ঢাকা, মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫
২২ বৈশাখ ১৪৩২, ০৭ জিলকদ ১৪৪৬

ঢাকা, মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫
২২ বৈশাখ ১৪৩২, ০৭ জিলকদ ১৪৪৬

কুরস্ক নিয়ন্ত্রণের দ্বারপ্রান্তে রাশিয়া

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কুরস্ক নিয়ন্ত্রণের দ্বারপ্রান্তে রাশিয়া

রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় কুরস্ক অঞ্চলের আরো দুটি গ্রাম পুনরুদ্ধারের দাবি করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে রাশিয়ার মন্ত্রণালয় বলেছে, সুদঝা শহরের পশ্চিম ও উত্তরের রুবানশ্চিনা ও জোওলেশেঙ্কা গ্রাম পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। খবর বিবিসির।

গত আগস্টে রাশিয়ার কুরস্কে আকস্মিক অভিযান চালিয়ে ১০০টি বসতি নিয়ন্ত্রণে নেয় ইউক্রেন।

এর পর থেকে অঞ্চলটি পুনরুদ্ধারে মরিয়া হয়ে ওঠে মস্কো। এরই ধারাবাহিকতায় কুরস্কে অভিযান জোরদার করেছে ক্রেমলিন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পুরো কুরস্ক অঞ্চল পুনরুদ্ধারের দ্বারপ্রান্তে আছে রাশিয়া। গত এক সপ্তাহে ৩০টির বেশি বসতি উদ্ধার করেছে রুশ বাহিনী।

এখন ইউক্রেন সীমান্তের কাছে আর মাত্র ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা উদ্ধার করা বাকি আছে।

এদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে ভয়ানক, রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষ পর্যন্ত থামার সম্ভাবনা আছে।

এ ছাড়া রাশিয়ার কুরস্কে প্রবেশ করা ইউক্রেনীয় সেনাদের রুশ সেনারা ঘিরে ফেলেছে বলে দাবি করেন ট্রাম্প।

তবে পুতিন যেন তাদের হত্যা না করেন সে জন্য তিনি ‘অনুরোধ’ জানিয়েছেন।

তবে মাইকেল কোফম্যান নামের এক সামরিক বিশ্লেষক ট্রাম্পের এ দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, কুরস্ক থেকে ইউক্রেনীয় সেনারা নিজ থেকেই সরে যাচ্ছেন। সেখানে তাঁরা অবরুদ্ধ পরিস্থিতিতে পড়েননি। যদিও সরে যাওয়ার সময় কিছু সেনা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ছেন। কিন্তু গণহারে রুশ সেনারা তাদের ঘিরে ধরেছে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

ইউক্রেনের এক সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘সাত মাস পর আমরা শুধু সরে যাচ্ছি। সেখানে কোনো অবরুদ্ধের ঘটনা ঘটেনি।’

এদিকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে মার্কিন প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ ও রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের আলোচনার এক দিন না যেতেই রাশিয়া ও ইউক্রেন পরস্পরের ওপর ড্রোন হামলা চালিয়েছে। রাশিয়া বলেছে, তারা ১২৬টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে। অন্যদিকে ইউক্রেন বলেছে, রাশিয়া ১৭৮টি ড্রোন ইউক্রেনে নিক্ষেপ করেছে, যার মধ্যে ১৩০টি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সীমান্তে নতুন দুটি সেক্টর তৈরি করতে চায় বিএসএফ

বিবিসি
বিবিসি
শেয়ার
বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সীমান্তে নতুন দুটি সেক্টর তৈরি করতে চায় বিএসএফ
সংগৃহীত ছবি

ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ তাদের পশ্চিম আর পূর্ব কমাণ্ডে দুটি নতুন সেক্টর গঠন করার প্রস্তাব দিয়েছে। এসব সেক্টরে দেড় ডজন ব্যাটেলিয়ন ও প্রায় ১৭ হাজার নতুন রক্ষী নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। তবে এখনো সেই প্রস্তাবে দিল্লি থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন আসেনি।

একই সঙ্গে বাহিনীতে নতুন করে ১৬টি ব্যাটালিয়নও গড়া হবে, সেখানে প্রায় ১৭ হাজার প্রহরী নিয়োগ করা হবে বলে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই।

