মুক্তি পাচ্ছেন আরো তিন ইসরায়েলি জিম্মি ও ১৮৩ ফিলিস্তিনি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মুক্তি পাচ্ছেন আরো তিন ইসরায়েলি জিম্মি ও ১৮৩ ফিলিস্তিনি
সংগৃহীত ছবি

ইসরায়েলের সঙ্গে হওয়া যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী এবার আরও তিন জিম্মিকে মুক্তি দিচ্ছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। শনিবার তাদের মুক্তি দেওয়া হবে। এর বিনিময়ে ইসরায়েলে বন্দি ১৮৩ ফিলিস্তিনি মুক্তি পাবেন। 

বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও আল জাজিরার খবরে বলা হয়, হামাসের সামরিক শাখার মুখপাত্র আবু ওবেইদা তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে এক পোস্টে এই ঘোষণা দিয়েছেন।

তিনি জানান, মুক্তি পেতে যাওয়া তিন জিম্মি হচ্ছেন ইয়ার্ডেন বাইবাস, কিথ সিইগেল এবং ওফের কালডেরন।
 
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিন বন্দির পরিবারকে অবহিত করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার তিন ইসরাইলি ও পাঁচ থাই নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে হামাস। বিনিময়ে ১১০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরাইল।
এর আগে দুই দফায় সাত জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।

গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। এরপরই উদ্বাস্তু ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন।
 
যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম ছয় সপ্তাহের ধাপে হামাস ৩৩ জন নারী, শিশু, বৃদ্ধ, অসুস্থ ও আহত বন্দিকে মুক্তি দেবে, যেখানে প্রতি বেসামরিক জিম্মির জন্য ইসরাইল ৩০ জন বন্দি এবং প্রতি সেনার জন্য ৫০ জন বন্দি মুক্তি দেবে।

আরো পড়ুন
মুখ থুবড়ে পড়েছে শিল্প খাত

মুখ থুবড়ে পড়েছে শিল্প খাত

ফেব্রুয়ারির ৪ তারিখ যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ কার্যকর হওয়ার কথা। এই ধাপে অবশিষ্ট সমস্ত জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ইসরাইলি কারাগারে থাকা আরও ফিলিস্তিনিদের ছেড়ে দেয়া হবে। পাশাপাশি ইসরাইলি সেনা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করে টেকসই শান্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সার্বিয়ার পার্লামেন্টে স্মোক গ্রেনেড নিক্ষেপ, স্ট্রোক করলেন আইনপ্রণেতা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সার্বিয়ার পার্লামেন্টে স্মোক গ্রেনেড নিক্ষেপ, স্ট্রোক করলেন আইনপ্রণেতা
ছবিসূত্র: সার্বিয়া প্রজাতন্ত্রের জাতীয় পরিষদ/এএফপি

অধিবেশন চলাকালে সার্বিয়ার পার্লামেন্টের ভেতরে এক বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়। সেখানে স্মোক গ্রেনেড ও টিয়ার গ্যাস ছুড়ে হামলা চালানো হয়। গতকাল মঙ্গলবার দেশটির পার্লামেন্টের ভেতরে বিরোধী দলের সদস্যরা ধোঁয়াটে গ্রেনেড ছুঁড়ে মারলে কমপক্ষে তিনজন সার্বিয়ান এমপি আহত হন। সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এবং শিক্ষার্থীদের সমর্থনে এমন হামলা চালায় দেশটির বিরোধীদলীয় নেতারা।

 

লাইভ টেলিভিশনে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হতে এবং ছাত্র বিক্ষোভকারীদের সমর্থনে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করতে দেখা গেছে।

আরো পড়ুন
ট্রাম্পের বিতর্কিত গাজা পরিকল্পনার বিকল্প প্রস্তাব অনুমোদন আরব বিশ্বের

ট্রাম্পের বিতর্কিত গাজা পরিকল্পনার বিকল্প প্রস্তাব অনুমোদন আরব বিশ্বের

 

সরকারবিরোধী আন্দোলনে গত চার মাস ধরে উত্তপ্ত সার্বিয়া। প্রধানমন্ত্রী মিলোস ভুসেভিচের পদত্যাগের দাবিতে বেশ কয়েকবার আন্দোলনে নামে দেশটির শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। গত চার মাস আগে রেলস্টেশনের ছাদ ধসে ১৫ জনের মৃত্যুর পর শুরু হয় এই বিক্ষোভ, যা এখন আরো বৃহৎ আন্দোলনে রূপ নিয়েছে।

