<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনা মূল্যের বই পৌঁছে দেওয়া হয়। এটি একটি উদাহরণ। কালের কণ্ঠে গতকাল প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলের অবসান ঘটেছে। এরই মধ্যে রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রেই পরিবর্তন এসেছে। এরই ধারাবাহিকতায় পাঠ্যবইয়ে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাই আগামী শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়েও আসছে একগুচ্ছ পরিবর্তন। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এরই মধ্যে পাঠ্যবই পরিমার্জনের কাজ শেষ করেছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আগামী শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের পাঠ্যবইয়ে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে ফিরছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। বইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৬ মার্চ শহীদ প্রেসিডেন্ট (তৎকালীন মেজর) প্রথমবার নিজেই চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। পাঠ্যবইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জাতির পিতা</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> এসব উপাধি বাদ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শেখ মুজিবুর রহমানকে অতিরঞ্জিত হিসেবে যেভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, তা কমানো হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিহাসে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং জাতীয় চার নেতার অবদান তুলে ধরা হয়েছে। পাঠ্যবইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যেসব ছবি ও উদ্ধৃতি রয়েছে, সেগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে। এর পরিবর্তে রাজধানীসহ সারা দেশের দেয়ালে দেয়ালে আঁকা শিক্ষার্থীদের গ্রাফিতি যুক্ত করা হয়েছে। এসব গ্রাফিতিতে ২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের সময়টুকুকে ধারণ করার চেষ্টা করা হয়েছে। এনসিটিবির চেয়ারম্যান কালের কণ্ঠকে বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ বা ইতিহাসে যার যা ভূমিকা, তা আগামী শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হচ্ছে। ২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের গল্পও যোগ হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা দেয়ালে দেয়ালে যে গ্রাফিতি এঁকেছিল, তা বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে যুক্ত করা হয়েছে। এরই মধ্যে পরিমার্জন শেষ হয়েছে। বই ছাপাও শুরু হয়ে গেছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত ৫০ বছরে আমরা অগ্রগতির কোন পর্যায়ে উন্নীত হয়েছি, তা দৃশ্যমান। আমাদের স্বাধীনতা এসেছে সীমাহীন ত্যাগের বিনিময়ে। সে দীর্ঘ ফিরিস্তি আমাদের অজানা নয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বোধ হয় নির্ভুল বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া। অনেক সময় কারিকুলাম আধুনিকায়ন ও যুগোপযোগী করা হয়। পরিবর্তন আনা হয় কারিকুলামে। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর পুরনো শিক্ষাক্রমে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের তাই প্রত্যাশা অনেক। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে প্রাজ্ঞ শিক্ষাবিদকে পেয়েছি। আমরা আশা করব, সবার আন্তরিকতা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চেষ্টায় যথাসময়ে সঠিক ইতিহাসের নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে যাবে।   </span></span></span></span></p>