প্রেমিকা নিয়ে দ্বন্দ্ব : বর্তমানকে সাবেক প্রেমিকের ছুরিকাঘাত

খুলনা অফিস
খুলনা অফিস
শেয়ার
প্রেমিকা নিয়ে দ্বন্দ্ব : বর্তমানকে সাবেক প্রেমিকের ছুরিকাঘাত

প্রেমিকা বৃষ্টির ইচ্ছা ছিল প্রেমিক রিপনের সঙ্গে রাত কাটাবেন নতুন বাসায়। বিয়ে করে নতুন করে সাজাবেন সংসার। মামার বাসা ছেড়ে প্রেমিকের বাসায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু রিপনের সঙ্গে রাত কাটাতে হলো এ্যাম্বুলেন্স আর হাসপাতালে।

তাদের ভাষায়, পথের কাটা হলো বৃষ্টির সাবেক প্রেমিক হৃদয়।

ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিপনকে আঘাত করে পালিয়ে যায় সাবেক প্রেমিক হৃদয়। আহত রিপনকে খুলনা থেকে নেওয়া হয়েছে ঢাকায়। হৃদয় রিপনকে ছুরিকাহত করে এখন পলাতক।

এক প্রেমিকাকে নিয়ে দুই প্রেমিকের এমন যুদ্ধ শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দিবাগত রাত আটটার দিকে।

আরো পড়ুন
শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

 

হাসপাতাল সূত্র জানায়, খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানার বয়রা খ্রীষ্টানপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। পরে রিপনকে নেওয়া হয় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। আহত রিপন খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার মিলকি দেয়াড়ার আসলাম শেখের ছেলে।

প্রেমিকা বৃষ্টি বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার বাসিন্দা। বর্তমানে বয়রা খ্রীষ্টানপাড়ায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে থেকে পলিটেকনিকে পড়াশুনা করেন।

পরিকল্পনা অনুযায়ী রিপন শুক্রবার রাতে যান বৃষ্টির কাছে। উদ্দেশ্য ছিল তাকে নিয়ে নতুন বাসায় উঠবেন। এ খবর জানতে পেরে বৃষ্টির সাবেক প্রেমিক এবং রিপনের গাড়ির হেলপার হৃদয় পূর্ব থেকে ওৎ পেতে ছিলেন সেখানে।

হৃদয় বাগেরহাট জেলার সদর থানাধীন কাটাখালি এলাকার বাসিন্দা শের আলীর ছেলে। 

বৃষ্টিকে নিয়ে যাওয়ার সময় রিপনের সঙ্গে হৃদয়ের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে হৃদয়ের কাছে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে রিপনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায়। হাসপাতালে বসে এসব তথ্য জানিয়েছেন বৃষ্টি নিজেই।

বৃষ্টির চিৎকার-চেচামেচির এক পর্যায়ে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে রিপনকে উদ্ধার করে খুমেক হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাতেই ঢাকায় রেফার করা হয়। পরে রিপনকে নিয়ে বৃষ্টি চলে যান ঢাকায়।

আরো পড়ুন
সাঙ্গু নদীতে ফুল দিয়ে বিজু উৎসব শুরু

সাঙ্গু নদীতে ফুল দিয়ে বিজু উৎসব শুরু

 

এ ব্যাপারে কেএমপির খালিশপুর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, 'রিপন মূলত গাড়িচালক আর হৃদয় তার গাড়ির হেলপার। বিষয়টি একেবারেই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটে। চিকিৎসা শেষে রিপন ফিরে মামলা করলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তাছাড়া হৃদয়ও এখন পলাতক।'

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সিলেটে ছুরিকাহত তরুণের লাশ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
শেয়ার
সিলেটে ছুরিকাহত তরুণের লাশ উদ্ধার
তুষার আহমদ চৌধুরী

সিলেট নগরের শাহী ঈদগাহ এলাকা থেকে তুষার আহমদ চৌধুরী (১৯) নামে এক তরুণের ছুরিকাহত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে শাহী ঈদগাহ এলাকায় মেলার মাঠের পাশের রাস্তা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত তুষার নগরের রায়নগর এলাকার বাসিন্দা। তার বিস্তারিত পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

তবে সে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী এবং বিধান গ্রুপের অনুসারি বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, নগরের শাহী ঈদগাহের দলদলি চা বাগান এলাকায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে তুষার নিহত হন। তুষারের গায়ে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। 