এই বিক্ষোভ সার্বিয়ান সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি।

এদিকে স্পিকার আনা ব্রনাবিচ বলেন, দুই আইনপ্রণেতা আহত হয়েছেন হামলায়। এর মধ্যে একজন, এসএনএস পার্টির জাসমিনা ওব্রাদোভিচ স্ট্রোক করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন। পার্লামেন্টের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং সার্বিয়াকে রক্ষা করবে বলে জানান তিনি।

 

পার্লামেন্টের মেঝেতে ঝুলন্ত একটি ব্যানারে লেখা ছিল, ‘সার্বিয়া শাসনব্যবস্থার পতনের জন্য জেগে উঠছে’। অধিবেশন চলাকালীন ক্ষমতাসীন জোটের রাজনীতিবিদরা আলোচনা করলেও, বিরোধী এমপিরা শিস বাজাচ্ছিলেন এবং শিঙা বাজাচ্ছিলেন। বিরোধী এমপিরা 'সাধারণ ধর্মঘট' এবং 'হত্যার জন্য ন্যায়বিচার' লেখা সাইনবোর্ডও উচিঁয়ে ধরেন।

আরো পড়ুন
বিস্ফোরকবোঝাই গাড়িসহ পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলা, ৭ শিশুসহ নিহত ১২

বিস্ফোরকবোঝাই গাড়িসহ পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলা, ৭ শিশুসহ নিহত ১২

 

সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সার্বিয়ান পার্লামেন্টে কর্মপরিকল্পনা উত্থাপন করে প্রগ্রেসিভ পার্টির (এসএনএস) নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট, তা অনুমোদনও হয়। এরপরেই এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে বিরোধী দলীয় জোট।

 কিছু বিরোধী রাজনীতিবিদ তাদের আসন ছেড়ে স্পিকারের দিকে দৌড়ে গিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন।

তুমুল হট্টগোল শুরু হয় পার্লামেন্ট ভবনে। একপর্যায়ে পার্লামেন্টের ভেতরে স্মোক গ্রেনেড ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে বিরোধী দলের সদস্যরা। যার ফলে পার্লামেন্টের ভেতরে কালো ও গোলাপি ধোঁয়া দেখা যায়। ধস্তাধস্তিতে আহত হয় দুই সংসদ সদস্য।এর আগেও ১৯৯০ সালে বহুদলীয় গণতন্ত্রের যাত্রা শুরুর পর থেকেই মারামারি এবং পানি ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে।

সূত্র: বিবিসি, সিএনএন 

মন্তব্য

ট্রাম্পের বিতর্কিত গাজা পরিকল্পনার বিকল্প প্রস্তাব অনুমোদন আরব বিশ্বের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ট্রাম্পের বিতর্কিত গাজা পরিকল্পনার বিকল্প প্রস্তাব অনুমোদন আরব বিশ্বের
ছবিসূত্র: এএফপি

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা পুনর্গঠনে বিকল্প প্রস্তাব গ্রহণ করেছে আরব দেশগুলো। মিসরের রাজধানী কায়রোতে এক জরুরি শীর্ষ সম্মেলনে আরব নেতারা গাজার জন্য ৫৩ বিলিয়ন ডলার মূল্যের একটি পুনর্গঠন পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘গাজা দখল’ এবং দুই মিলিয়নেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে সরিয়ে নেওয়ার মার্কিন পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে নিজেরাই বিকল্প প্রস্তাব হাজির করেছেন।

এই পরিকল্পনা অনুযায়ী গাজা পুনর্গঠনে পাঁচ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের প্রয়োজন হবে।

বিপুল এই অর্থ নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক দাতাদের সঙ্গেও শিগগিরই একটি সম্মেলনে বসতে যাচ্ছে আরব দেশগুলো। তবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ কখন শুরু হবে তা জানা যায়নি।  

