<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা, এডিস মশার ঘনত্ব, বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা, আর্দ্রতা ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে কীটতত্ত্ববিদরা যে পূর্বাভাস মডেল তৈরি করেন, তাতে বলা হয়েছে যে চলতি সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গুর </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পিক সিজন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> হতে পারে। অর্থাৎ এ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি হতে পারে চলতি মাসে। গত বছর দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছিল। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কম। তবে সংক্রমণের তুলনায় মৃত্যুর হার বেশি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ডেঙ্গুর জন্য দায়ী এডিস মশা। সাম্প্রতিক গবেষণায় এই মশার ঘনত্ব অনেক বেশি পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে চলছে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত, যা মশার প্রজননের জন্য অনেক বেশি উপযোগী। আর্দ্রতা এবং তাপমাত্রাও অনেক বেশি উপযোগী থাকায় এডিস মশার বংশবৃদ্ধি অনেক বেশি পরিমাণে হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে আরো একটি বড় কারণ যোগ হয়েছে এ বছর। গণ-অভ্যুত্থানে সরকার উত্খাতের পর সিটি করপোরেশনের মেয়র, ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরদের বেশির ভাগই গাঢাকা দিয়েছে। এই শূন্যতার কারণে মশা নিধন কর্মসূচিও ব্যাহত হয়েছে। সব কারণ মিলেই চলতি সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি হতে পারে বলে মনে করছেন কীটতত্ত্ববিদ ও সংক্রমণ বিশেষজ্ঞরা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আগে ডেঙ্গুকে বর্ষাকালের রোগ মনে করা হলেও এখন ডেঙ্গু কমবেশি সারা বছরই দেখা যায়। সাধারণত বর্ষাকালের পরপরই অর্থাৎ আগস্ট থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গুর পিক সিজন হয়ে থাকে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দেশে এক দশক ধরেই (২০১৪-২৩) সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গুর পিক সিজন পাওয়া গেছে পাঁচবার। অক্টোবরে তিনবার, আগস্ট ও নভেম্বরে একবার করে পিক সিজন হতে দেখা যায়। কিন্তু সর্বাধিক পিক সিজন হওয়া সেপ্টেম্বর মাসে মশা নিধন অভিযানের প্রায় অনুপস্থিতি স্বাভাবিকভাবেই শঙ্কার কারণ হচ্ছে। এর ফলে রোগটি ভয়াবহরূপে ছড়িয়ে যেতে পারে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৯ সালে কিছু নির্দেশনা ও কর্মকৌশল প্রণয়ন করেছিল। সেসব নির্দেশনা যথাযথভাবে মেনে চলা প্রয়োজন। কীটতত্ত্ববিদ ও সংক্রমণ বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে মশা নিধন অভিযানসহ অন্যান্য উদ্যোগ বাড়াতে হবে। নাগরিক অসচেতনতাও ডেঙ্গু বিস্তারের একটি বড় কারণ। যেখানে-সেখানে পলিথিনের ব্যাগ, ডাবের খোসা, বোতল, ক্যান, পরিত্যক্ত টায়ার বা বিভিন্ন ধরনের পাত্র ফেলে রাখা হয়। সেগুলোতে পানি জমে মশা বংশবিস্তার বৃদ্ধি করে। নির্মাণাধীন ভবনগুলোতে রীতিমতো মশার চাষ হয়। এগুলো বন্ধ করতে হবে। মশারি, ইনসেক্ট রিপেলেন্ট স্প্রে বা অন্যান্য পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে।</span></span></span></span></p>