এদিকে তুষার হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আহমেদ জাবেদ নামে এক তরুণকে নগরের আম্বরখানা বড়বাজার এলাকার একটি বাসার খাটের নিচে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় আটক করেছে পুলিশ।

 

লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।’

মন্তব্য

হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
শেয়ার
হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু

সাভারে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানালে মারধরের পর স্বজনদেরকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন নবজাতকের পরিবার। 

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) আশুলিয়ার বাইশমাইল এলাকায় অবস্থিত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে নবজাতকের মা সোনিয়া আক্তার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত নবজাতক শিশুটির বাবা আল আমিন।

আল আমিন অভিযোগ করে বলেন, সোমবার রাতে তার স্ত্রীকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের বার বার আগের ক্লিনিকের রিপোর্টের কথা বলা হলেও তা পাত্তা না দিয়ে পুনরায় পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানান আগের রিপোর্ট ভালো ছিল না। তারা জানান নরমাল ডেলিভারি হবে।

মা ও সন্তান ভালো অবস্থানে রয়েছে। মঙ্গলবার সকালেও একই কথা বলেছেন। কিন্তু সকাল ১১টার পর তাৎক্ষণিকভাবে অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেন। 

তিনি আরো বলেন, আমরা বাহিরে অপেক্ষা করছিলাম।

তখন সাড়ে ১১টা বাজে আমাদের রক্ত আনতে বলে। আমরা ব্যবস্থা করি। দুপুর ২টার দিকে আমাকে ডেকে নিয়ে বলে আমার সন্তান ভালো অবস্থায় নাই। আমাদের কথা হচ্ছে তারা ডাক্তার, তারা ভালো জানার কথা রোগীকে কিভাবে চিকিৎসা দিতে হবে। আমরা আগে যেখানে ডাক্তার দেখিয়েছি তারাও বলেছে অপারেশন করে ডেলিভারি করতে।
কিন্তু হাসপাতাল‌ কর্তৃপক্ষ সেটা মানতে চাইনি। এখন এর দায় কে নেবে। 

মৃতের চাচা শাকিল খান অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতাল ও ডাক্তারের যথেষ্ট অবহেলা ছিল। তারা রোগী ভর্তির পর পর অপারেশন করতে পারতো। কিন্তু তা না করে সময় নষ্ট করে নবজাতককে মেরে ফেলেছে। আমরা রিপোর্ট দেখতে চাইলে উল্টো গায়ে হাত তুলে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়। 

অস্ত্রোপচারের সময় উপস্থিত থাকা ডাক্তার ফারজানা বেগমের দাবি তাদের চিকিৎসায় কোন ভুল ছিল না। তারা সঠিক সময়ে অস্ত্রোপচার করেছেন। কিন্ত নবজাতক পেটের ভিতর মল ত্যাগ খাওয়াতে এই সমস্যা হয়েছে। 

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক ডা. মো. সোহাগ রানা বলেন, এখানে অপারেশন করেছে আমাদের প্রফেসর ডাক্তার বেগম। তিনি আমাকে জানিয়েছেন রোগীর অবস্থার কথা। তবে সব কিছুই জানতো তার স্বামী। অপারেশনের সময়ও তাকে বিস্তারিত জানানো হয়। এ ছাড়া তাদের কাউকে কোনো আঘাত করা হয়নি।

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও জাতীয় স্মৃতিসৌধ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে আছি। বিষয়টি তদন্ত শেষে সঠিক কারণ জানা যাবে।

মন্তব্য

আগুন আতঙ্কে চলন্ত ট্রেন থেকে দম্পতির লাফ, কোলে থাকা শিশুর মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আগুন আতঙ্কে চলন্ত ট্রেন থেকে দম্পতির লাফ, কোলে থাকা শিশুর মৃত্যু
ট্রেন থেকে লাফ দেওয়ার পর আহত আব্দুর রাজ্জাক। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারগামী ট্রেন প্রবাল এক্সপ্রেসে চলন্ত অবস্থায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনে আগুন লাগার খবরে আতঙ্কিত হয়ে এক দম্পতি তাদের এক ছেলেশিশুসহ লাফ দেন। এ ঘটনায় মো. হামদান নামের ৮ মাস বয়সী ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন শিশুর মা-বাবা।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে লোহাগাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের রশিদারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী ‘প্রবাল এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি সাতকানিয়া স্টেশন ছাড়ার পর লোহাগাড়ার রশিদারপাড়া এলাকায় পৌঁছালে ইঞ্জিনের পেছনের একটি বগিতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই বগিটি ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে যাত্রীদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। 

