<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দেশে চলমান শ্রমিক অসন্তোষের পরিপ্রেক্ষিতে আয়োজিত বৈঠকে শ্রমিকদের ১৮ দাবি মেনে নিয়েছে মালিকপক্ষ। এ পরিস্থিতিতে  আজ বুধবার থেকে সব শিল্পকারখানা খোলা রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। মালিকদের আশা, এবার পোশাক শিল্পাঞ্চলে শৃঙ্খলা ফিরবে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><img alt="পোশাক শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি মেনে নিয়েছেন মালিকরা" height="193" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/09.September/25-09-2024/78iii.jpg" style="float:left" width="346" />গতকাল মঙ্গলবার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শ্রমিকপক্ষ এবং মালিকপক্ষের বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.), শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। এ সময় তাঁদের সঙ্গে ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এ এইচ এম সফিউজ্জামান।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এদিকে গতকালও শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় শ্রমিক অসন্তোষে ৫৩টি পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। তবে অন্যান্য পোশাক কারখানায় স্বাভাবিকভাবেই কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তৈরি পোশাক খাতের কয়েকজন উদ্যোক্তা কালের কণ্ঠকে জানান, শ্রমিকদের ১৮ দাবির ১৬টি এরই মধ্যে বাস্তবায়িত হচ্ছে। শ্রম আইনে না থাকার পরও হাজিরা বোনাস এবং টিফিন বিল শ্রমিকদের কাজে উৎসাহিত করতে দেওয়া হয়। এত দিন এসব নিয়ে শ্রমিকদের দাবি ছিল বিক্ষিপ্ত। এর পরও সরকার কেন্দ্রীয়ভাবে ঘোঘণা দেওয়ায় শ্রমিকরা কাজে ফিরবেন এবং কারখানায় শৃঙ্খলা ফিরবে বলে তাঁরা আশা করেন। এ ছাড়া মজুরি বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির যৌক্তিক পর্যালোচনায় মালিকের সক্ষমতার ওপরও বিবেচনা করা হবে।  </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তবে প্রভিডেন্ড ফান্ড নিয়ে সংকট তৈরি হতে পারে বলে মন্তব্য করেন কয়েকজন উদ্যোক্তা। বর্তমানে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) ছাড়া আর কোথাও এই সুবিধা নেই। তাই এটা নির্ভর করবে মালিকের সক্ষমতার ওপর। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গতকাল সভায় জানানো হয়, দেশে চলমান শ্রমিক অসন্তোষের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রমিকদের ১৮ দাবি মেনে নিয়েছে মালিকপক্ষ। উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো টিফিন বিল প্রদান, ১০ অক্টোবরের মধ্যে সব কারখানায় ন্যুনতম মজুরি বাস্তবায়ন, শ্রমঘন এলাকায় টিসিবি ও ওএমএসের মাধ্যমে রেশন প্রদান, শ্রমিকদের আগের বকেয়া ১০ অক্টোবরের মধ্যে পরিশোধ, ঝুট ব্যবসা মনিটরিং করে শ্রমিকদের মধ্যে থেকে ক্রেতা বের করা, কারখানার শ্রমিকদের কালো তালিকাভুক্তি বন্ধ করতে মনিটরিং করা। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এ ছাড়া গত বছর ন্যুনতম মজুরি আন্দোলন ও বিভিন্ন সময়ে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে করা নিপীড়ন মামলা প্রত্যাহারের জন্য রিভিউ করে আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সমাধান করা, নিয়োগের ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করা, জুলাই আন্দোলনে শহীদদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা, রানাপ্লাজা ও তাজরীন ফ্যাশনসের বিষয়ে কমিটি গঠন, সব কারখানায় ডে কেয়ার সেন্টার নিশ্চিতের দাবিও মানা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অন্যায্যভাবে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ করা, নারীকর্মীদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ১২০ দিন, ন্যুনতম মজুরি নির্ধারণে তিন সদস্যের কমিটি গঠন, শ্রম আইন সংশোধন নিয়ে কাজ করা, প্রভিডেন্ট ফান্ড পর্যালোচনা করে শ্রমিক-মালিকের আলোচনার মাধ্যমে চালু করা এবং প্রতিবছর দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি বিবেচনা করে ইনক্রিমেন্ট দিতে কমিটি গঠন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">শ্রমসচিব এ এইচ এম সফিউজ্জামান বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বৈঠকে শ্রমিকপক্ষের ৩৫ জন প্রতিনিধি ছিলেন, মালিকপক্ষও ছিল। তাদের ১৮টি দাবির বিষয়ে একমত পোষণ করেছি। আগামীকাল থেকে সব কারখানা নির্বিঘ্নে চলবে।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">৫৩টি পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা </span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এদিকে গতকালও শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় শ্রমিক অসন্তোষে ৫৩টি পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">জানা যায়, নবীনগর-আশুলিয়া-আব্দুল্লাহপুর সড়কের নরসিংহপুর, নিশ্চিন্তপুর, ঘোষবাগ ও জিরাবো এলাকায় ৫৩টি পোশাক কারখানায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করছেন। এর মধ্যে ৪৪টি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এ ছাড়া ৯টি পোশাক কারখানায় সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিলেও বিক্ষোভের কারণে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। তবে কয়েকটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকরা সকালে কাজে যোগ দিতে এলে ১৩(১) ধারায় বন্ধের নোটিশ গেটে দেখতে পেয়ে বাসায় ফিরে যান। পোশাকশিল্প খাতে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে কারখানা বন্ধ রেখেছে বলে দাবি মালিকপক্ষের।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">শ্রমিকরা বলেন, কয়েক মাসের বকেয়া বেতন, ন্যুনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করার দাবি, টিফিন ফি বাড়ানো, শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারসহ কয়েক দফা দাবি করা হয়েছে। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ দাবিগুলোর বিষয়ে আন্তরিক নয়। </span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p> <p> </p>