আরব লিগের মহাসচিব আহমেদ আবুল ঘেইত ঘণ্টাব্যাপী এই সমাবেশের শেষে ঘোষণা করেছেন, ‘মিসরের পরিকল্পনা এখন একটি আরব পরিকল্পনা।’ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিশেষ উল্লেখ না করেই তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ‘আরবদের অবস্থান হলো- যেকোনো স্থানচ্যুতি প্রত্যাখ্যান করা, তা স্বেচ্ছায় হোক বা জোরপূর্বক’।

আরো পড়ুন
বিস্ফোরক বোঝাই গাড়িসহ পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলা, ৭ শিশুসহ নিহত ১২

বিস্ফোরকবোঝাই গাড়িসহ পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলা, ৭ শিশুসহ নিহত ১২

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত এবং হতবাক করে দেওয়া প্রস্তাব ‘মধ্যপ্রাচ্য রিভেরা’ তৈরির পাল্টা জবাব জানাতে মিসর ৯১ পৃষ্ঠার একটি বিস্তারিত খসড়া তৈরি করেছে। যার প্রতি পৃষ্ঠায় রয়েছে বিশাল পাবলিক ভবনের ছবি। 

মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ আল-সিসি তার উদ্বোধনী ভাষণে দ্বী-রাষ্ট্র সমাধানের আহ্বান জানান। ইসরায়েলের পাশাপাশি একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হিসেবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য পুনর্গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন।

মিসরের নেতৃত্বে এই পরিকল্পনা শুধু অবকাঠামো উন্নয়নের ওপর নয়, বরং ফিলিস্তিনিদের অধিকার এবং রাজনৈতিক সমাধানের ওপর জোর দিচ্ছে। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার মিত্ররা এটিকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

পরিকল্পনাটিতে প্রস্তাব করা হয়েছে, গাজা সাময়িকভাবে ‘গাজা ব্যবস্থাপনা কমিটি’ দ্বারা পরিচালিত হবে, যা ফিলিস্তিনি সরকারের অধীনে থাকবে এবং দক্ষ প্রযুক্তিবিদদের নিয়ে গঠিত হবে। এ ছাড়া, নিরাপত্তা নিশ্চিতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

তবে এখানে যদি হামাসের কোনো ভূমিকা থাকে, তাহলে কী ভূমিকা পালন করবে, সেই বিষয়টি সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।

 
কিছু আরব রাষ্ট্র হামাসকে সম্পূর্ণরূপে ভেঙে ফেলার আহ্বান জানাচ্ছে বলে জানা গেছে। অন্যরা বিশ্বাস করেন, এই সিদ্ধান্তগুলো ফিলিস্তিনিদের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত। তবে হামাস স্বীকার করেছে, গাজা পরিচালনায় তাদের কোনো ভূমিকা থাকবে না। কিন্তু তারা স্পষ্ট করে দিয়েছে, ‘নিরস্ত্রীকরণ একটি লাল রেখা’।

এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পরিকল্পনাকে ‘দূরদর্শী’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।  বারবার হামাসের জন্য, কিন্তু ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের জন্যও ভবিষ্যতের কোনো ভূমিকার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন।

নিরাপত্তার আরেকটি সংবেদনশীল বিষয় হলো, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী মোতায়েনের আহ্বান জানানো। পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহের জন্য আগামী মাসে একটি বড় আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ধনী উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলো বিশাল খরচের কিছু অংশ বহন করতে ইচ্ছুক বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু কেউই বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত নয়, যদি না তারা পুরোপুরি নিশ্চিত হয় যে আরেকটি যুদ্ধে ভবনগুলো ভেঙে পড়বে না। কারণ, নাজুক যুদ্ধবিরতি এবং সম্ভাব্য সংঘর্ষের আশঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা এখনো দ্বিধায় রয়েছেন।

আরো পড়ুন
রোজায় প্রকাশ্যে খাওয়া-দাওয়া, নাইজেরিয়ায় আটক ২৫ মুসলিম

রোজায় প্রকাশ্যে খাওয়া-দাওয়া, নাইজেরিয়ায় আটক ২৫ মুসলিম

 

