ঢাকা, শুক্রবার ২৫ এপ্রিল ২০২৫
১২ বৈশাখ ১৪৩২, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ এপ্রিল ২০২৫
১২ বৈশাখ ১৪৩২, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৬

এক দশক পর ভারত-নিউজিল্যান্ডের মুক্ত বাণিজ্য আলোচনা ফের শুরু

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
এক দশক পর ভারত-নিউজিল্যান্ডের মুক্ত বাণিজ্য আলোচনা ফের শুরু
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (বাঁয়ে) ১৭ মার্চ নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে বৈঠকের আগে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লুক্সনের সঙ্গে কথা বলছেন। ছবি : এএফপি

ভারত ও নিউজিল্যান্ড এক দশক পর ফের মুক্ত বাণিজ্য আলোচনা শুরু করেছে, যা আগে ভেঙে গিয়েছিল। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লুক্সন পাঁচ দিনের ভারত সফরের অংশ হিসেবে নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন। দুই দেশ আগামী মাসে আলোচনার প্রথম পর্ব শুরু করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।  

এ ঘোষণাকে ভারত-নিউজিল্যান্ড অর্থনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন লুক্সন।

বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ দুই বিলিয়ন ডলারের নিচে। লুক্সন বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের জন্য ভারতে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে এবং আগামী ১০ বছরে নিউজিল্যান্ডের রপ্তানি মূল্য দ্বিগুণ করতে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’

লুক্সন দিল্লিতে অনুষ্ঠিত এমন একটি ভূ-রাজনৈতিক সম্মেলনে মূল বক্তা হিসেবে যোগ দিচ্ছেন, যেখানে মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ডও উপস্থিত থাকবেন। ভারত পৌঁছনোর পর লুক্সন বলেন, ‘ভারত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি।

প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আমি আলোচনা করব, আমাদের অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় রাখতে আমরা একসঙ্গে কিভাবে আরো কাজ করতে পারি।’

মুক্ত বাণিজ্য আলোচনার পাশাপাশি নিউজিল্যান্ড জানিয়েছে, তারা প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, খেলাধুলা, পরিবেশসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করছে এবং নয়াদিল্লির সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে ‘মূল অগ্রাধিকার’ হিসেবে দেখছে।  

অন্যদিকে ১৬ মার্চ ফাইভ আইজের (নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগির জোট) প্রতিনিধিরা ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের নয়াদিল্লিতে আয়োজিত এক সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন, যেখানে গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

ভারতের স্বার্থের জন্য নিউজিল্যান্ডের অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কারণ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের প্রভাব প্রতিহত করতে চাইছে নয়াদিল্লি। লুক্সনের সফর এতটাই তাৎপর্যপূর্ণ যে তিনি নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ প্রতিনিধিদল নিয়ে এসেছেন, যা সফরের গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে।

২০১০ সালে দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরু হলেও বাজার প্রবেশাধিকারের মতো বিভিন্ন ইস্যুতে কয়েক দফা আলোচনা শেষে তা থমকে যায়। নিউজিল্যান্ড দীর্ঘদিন ধরে ভারতের দুগ্ধপণ্য বাজারে আরো প্রবেশাধিকার চাইছে, যা ভারত সাধারণত তার কৃষকদের সুরক্ষার জন্য সংরক্ষিত রাখে। বহু বছর ধরে মুক্ত বাণিজ্যের বিষয়ে সংশয়ী অবস্থানে থাকার পর সম্প্রতি ভারত বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তির আলোচনার ব্যাপারে আরো উন্মুক্ত হয়েছে।

 

নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য আলোচনা ফের শুরুর ঘোষণাটি এমন এক সময় এলো, যখন ভারত ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা ফের চালু করেছে। প্রায় ১৬ বছর আলোচনার পর গত বছর ভারত ইউরোপীয় ফ্রি ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের (ইউরোপের চারটি দেশ, যারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য নয়) সঙ্গে ১০০ বিলিয়ন ডলারের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এ ছাড়া দুই বছর আগে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

