<p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.15pt">কক্সবাজার উপকূলে ডিম দিতে আসা গভীর সাগরের প্রাণী কাছিম মারা যাচ্ছে উদ্বেগজনকভাবে। গতকাল রবিবার এক দিনেই মেরিন ড্রাইভসংলগ্ন পেঁচারদ্বীপ সৈকতের চার কিলোমিটারে ভেসে এসেছে সাতটি মরা কাছিম। এমনকি জানুয়ারি ও চলতি মাসের গতকাল রবিবার পর্যন্ত ৪৯ দিনে ২৮টি মরা কাছিম উদ্ধার করা গেছে। এ ছাড়া সাগরে ভাসছে আরো প্রচুর মৃত কাছিম। সমুদ্রবিজ্ঞানী ও পরিবেশবাদীদের মতে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার কাছিমের মৃত্যু অস্বাভাবিক বেশি। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.15pt">সমুদ্রবিজ্ঞানীদের বাহ্যিক পর্যবেক্ষণে ধারণা করা হচ্ছে, কাছিমগুলো সাগরে মাছ ধরার জালে এবং রশিতে আটকা পড়ে মারা গিয়ে থাকতে পারে। এসব মৃত সামুদ্রিক প্রাণীর গায়ে জাল এবং পেঁচানো রশি পাওয়া গেছে।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.15pt">কক্সবাজারে অবস্থিত সামুদ্রিক গবেষণা কেন্দ্রের (বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট) মহাপরিচালক প্রফেসর ড. তৌহিদা রশীদের তত্ত্বাবধানে কেন্দ্রের একদল বিজ্ঞানী গত এক সপ্তাহের পর্যবেক্ষণে দেখতে পেয়েছেন, বেশির ভাগ মৃত কাছিমের পা ছেঁড়াসহ মরদেহে নানা স্থানে রয়েছে আঘাত। অনুরূপ ডলফিনসহ অন্যান্য মৃত সামুদ্রিক প্রাণীর দেহেও এ রকম আঘাতের চিহ্ন পরিলক্ষিত হয়েছে।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.15pt">সামুদ্রিক কাছিমের ডিম সংগ্রহের হ্যাচারি নিয়ে কাজ করা সংগঠন নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট-নেকমের মাঠ পর্যায়ের কর্মী আবদুল লতিফ গতকাল সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:-.15pt">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.15pt">আজ (রবিবার) এক দিনেই পেঁচারদ্বীপ সৈকতের চার কিলোমিটার এলাকায় সাতটি মরা কাছিম ভেসে এসেছে। এগুলোর মধ্যে পাঁচটি বালুচরের গর্তে পুঁতে ফেলেছি। আরো দুটি কাল (আজ) পুঁতে ফেলব।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:-.15pt">’</span></span></span> </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.15pt">লতিফ জানান, তিনি গত ১০ দিনে আটটি মৃত কাছিম উদ্ধার করেছেন। এসবের মধ্যে সবটিরই পা ছেঁড়া অবস্থায় পাওয়া গেছে। তাঁর ধারণা মাছ ধরা জালে আটকা পড়ায় জেলেরা জাল ছিঁড়ে যাওয়ার ভয়ে কাছিমের পা ছিঁড়েই সাগরে ছুড়ে ফেলে দেন।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.15pt">কক্সবাজার উপকূলের হিমছড়ি জাদুঘর এলাকার জেলে আবদুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, সাগরে মাছ ধরার সময় প্রচুরসংখ্যক মৃত কাছিমের মরদেহ দেখা গেছে। রহমান জানান, তাঁর নৌকা এবং জাল ছোট সাইজের। কিন্তু গভীর সাগরে অনেক বড় বড় নৌকা বড় সাইজের জাল ফেলে মাছ ধরে। তা ছাড়া জাহাজ নিয়ে ট্রলিং যাঁরা করেন তাঁদের জালেই এসব কাছিম আটকা পড়ে মারা যায় বেশি।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.15pt">কক্সবাজারের সামুদ্রিক গবেষণা কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম গতকাল রাতে কালের কণ্ঠকে জানান, প্রতিবছর শীত মৌসুমে হাজার হাজার মাইল দূর থেকে গভীর সমুদ্র পাড়ি দিয়ে কক্সবাজারের উপকূলে ডিম দিতে আসে কাছিম।</span></span></span></span></span></span></span></span></p>