<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চলমান কোটাকেন্দ্রিক আন্দোলনে সংবাদের তথ্য সংগ্রহের কাজ করতে গিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকা ও গাজীপুরে দুই সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া এদিন ঢাকা ও চট্টগ্রামে অন্তত ৩০ জন সাংবাদিকের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির তথ্য বলছে, কোটা আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে গতকাল পর্যন্ত ১০০ জনের বেশি সাংবাদিক রাজধানীসহ সারা দেশে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হামলা, মারধর ও শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নিহত দুই সাংবাদিক হলেন ঢাকায় মেহেদী হাসান ও গাজীপুরে মো. শাকিল হোসেন। মেহেদী হাসান ঢাকা টাইমস নামের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন। গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থেকে দুজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁদের একজন মেহেদী হাসান। তাঁর মরদেহ শনাক্ত করেছেন তাঁর স্ত্রী। এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সূত্র জানায়, হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন সাংবাদিক মেহেদী হাসান। পরে পথচারীরা তাঁকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসে। তিনি ঘটনাস্থলে দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত ছিলেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ডিআরইউ বলেছে, দৈনিক ভোরের আওয়াজ পত্রিকার গাজীপুরের গাছা থানা প্রতিনিধি মো. শাকিল হোসেন গতকাল পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মারা যান।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গতকালের আহতদের মধ্যে কালের কণ্ঠ</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">র দুজন সাংবাদিক রয়েছেন। আর নিউজটোয়েন্টিফোরের চারজন, বৈশাখী টেলিভিশনের দুজন, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের দুজন, বাংলাভিশন টেলিভিশনের দুজন, দ্য ডেইলি সানের দুজন, দৈনিক আমাদের সময়ের একজন, ৭১ টেলিভিশনের তিনজন, দৈনিক সময়ের আলোর চারজন ও ডিবিসি টেলিভিশনের তিনজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামে গতকাল পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে পাঁচ সাংবাদিক আহত হয়েছেন। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নগরের বহদ্দারহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় তাঁরা আহত হন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চট্টগ্রামে আহত সাংবাদিকরা হলেন চ্যানেল২৪-এর সিনিয়র রিপোর্টার রনি দত্ত, দৈনিক বণিক বার্তার চট্টগ্রামের ডেপুটি ব্যুরো চিফ সুজিত সাহা, দৈনিক কালবেলার চট্টগ্রাম ব্যুরোর চিফ সাইদুল ইসলাম, দৈনিক কালবেলার ফটো সাংবাদিক মোহাম্মদ সুমন এবং দৈনিক বণিক বার্তার ফটো সাংবাদিক আজীম অনন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) এক বিবৃতিতে বলেছে, দেশব্যাপী কোটাবিরোধী বিক্ষোভ কভার করা কয়েক ডজন সাংবাদিকের ওপর শারীরিক হামলার তদন্ত করছে সিপিজে। কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে মিডিয়া যেন নিরাপদে এবং স্বাধীনভাবে চলমান বিক্ষোভগুলো কভার করতে পারে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এক বিবৃতিতে ডিআরইউ বলেছে, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, নির্যাতন ও হত্যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং তা স্বাধীন-মুক্ত সাংবাদিকতার সুস্পষ্টভাবে পরিপন্থী। সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় যে বা যারা জড়িত, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের অতি দ্রুত খুঁজে বের করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।</span></span></span></span></span></p> <p> </p>