এ সময় কক্সবাজার জেলার পিএমখালী ইউনিয়নের ছনখোলা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক (২৫) তার স্ত্রী লিজা আক্তার (২০) এবং তাদের ৮ মাস বয়সী শিশুপুত্র হামদানকে নিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়েন।

এতে শিশু হামদান ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় এবং আব্দুর রাজ্জাক ও লিজা আক্তার বুকে ও পিঠে মারাত্মক আঘাত পান।

তারা বাঁশখালীর গুণাগরী হাছিয়ারপাড়ায় শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন এবং সাতকানিয়া স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠে কক্সবাজার ফিরছিলেন। নিহত নবজাতকের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ট্রেনে আগুন লেগেছে শুনে আতঙ্কিত হয়ে তারা লাফ দেন।

লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শিমুল দত্ত জানান, হাসপাতালে আনার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।

আহত দম্পতিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে, লোহাগাড়ার সহকারী স্টেশন মাস্টার দিদার হোসেন জানিয়েছেন, ইঞ্জিনের পেছনের ‘ঢ-বগি’-তে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগে ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়েছিল, যা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

মন্তব্য

নোয়াখালীতে যুবককে আটকে চাঁদা দাবি, সমন্বয়কসহ গ্রেপ্তার ৫

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
নোয়াখালীতে যুবককে আটকে চাঁদা দাবি, সমন্বয়কসহ গ্রেপ্তার ৫
সংগৃহীত ছবি

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় যুবককে আটকে রেখে চাঁদা দাবির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সমন্বয়কসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকালে তাদের নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে সোমবার রাতে উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মহিউদ্দিনের ছেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলার সমন্বয়ক আবদুল্লাহ আল মামুন (২৫), একই ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মো. মনিরুল ইসলাম আকাশ (২১), একই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আবু তাহেরের ছেলে মো. পারভেজ হোসেন (৩০), ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আবুল খায়েরের ছেলে অহিদুল ইসলাম (২৪) ও বাটইয়া ইউনিয়নের মো. সালাউদ্দিনের ছেলে মো. ইউনুস হোসেন রাজু (২২)।

চাঁদা দাবির অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বাটইয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. সফি উল্যাহ।

মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সফি উল্যাহর ছেলে মো. তাফসীরুল ইসলাম রাফসানকে (১৯) সোমবার বেলা আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত আটকে রাখেন অভিযুক্তরা। তাকে মাদকসহ আটক করেছেন বলে দাবি করেন তারা। এরপর ছেলের মোবাইল নম্বর থেকে কল করে ডিবি ও সেনাবাহিনী পরিচয় দিয়ে তার বাবার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।

টাকা না দিলে ছেলেকে মারধরের হুমকি দেন তারা।

দাবিকৃত টাকা বাটইয়া ইউনিয়নের কৃঞ্চারটেক মসজিদের সামনে রাখার জন্য বলা হয়। ভুক্তভোগীর বাবা ৭০ হাজার টাকা নিয়ে যান। কিন্তু প্রশাসনের লোক তার সঙ্গে আছে ভেবে স্থান পরিবর্তন করতে থাকেন অভিযুক্তরা।

পরবর্তীতে রাফসানকে মাইজদী নিয়ে ডিবি পুলিশকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তারা। এতে তাদের কথাবার্তায় সন্দেহ হয় সফি উল্যাহর। তিনি জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে কল করে বিষয়টি জানান। সেইসঙ্গে সেনাবাহিনী ও পুলিশকেও জানান। পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোবাইলের কল রেকর্ড শুনে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রাতে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করে।
জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা চাঁদা দাবির কথা স্বীকার করেন। এ ঘটনায় সফি উল্যাহ বাদী হয়ে কবিরহাট থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলায় আরো চার-পাঁচজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলা কমিটির আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত পাঁচজনের মধ্যে আবদুল্লাহ আল মামুন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত। তিনি জেলার সমন্বয়ক ছিলেন। অন্যরা আমাদের সঙ্গে যুক্ত নন। উপজেলায় আমাদের কোনো কমিটি নেই। তবে মামুন ষড়যন্ত্রের শিকার কিনা, তা আমরা খতিয়ে দেখছি।’

কবিরহাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মঞ্জুর আহমদ বলেন, ‘এ ঘটনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