গত সপ্তাহে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়াল দেশটির এক রপ্তানি সংগঠনকে সতর্ক করে বলেন, ‘তাদের সুরক্ষামূলক মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে’, কারণ ভারত বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

নয়াদিল্লির জন্য এসব বাণিজ্য আলোচনা আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২ এপ্রিল থেকে ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ কার্যকর হতে যাচ্ছে।

সূত্র : বিবিসি

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বিবিসির বিশ্লেষণ

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক পদক্ষেপের আশঙ্কা বাড়ছে

বিবিসি
বিবিসি
শেয়ার
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক পদক্ষেপের আশঙ্কা বাড়ছে
২৪ এপ্রিল কাশ্মীরের শ্রীনগরের ডাল লেকের তীরে ভারতীয় আধাসামরিক বাহিনীর একজন সদস্য পাহারা দিচ্ছেন। ছবি : এএফপি

ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে মঙ্গলবারের রক্তপাতের ঘটনাকে ২০১৯ সালের পর থেকে সবচেয়ে মারাত্মক জঙ্গি হামলা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বন্দুকধারীদের ওই হামলায় কমপক্ষে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা সেনা বা সেনা কর্মকর্তা নন। ভারতের অন্যতম মনোরম উপত্যকায় ছুটি কাটাতে আসা বেসামরিক নাগরিক ছিলেন তারা।

আর শুধু এই বিষয়টাই গোটা ঘটনাকে আরো নৃশংস ও প্রতীকী করে তুলেছে।

মঙ্গলবারের হামলা শুধু মানুষের জীবনের ওপরই নয়, বিরোধপূর্ণ এই অঞ্চলে কঠোর পরিশ্রম করে ফেরানো স্বাভাবিক অবস্থার ওপরও একটা পরিকল্পিত আক্রমণ বলে মনে করা হচ্ছে। ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশই কাশ্মীরকে পুরোপুরি নিজেদের বলে দাবি করলেও তা তারা আংশিকভাবেই শাসন করে। কাশ্মীরের ভঙ্গুর ইতিহাসের পরিপ্রেক্ষিতে বলা যেতে পারে, সাম্প্রতিক আবহে ভারতের আসন্ন প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে ‘বল প্রয়োগের’ একটা সম্পর্ক থাকবে।

অন্তত বিশেষজ্ঞরা তাই মনে করেন।

পেহেলগামের ঘটনার জবাব দিতে নয়াদিল্লি দ্রুত বেশ কয়েকটা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে। এই তালিকায় প্রধান সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়া, একটা গুরুত্বপূর্ণ জল বণ্টন চুক্তি স্থগিত করা এবং কূটনীতিকদের বহিষ্কারের মতো সিদ্ধান্তও রয়েছে।

এদিকে আরো তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ‘কঠোর জবাব’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

অপরাধীদের বিরুদ্ধেই নয়, ভারতের মাটিতে ‘ঘৃণ্য কাজের’ নেপথ্যে থাকা ‘মাস্টারমাইন্ডদের’ বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মুহূর্তে প্রশ্ন এটা নয় যে সন্ত্রাসী হামলার জবাবে ভারতের পক্ষ থেকে সামরিক প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে কিনা। প্রশ্ন হলো সেটা কখন হবে, তার মাত্রা কী হবে এবং তার ফলে কী মূল্য দিতে হতে পারে।

সামরিক ইতিহাসবিদ শ্রীনাথ রাঘবন বিবিসিকে বলেছেন, ‘আমরা সম্ভবত একটা দৃঢ় প্রতিক্রিয়া দেখতে পাব, যা ঘরোয়া দর্শক ও পাকিস্তানে থাকা অভিনেতা—দুই পক্ষকেই একটা বার্তা দেবে। ২০১৬ সাল থেকে, বিশেষ করে ২০১৯ সালের পর থেকে এই জাতীয় ঘটনার ক্ষেত্রে প্রতিশোধমূলক যে ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে, তা হলো আন্তঃসীমান্ত হামলা বা বিমান হামলা।