সীমান্তে প্রহরা আরো জোরদার করতেই এই প্রস্তাব বিএসএফের।

বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, সব বাহিনীর মতোই বিএসএফেরও শক্তি বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে। সেই হিসাবেই আগামী কয়েক বছর ধরে নতুন নিয়োগের কথা ভাবা হয়েছে। তবে নতুন ব্যাটালিয়ন গড়ার ব্যাপারে এখনও সরকার চূড়ান্ত ছাড়পত্র দেয়নি।

বর্তমানে বিএসএফের ১৯৩টি ব্যাটালিয়ন রয়েছে।

আরো পড়ুন
ভারতে রাজ্যগুলোকে নিরাপত্তা মহড়ার নির্দেশ

ভারতে রাজ্যগুলোকে নিরাপত্তা মহড়ার নির্দেশ

 

আরেক কর্মকর্তা বলেন, এই প্রস্তাবটি প্রায় চার-পাঁচ বছরের পুরনো। মাঝে মাঝেই এটা নিয়ে আলোচনা হয়। এটা আমাদের তরফ থেকে এখনও প্রস্তাব হিসাবেই আছে, সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া যায়নি।

তৃতীয় আরেকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেছেন, সংবাদমাধ্যমের একাংশে এ নিয়ে যে খবর ছাপা হয়েছে, সেটা আমাদের নজরে এসেছে। তবে বাহিনীর তরফে কোনো আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি। কারণ সরকার ওই প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে, এই তথ্যও বিএসএফের কাছে এখনও আসেনি।

মিজোরামে নতুন সেক্টর?

বিএসএফের বর্তমান কাঠামো অনুযায়ী পূর্ব কমান্ডের অধীনে ৬ টি ফ্রন্টিয়ার বা সীমান্ত অঞ্চল আছে। এর মধ্যে ‘এম অ্যান্ড সি’ নামের সীমান্ত অঞ্চল, অর্থাৎ মিজোরাম এবং আসামের কাছাড় এলাকার আন্তর্জাতিক সীমান্ত প্রহরা দেয়।

এই ফ্রন্টিয়ারের অধীনেই আবার মনিপুরে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিযুক্ত আছে বিএসএফ।

‘এম অ্যান্ড সি’ ফ্রন্টিয়ারের অধীনে এখন তিনটি সেক্টর রয়েছে – আসামের শিলচর, মিজোরামের আইজল এবং মনিপুরে অভ্যন্তরীন নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য পৃথক সেক্টর। এখানে মোট ১২টি ব্যাটালিয়ন কাজ করে।

পূর্ব কমাণ্ডে কর্মরত বিএসএফের একজন সিনিয়র অফিসার বলেন, এখানে নতুন একটা সেক্টর গড়ার প্রস্তাব অনেক দিন আগেই দেওয়া হয়েছিল। নতুন কোনো ফ্রন্টিয়ার বা ফিল্ড কমান্ড বেস নয়, একটা নতুন সেক্টর গড়ার প্রস্তাব রয়েছে। বিষয়টা এমন নয় যে পহেলগামের ঘটনার পর নতুন করে কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

উত্তর পূর্ব ভারতে কর্মরত আরেকজন বিএসএফ কর্মকর্তা বলছেন, মিজোরামে নতুন একটি সেক্টর করার প্রস্তাব যদিও এসেছিল কয়েক বছর আগে, তবে আদৌ এখানে নতুন সেক্টরের প্রয়োজনীয়তা আছে কী না, তা নিয়ে আমাদের অফিসারদের মধ্যেই একাধিক মত আছে। কিছুই চূড়ান্ত হয়নি এখনও পর্যন্ত।

‘এম অ্যান্ড সি’ ফ্রন্টিয়ার ছাড়া পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতে দক্ষিণ বঙ্গ, উত্তর বঙ্গ, গুয়াহাটি, মেঘালয় এবং ত্রিপুরাতে পাঁচটি ফ্রন্টিয়ার আছে। সীমান্ত প্রহরা ছাড়াও পূর্ব কমান্ডের অধীনেই রয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনীর তিনটি ব্যাটালিয়ন। পূর্ব কমাণ্ড ভারত-বাংলাদেশের ৪০৯৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত পাহারা দেয়।

জম্মুতেও নতুন সেক্টর?