গাজা পুনর্নির্মাণের এই নতুন আরব পরিকল্পনাটি তিনটি পর্যায়ে প্রকাশিত হবে। যার মধ্যে রয়েছে প্রায় ছয় মাসের প্রাথমিক সময়কাল এবং একে প্রাথমিক পুনরুদ্ধার পর্যায় বলা হবে। ওই পর্যায়ে বিপুল পরিমাণে ধ্বংসস্তূপ অপসারণ শুরু করা হবে, পরবর্তী দুটি ধাপ কয়েক বছর স্থায়ী হবে। এই সময়ের মধ্যে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের (যাদের সংখ্যা ১.৫ মিলিয়ন বলে জানা গেছে) অস্থায়ী স্থানে রাখা হবে।

পরিকল্পনায় চকচকে  ছবিতে তাদের সুন্দর এলাকায় নকশা করা আবাসন ইউনিট হিসেবে দেখানো হয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, ৯০ শতাংশ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। স্কুল ও হাসপাতাল থেকে শুরু করে পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা এবং বিদ্যুৎলাইন পর্যন্ত জীবনযাত্রার সব মৌলিক বিষয়ই ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজার ভবিষ্যৎ চিত্র কেমন হবে তা নিয়ে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, ভিডিওটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে তৈরি।

ওই ভিডিওতে দেখানো হয়েছে, গাজাকে ইউরোপের রিভেরার মতো এক বিলাসবহুল রিসোর্টে রূপান্তরিত করা হয়েছে। ভিডিওতে ট্রাম্পের একটি স্বর্ণের মূর্তি দেখা যায়। এ ছাড়া, মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ককে হুমুস (মধ্যপ্রাচ্যে পরিচিত এক বিশেষ ধরনের রুটি) খেতে দেখা যায়। ভিডিওতে আরো দেখানো হয়েছে, ট্রাম্প এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সমুদ্রসৈকতে বসে ককটেল পান করছেন। তাদের চারপাশে আকাশচুম্বী অট্টালিকা, বিলাসবহুল ইয়ট ও ঝলমলে শহরের দৃশ্য দেখানো হয়েছে।

ভিডিওটি বর্তমান গাজার চিত্র দিয়ে শুরু হয়েছে। যেখানে ধ্বংসস্তূপে পরিণত শহর ও ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে বিধ্বস্ত এলাকাগুলো দেখানো হয়েছে। সেখানে খালি পায়ে শিশুদের ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে হাঁটতে দেখা যায়। এরপর একটি শিরোনাম দেখ যায় ভিডিওটিতে ‘এরপর কী?’ 

এরপর, খালি পায়ে হাঁটতে থাকা শিশুরা একটি অন্ধকার গুহাসদৃশ টানেলের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায়, আর তাদের সামনে উদ্ভাসিত হয় গাজা উপকূলে আকাশচুম্বী অট্টালিকা, রাস্তায় বিলাসবহুল স্পোর্টস কার এবং সমুদ্রে সারি সারি ইয়ট। 

পটভূমিতে একটি গান বাজতে থাকে, যেখানে শুনতে পাওয়া যায়, ‘ডোনাল্ড আসছে তোমাদের মুক্ত করতে। ট্রাম্প গাজা ঝলমলে আলোর মতো উজ্জ্বল। সোনালি ভবিষ্যৎ, নতুন দিগন্ত। নাচো-গাও, কাজ শেষ।’

এ সময় ভিডিওতে লম্বা দাড়িওয়ালা ও বিকিনি পরা নারী নৃত্যশিল্পীদের পাশাপাশি ট্রাম্পের মাথার আকৃতির একটি স্বর্ণের বেলুন হাতে ধরে রাখা একটি শিশুর দৃশ্য দেখানো হয়। ভিডিওতে ইলন মাস্ককে সমুদ্রসৈকতে নাচতে দেখা যায়, যেখানে তার ওপর দিয়ে মার্কিন ডলারের ঝর্ণা প্রবাহিত হচ্ছে এবং তিনি খাবার উপভোগ করছেন। গাজার কেন্দ্রে ‘ট্রাম্প গাজা’ লেখা সংবলিত বিশাল এক ভবন দেখা যায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে ভিডিও পোস্ট করে তীব্র ক্ষোভ এবং ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। 

