<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><img alt="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/09.September/14-09-2024/2/kalerkantho-ft-5a.jpg" height="89" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/09.September/14-09-2024/2/kalerkantho-ft-5a.jpg" style="float:left" width="250" />বড় পরিবারে অভাবের মধ্যে বেড়ে ওঠা সায়ফুল আলমের। আট ভাই-বোনের মধ্যে তিনি পঞ্চম। গ্রামের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক বাবা সাদেক আলী তরফদার ১০ সদস্যের পরিবার চালাতে হিমশিম খেতেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মাত্র ছয় বছর বয়সে সায়ফুলের ঠাঁই হয় এক আত্মীয়ের বাড়িতে। সেখানে থেকে প্রাথমিকের পাঠ শেষ করার পর লজিং জীবন শুরু। তখন পড়ালেখার পাশাপাশি মাঠ শ্রমিকের কাজ করতেন। পড়াশোনার খরচ জুটত এতে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এত প্রতিকূলতার মধ্যেও পড়াশোনায় ছেদ পড়তে দেননি সায়ফুল। মণিরামপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং মণিরামপুর কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। ১৯৯৬ সালে যশোর সরকারি এমএম কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। সরকারি বিএল কলেজ থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এমএ পাস করেন ২০০৪ সালে। </span></span></span></span></p> <div style="text-align:center"> <figure class="image" style="display:inline-block"><img alt="দারিদ্র্য জয় করে দরিদ্রের পাশে" height="483" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/print/Magazine 2023/09-09-2024/WhatsApp Image 2024-09-13 at 7.44.49 PM.jpeg" width="800" /> <figcaption><em>জনসচেতনতা তৈরিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নারীদের নিয়ে উঠান বৈঠকও করেন সায়ফুল আলম। ছবি : সংগৃহীত</em></figcaption> </figure> </div> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়ে শক্ত পায়ে দাঁড়ানো সেই সায়ফুল এখন অনেকের উদাহরণ। পেশায় তিনি শিক্ষক। এর বাইরে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দুটি গণপাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেছেন। বিভিন্ন সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে যুক্ত তিনি। দারিদ্র্যসহ নানা কারণে বিপথগামী কিশোর-যুবকদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সুযোগ করে দিচ্ছেন। এ পর্যন্ত ৫৪ জনকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়েছেন। সবই করেন গাঁটের পয়সা খরচ করে। এ জন্য পেয়েছেন সম্মাননা, পদক আর মানুষের ভালোবাসা।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১৯৯০ সাল থেকে শুরু</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সায়ফুলের মা আমেনা বেগম নিয়মিত বই পড়তেন। তিনি বলতেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একমাত্র শিক্ষাই পারে জীবনের সব সমস্যার সমাধান করতে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> মায়ের এ কথা সায়ফুলের মনে গেঁথে যায়। শৈশব থেকে তিনিও চেয়েছেন শিক্ষক হয়ে দেশ গঠনের কাজে জড়াতে। ১৯৯০ সালে এইচএসসির পর সায়ফুল বাড়ি ফিরে দেখেন, গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ নিজের নামটা পর্যন্ত লিখতে পারে না। তাই শুরুতে নিরক্ষরতা দূর করতে বয়স্কদের জন্য বাড়িতে একটি নৈশ বিদ্যালয় স্থাপন করেন। সেখানে স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন। </span></span></span></span></p> <div style="text-align:center"> <figure class="image" style="display:inline-block"><img alt="দারিদ্র্য জয় করে দরিদ্রের পাশে" height="483" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/print/Magazine 2023/09-09-2024/WhatsApp Image 2024-09-13 at 8.01.22 PM.jpeg" width="800" /> <figcaption><em>নিরক্ষরতা দূরীকরণে বড় ভূমিকা আছে সায়ফুলের।