বিএসএফের কাছে পশ্চিম কমান্ড বা ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত বরাবরই বাড়তি গুরুত্ব পেয়ে এসেছে। পশ্চিম সীমান্তের জন্য বিএসএফের ৫টি ফ্রন্টিয়ার রয়েছে– কাশ্মীর, জম্মু, পাঞ্জাব, রাজস্থান ও গুজরাত।

সম্প্রতি পহেলগামের হামলা ও তারপরে লাগাতার সীমান্তে গুলিবর্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে জম্মুতে নতুন একটি সেক্টর গড়ার কথা ভাবছে বিএসএফ, এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের একাংশ।

‘এটা ঠিকই সীমান্তের ওদিক থেকে লাগাতার গুলি বর্ষণ হচ্ছে গত কিছুদিন ধরে। আবার পহেলগামের হামলার পরে সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোরও দরকার আছে। কিন্তু যে প্রস্তাবটার কথা বলা হচ্ছে, সেটা কিন্তু সম্প্রতি নেওয়া হয়নি। বেশ কয়েক বছরের পুরনো প্রস্তাব জম্মুতে নতুন একটি সেক্টর গঠনের’, জানাচ্ছিলেন দিল্লিতে বাহিনীর সদর দপ্তরে কর্মরত এক শীর্ষ কর্মকর্তা।

পশ্চিম কমান্ডের অধীনে ২২৯০ কিলোমিটার লম্বা ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত এবং ৩৩৯ লম্বা নিয়ন্ত্রণ রেখা আছে। তবে নিয়ন্ত্রণ রেখায় সামনের সারিতে থেকে প্রহরার দায়িত্বে সেনাবাহিনীও থাকে।

পশ্চিম ও পূর্ব কমাণ্ড ছাড়া তৃতীয় একটি কমান্ড আছে বিএসএফের – যারা সীমান্ত প্রহরা নয়, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় কাজ করে। ‘অ্যান্টি নকশাল অপারেশনস কমান্ড’ মধ্য ভারতের রাজ্যগুলিতে মাওবাদী দমনের কাজ করে থাকে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
যুদ্ধাবস্থার প্রস্তুতি?

ভারতে রাজ্যগুলোকে নিরাপত্তা মহড়ার নির্দেশ

এনডিটিভি
এনডিটিভি
শেয়ার
ভারতে রাজ্যগুলোকে নিরাপত্তা মহড়ার নির্দেশ
ফাইল ছবি : এএফপি

নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে নতুন করে সৃষ্ট চরম উত্তেজনার মধ্যেই ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার আগামী বুধবার দেশজুড়ে ‘শত্রুর আক্রমণের সম্ভাব্য পরিস্থিতিতে’ বেসামরিক প্রতিরক্ষা কার্যকর রাখার লক্ষ্যে মহড়া আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছে। সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

গণমাধ্যমটি বলছে, এই নির্দেশের সময়টি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। শেষবার এমন মহড়া হয়েছিল ১৯৭১ সালে, যেই বছর ভারত ও পাকিস্তান দুই ফ্রন্টে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।

এবার গত ২২ এপ্রিল ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পর থেকেই সীমান্তে উত্তেজনা ক্রমেই বেড়ে চলছে। ভারত এ হামলার জন্য সম্পূর্ণভাবে পাকিস্তানকে দায়ী করেছে। তার পর থেকেই নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পোস্টগুলোতে ১১ রাত ধরে গোলাগুলি করেছে দুই দেশ।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাজ্যগুলোকে সম্ভাব্য শত্রু আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে যে পদক্ষেপগুলো গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে : বিমান হানার আগাম সতর্কতামূলক সাইরেন চালু করা; সাধারণ নাগরিক, শিক্ষার্থী ও অন্যদের সিভিল ডিফেন্সের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া, যাতে শত্রু হামলার সময় তারা নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে; দ্রুত ব্ল্যাকআউট কার্যকর করার ব্যবস্থা রাখা; গুরুত্বপূর্ণ শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা স্থাপনাগুলোকে আগাম ছদ্মবেশ দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা; উদ্ধার পরিকল্পনা হালনাগাদ করা ও তার মহড়া চালানো।

আরো পড়ুন
পাকিস্তানকে জবাব দিতে চাপের মুখে মোদি?

পাকিস্তানকে জবাব দিতে চাপের মুখে মোদি?