কায়রোতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মিসরের পরিকল্পনা সম্পর্কে ব্রিফিংয়ে অংশ নেওয়া একজন পশ্চিমা কূটনীতিক মন্তব্য করেছিলেন, ‘তাদের মনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কথা ছিল।’ কায়রোর প্রস্তাবে বিশ্বব্যাংকের টেকসই বিষয়ক পেশাদার থেকে শুরু করে হোটেলের দুবাই ডেভেলপার পর্যন্ত বিস্তৃত দক্ষতার বিবেচনা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। হিরোশিমা, বৈরুত এবং বার্লিনসহ ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে আসা অন্য বিধ্বস্ত শহরগুলো থেকেও শিক্ষা নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত নকশাগুলো ‘নতুন কায়রো’ তৈরির ক্ষেত্রে মিসরের নিজস্ব অভিজ্ঞতা দ্বারাও প্রভাবিত হয়েছে। 

এদিকে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তিনি তার ধারণাগুলো কারো ওপর জোর করে চাপিয়ে দেবেন না, তবুও তিনি  তার পরিকল্পনাই ‘কার্যকর’ বলে মনে করেন। এখন আরব রাষ্ট্র এবং তাদের মিত্রদের ওপর নির্ভর করছে বাকি বিষয়, প্রমাণ করতে হবে, তাদের পরিকল্পনাই একমাত্র পরিকল্পনা।

সূত্র : বিবিসি

মন্তব্য

বিস্ফোরকবোঝাই গাড়িসহ পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলা, ৭ শিশুসহ নিহত ১২

    দুইজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী বিস্ফোরক ভর্তি দুটি গাড়ি নিয়ে ওই নিরাপত্তা স্থাপনার দেয়ালে ধাক্কা দেয় রমজানের রোজা ভাঙার পরপরই এবং স্থানীয় বাজারে ক্রেতাদের ভিড়ের মধ্যে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বিস্ফোরণে ‘দুটি চার ফুট লম্বা গর্ত’ তৈরি হয়েছিল। এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, এলাকার কমপক্ষে আটটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিস্ফোরকবোঝাই গাড়িসহ পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলা, ৭ শিশুসহ নিহত ১২
ছবিসূত্র : এক্স/@রিপোর্ট ইয়া

উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের একটি নিরাপত্তা স্থাপনায় বিস্ফোরণে ৭ শিশুসহ কমপক্ষে ১২ জন বেসামরিক নিহত হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ায় একটি নিরাপত্তা স্থাপনায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও উদ্ধারকারী সংস্থা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, দুইজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী বিস্ফোরকভর্তি দুটি গাড়ি নিয়ে ওই নিরাপত্তা স্থাপনার দেয়ালে ধাক্কা দেয় এবং বিস্ফোরণ ঘটনায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাসিন্দারা রমজানের রোজা ভাঙার পরপরই এবং স্থানীয় বাজারে ক্রেতাদের ভিড়ের মধ্যে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বিস্ফোরণে কাছের একটি মসজিদের ছাদ ভেঙে পড়ে।

কর্মকর্তা বলেন, বিস্ফোরণের পর সশস্ত্র আরো যোদ্ধারা সামরিক স্থাপনায় প্রবেশের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনী তাদের চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়। এর মধ্যে গুলি বিনিময়ে ছয় যোদ্ধা নিহত হয়েছে বলেও কর্মকর্তা জানান।

আরো পড়ুন
হাজারবর্ষী উইন্ডসর ক্যাসেলে প্রথমবার উন্মুক্ত ইফতার

হাজারবর্ষী উইন্ডসর ক্যাসেলে প্রথমবার উন্মুক্ত ইফতার

 

বান্নু হাসপাতালের মুখপাত্র মুহাম্মদ নওমান বলেন, হামলায় ১২ জন নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়েছেন। তারা সবাই বেসামরিক নাগরিক। বিস্ফোরণে ভবন ধসের ফলে দেয়ালের নিচে চাপা পড়েছিলেন তারা। হাসপাতালের একটি তালিকা থেকে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে সাতজন শিশু রয়েছে।

স্থানীয় রেসকিউ ১১২২ পরিষেবা জানিয়েছে, তারা ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আরো হতাহতের সন্ধান করছে। ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ধ্বংসস্তূপের ভেতর বাসিন্দারা হতাহতদের খুঁজছেন।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘পাকিস্তানের শত্রুদের অশুভ উদ্দেশ্য কখনোই সফল হতে দেওয়া হবে না।’ এই হামলার পেছনে কারা ছিল তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।

