<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আটক, নির্যাতন, গুম, হত্যা পরিকল্পনাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে সাবেক পুলিশপ্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এবং সেনাবাহিনীর জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসানসহ আট কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এই আটজনের মধ্যে সাতজন পুলিশ কর্মকর্তা। চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ছাড়া পুলিশের সাবেক ছয় কর্মকর্তা হলেন ঢাকার সাবেক পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল কাফি, ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুর জোনের উপকমিশনার (ডিসি) মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, সাভার সার্কেলের সাবেক অতিরিক্ত সুপার মো. শহিদুল ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান, গুলশান থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাজহারুল হক এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গতকাল বুধবার প্রসিকিউশনের আবেদনে শুনানির পর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাদের কারাগারে রাখার আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারক মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ট্রাইব্যুনাল আদেশে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এই আটজনের বিরুদ্ধে গত জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণ-আন্দোলনে আটক, নির্যাতন, হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগের তদন্ত চলছে। যথাযথ ও কার্যকর তদন্তের স্বার্থে তাদের কারান্তরিন রাখা প্রয়োজন। সেই জন্য পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে রাখার নির্দেশ দেওয়া হলো।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> এরপর আদালত আগামী ১৯ ডিসেম্বর পরবর্তী আদেশের তারিখ রেখে তদন্ত সংস্থাকে এই সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।    </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আদালতে আবেদনের ওপর শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম, বি এম সুলতান মাহমুদ ও আব্দুল্লাহ নোমান। আসামি জিয়াউল আহসানের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম আই ফারুকী ও নাজনীন নাহার। চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জাইয়াদ বিন আমজাদ, মো. জসিম উদ্দিন মোল্লার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাহবুবুর রহমান। আবুল হাসানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আরাফাত হোসেন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">প্রসিকিউশনের আবেদনে গত ২৭ অক্টোবর সাবেক ১৭ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। এই ১৭ জনের মধ্যে অন্য মামলায় তখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার ছিলেন ছয়জন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর আরো দুজনকে গ্রেপ্তার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এর আগে গত ১৮ নভেম্বর ট্রাইব্যুনাল ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রী-উপদেষ্টাসহ ১৩ জনকে কারাগারে রাখার নির্দেশ দেন। তাদের বিরুদ্ধে ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গতকাল বিচারিক কাজের শুরুতে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সংক্ষিপ্তসার তুলে ধরেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনই ছিলেন সুপ্রিম কমান্ডার : সাবেক পুলিশপ্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিষয়ে শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, তার নেতৃত্বে পুলিশের বিভিন্ন শাখা (র‌্যাব, কেপিবিএন, ডিবি, এসবি) দেশে গুম, হত্যা, আটক, নির্যাতন, লাশ পোড়ানোসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে ও গণহত্যা চালিয়েছে। তিনি ছিলেন এসব কর্মকাণ্ডের প্রধান। তার নেতৃত্বে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী সারা দেশে ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি করে। ৫৬ হাজার বর্গমাইলে পুলিশের আচরণ ছিল বেপরোয়া। জুলাই-আগস্টের হত্যা-গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের পরিকল্পনা, নির্দেশনা, প্ররোচনাসহ দায় তার ওপর বর্তায়।  তিনিই ছিলেন এসবের সুপ্রিম কমান্ডার।