<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাড়ির পুরনো আয়না ভেঙে ফেললে পরবর্তী অন্তত সাত বছর পর্যন্ত দুর্ভাগ্যে পতিত হতে হবে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> আয়না নিয়ে এ রকমই বিশ্বাস প্রচলিত ছিল প্রাচীন রোমে। রোমানদের আরো একটি বিশ্বাস ছিল আয়নাকে ঘিরে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পুরনো কোনো আয়না ভেঙে যাওয়া মানে নিজের ভেতরে থাকা পবিত্র আত্মাকেই নষ্ট করে ফেলা। প্রাচীন গ্রিসে কারো মৃত্যু হলে লোকজন সব সময় মরা বাড়িতে থাকা আয়নাগুলো ঢেকে রাখত। তারা বিশ্বাস করত, মৃতদেহ থেকে পবিত্র আত্মাকে বন্দি করে রাখার ক্ষমতা আছে আয়নার। আর একবার যদি আয়নার মধ্যে মৃত ব্যক্তির আত্মা আটকা পড়ে, তাহলে কিছুতেই সেটি আর পরলোকে যেতে পারবে না। আয়নার প্রতি এই অন্ধ বিশ্বাস বর্তমানে নেই। তবে আয়না হয়ে উঠেছে আমাদের প্রতিদিনের সঙ্গী। সকালে ঘুম থেকে উঠে আয়না দেখা থেকে শুরু করে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে শত-শতবার চোখ পড়ে আয়নার ওপর।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পৃথিবীতে আয়নার ইতিহাস পুরনো। সবচেয়ে প্রাচীন আয়নাটি পাওয়া গেছে তুরস্কের আনাতোলিয়ার ধ্বংসাবশেষ থেকে। মিসর, মেসোপটেমিয়া, এমনকি চীনেও আদি আয়নার উৎপত্তির চিহ্ন পাওয়া যায়। তবে যেসব আয়নায় আমরা এখন নিজেদের অবয়ব দেখি, অতীতে  সেরকম ছিল না। এমনকি স্বচ্ছ কাচের আয়নার ধারণা এসেছে আরো অনেক পরে। কাচের বদলে তামা, ব্রোঞ্জ, সোনা ও রুপার চকচকে পৃষ্ঠদেশকেই আয়না হিসেবে ব্যবহারের চল ছিল প্রাচীন দুনিয়ায়। আয়না হিসেবে প্রচলিত এই ধাতুগুলো ভীষণ ভারী হওয়ায় আয়নার আকার হতো ছোট। অনেক ক্ষেত্রেই এই আয়নাগুলো মুখ দেখার চেয়ে আভিজাত্য প্রকাশেই বেশি ব্যবহৃত হতো। ওই সময় দামি আয়নাগুলো ছিল সাধারণের নাগালের বাইরে। স্বচ্ছ কাচের বাণিজ্যিক আয়না বাজারে আসার পর এই অবস্থার পরিবর্তন হয়। জার্মান রসায়নবিদ জাস্টিস ভন লাইবিগ ১৮৩৫ সালে স্বচ্ছ কাচের এক পাশে টিন ও পারদের প্রলেপ দিয়ে একপ্রকার আয়না প্রস্তুত করেন। বর্তমানে আমরা যে আয়না ব্যবহার করি এটা তারই আধুনিক রূপ। ভনের আয়না আবিষ্কারের পর ধীরে ধীরে এটি সাধারণ জনগণের নাগালের ভেতর আসতে শুরু করে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অবয়ব দেখার পাশাপাশি আয়না আজকাল ব্যবহৃত হচ্ছে ঘর সাজানোর কাজেও। ছোট, বড়, মাঝারি, গোল, আয়তাকার, এমনকি ত্রিভুজাকৃতি নানা ধরনের আয়নার দেখা মেলে দোকানে। অভিজাত ও অবস্থাসম্পন্ন পরিবার থেকে শুরু করে একেবারে নিম্নস্তরের পরিবারে, গাড়ির লুকিং গ্লাস কিংবা দোকানের ডেকোরেশনে আয়না এখন গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আল সানি</span></span></span></span></p>