‘কাজেই সরকারের পক্ষে এখন সেই মাত্রার নিচে কোনো কাজ করা কঠিন হয়ে পড়বে। অনুমান করা যায়, পাকিস্তানও আগের মতোই জবাব দেবে। এক্ষেত্রে বরাবরের মতোই যে ঝুঁকিটা থেকে যায় সেটা হলো, হিসাবে ভুল, যা উভয় পক্ষেরই হতে পারে।’

এই প্রসঙ্গে রাঘবন ২০১৬ ও ২০১৯ সালে ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুটি বড় প্রতিক্রিয়ার দিকে ইঙ্গিত করছেন। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উরি (জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুলা জেলায় অবস্থিত) হামলায় ১৯ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যুর পর কার্যত লাইন-অফ-কন্ট্রোল বা নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পাকিস্তানে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ করেছিল ভারত। সেই সময় ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তাদের লক্ষ্যবস্তু হলো পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরের সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি।

২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলায় আধাসামরিক বাহিনীর অন্তত ৪০ জনের মৃত্যুর পর ভারত পাকিস্তানের বালাকোটে অবস্থিত কথিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায়। ১৯৭১ সালের পর সেবারই প্রথম পাকিস্তানের অভ্যন্তরে এই জাতীয় হামলা চালায় ভারত। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে পাকিস্তানও বিমান হামলা চালিয়েছিল।

বিবাদ বাড়তে থাকে। এই সময় ভারতীয় একজন পাইলটকে কিছুদিনের জন্য আটক করা হয় পাকিস্তানে। তবে দুই পক্ষই নিজেদের শক্তি দেখালেও তারা পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ এড়িয়ে গেছে।

দুই বছর পর ২০২১ সালে তারা নিয়ন্ত্রণ রেখায় ‘সিজ ফায়ার’ বা পরস্পরের সীমান্তে গুলি বন্ধ করতে সম্মত হয়। ভারতশাসিত কাশ্মীরে বিভিন্ন সময় সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলা সত্ত্বেও কিন্তু এই শর্ত মূলত বহাল রয়েছে।

পররাষ্ট্রনীতি বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান মনে করেন, সর্বশেষ হামলায় ভারতীয় বেসামরিক নাগরিকদের নিশানা করার মতো ঘটনা এবং এতগুলো মানুষের মৃত্যু ‘পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক প্রতিক্রিয়ার জোরালো সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়। নয়াদিল্লি যদিও পাকিস্তানের জড়িত থাকার মাত্রা নির্ধারণ করতে পারে বা নিছকই ধরে নেয় যে তারা (পাকিস্তান) জড়িত—দুই ক্ষেত্রেই কিন্তু এই সম্ভাবনা থাকে।’

তিনি বিবিসিকে বলেছেন, ‘ভারতের জন্য এই জাতীয় প্রতিক্রিয়ার প্রধান সুবিধা হবে রাজনৈতিক দিক থেকে। কারণ জোরালো জবাব দেওয়ার জন্য তাদের ওপর ভারতীয় জনসাধারণের প্রবল চাপ থাকবে। আরেকটা সুবিধা হলো, যদি প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে সফলভাবে সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুকে নির্মূল করা সম্ভব হয়, তাহলে তা প্রতিরোধব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও ভারতবিরোধী হুমকিকে হ্রাস—দুই-ই করতে পারে।’

‘আর অসুবিধা হলো, এটা একটা গুরুতর সংকট সৃষ্টি করতে পারে, এমনকি সংঘাতের ঝুঁকিও।’

