<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৃহৎ শিল্পের সঙ্গে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের একই হারে গ্যাসের দাম নির্ধারণ এবং দুই দফায় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধিতে শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা। অতীতে বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়ানোর সময় ক্ষুদ্র শিল্পের উৎপাদন খরচ যাতে কম বাড়ে সে দিকে নজর রাখা হতো। এবার তা হয়নি। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উদ্যোক্তারা জানান, গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এরই মধ্যে ক্ষুদ্র শিল্পের উৎপাদন খরচ ২৫-৩০ শতাংশ বেড়ে গেছে। কারণ একই সময় কাঁচামালের দামও বেড়েছে। এই খাতে ব্যবহৃত প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ১৭৮.২৯ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিদ্যুতের দাম ১০ শতাংশ বাড়ানো হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মূলত স্থানীয় বাজারে বিভিন্ন পণ্য সরবরাহ করে, পাশাপাশি রপ্তানিতেও কিছুটা ভূমিকা রাখে। পুঁজি কম এবং সঞ্চয় সীমিত হওয়ায় উদ্যোক্তাদের ঝুঁকি মোকাবেলার ক্ষমতাও কম। ফলে হুমকিতে পড়তে যাচ্ছে কর্মসংস্থানে বড় ভূমিকা রাখা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পগুলো।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা বলছেন, তাঁরা যেসব কারখানা থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করেন, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ার কারণে এখন আগের চেয়ে প্রতিটি কাঁচামাল বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। একই সঙ্গে তাঁদের কারখানায় উৎপাদন খরচও বেড়েছে। বিপরীতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। ফলে সেভাবে পণ্যের দামও বাড়াতে পারছেন না তাঁরা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এসএমই ফাউন্ডেশন ও জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি সূত্র জানায়, দেশে সিএসএমই খাতের উদ্যোক্তা ছিল এক কোটির ওপরে। করোনার কারণে প্রায় ৩০-৪০ শতাংশের মতো বন্ধ হয়ে গেছে। এখন এই খাতে যদি গ্যাস ও বিদ্যুতে দাম না কমানো হয় বা ভর্তুকি দেওয়া না হয়, তাহলে সামনে আরো শিল্প বন্ধ হয়ে যাবে। এতে কর্মসংস্থানে বড় ধরনের আঘাত আসবে। তাই এখনই এই খাতকে বাঁচাতে পরিকল্পনা নিয়ে নামতে হবে। সিএসএমই খাত জিডিপিতে অবদান রয়েছে ২৫ শতাংশের মতো।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বর্তমানে শতাধিক পণ্য নিয়ে কাজ করছেন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উদ্যোক্তারা। তার মধ্যে রপ্তানিমুখী বিভিন্ন পণ্য নিয়েও কাজ করছেন অনেক উদ্যোক্তা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এসএমই ফাউন্ডেশনের এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, বর্তমানে সারা দেশে তাঁদের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উদ্যোক্তা রয়েছেন প্রায় দুই লাখ। আরো চার-পাঁচ লাখ উদ্যোক্তাকে তাঁরা বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিয়েছেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পেপার কাপ : দোকান, রেস্টুরেন্ট বা ফুটপাতে চা, কফি পানে ব্যাপকভাবে বেড়েছে ওয়ানটাইম পেপার কাপের ব্যবহার। পেপার কাপ ২০১২ সালে সর্বপ্রথম কেপিসি নামের প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা বাংলাদেশে উৎপাদন শুরু করেন। এর আগে চাহিদার পুরোটাই আমদানিনির্ভর ছিল। বর্তমানে দেশের সব জায়গায় পেপার কাপ খুব প্রচলিত একটি পণ্য।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই খাতে ২০ থেকে ২৫টি কারখানা গড়ে উঠেছিল। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় বেশির ভাগই বন্ধ হয়ে গেছে। এখন চার-পাঁচজন উদ্যোক্তা উৎপাদনে আছেন বলে জানান বাংলাদেশ পেপার কাপ ম্যানুফ্যাকচারার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (পিসিএমএবি) সভাপতি এবং পেপার কাপ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কেপিসির চেয়ারম্যান কাজী সাজেদুর রহমান। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাজেদুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের উৎপাদন খরচ প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়ে গেছে। কিন্তু আমরা এক পয়সাও দাম বাড়াতে পারছি না। কারণ সব পণ্যের দাম চাইলেই বাড়ানো যায় না। ফলে ক্ষতির মুখে পড়ে এরই মধ্যে আমার কারখানা থেকে ৫০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করতে হয়েছে। খরচ সামাল দিতে না পেরে কারখানার উৎপাদনও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পিসিএমএবির সভাপতি আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশে মাসে ১৫-১৬ কোটি টাকার পেপার কাপ ব্যবহার হচ্ছে। দেশের বাজারে প্রতি মাসে পেপার কাপের চাহিদা ১০-১২ কোটি পিস। তার মধ্যে দেশীয় উদ্যোক্তারা সরবরাহ করছেন পাঁচ-ছয় কোটি পিস। বাকিটা আমদানি করে আনা হচ্ছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অর্থনীতিবিদ নাজনীন আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে উৎপাদন খরচ কমাতে হলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা উৎপাদন বাড়াতে হবে। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা কিভাবে উৎপাদন বাড়াতে পারেন, সে ব্যাপারে এসএমই ফাউন্ডেশন প্রশিক্ষণ দিতে পারে। কারণ দীর্ঘমেয়াদি প্রতিযোগিতা সক্ষম থাকতে হলে উৎপাদনশীলতা বাড়াতেই হবে। প্রণোদনা ও ভর্তুকিনির্ভর শিল্পায়ন কিন্তু শক্ত হয় না। