<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ইসলামের দৃষ্টিতে আত্মীয়তার সম্পর্কের কারণে যারা ভরণ-পোষণের খরচ পেতে পারে, তারা হলো, রক্তের সম্পর্কের মাহরাম আত্মীয়-স্বজন। তাঁরা চার ধরনের আত্মীয়-স্বজন : </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">১. মা-বাবা, দাদা-দাদি, নানা-নানি ও তাঁদের ঊর্ধ্বতন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">২. ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনি ও তাদের অধস্তন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">৩. ভাই-বোন ও তাঁদের সন্তান। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">৪. চাচা, ফুফু, মামা, খালা। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তবে একসঙ্গে সবার খরচ চালানো এক পক্ষের ওপর ওয়াজিব নয়; বরং এ ক্ষেত্রে ইসলামী শরিয়ত নিকটবর্তী ও দূরবর্তীদের মধ্যে তারতিব (ক্রমপর্যায়) নির্ধারণ করে দিয়েছেন, প্রত্যেক পক্ষের নিকটবর্তী আত্মীয়ের উপস্থিতি ও সামর্থ্য অবস্থায় দূরবর্তীদের ওপর ভরণ-পোষণের দায়িত্ব বর্তাবে না। হ্যাঁ, নিকটবর্তীর অনুপস্থিতি ও অসামর্থ্যতায় দূরবর্তীদের ওপরও ভরণ-পোষণের দায়িত্ব বর্তাবে। (তাবঈনুল হাকায়েক : ৩/৬৩)</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কাজেই পিতা উপার্জন করতে অক্ষম বা উপার্জনক্ষম কিন্তু উপার্জন করেন না</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এ অবস্থায় মা-বাবার ভরণ-পোষণের দায়িত্ব সচ্ছল সন্তানের ওপর ওয়াজিব। তবে সন্তান অসচ্ছল হলে অভাবি ও অক্ষম মাতা-পিতাকে নিজের পরিবারে শামিল করে নেওয়া উচিত। কারণ গোটা পরিবারের খাদ্য বস্ত্রে এক-দুজন শামিল করা অসম্ভব নয়। (আল মুফাসসাল : ১০/১৯৫)</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি নবীজি (সা.)-এর কাছে অভিযোগ করল, হে আল্লাহর রাসুল, আমার (কিছু) সম্পদ আছে এবং পিতা আছেন। কিন্তু পিতা আমার সব সম্পদ নিয়ে যেতে চান! তখন নবীজি (সা.) বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তুমি ও তোমার সম্পদ দুটোই তোমার পিতার। তোমাদের সন্তানরা হচ্ছে তোমাদের উত্তম উপার্জন। সুতরাং তোমরা নিজ সন্তানের উপার্জন ভোগ করো।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> (আবু দাউদ : ৩৫৩০)</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">যার ওপর জাকাত ফরজ সে ইসলামের দৃষ্টিতে সচ্ছল বা সামর্থ্যবান। তাকে দরিদ্র মাতা-পিতার ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা করতে হবে। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১/৫৬৪)</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ইসলামী শরিয়ত মতে, স্ত্রীকে প্রয়োজনীয় পরিমাণ ভরণ-পোষণ দেওয়া স্বামীর অবশ্য কর্তব্য। তবে ভরণ-পোষণের পরিমাণ পরিবেশ-পরিস্থিতি ও স্বামীর সামর্থ্যের ওপর নির্ভর করবে। (আল মুহিতুল বুরহানি : ৩/৫২৯-৫৩০, ফাতহুল কাদির : ৩/১৯৪)</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তবে শাশুড়ির খরচ চালানো স্বামীর ওপর আবশ্যক নয়; বরং নিজের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের স্বাভাবিক খরচ চালানো স্বামীর ওপর আবশ্যক। কিন্তু স্বামীর উচিত স্ত্রীর পরিবারকে সম্মান করা। তারা দরিদ্র হলে তাদের সাহায্য করা; এমনকি সেটা নিজের জাকাত ও সদকা থেকে হলেও তাদের সাহায্য করা যায়। এ বিষয়টি আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে, যদি শাশুড়ির খরচ চালানোর মতো কেউ না থাকে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এটা ভুলে গেলে চলবে না যে ইসলাম পরিবারের ভরণ-পোষণকে পুরুষের ওপর আবশ্যকীয় করেছে। সঙ্গে সঙ্গে এ শিক্ষাও দিয়েছে যে ইসলাম পরিবারের ব্যাপারে উদারতা পছন্দ করে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মানুষ তার পরিবার-পরিজনের জন্য পুণ্যের আশায় যখন ব্যয় করে, সেটা তার জন্য সদকা হয়ে যায়।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৫)</span></span></span></span></span></p> <p> </p>