</em></figcaption> </figure> </div> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সায়ফুলের জন্মস্থান যশোরের মণিরামপুরের পূর্ব মাছনা এলাকায় তখন কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল না। ১৯৯১ সালে জালাল সরদার নামের আরেক ব্যক্তির সঙ্গে মিলে গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নেন সায়ফুল। রমেন্দ্রনাথ সরকার আর সঞ্জীবন সরকার নামের দুই ব্যক্তি জমি দিলেন। পূর্ব মাছনা প্রাথমিক বিদ্যালয় নামের স্কুলটি সরকারি হলো ২০১৩ সালে। সায়ফুল সেই বিদ্যালয়ে পড়িয়েছেন বছর চারেক। পরে খুলনার শশীভূষণ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও টিঅ্যান্ডটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন আরো ছয় বছর। ২০০০ সালে যোগ দেন লেবুগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এখন তিনি নিজ উপজেলায় চণ্ডীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।</span></span></span></span></p> <div style="text-align:center"> <figure class="image" style="display:inline-block"><img alt="দারিদ্র্য জয় করে দরিদ্রের পাশে" height="483" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/print/Magazine 2023/09-09-2024/WhatsApp Image 2024-09-13 at 8.01.54 PM.jpeg" width="800" /> <figcaption><em>শিক্ষার্থীদের লেখালেখিতে উৎসাহ দেন। তাদের লেখায় তৈরি দেয়ালিকাও সম্পাদনা করেন সায়ফুল।</em></figcaption> </figure> </div> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কাজে নিবেদিত</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কেবল জীবিকা উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে নয়, সায়ফুল শিক্ষকতার পেশা বেছে নিয়েছেন সমাজ গড়ার ব্রত হিসেবে। ৩৩ বছরের পেশাগত জীবনে ব্যক্তিগত কারণে এ পর্যন্ত কোনো ছুটি কাটাননি। বললেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমার পেশায় আমি শতভাগ নিবেদিত। আদর্শ সমাজ গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রতিবছর রাস্তার পাশে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চত্বরে ও খোলা জায়গায় বৃক্ষ রোপণ করে চলেছেন। তিনি যে বিদ্যালয়ে পড়ান সেই এলাকার প্রতিটি বাড়িতে তাঁর নিজ হাতে কমপক্ষে একটি গাছ লাগানো আছে। এর বাইরে কবিতা উৎসব ও ফলমেলার আয়োজন করেন। দেশি ফল রক্ষার লক্ষ্যে প্রতিবছর ৬৫ থেকে ৭০ ধরনের সংগৃহীত দেশি ফল প্রদর্শন ও বিতরণ করেন। </span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দুটি পাঠাগার</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সায়ফুল বিশ্বাস করেন, ভালো বই মানুষকে আলোর পথ দেখায়। আর পাঠাগার হলো সেই আলোর খনি। তাই ১৯৯১ সালে কালান্তর গ্রন্থ সংগ্রহ ও চর্চা কেন্দ্র এবং ২০০৭ সালে লেবুগাতী-গোয়ালপাড়া গণপাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেন। পাঠাগার দুটিতে এখন হাজার চারেক বই আছে। বললেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পাঠক ধরে রেখে স্থায়ী পাঠাভ্যাস তৈরিতে নিয়মিত পাঠচক্র, পাঠক সমাবেশসহ নানা আয়োজন করি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সুস্থ সংস্কৃতিচর্চায় তরুণ-তরুণীদের সম্পৃক্ত করতে ২০০৯ সালে গঠন করেছেন সংশপ্তক শিল্পী সংগঠন, যেখানে সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি, নাটক</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই চার বিভাগে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী সুস্থ দেশীয় সংস্কৃতিচর্চার সুযোগ পাচ্ছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিক্ষাবঞ্চিত, ঝরে যাওয়া ও বিপথগামীদের সুস্থ ধারায় প্রত্যাবর্তনের কাজও করে যাচ্ছেন সায়ফুল। দারিদ্র্য, অসচেতনতা, প্রতিকূল পরিবেশ অথবা অন্য কোনো কারণে যেসব কিশোর-যুবক শিক্ষাবিমুখ ও বিপথগামী হয়েছে, তাদের বাড়িতে নিজ খরচে যত্ন নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ করে দেন। এ পর্যন্ত এ রকম ৫৪ জনকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়েছেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নেশামুক্ত পরিবার গঠনের একটি ব্যতিক্রমী কর্মসূচিও চালিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন এলাকায় পাঠক, লেখক ও আবৃত্তিকারদের সঙ্গে নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নেশামুক্ত পরিবার গঠনে উৎসাহিত করেন। নিরক্ষরতা, বাল্যবিবাহ, যৌতুক, মাদক সেবন, ইভ টিজিং ইত্যাদি দূর করতে জনসচেতনতামূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে গণসংগীত, নৃত্য, নাটক, আবৃত্তি, আলোচনার আয়োজন করেন।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লেখালেখি করেন</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সায়ফুল নিজে লেখালেখি করেন। তাঁর একটি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ আর উপন্যাস মিলিয়ে আরো ছয়টি বই প্রকাশের অপেক্ষায়। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেখালেখিতেও উৎসাহ দিয়ে থাকেন। ওদের লেখা নিয়ে নিয়মিত দেয়াল পত্রিকা প্রকাশ করেন। কালান্তর, কালের কথা, সৃষ্টি, সংশপ্তক, উৎসর্গ, ফিরে দেখা ইত্যাদি সাহিত্য কাগজ সম্পাদনার সঙ্গেও যুক্ত। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন নিয়ে কৌতূহলী সায়ফুল আলম। ২০০৫ সালে এ পর্যন্ত তাঁর উপজেলার দুই শতাধিক মুক্তিযোদ্ধার সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন। </span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আদর্শ শিক্ষক</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সায়ফুলের ছাত্র ছিলেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তুষার দাস। তিনি বললেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সায়ফুল স্যার আমার জীবনের আদর্শ। তাঁর সাহচর্যে এত দূর আসতে পেরেছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাগেরহাটে একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন আবু তালেব। এসএসসির পর বছর তিনেক পড়াশোনা থেকে দূরে ছিলেন তিনি। বললেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম। সায়ফুল স্যারের অনুপ্রেরণা এবং আর্থিক সাহায্যে আবার পড়াশোনায় ফিরেছি। মাস্টার্স সম্পন্ন করেছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩-এ চাকরি করেন মোক্তার হোসেন। তিনি বললেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের অভাব-অনটনের সংসার ছিল। সায়ফুল স্যার অনেক সাহায্য করেছেন। উনার কাছে থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছি। এই যুগে এমন শিক্ষক বিরল।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যশোরের কবি ও সাহিত্যিক হুসাইন নজরুল হক বললেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কবিতা, আবৃত্তি, সাহিত্যচর্চা, পাঠক সৃষ্টি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এগুলো সায়ফুল আলমের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মণিরামপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু মোত্তালেব আলম বলেন, একজন আদর্শ শিক্ষকের যেসব গুণ থাকা দরকার, তার সবই সায়ফুল আলমের মধ্যে আছে।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্বীকৃতিও মিলেছে</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সমাজের জন্য কাজের স্বীকৃতি হিসেবে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে বেশ কয়েকবার বিভিন্ন পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হয়েছেন সায়ফুল। ২০১৫ সালে রাষ্ট্রীয় খরচে ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ব্যক্তিজীবনে তিনি দুই কন্যার জনক। বড় মেয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রাফিকস ডিজাইনে পড়েন। ছোট মেয়ে এবার এইচএসসি দিয়েছে। তাঁর সব কাজে উৎসাহ ও সহযোগিতা দেন সহধর্মিণী নাসরিন আক্তার। যত দিন বেঁচে থাকবেন মানুষের পাশে থাকতে চান সায়ফুল।</span></span></span></span></p>