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গণহত্যায় মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন জিয়াউল আহসান : এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান সম্পর্কে শুনানিতে তাজুল ইসলাম বলেন, ১৯৯১ সালে সেনাবাহিনীতে তিনি কমিশন লাভ করেন। তিনি আওয়ামী লীগের মতাদর্শের বিরোধী ব্যক্তিদের গুম, খুন, অপহরণ, নির্যাতন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তিনি এনটিএমসির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সরকারবিরোধীদের শায়েস্তা করতে নজরদারি করতেন। এনটিএমসির সঙ্গে সরকারের ৩০টি সংস্থার সম্পৃক্ততা রয়েছে। জুলাই-আগস্টের গণহত্যার সময় সারা দেশে মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধে জিয়াউল আহসানের ভূমিকা পেয়েছে তদন্ত সংস্থা। ইন্টারনেট বন্ধ করে ইনফরমেশন ব্ল্যাক আউটের মাধ্যমে গণহত্যায় মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আয়নাঘরের নেপথ্যের কারিগর ছিলেন এই জিয়াউল আহসান। বিএনপি নেতা চৌধুরী আলম, ইলিয়াস হোসেন, যুবদল নেতা সাজেদুল হক সুমন, ইফতেখার দীনারসহ অসংখ্য বিরোধী মতাদর্শের ব্যক্তিকে গুমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এই জিয়াউল আহসান। তার এই বেআইনি কর্মকাণ্ডের পরও তিনি তার পদে বহাল তবিয়তে ছিলেন। তিনি নিজেকে আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচয় দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস পেত না। তিনি পতিত সরকারের এতই ঘনিষ্ঠ ছিলেন যে একের পর এক পদোন্নতি পেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছিলেন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চিফ প্রসিকিউটর বলেন, আয়নাঘর নামক যে বন্দিশালা তৈরি করা হয়েছিল সেখান থেকে এক ব্যক্তি মুক্তি পেয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন। এর পরই আয়নাঘরের বিষয়টি জানাজানি হয়। আয়নাঘর থেকে যারা বেঁচে ফিরেছেন তাদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের বর্ণনা এ রকম</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আয়নাঘরের নির্যাতন ছিল নাৎসি বাহিনীর কনসেট্রেশন ক্যাম্পের চেয়েও ভায়বহ। আর জিয়াউল আহসানকে বসনিয়ার কসাই বলে খ্যাত রাদোভান কারাদিচ ও স্লোবোদান মিলোসেভিচের সঙ্গে তুলনা করা চলে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তাজুল ইসলাম শুনানিতে বলেন, এরপর গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতনের পর মাইকেল চাকমা, আব্দুল্লাহিল আমান আযমী ও মীর আহমেদ বিন কাশেম (আরমান) এই আয়নাঘর থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বিষয়টি ব্যাপক আকারে পরিচিতি পায়। এনটিএমসিতে ২০২২ সাল থেকে দায়িত্ব নেওয়ার পর জিয়াউল আহসান একের পর এক ব্যক্তির কল রেকর্ড ফাঁস করেছেন, বিভিন্ন ব্যক্তির ফোনে আড়ি পেতেছেন। আড়ি পাতার নিষিদ্ধ যন্ত্রপাতির আমদানি নিয়েও বিভিন্ন সময় প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু তার পরও এসব ব্যবহার করে কল রেকর্ড ফাঁস করা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মিরপুর জোনের উপকমিশনার (ডিসি) মো. জসিম উদ্দিন মোল্লার বিষয়ে শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, জুলাই-আগস্ট গণ-আন্দোলনে মিরপুরে যত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তার প্রধান নির্দেশদাতা ছিলেন এই ব্যক্তি। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">লাশ পোড়ানোর মূল উদ্দেশ্য ছিল আন্দোলনকারীদের ওপর দায় চাপানো : ঢাকার সাবেক পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল কাফির অপরাধ সম্পর্কে বলা হয়, সাভারের শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার নির্দেশদাতা সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা। তাজুল ইসলাম বলেন, আন্দোলন চলাকালে সাভারে পুলিশের এপিসি ভ্যানের ওপর থেকে ইয়ামিন নামের তরুণকে গুলি করে রাস্তায় ফেলে দেওয়ার ভিডিও ফুটেজ ইন্টারনেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেই ভিডিওতে দেখা গেছে, গুলির পরও ইয়ামিন জীবিত ছিলেন, কিন্তু তাকে হাসপাতালে না নিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে মৃত্যু ত্বরান্বিত করতে দেখা গেছে। এমনকি তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করতেও বাধা দেওয়া হয়। এ ছাড়া সাভারের আশুলিয়ায় ছয়জনকে গুলি করে হত্যার পর মরদেহ পুলিশ ভ্যানে উঠিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল আন্দোলনকারীদের ওপর দায় চাপানো, কিন্তু তদন্তে প্রকৃত ঘটনা উঠে এসেছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আশুলিয়ায় ছয়জনের লাশ পোড়ানোর ঘটনার সঙ্গে সাভার সার্কেলের সাবেক অতিরিক্ত সুপার মো. শহিদুল ইসলাম এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেনের সম্পৃক্ততা রয়েছে। তদন্তে তা উঠে এসেছে বলে শুনানিতে ট্রাইব্যুনালকে জানান চিফ প্রসিকিউটর। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গুলশান থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাজহারুল হকের অপরাধ তুলে ধরে তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা মহানগরের তেজগাঁও, যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছেন এই ব্যক্তি। জুলাই-আগস্ট মাসে তিনি ছিলেন গুলশান থানার দায়িত্বে। এ সময় গুলশান জোনে কাফি, বাহাদুর হোসেন মানিক, সোহাগ, ওয়াসিমসহ যারা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, তার নির্দেশদাতা ছিলেন তিনি। </span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আমাকে বাঁচান, আমার সব শেষ হয়ে যাচ্ছে : এর আগে সাভারের আশুলিয়ায় গণহত্যার সঙ্গে তার নাম জড়িয়ে অপরাধের বিবরণ ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হলে তিনি কাঠগড়া থেকে চিৎকার করে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আমি কখনোই সাভার-আশুলিয়ায় দায়িত্ব পালন করিনি। আমি তখন গুলশান থানার ওসি ছিলাম। আমি ছাত্রদের পক্ষে ছিলাম। আমাকে বাঁচান। আমার সব শেষ হয়ে যাচ্ছে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তখন ট্রাইব্যুনাল বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আপনি যদি নির্দোষ হন, তাহলে ন্যায়বিচার পাবেন।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> এ সময় মাজহার হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করেন। </span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গণহত্যার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশদাতা ছিলেন ওসি আবুল হাসান : যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান সম্পর্কে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, গণ-আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও ওয়ারীতে শত শত লোককে হত্যা করা হয়। শুরু থেকেই আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন এই আবুল হাসান। স্বৈরাচারের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে হত্যা, জখম, নির্যাতন, গণহত্যায় তিনি ছিলেন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশদাতা। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দুনিয়ার সামনে, আদালতের সামনে অপরাধ প্রমাণ করব : চিফ প্রসিকিউটর বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এই ট্রাইব্যুনালে ২০০ ভিকটিম পরিবার অভিযোগ দাখিল করেছে। সেসব অভিযোগ পর্যালোচনা করে তদন্ত সংস্থা দেখতে পেয়েছে, একটা ঘটনার নির্মমতা আরেকটা ঘটনার নির্মমতাকে ছাড়িয়ে গেছে। অভিযুক্তরা কিভাবে অপরাধ করেছেন তা দুনিয়ার সামনে, আদালতের সামনে প্রমাণ করব। ট্রাইব্যুনালের মাধমে তাদের অপরাধ জাতি ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে তুলে ধরা হবে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আমি কখনো আয়নাঘরে চাকরি করিনি : ট্রাইব্যুনালের আদেশ দেওয়া শেষ হলে অভিযুক্ত জিয়াউল আহসানের আইনজীবী তার মক্কেলের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি চান ট্রাইব্যুনালের কাছে। ট্রাইব্যুনাল অনুমতি দেন। এ সময় কাঠগড়া থেকে জিয়াউল আহসান ট্রাইব্যুনালকে উদ্দেশ করে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আমি কখনো আয়নাঘরে চাকরি করিনি। আমি চাকরি করেছি যেখানে, সেটি একটি টেকনিক্যাল জায়গা। বারবার আমার বিরুদ্ধে আয়নাঘরকে জড়িয়ে মিডিয়ায় অপপ্রচার করা হচ্ছে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তখন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আপনি একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন। আপনার আইনজীবী এখানে আছেন। তারা আপনার পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরবেন। তাদের বক্তব্যে সন্তুষ্ট না হলে তখন কথা বলার সুযোগ পাবেন।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> এরপর বিচারকক্ষ ত্যাগ করেন ট্রাইব্যুনাল।    </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলের পতন ঘটে। আন্দোলনে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আহত হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। নজিরবিহীন এই হত্যাকাণ্ডের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার ঘোষণা দেওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকার গত ১৪ আগস্ট তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। </span></span></span></span></span></p> <p> </p>