 

এদিকে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের ফিরোজপুরে গতকাল রাত ৯টা থেকে ৯টা ৩০ পর্যন্ত ব্ল্যাকআউট (বাতি নিভিয়ে রাখা) কার্যকর করা হয়েছিল সেনানিবাস এলাকায়। সেখানে একটি চিঠিতে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের কর্মকর্তা পাঞ্জাব স্টেট পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেডকে নির্ধারিত সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।

চিঠিতে বলা হয়, ‘চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ব্ল্যাকআউট প্রক্রিয়া কার্যকর করার প্রস্তুতি ও সক্ষমতা যাচাই করতেই এই মহড়া আয়োজন করা হচ্ছে। এই সময় যথাযথ নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির বৈঠক
পেহেলগাম হামলার পর প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ভারত। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর দেশটিতে এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতিরক্ষাসচিব রাজেশ কুমার সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যা ঘিরে জল্পনা ছড়িয়েছে যে ভারত কী ধরনের পাল্টা জবাব দিতে পারে। বৈঠকটি চলে প্রায় আধা ঘণ্টা।

আরো পড়ুন
কাশ্মীর হামলার জবাবে সেনা অভিযানে মোদির ‘সবুজ সংকেত’

কাশ্মীর হামলার জবাবে সেনা অভিযানে মোদির ‘সবুজ সংকেত’

 

এর আগেই তিনি বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল অমর প্রীত সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন।

সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে ইতিমধ্যে আলোচনা সেরেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘এই হামলায় যারা জড়িত এবং যারা পরিকল্পনায় সাহায্য করেছে, তারা এমন শাস্তি পাবে যা কল্পনাও করতে পারবে না।’

রাজনৈতিক মহলের বিভিন্ন নেতারাও প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে সুর মিলিয়েছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও গতকাল দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আপনারা যা প্রত্যাশা করছেন, তা অবশ্যই হবে’, যা ভারতের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার দিকেই ইঙ্গিত দেয়।

আরো পড়ুন
ভারত-পাকিস্তান ও পানি যুদ্ধের হুমকি নিয়ে যা জানা যাচ্ছে

ভারত-পাকিস্তান ও পানি যুদ্ধের হুমকি নিয়ে যা জানা যাচ্ছে

 

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক পদক্ষেপ
এদিকে এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। এর মধ্যে অন্যতম হলো ১৯৬০ সালের ইন্দাস পানিচুক্তি স্থগিত, যা ১৯৬৫, ১৯৭১ বা ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধের সময়ও স্থগিত হয়নি। পাকিস্তানের ভারতীয় দূতাবাসে কর্মরত কূটনীতিকদের সংখ্যাও কমিয়ে আনা হয়েছে।

পানি সরবরাহ বন্ধ করলে সেটিকে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তান। তারা বলেছে, যদি ভারত পানিচুক্তি স্থগিত করে, তাহলে তারা নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) সংক্রান্ত ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি বাতিল করতে পারে। সিমলা চুক্তি বাতিল হলে, নিয়ন্ত্রণ রেখার বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন উঠে যাবে। ইতিমধ্যে ১১ দিন ধরে ২০০৩ সালের যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন হচ্ছে, যে চুক্তির লক্ষ্য ছিল সীমান্তে সংঘর্ষ থামিয়ে উত্তেজনা হ্রাস করা।

আরো পড়ুন
ভারতের পাঁচের বদলে পাকিস্তানের আট পদক্ষেপ

ভারতের পাঁচের বদলে পাকিস্তানের আট পদক্ষেপ

 
মন্তব্য

রাশিয়ার দাগেস্তানে বন্দুক হামলায় ৩ পুলিশ সদস্য নিহত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রাশিয়ার দাগেস্তানে বন্দুক হামলায় ৩ পুলিশ সদস্য নিহত
প্রতীকী ছবি : এএফপি

রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় দাগেস্তান প্রজাতন্ত্রে সোমবার অজ্ঞাপরিচয় বন্দুকধারীদের গুলিতে তিন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এদিন স্থানীয় সময় বিকেল ২টা ২০ মিনিটের দিকে ট্রাফিক পুলিশের একটি গাড়িতে বন্দুকধারীরা হামলা চালালে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া হামলাকারীদের একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাস জানিয়েছে।

এদিকে টেলিগ্রামে ছড়িয়ে পড়া অযাচাইকৃত ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের গাড়ির পাশে রাস্তায় তিন পুলিশ সদস্যর মরদেহ পড়ে রয়েছে।

কিছু পথচারী মরদেহগুলো দেখতে থেমে পড়লে, তখন রাস্তায় আরো গুলির শব্দ শোনা যায়।

আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, কালো পোশাক পরা এক বন্দুকধারী রাস্তায় গুলি চালিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে।

টেলিগ্রাম চ্যানেলগুলোতে ছড়িয়ে পড়া আরো কিছু ছবিতে রক্তে ভেজা অবস্থায় দুই ব্যক্তির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে, যাদের বন্দুকধারী বলে দাবি করা হয়েছে।

