<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভারতের মহারাষ্ট্রের সাবেক মন্ত্রী ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) নেতা বাবা সিদ্দিকি (৬৬) গুলিতে নিহত হয়েছেন। গতকাল রবিবার মুম্বাইয়ের অপরাধীচক্র লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। সিদ্দিকি হত্যার কারণ খুঁজতে বলিউড অভিনেতা সালমান খানের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা, ব্যাবসায়িক শত্রুতা, বস্তি পুনর্বাসন প্রকল্পসহ সম্ভাব্য সব দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মহারাষ্ট্রের  অজিত পাওয়ারপন্থী  এনসিপির নেতা সিদ্দিকিকে গত শনিবার মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় নিজের ছেলের কার্যালয়ের সামনে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের এক সদস্যের পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। সেখানে বলিউড অভিনেতা সালমান খানের উদ্দেশে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এনসিপি নেতা সিদ্দিকি খুনের দায়ও স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। ওই পোস্টে দাবি করা হয়, সালমানের সঙ্গে সিদ্দিকির সুসর্ম্পকই এই হত্যার কারণ। সালমান খান বা দাউদের গ্যাংকে যাঁরা সাহায্য করেন, তাঁদের শাস্তি দেওয়া হবে বলে সাবধান করা হয় পোস্টে।  মহারাষ্ট্রের নেতা সিদ্দিকির সঙ্গে বলিউডের তারকাদের ঘনিষ্ঠতা ছিল। বিশেষ করে বলিউড তারকা সালমান খানের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক ছিল। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে মুম্বাইয়ে বস্তি পুনর্বাসন প্রকল্পে প্রায় দুই হাজার কোটি রুপির দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। এই মামলায় নাম জড়িয়েছিল সিদ্দিকিরও। ২০০০-২০০৪ সাল পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের আবাসন ও নগর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন সিদ্দিকি। সেই সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে একটি সংস্থাকে বস্তি পুনর্বাসন প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাবা সিদ্দিকি হত্যাকাণ্ডে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনায় তৃতীয় হামলাকারীকে খোঁজা হচ্ছে। তিনজনই মূলত ভাড়াটে খুনি বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত ফেব্রুয়ারিতেই কংগ্রেসের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ত্যাগ করে সিদ্দিকি অজিত পাওয়ারে এনসিপি শিবিরে যোগ দেন। তবে তার আগে প্রায় পাঁচ দশক কংগ্রেসের সঙ্গে ছিলেন। সত্তরের দশকে কংগ্রেসের ছাত্রসংগঠন থেকেই মূলধারার রাজনীতিতে এসেছিলেন সিদ্দিকি। ১৯৯৯ সালে প্রথম বিধানসভা ভোটে জয়ী হন বান্দ্রা এলাকার এই নেতা। এরপর ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনবার ভোটে জিতেছেন। তবে ২০১৪ ও ২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বান্দ্রা পশ্চিম কেন্দ্র থেকে হেরে যান সিদ্দিকি। এই বর্ষীয়ান নেতাকে খুনের ঘটনার নিন্দা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেও। গত শনিবার শিন্ডে ঘোষণা করেন, এই হত্যা মামলার বিচার ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে হবে। সূত্র : এনডিটিভি</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>