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চামড়াজাত পণ্য : </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পিপলস ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদার গুডস</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">-এর স্বত্বাধিকারী রেজবিন বেগম। তিনি চামড়াজাত পণ্য জুতা, ব্যাগ, মানিব্যাগ ও বেল্ট উৎপাদন করে বাজারজাত করছেন। সফল এই উদ্যোক্তা ২০২০ সালে পেয়েছেন এসএমই ফাউন্ডেশনের বর্ষসেরা পুরস্কার। </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাণিজ্য মেলা-২০২৩</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">-এ অংশগ্রহণ করে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। সম্প্রতি গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় কারখানা সচল রাখা নিয়ে বড় ধরনের সংকটের মধ্যে আছেন বলে জানান এই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রেজবিন বেগম কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গ্যাস ও বিদ্যুতের দামের সঙ্গে সব কিছুই সম্পৃক্ত। প্রতিটি কাঁচামালের দাম ২০-২৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গেছে। যার ফলে আমাদের উৎপাদন খরচ বাড়ছে। সেই তুলনায় বাজারে আমাদের পণ্যের মূল্য পাওয়া কঠিন হয়ে গেছে। কারণ সাধারণ মানুষের বিষয়টি মাথায় নিয়েই আমাদের পণ্য উৎপাদন করতে হয়। প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়েনি। তাই আমরা চাইলেই পণ্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে পারছি না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেন, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এই খাতের জন্য গ্যাস ও বিদ্যুতে ভর্তুকি দিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা এবং এসএমই ফাউন্ডেশন ও বিসিকের মাধ্যমে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া, যাতে এসএমই উদ্যোক্তারা টিকে থাকতে পারে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রেজবিন বেগম বলেন, বিসিকের মাধ্যমে এসএমই ফাউন্ডেশন যে অর্থ দিয়ে থাকে সেটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা পাচ্ছেন, যদিও পরিমাণ খুবই কম। কিন্তু একজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা যেভাবে ব্যাংকিং সুবিধা পাওয়ার কথা সেভাবে পাচ্ছেন না।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এসএমই ফাউন্ডেশন ও বিসিক সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে চামড়াজাত পণ্য নিয়ে কাজ করছেন দেশের প্রায় ২৫ লাখ উদ্যোক্তা। তাঁদের মধ্যে ৫০ শতাংশ উদ্যোক্তা দেশের চাহিদা পূরণ করে রপ্তানিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম : দেশে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম উৎপাদন করছেন দুই শতাধিক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা। এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় অনেক উদ্যোক্তা ব্যবসা বন্ধ রেখেছেন। অনেকে আবার উৎপাদন অর্ধেক কমিয়ে কারখানা চালু রেখেছেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাল্ব, সুইচ, ক্যাবলসহ বিভিন্ন বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম উৎপাদন করছেন মুন্সীগঞ্জের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা নাজমুল ইসলাম। তাঁর প্রতিষ্ঠানের নাম এসকেআরপি। তিনি  বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পণ্যের দাম যেভাবে বাড়ানো দরকার মানুষের ক্রয়ক্ষমতা সেভাবে নেই। এ অবস্থায় পণ্যের দাম বাড়ানো হলে বিক্রি কমে যাবে। পণ্যের বিক্রি কমে গেলে অর্থসংকটে কারখানা চালানো সম্ভব হবে না। যার কারণে এখন আমাদের লোকসানে পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নাজমুল ইসলাম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা এলসি খুলতে পারছি না। কাঁচামালের অভাবে ভালোভাবে কারখানা চালাতে পারছি না। এর মধ্যেই গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। এখন আমাদের মতো ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ব্যবসা চালু রাখাই কঠিন হয়ে গেছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নকশি কাঁথা : এসএমই ফাউন্ডেশন ও বিসিক সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বাংলাদেশেই নকশি কাঁথা তৈরি হয়। তবে ময়মনসিংহ, রাজশাহী, ফরিদপুর ও যশোর নকশি কাঁথার জন্য বিখ্যাত।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যশোর নকশি কাঁথা অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মরিয়ম নার্গিস কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">করোনাসহ বিভিন্ন কারণে আমরা ক্ষতির মধ্যে ছিলাম। তার মধ্যে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ার প্রভাবে আরো বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছি। যেসব কারখানা থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করি, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ায় তারা কাঁচামালের দাম ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে আমাদের উৎপাদন খরচও অনেক বেড়েছে। কিন্তু আমরা পাইকারি বা খুচরায় বিক্রি করতে গেলে বেশি দাম পাচ্ছি না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প খাতের নেতারা যা বললেন : এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতির (নাসিব) সভাপতি মির্জা নূরুল গণী শোভন কালের কণ্ঠকে বলেন, দেশীয় উৎপাদন বাড়ানো এবং আমদানি নিরুৎসাহ করতে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় কাঁচামালভিত্তিক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের শিল্পগুলোকে যদি বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সুবিধা না দেওয়া হয়, তাহলে তাঁরা তো উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন। তাহলে কিভাবে সিএসএমই খাত দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখবে। সরকারকে গ্যাস ও বিদ্যুতে বিশেষ ভর্তুকি ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য হলেও দিতে হবে বলে দাবি করেন তিনি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশ নারী ও যুব উদ্যোক্তা ফোরামের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকীব বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, সেই ক্ষতিই এখনো বেশির ভাগ উদ্যোক্তা কাটিয়ে উঠতে পারেননি। এরই মধ্যে নতুন করে গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেলেও পণ্যের দাম বাড়াতে পারছেন না তাঁরা। </span></span></span></span></p> <p> </p>