প্রধানত মুসলিম অধ্যুষিত দাগেস্তানে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একাধিক প্রাণঘাতী হামলা হয়েছে।

চলতি বছরের মার্চ মাসে সেখানে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে যুক্ত চার সন্দেহভাজনকে হত্যা করেছিল দেশটির সন্ত্রাসবিরোধী বাহিনী। তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি আঞ্চলিক শাখায় হামলার পরিকল্পনা করছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল।

সূত্র : রয়টার্স

মন্তব্য

লাল কেল্লার মালিকানা চেয়ে মোগল সম্রাটের ‘বংশধরের’ দাবি খারিজ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
লাল কেল্লার মালিকানা চেয়ে মোগল সম্রাটের ‘বংশধরের’ দাবি খারিজ
দিল্লির লাল কেল্লা। ফাইল ছবি : এএফপি

দীর্ঘ সময় দিল্লির মসনদে ছিলেন মোগল সম্রাটরা। কিন্তু এত দিন পর এসে নিজেদের মোগলদের বংশধর বলে দাবি করে সুলতানা বেগম নামের এক নারী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। তিনি দাবি করেন, তিনি শেষ মোগল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের প্রপৌত্রের বিধবা স্ত্রী। আর সেই সূত্রেই সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে দাবি করে বসেন, লাল কেল্লা তাদের।

তাই তাকে সম্পত্তির অধিকার দেওয়া হোক। যদিও তার মামলা সোমবার খারিজ করে দিয়েছেন ভারতের শীর্ষ আদালত।

সুলতানা বেগমের আবেদনকে একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি পি ভি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ।

প্রধান বিচারপতি জানান, প্রাথমিকভাবে দাখিল করা রিট পিটিশনটি ভিত্তিহীন।

এটি গ্রহণযোগ্য নয়। এর পরই সুলতানার আইনজীবী বলেন, আবেদনকারী দেশের প্রথম স্বাধীনতাসংগ্রামীর পরিবারের সদস্য। পাল্টা জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, শুধু লাল কেল্লাই কেন চাই? ফতেপুর সিকরি কেন নয়, সেটাই বা বাদ দেওয়া হলো কেন? এ কথা জানিয়ে মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সেটি খারিজ করে দেন আদালত।

সুলতানা বেগম পিটিশনে দাবি করেন, ১৮৫৭ সালে প্রথম স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ব্রিটিশরা তার পরিবারকে তাদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছিল এবং সম্রাটকে দেশ থেকে নির্বাসিত করা হয়েছিল।

এ ছাড়া লাল কেল্লার দখল জোর করে মোগলদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।

তিনি আরো দাবি করেন, লাল কেল্লার মালিক তিনি। কারণ তিনি এটি তার পূর্বপুরুষ বাহাদুর শাহ জাফরের থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন। বাহাদুর শাহ জাফর (দ্বিতীয়) ১৮৬২ সালের ১১ নভেম্বর ৮২ বছর বয়সে মারা যান।

পিটিশনে আরো বলা হয়েছে, আবেদনকারীকে লাল কেল্লার অধিকার হস্তান্তর করতে হবে বা পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

১৮৫৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সরকার যে লাল কেল্লা দখল করে আছে, তার জন্য ক্ষতিপূরণও দাবি করা হয় আবেদনে।

এর আগে লাল কেল্লার দাবি জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। প্রথমে সিঙ্গল বেঞ্চে মামলাটি খারিজ হয়ে গিয়েছিল। গত বছরের ডিসেম্বরে দিল্লি হাইকোর্টেও বিচারপতি বিভু বখরু ও তুষার রাও গেদেলার বেঞ্চেও মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। সেই সময় সিঙ্গল বেঞ্চে মামলাটি খারিজ হওয়ার পর ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হতে দেরি হওয়ার কারণে মামলাটি খারিজ করে দেওয়া হয়।

ডিভিশন বেঞ্চ জানান, আড়াই বছরের বেশি সময় পর এই আবেদন করা হয়েছে, যা মেনে নেওয়া যায় না। বেগম সুলতানা জানান, তিনি তার অসুস্থতার জন্য এবং তার মেয়ের মৃত্যু হওয়ায় আবেদন জানাতে পারেননি। এই আবেদন অপ্রাসঙ্গিক বলেও উল্লেখ করেন আদালত।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