মার্কিন কর্মকর্তারা গোপনে নিশ্চিত করেছেন, তারা গুজমানের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তবে মেক্সিকোতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সালাজার গত ২৫ জুলাই জাম্বাদা অপহরণের সঙ্গে মার্কিন সংস্থান বা কর্মী জড়িত ছিল না।</p> <p>সূত্র : রয়টার্স<br />  </p>