প্রথমবারের মতো দেশের ৫টি বিভাগীয় শহরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে আগামীকাল শনিবার। এদিন বেলা ১১টায় বাণিজ্য অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে এ ভর্তিযুদ্ধ শুরু হবে। তিনটি ইউনিট মিলিয়ে প্রতিটি আসনের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৫৫ জন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী। আগামী ১৯ এপ্রিল ‘এ’ ইউনিটের (মানবিক) পরীক্ষা এবং ২৬ এপ্রিল ‘সি’ ইউনিটের (বিজ্ঞান) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ক এসব তথ্য জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রথমবারের মতো রাজশাহীসহ দেশের ৫টি বিভাগের শহরে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং রংপুর অঞ্চলে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ ও মিলেনিয়াম স্টারস স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এবার তিনটি ইউনিটে ৪ হাজার ৩২৩টি আসনের বিপরীতে মোট ২ লাখ ৩৭ হাজার ৪১৫জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন।
এ হিসেবে প্রতিটি আসনের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৫৫ জন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী।
এদিকে ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরীক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষার কেন্দ্রগুলোতে ইতোমধ্যেই লাগানো হয়েছে সিট প্ল্যান। পরীক্ষা চলাকালে অভিভাবকদের অপেক্ষার জন্য ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ১১টি টেন্ট স্থাপন করা হয়েছে।
ভর্তিচ্ছুক পরীক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য ছয়টি হেল্প ডেস্কের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের সমন্বয়ে তৈরি করেছে কঠোর নিরাপত্তা বেস্টনী।
এছাড়াও প্রক্সি জালিয়াতি ও প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জালিয়াত চক্রের অপতৎপরতা রোধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদা সজাগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব।
সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য বলেন, আগামীকাল থেকে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে।
ইতোমধ্যেই আমরা সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করেছি। আর জালিয়াতি ঠেকাতেও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তারপরেও যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে তাহলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবার ভর্তি পরীক্ষায় বিকেন্দ্রিকরণের ফলে অভিভাবকদের চাপ অনেকটা কমে আসবে। ফলে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা কোন ধরনের ভোগান্তিতে পড়বে না বলে আশা করছি।