তবে আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান তালেবানের সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেছে এবং বলেছে, পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর বহু সদস্য নিহত হয়েছে। কিন্তু সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, বিস্ফোরণে ‘দুটি চার ফুট লম্বা গর্ত’ তৈরি হয়েছিল। এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, এলাকার কমপক্ষে আটটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জৈশ আল-ফুরসান এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।

এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি বলেছে, বিস্ফোরণের উৎস ছিল বিস্ফোরকবোঝাই যানবাহন। খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গন্ডাপুর এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন এবং বলেছেন, তিনি বিস্ফোরণের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রতিবেদন চেয়েছেন। রবিবার রমজান শুরু হওয়ার পর থেকে পাকিস্তানে এটি তৃতীয় হামলা। 

আরো পড়ুন
হাসপাতাল থেকে ১৩০ আহত পুরুষকে অপহরণ করল ডিআর কঙ্গোর বিদ্রোহীরা

হাসপাতাল থেকে ১৩০ আহত পুরুষকে অপহরণ করল ডিআর কঙ্গোর বিদ্রোহীরা

 

পাকিস্তানের একটি ইসলামী ধর্মীয় স্কুলে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ছয়জন নিহত হওয়ার কয়েক দিন পর এই হামলার ঘটনা ঘটল। 
সাম্প্রতিক সময়ে আফগান সীমান্তের কাছের এলাকাগুলোতে পাকিস্তানি পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে পাকিস্তানি তালেবান (টিটিপি) ইসলামপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামলা বাড়িয়েছে। 

সূত্র : রয়টার্স, আলজাজিরা

মন্তব্য

জেলেনস্কি ‘অনুতপ্ত’, ট্রাম্পের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে কাজ করতে প্রস্তুত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
জেলেনস্কি ‘অনুতপ্ত’, ট্রাম্পের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে কাজ করতে প্রস্তুত
ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি, ছবি: সংগৃহীত

হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বাগ্‌বিতণ্ডার ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘বলিষ্ঠ নেতৃত্বের’ অধীন যত দ্রুত সম্ভব রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে কাজ করতে প্রস্তুত ইউক্রেন।

যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে সব ধরনের সামরিক সহায়তা স্থগিত করার পর মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।

এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে দেওয়া বিবৃতিতে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে শুক্রবার আমাদের বৈঠক যেভাবে এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিল, তা হয়নি।

এভাবে ঘটনাটি হওয়াটা অনুতাপের। এখন সঠিক কাজ করার সময়।’

জেলেনস্কি বলেছেন, ‘আমার টিম ও আমি প্রস্তুত রয়েছি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের অধীন শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করতে, যেটা স্থায়ী হবে।’

গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সামনে বৈঠকে বসেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভলোদিমির জেলেনস্কি।

বৈঠকের একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। ওই বৈঠক শেষে দুই প্রেসিডেন্টের যৌথ সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও তা বাতিল করা হয়। 

তা ছাড়া ইউক্রেনের বিরল খনিজ পদার্থ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি হওয়ার কথা থাকলেও তা আর হয়নি। এই বৈঠকের পর ওই ঘটনার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে ক্ষমা চাইতে বলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।

এরপর ইউক্রেনকে সব ধরনের সামরিক সহায়তা স্থগিতের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

ভলোদিমির জেলেনস্কি বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা স্থগিতের বিষয়ে কিছু উল্লেখ করেননি।

রাশিয়া–ইউক্রেন সংকট ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ পদক্ষেপ ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা স্থগিত করা। দৃশ্যত এর মধ্য দিয়ে তিন বছর ধরে চলা এই যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির পরিবর্তন স্পষ্ট হয়েছে এবং এতে মস্কোর পক্ষে ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থান প্রকাশ পেয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা ও যোগাযোগ রাখতে আগ্রহী কিয়েভ।

জেলেনস্কি বলেছেন, ‘স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ইউক্রেনকে সহায়তার জন্য আমেরিকা যেভাবে ভূমিকা রেখেছে, তা সত্যিকারে আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের কেউ একটি নিরন্তর যুদ্ধ চাই না। শান্তি প্রতিষ্ঠায় যত দ্রুত সম্ভব সমঝোতার টেবিলে বসতে ইউক্রেন প্রস্তুত রয়েছে।’ সূত্র: রয়টার্স

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