শাক-সবজির মধ্যে পাট শাক একটি পরিচিত নাম। যদিও এর স্বাদে সামান্য তেতোভাব থাকায় অনেকেই এটি এড়িয়ে চলেন, তবে এই শাকে রয়েছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ। গরমের সময় এই শাক বেশি পাওয়া যায়। পাট শাক দেহকে ডিটক্স করতে সাহায্য করে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে যে শাক
জীবনযাপন ডেস্ক

হতাশা ও মানসিক চাপ কমায়
পাট শাকে থাকা ম্যাগনেসিয়াম মন ভালো রাখতে সাহায্য করে, মানসিক চাপ ও অনিদ্রা কমায়।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
এতে থাকা উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
হজমশক্তি বাড়ায়
ফাইবারসমৃদ্ধ এই শাক হজমে সহায়তা করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং রুচি বাড়ায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ভিটামিন সি-এর উপস্থিতি শরীরকে রোগ সংক্রমণের বিরুদ্ধে শক্তিশালী করে তোলে।
ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি ত্বকের ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়
এতে থাকা ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে।
সতর্কতা :
যদি কারো অ্যালার্জির সমস্যা থাকে, তাহলে পাট শাক খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সূত্র : নিউজ ১৮ বাংলা
সম্পর্কিত খবর

গরমে সুস্থ থাকতে পাকা পেঁপে
জীবনযাপন ডেস্ক

গরমকালে ডিহাইড্রেশন, হজমের সমস্যা, ত্বকের নানা রকম সমস্যা—সব মিলিয়ে শরীরকে ঠিক রাখতে বেশ ঝক্কি পোহাতে হয়। শুধু পানি পান করে বা হালকা খাবার খেলেই যে সুস্থ থাকা যায়, তা নয়। গ্রীষ্মকালীন ফলের মধ্যে এমন কিছু উপাদান থাকে যা শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ রাখে। এমনই এক উপকারী ফল হল পাকা পেঁপে।
পুষ্টিবিদদের মতে, গরমকালের জন্য আদর্শ ফল পাকা পেঁপে। এটি শরীর হাইড্রেট রাখে, হজমের সমস্যা দূর করে ও ত্বকের পরিচর্যাতেও সাহায্য করে। নিয়মিত খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং নানা রকম অসুখের ঝুঁকিও কমে যায়। চলুন দেখে নেওয়া যাক, সকালে নাশতায় পাকা পেঁপে রাখলে কী কী উপকার পাওয়া যায়।
শরীর হাইড্রেটেড থাকে
পাকা পেঁপেতে প্রায় ৮৮% পানি থাকে, যা শরীরকে গরমে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে। ঘামে যে পানি ও ইলেক্ট্রোলাইট বেরিয়ে যায়, তা পূরণে পেঁপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতেও সহায়তা করে।
হজমের সমস্যা দূর করে
গরমে হজম শক্তি কমে যায়, তাই হালকা ও সহজপাচ্য খাবারই উপযুক্ত।
ত্বকের যত্নে সহায়ক
পেঁপেতে আছে বিটা-ক্যারোটিন, ভিটামিন এ ও নানারকম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে। এটি ত্বকের বয়সের ছাপ কমায় ও স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ধরে রাখে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
লো-ক্যালোরি ও ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় পাকা পেঁপে খেলে অনেকক্ষণ পেট ভর্তি থাকে।
সূত্র : এই সময়

প্রতিদিন কয় চামচ চিনি খাওয়া নিরাপদ?
জীবনযাপন ডেস্ক

চা, কফি বা মিষ্টি খাবার—চিনি ছাড়া যেন ভাবাই যায় না। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি, অতিরিক্ত চিনি শরীরের নানা রকম সমস্যার কারণ হতে পারে। তাহলে প্রশ্ন উঠছে, দিনে কতটুকু চিনি খাওয়া নিরাপদ?
পুষ্টিবিদদের মতে, চিনির একটা নির্দিষ্ট মাত্রা আছে, যা পেরিয়ে গেলে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক চিনি গ্রহণের পরিমাণ ২৫ গ্রাম বা প্রায় ৬ চামচের মধ্যে রাখাই নিরাপদ।
বিশেষত যারা অতিরিক্ত ওজন, উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাদের জন্য চিনির পরিমাণ আরো বেশি নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। এমন ক্ষেত্রে দিনে ৩-৪ চামচের বেশি চিনি না খাওয়াই ভালো।
চিনির মূল কাজ হল শরীরে তৎক্ষণাৎ শক্তি জোগানো।
অনেকে মনে করেন চায়ে একটু কম চিনি দিলেই যথেষ্ট, কিন্তু বাস্তবে চিনি শুধু মিষ্টি খাবারেই সীমাবদ্ধ নয়। প্রসেসড খাবার, সফট ড্রিঙ্কস, সস, এমনকি পাউরুটির মধ্যেও ‘হিডেন সুগার’ থাকে, যা অজান্তেই শরীরে ঢুকে পড়ে।
পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, স্বাদ থেকে একেবারে চিনি বাদ না দিয়ে বরং তার পরিমাণ কমিয়ে খাওয়াই ভালো। প্রাকৃতিক বিকল্প যেমন খেজুর গুড়, মধু ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে সেগুলো সীমিত মাত্রায় খাওয়া উচিত।
সংক্ষেপে বললে, দৈনিক ২৫ গ্রাম বা ৬ চামচ চিনির মধ্যে থাকাই ভালো। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ভারসাম্য রাখতেই হবে, আর সেই তালিকায় চিনিও এর ব্যতিক্রম নয়।
সূত্র : আজতক বাংলা

