<p>বছরের প্রথম ভাগে আর্জেন্টিনায় দারিদ্র্যের হার প্রায় ৫২ শতাংশ ছিল বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। দেশটির প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মাইলি রাজস্ব ঘাটতি পূরণে রাষ্ট্রীয় খরচে কাটছাঁট করেছেন। জনকল্যাণমূলক খাতে সংকোচন করেছেন ব্যয়। তিনি ৫০ হাজার চাকরি বিলুপ্ত করেন। সরকারি কাজে বরাদ্দ বন্ধ করার পাশাপাশি তেল ও পরিবহন খাতে ভর্তুকি দেওয়াও বন্ধ করেন।</p> <p>দেশটির অর্থনীতিতে এখন মন্দাবস্থা চলছে। ২০২৩ সালের শেষে দেশটিতে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪১.৭ শতাংশ। সাত বছর আগে এই হার ছিল ২৬ শতাংশ। দেশটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মী ইরমা ক্যাসাল জানান, ‘বর্তমান সরকার ২০২৩ সালে ক্ষমতা নেয়। প্রেসিডেন্ট হিসেবে জাভিয়ের মাইলি ক্ষমতা গ্রহণ করেন। এর পর থেকেই কর্মসংস্থানের হার কমছে। তিন শিফটে কাজ করেও খরচ কুলাতে পারছেন না। দ্বিগুণ পরিশ্রম করেও লাভ হচ্ছে না। কাজ না করে থাকারও উপায় নেই।’ গত আগস্টে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৩.৯। চলতি বছরের শেষ নাগাদ বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হার গিয়ে দাঁড়াতে পারে ১২৩ শতাংশে। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থনীতি বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানায়। ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি অব আর্জেন্টিনার (ইউসিএ) পর্যবেক্ষণ কমিটি জানায়, প্রথম প্রান্তিকে দারিদ্র্যের হার ছিল সাড়ে ৫৫ শতাংশ। দ্বিতীয় প্রান্তিকে ছিল ৪৯.৪ শতাংশ। সে হিসেবে বছরের প্রথম ছয় মাসে দেশটিতে গড় দারিদ্র্যের হার দাঁড়িয়েছে ৫২ শতাংশ। পর্যবেক্ষণ কমিটির পরিচালক অগাস্টিন সালভিয়া জানান, ‘জাভিয়ের মাইলির আর্থিক নীতিমালার কারণে বছরের প্রথম প্রান্তিকে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নাজুক হয়ে পড়ে। এখন পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে।’</p> <p>এদিকে অর্থনৈতিক মন্দাবস্থার দায়ভার নিতে রাজি নয় দেশটির বর্তমান সরকার। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ম্যানুয়েল অ্যাডোরনি টালমাটাল অর্থনৈতিক অবস্থার জন্য আগের সরকারকে দায়ী করেন। সূত্র : সিএনএন</p> <p> </p> <p> </p>