ভারতের কাছে বিকল্প কী?
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অ্যাট অ্যালবানির ক্রিস্টোফার ক্ল্যারি মনে করেন, কোনো গোপন অভিযান চালানো হলে, দায় অস্বীকার করার সুযোগ থেকে যায়। কিন্তু সেই পদক্ষেপ মানুষকে দেখানোর যে একটা রাজনৈতিক প্রয়োজন রয়েছে, সেটাকে মেটাতে পারে না। এই পরিস্থিতিতে ভারতের সামনে দুটো সম্ভাব্য পথ খোলা থাকবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

প্রথমত, ২০২১ সালে নিয়ন্ত্রণ রেখায় যে ‘সিজ ফায়ার’-এর জন্য দুই পক্ষ সম্মত হয়েছিল, তা ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সীমান্তে আবার গুলি চালানোর জন্য সবুজ সংকেত দিতে পারেন।

দ্বিতীয়ত, ২০১৯ সালের মতো বিমান হামলা বা এমনকি প্রচলিত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও সম্ভাব্য পথ হিসেবে ভারতের সামনে খোলা আছে।

তবে তিনি জানিয়েছেন, এই জাতীয় প্রতিটা প্রতিক্রিয়ামূলক পদক্ষেপ কিন্তু পাল্টা প্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি বহন করে, যেমনটা এর আগেও দেখা গেছে।

দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতির গবেষক ক্ল্যারি বিবিসিকে বলেছেন, ‘কোনো পথই ঝুঁকিমুক্ত নয়। যুক্তরাষ্ট্রও বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়েছে এবং সংকট ব্যবস্থাপনায় সাহায্য করতে তারা ইচ্ছুক বা সক্ষম নাও হতে পারে।’ 

ভারত-পাকিস্তান সংকটের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হলো, দুই পক্ষই পরমাণু শক্তিধর। এই সত্যিটা দুই দেশের পক্ষ থেকে নেওয়া প্রতিটা সিদ্ধান্তের ওপর দীর্ঘ প্রভাব ফেলে। সেটা শুধু সামরিক কৌশল তৈরির সময় নয়, বরং রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

রাঘবন বলেছেন, ‘পারমাণবিক হাতিয়ার একইসঙ্গে বিপজ্জনক ও নিয়ন্ত্রক (কাউকে বাধা দেওয়া বা নিয়ন্ত্রণে রাখার দিক থেকে)। এটা দুই পক্ষের নীতিনির্ধারকদের সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে বাধ্য করে। যেকোনো প্রতিক্রিয়া সুনির্দিষ্ট ও লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করে হতে হবে। পাকিস্তান পাল্টা জবাব দিতে পারে এবং তারপর সেখান থেকে সরে এসে আবার অন্য পথ অনুসরণ করতে পারে।’

এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি ইসরায়েল ও ইরানের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তার কথায়, ‘ইসরায়েল-ইরানসহ একাধিক ক্ষেত্রে আমরা এই একই ধারা লক্ষ্য করেছি। প্রথমে উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং পরে তা প্রশমনের চেষ্টা। কিন্তু একটা ঝুঁকি সবসময়ই থাকে, সব কিছু চিত্রনাট্য অনুযায়ী নাও এগোতে পারে।’

কুগেলম্যান বলছেন, পুলওয়ামার ঘটনা থেকে নেওয়া একটা ‘শিক্ষা’ হলো, ‘প্রতিটা দেশ সীমিত মাত্রায় পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে’।

তার কথায়, ‘ভারতের পক্ষ থেকে এই প্রতিক্রিয়ার রাজনৈতিক ও কৌশলগত সুবিধাগুলোকে চিন্তা করতে হবে গুরুতর সংকট বা সংঘাতের ঝুঁকির মাথায় রেখে।’

যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুসেন হক্কানি মনে করেন, ২০১৬ সালের মতো সীমিত পরিসরে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালানোর বিষয়ে যদি ভারত বিবেচনা করে তাহলে এবার উত্তেজনা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আনোয়ার গারগাশ ডিপ্লোম্যাটিক একাডেমি ও হাডসন ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ ফেলো হুসেন হক্কানি বিবিসিকে বলেন, ‘ভারতের দৃষ্টিকোণ থেকে এ ধরনের হামলা চালানোর ক্ষেত্রে সুবিধা হলো এগুলোর পরিধি সীমিত। তাই পাকিস্তানকে এর জবাব দিতে হয় না। কিন্তু ভারতের জনসাধারণ দেখানো যায় যে তারা (ভারত) জবাব দিতে একটা পদক্ষেপ নিয়েছে।’

‘তবে এই ধরনের হামলার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের পক্ষ থেকেও প্রতিক্রিয়া আসতে পারে। এক্ষেত্রে তারা যুক্তি দিতে পারে। কোনো তদন্ত বা প্রমাণ ছাড়াই তাদের (পাকিস্তানকে) দোষারোপ করা হচ্ছে।’

এখন বিষয়টা হলো ভারত যে পথই বাছুক এবং পাকিস্তান তার যে জবাবই দিক না কেন, প্রত্যেকটা পদক্ষেপই ঝুঁকিপূর্ণ হবে।

সাম্প্রতিক আবহে উত্তেজনা বৃদ্ধির হুমকি ঘনিয়ে আসছে এবং এর সঙ্গে সঙ্গে কাশ্মীরের ‘ভঙ্গুর শান্তি’ নাগালের আরো বাইরে চলে যাচ্ছে। একই সঙ্গে ভারতকে অবশ্যই নিরাপত্তার ব্যর্থতার বিষয়টাও বিবেচনা করতে হবে, যার কারণে এই হামলা হয়েছে।

রাঘবন বলেছেন, ‘পর্যটন মৌসুম যখন শীর্ষে তখন এই জাতীয় হামলা চালানো হয়েছে। এটা একটা গুরুতর ত্রুটির দিকে ইঙ্গিত করে। বিশেষ করে এমন একটা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার সরাসরি আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করে।’

মন্তব্য
কাশ্মীর হামলা

পাকিস্তানের ওপর ভারতের সিদ্ধান্তের প্রভাব কী?

ডয়চে ভেলে
ডয়চে ভেলে
শেয়ার
পাকিস্তানের ওপর ভারতের সিদ্ধান্তের প্রভাব কী?
ছবিসূত্র : এএনআই

ভারতে বড় কোনো সন্ত্রাসবাদী হামলা হলে সাধারণত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় দিল্লি। পেহেলগামের ঘটনার পরও পাঁচটি সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত রাখা, আটারি সীমান্ত বন্ধ করা, পাকিস্তানের নাগরিকদের জন্য সার্ক ভিসা বাতিল করা, হাইকমিশনের সদস্য কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার রাতেই পাকিস্তান হাইকমিশনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভারত কাদের পার্সোনা নন গ্রাটা মনে করছে এবং তাদের সাত দিনের মধ্যে চলে যেতে হবে।

কেন এই সিদ্ধান্ত?

ওপি জিন্দল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘এটা স্পষ্ট, ভারত পেহেলগামের ঘটনার পর পাকিস্তানকে একটা বার্তা দিতে চেয়েছে। সেই বার্তা হলো, ভারত এ ধরনের কাজ সহ্য করবে না। ওড়িশা ঘটনার পর থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য কার্যত বন্ধ। পুলওয়ামায় সিআরপিএফের কনভয়ে আক্রমণের পরও ভারত ব্যবস্থা নেয়।

কিন্তু সন্ত্রাসবাদের নানা ঘটনার পরেও ভারত আগে কখনো পানিতে হাত দেয়নি। এবার সিন্ধু  পানিচুক্তি স্থগিত রেখে সেটাও দিয়েছে। ফলে এই বার্তা যথেষ্ট কড়া।’

সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ ও অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার শান্তনু মুখোপাধ্যায় ডিডাব্লিউকে বলেছেন, ‘প্রতিবেশী দেশ এবার কৌশল বদল করে পর্যটকদের টার্গেট করেছে।

তারা ভাবছে, এভাবে তাদের কার্যসিদ্ধি হবে।’

কূটনীতি বিশেষজ্ঞ প্রণয় শর্মা ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ‘পেহেলগামের প্রতিক্রিয়ায় কূটনৈতিক সম্পর্ক ডাউনগ্রেড করা হয়েছে। ভিসা নিয়ে কড়াকড়ি করা হয়েছে। এসব করে একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। ভারত-পাকিস্তান বাণিজ্য খুব কম হয়।

ফলে তার ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না। প্রভাব পড়বে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত রাখা নিয়ে।’

প্রবীণ সাংবাদিক শরদ গুপ্তাও মনে করেন, ‘ভারত যে ঘোষণা করেছে, তার মধ্যে পাকিস্তানকে বার্তা দেওয়ার বিষয়টি প্রবলভাবে রয়েছে। এই জঙ্গি হামলার মধ্যে পাকিস্তানের তরফেও তো বার্তা হয়েছে, তারা ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করতে চায় না। তারা পর্যটকদের ওপর আক্রমণের পরিকল্পনা করতেও পিছপা হচ্ছে না। তার পাল্টা কড়া বার্তা দিয়েছে ভারত।’

সিন্ধু জলচুক্তির বিষয়

১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু জলচুক্তি হয়। তারপর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একাধিক যুদ্ধ হয়েছে। অনেকবার সীমান্তে সংঘাত হয়েছে। পাকিস্তানে প্রশিক্ষিত জঙ্গিরা ভারতের সংসদ আক্রমণ করেছে বলে ভারত অভিযোগ করেছে। কিন্তু তার প্রভাব এই জলচুক্তিতে পড়েনি। তবে পেহেলগামের পর সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করল ভারত। সিন্ধু মানে শুধু সিন্ধুর জল নয়, তার শাখা নদী ইরাবতী, শতদ্রু, বিপাশা, চন্দ্রভাগার এর অন্তর্ভুক্ত হবে।

ছয় বছর ধরে ইন্ডাস রিভার কমিশনার হিসেবে কাজ করেছেন প্রদীপ কুমার সাক্সেনা। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘ভারত যেহেতু উপরিভাগে আছে, তাই তার হাতে অনেকগুলি বিকল্প থাকবে।’

 তিনি বলেছেন,  ‘এই চুক্তি স্থগিত থাকলে কৃষ্ণগঙ্গা জলাধার ও জম্মু ও কাশ্মীরের অন্য জলাধারে রিজার্ভার ফ্লাশিং করা যাবে। চুক্তি মানলে তা এখন করা যেত না। রিজার্ভার ফ্লাশিং করে ভারত সেখান থেকে পলি তোলার কাজ করে আবার জলাধারে জল ভরতে পারে। তার জন্য বেশ কয়েক দিন সময় লাগবে। তখন পাকিস্তানে জল কম যাবে।’

শ্রীরাধাও বলছেন, ‘জলটা খুব বড় বার্তা। অন্যগুলো আগে হয়েছে। কিন্তু আমরা জলে হাত দিইনি। তাই এটা নিঃসন্দেহে বড় বার্তা।’ তবে কূটনীতি বিশেষজ্ঞ প্রণয় শর্মা মনে করেন, ‘জলের বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তানের অসুবিধা হবে। কিন্তু ভারতকে এটাও ভাবতে হবে, এটা একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকলো। এরপর চীনের সঙ্গে বিরোধ হলে, চীন যদি এই দৃষ্টান্তের উল্লেখ করে ভারতে জল বন্ধ করে, তখন কী হবে?’

সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে আলোচনা

বুধবার ভারতের বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে সাবেক কূটনীতিক ও সেনা অফিসাররা বলেছেন, অতীতের মতো ভারত আবার পাকিস্তানের  ওপর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করতে পারে। অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জোনারেল এইচ এস পানাগ অবশ্য দ্য প্রিন্ট পত্রিকায় লিখেছেন, ‘ভারত ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাঘাত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সে ক্ষেত্রে সংঘাত অনেকটাই বাড়বে এবং যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। মনে রাখতে হবে, পাকিস্তানের হাতে পরমাণু অস্ত্র আছে।’

মন্তব্য

ভয়াবহ দাবানলের কবলে ইসরায়েল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভয়াবহ দাবানলের কবলে ইসরায়েল
ছবিসূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল

ইসরায়েলে কয়েকটি এলাকায় ভয়াবহ দাবানল শুরু হয়েছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় বুধবার (২৩ এপ্রিল) আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি বিবেচনায় পুলিশ বেশ কয়েকটি কেন্দ্রীয় শহর খালি করে দিয়েছে।

টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যইসরায়েলর মোশাভ তারুমের কাছে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়।

তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং তীব্র বাতাসের কারণে তা ছড়িয়ে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বেইত শেমেশ শহরের বেশ কয়েকটি স্থানে আগুন লাগে। তীব্র বাতাসে আগুন বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়ে।

এ ছাড়া বেইত শেমেশ এলাকায় আগুন লাগার কারণে পুলিশ মধ্য ইসরায়েল থেকে জেরুজালেমে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ট্র্যাফিক রুট ৩৮ বন্ধ করে দিয়েছে এবং এশতাওল, বেইত মেইর ও মেসিলাত জিওন শহর থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়েছে।

ইসরায়েলের জাতীয় অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১১টি অগ্নিনির্বাপক বিমান এবং সারা দেশ থেকে ১০০ জনের বেশি কর্মী জেরুজালেম পাহাড়ের এশতাওল এলাকায় আগুন নেভানোর কাজে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন।

ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ অথরিটির একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, আগুন নেভাতে গিয়ে ৯ জন ব্যক্তি আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে সাতজন দমকলকর্মী এবং দুইজন বেসামরিক নাগরিক। তিনি বলেন, দাবানলের স্থান থেকে জেরুজালেম প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে। এরপরও জেরুজালেমের আকাশ ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন, বাতাসের মানের স্তর হ্রাস পেয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ফুটেজে দেখা গেছে, রেহোভোটের কাছে মহাসড়ক ধরে হেঁটে যাওয়া লোকজনের ভিড়, চারিপাশ ভারি ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন। প্রসঙ্গত, এটাই প্রথম নয়, দীর্ঘ ও শুষ্ক গ্রীষ্মকালের কারণেইসরায়েল এর আগেও অনেকবার দাবানল ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে।

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বেলুচিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে নিহত ৫

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বেলুচিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে নিহত ৫

পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের ডুকি জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে অন্তত পাঁচ সন্দেহভাজন ‘সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

প্রাদেশিক পুলিশের কাউন্টার-টেররিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি) ও অন্যান্য বাহিনী ভাবার পাহাড়ি এলাকায় অভিযানে অংশ নেয়। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে পাঁচজন সন্ত্রাসী নিহত হয়। খবর ডনের।

শনিবার সিটিডি দাবি করে, নিহতরা সবাই নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য। তারা নিরাপত্তা বাহিনী, কয়লা শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত। তাদের মরদেহ ডুকি সরকারি হাসপাতালে পাঠানোর পর কোয়েটার সিভিল হাসপাতালে পাঠানো হবে।

নিরাপত্তা বাহিনীর দাবি, সন্ত্রাসীরা ডুকি ও জিয়ারাতে হামলার পরিকল্পনা করছিল এবং পাহাড়ে আস্তানা গড়ে তুলেছিল।

অভিযানকালে অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নকভি ও মুখ্যমন্ত্রী মীর সরফরাজ বুগতি অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সাহসিকতার প্রশংসা করেন। তারা জানান, সন্ত্রাস নির্মূলে সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং বেলুচিস্তানে শান্তি ও উন্নয়নের যাত্রা অব্যাহত থাকবে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