গ্যাস্ট্রিকের ঘরোয়া সমাধান রান্নাতেই
জীবনযাপন ডেস্ক

সারাদিন বাড়ির বাইরে থাকলে, চাইলেও অনেক সময় ফাস্টফুড খেতে হয়, আর তার ফলেই দেখা যায় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। নানা রকম ওষুধ খাওয়া সত্ত্বেও এই সমস্যা বারবার ফিরে আসে। একমাত্র উপায়, বাইরের খাবার পুরোপুরি এড়িয়ে চলা। কিন্তু তা সবসময় সম্ভব হয় না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুণ কার্যকর হতে পারে রসুন, জোয়ান ও গোলমরিচ। তাই প্রতিদিনের রান্নায় এই উপাদানগুলো ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এতে খাবারের স্বাদ যেমন বাড়বে তেমনি শরীরও ভালো থাকবে।
রসুন ও গোলমরিচ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, আর জোয়ান হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। এই তিনটি উপাদান একসাথে রান্নায় যোগ করলে গ্যাস্ট্রিক হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।
সূত্র : টিভি নাইন বাংলা

রাশিফল
আজ ১৬ এপ্রিল, দিনটি কেমন যাবে আপনার?
অনলাইন ডেস্ক

জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে আর প্রতিটি দিন আমাদের একটু একটু করে শিখতে ও বিকশিত হতে সাহায্য করে। আজ ১৬ এপ্রিল, ২০২৫ দিনটি আপনার জন্য কেমন হতে পারে, কীভাবে সামলাবেন জীবন ও কাজের চ্যালেঞ্জগুলো, সেটি জানতে হলে পড়ুন আজকের রাশিফল।
মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): কাজে দায়িত্ব বাড়বে। ঘনিষ্ঠ কারো সহযোগিতা পাবেন।
বৃষ (২১ এপ্রিল-২০ মে): কাজে উন্নতির যোগ প্রবল। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অন্যকে প্রভাবিত করতে পারবেন।
মিথুন (২১ মে-২০ জুন): বিশেষ প্রচেষ্টায় সাফল্যের যোগ রয়েছে। কর্মপ্রার্থীদের কাজের সুযোগ আসতে পারে।
কর্কট (২১ জুন-২০ জুলাই): সামাজিক কাজে সম্মান বাড়বে। বিনোদনের জন্য ভালো দিন।
সিংহ (২১ জুলাই-২১ আগস্ট): কোনো শুভ প্রচেষ্টার জন্য দিনটি শুভ। বর্তমান পরিস্থিতি পরিবর্তনের সুযোগ আসবে। সমস্যা সমাধানে অন্যের সহযোগিতা পাবেন। পরিবারের মানুষের কাছে আপনার সততার পরিচয় দিতে পারবেন।
কন্যা (২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর): কোনো কাজে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারবেন। প্রত্যাশিত কাজে অগ্রগতি হবে। কল্যাণমূলক কাজে অগ্রগতি হবে। দিনটিকে ভালো করতে আপনি আপনার লুকানো গুণাবলি ব্যবহার করুন।
তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর): আপনার কাজে অন্যদের সমর্থন পাবেন। বিরূপ পরিস্থিতিকেও অনুকূলে নিয়ে আসতে পারবেন। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ঋণ গ্রহণের প্রচেষ্টায় অগ্রগতি হবে। আটকে থাকা ব্যাবসায়িক কর্মকাণ্ডে অর্থের জোগান পাওয়া সহজ হবে।
বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর): বিশেষ প্রচেষ্টায় সাফল্যের যোগ রয়েছে। নিজের কাজে অন্যকে খুশি করতে পারবেন। পুরনো সমস্যা সমাধানের পথ পাবেন। সাফল্য লাভের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুসারে অগ্রসর হতে হবে। বিতর্ক এড়িয়ে চলুন।
ধনু (২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর): কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের অগ্রগতি হবে। সামাজিক কাজে অন্যদের সমর্থন পাবেন। আপনার চারপাশে কী ঘটছে, তার প্রতি নজর রাখুন। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় থেকে বিরত থাকুন। সময়ের সদ্ব্যবহার করুন।
মকর (২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি) : কাজে উন্নতির যোগ আছে। ব্যবসায়ীদের অর্থভাগ্যের কিছুটা পরিবর্তন হবে। পাওনা আদায়ে অগ্রগতি হবে। তাড়াহুড়া করে কোনো বড় সিদ্ধান্ত নেবেন না। সব কাজ বিচক্ষণতার সঙ্গে করতে হবে।
কুম্ভ (২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): নতুন যোগাযোগে সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়ে এগোতে পারেন। ব্যবসায় ভালো সুযোগ আসতে পারে। সাহসী পদক্ষেপে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করুন। শুভ সময়ের সদ্ব্যবহার করুন। আনন্দে থাকুন।
মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): কর্মক্ষেত্রে কিছুটা চাপ থাকলেও কিছু ইতিবাচক সংবাদ পাবেন। কোনো প্রচেষ্টায় অযথা বিলম্ব হবে। গুরুদায়িত্ব গ্রহণে অনীহা আসতে পারে। কারো সহায়তায় সাময়িক সমস্যার সমাধান হতে পারে।
আহমেদ মাসুদ, বিশিষ্ট অকাল্ট সাধক, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্যোতিষী, ফেংশুই ও বাস্তু বিশেষজ্ঞ। যোগাযোগ: ০১৭১১০৫৭৩৭৭ই-মেইল: amasud9995@gmail.com www.astrologerahmedmasud.com