মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ইনসাইট টেলিকাস্ট কম্পানি লিমিটেডের চ্যানেল সিক্সটিনের পরীক্ষামূলক সমপ্রচারের অনুমতির মেয়াদ ২০১৩ সালের ৩০ নভেম্বর শেষ হয়েছে। এই মেয়াদ আর বাড়ানো হয়নি। এ কারণে ইনসাইট টেলিকাস্ট কম্পানি লিমিটেড বা অন্য কারো পরিচালনায় চ্যানেল সিঙ্টিনের নামে কোনো টেলিভিশন চ্যানেল কেব্‌ল অপারেটর, অনলাইন বা অন্য কোনো মাধ্যমে যাতে সমপ্রচার করা না হয় সেই লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

তথ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনামায় টিভি-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আখতারুজ্জামান তালুকদারের সই রয়েছে।

তথ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ইনসাইট টেলিকাস্টের নির্বাহী পরিচালক খন্দকার গোলাম মুহিত স্যাটেলাইট ডাউনলিংকের মাধ্যমে বাংলাদেশে টেলিভিশন সম্প্রচারের জন্য আবেদন করেছিলেন। ২০১১ সালের নভেম্বরে শর্ত সাপেক্ষে তাঁকে পরীক্ষামূলক সমপ্রচারের অনুমতি দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী, ঢাকায় অফিস খুলে বিদেশি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সিঙ্গাপুর থেকে সংগীতনির্ভর অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছিল চ্যানেলটি। ডাউনলিংকের মাধ্যমে কেবল বিদেশ থেকে সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানই চ্যানেল সিঙ্টিন বাংলাদেশে দেখাতে পারবে, দেশ থেকে কোনো অনুষ্ঠান আপলিংক করা যাবে না-এমন শর্তে ওই অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু সেই শর্ত না মেনে ভিন্ন একটি স্যাটেলাইট ব্যবহার করে মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার পরও চ্যানেল সিক্সটিন দেশে তৈরি অনুষ্ঠান ও বিজ্ঞাপন সম্প্রচার করছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এ অবস্থায় দেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের সংগঠন অ্যাটকো চ্যানেল সিঙ্টিনের সমপ্রচার বন্ধের জন্য গত জুলাইয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে। কিন্তু চ্যানেল সিক্সটিন উচ্চ আদালতের কাছ থেকে সময় নিয়ে সম্প্রচার অব্যাহত রাখে।

এরপর বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের বেঞ্চ গত বৃহস্পতিবার চ্যানেল সিক্সটিনের আবেদনের নিষ্পত্তি করে দিলে তাদের সমপ্রচার বন্ধে বাধা কেটে যায়।

মন্ত্রণালয়ের আদেশের পর গোলাম মুহিতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

এদিন দুদকের সহকারী পরিচালক জিন্নাতুল ইসলাম এ আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়েছে, আসামি ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে মাদক পাচার, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মামলা চলমান। প্রাথমিক তদন্তে বিভিন্ন দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করে ভোগদখলে আছেন মর্মে তথ্য পাওয়া গেছে।