<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুহার বেড়েছে। ২০২৩ সালে প্রতি হাজার জীবিত জন্মগ্রহণকারী শিশুর মধ্যে ৩৩টির মৃত্যু হয়েছে। ২০১৯ সালে এই হার ছিল ২৮। ফলে চার বছরের ব্যবধানে শিশুমৃত্যু হাজারে বেড়েছে ৫টি। আর পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি সিলেট বিভাগে। এর পরই রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ। সবচেয়ে কম মৃত্যুহার ঢাকা বিভাগে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে সিলেট বিভাগে প্রতি হাজার জীবিত জন্মগ্রহণকারী শিশুর মধ্যে ৩৯.৩৪টি শিশু মারা গেছে। অন্যদিকে এই হার চট্টগ্রামে ৩৫.১০। সবচেয়ে কম মারা গেছে ঢাকা বিভাগে। বিভাগটিতে প্রতি হাজারে মৃত্যু ছিল ২৮.৫৫টি। এ ছাড়া রাজশাহী বিভাগে ৩০.৪৪, খুলনা বিভাগে ৩২.৩৫, বরিশাল বিভাগে ৩৩.৪৯, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৩.৬১ এবং রংপুর বিভাগে ৩৪.৭৯টি শিশুর মৃত্যু হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জেলা দুটি প্রাকৃতিকভাবে দুই কারণে ঝুঁকিপূর্ণ। চট্টগ্রাম বিভাগে রয়েছে দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল। আবার সিলেট বিভাগে রয়েছে হাওর অঞ্চল। ফলে এই অঞ্চলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, গর্ভকালীন সেবা, প্রসবকালীন সেবা ও প্রসবোত্তর সেবা কার্যক্রম সঠিকভাবে শিশুরা পাচ্ছে না। এ ছাড়া এসব অঞ্চলে অন্যান্য সেবা পৌঁছানো অনেক ক্ষেত্রেই প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। ফলে অন্যান্য বিভাগের তুলনায় এ অঞ্চলে বেশি হারে শিশু মারা যাচ্ছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিবিএসের সর্বশেষ জরিপ </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, সার্বিকভাবে দেশে নবজাতক, এক বছরের কম বয়সী, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ তিন ক্ষেত্রেই মৃত্যুহার বেড়েছে। ২০২২ সালে এক বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুহার প্রতি হাজার জীবিত জন্মগ্রহণকারী শিশুর মধ্যে ছিল ২৪, যা ২০২৩ সালে বেড়ে হয়েছে ২৭। পাঁচ বছর আগে ২০১৯ সালে এই হার ছিল ২১।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্যদিকে ২০২৩ সালে এক মাসের কম বয়সী নবজাতকের মৃত্যুহার প্রতি হাজার জীবিত নবজাতকের মধ্যে ২০টি মারা গেছে। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৬। পাঁচ বছর আগে ২০১৯ সালে ছিল ১৫।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের সব অঞ্চলে এখনো সবার জন্য মানসম্মত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, গর্ভকালীন ও প্রসবকালীন সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। সেপসিস, মেনিনজাইটিস ও নিউমোনিয়ার কারণে অকালজন্ম ও অন্তঃসত্ত্বা জটিলতা দেখা দেয়। এতে নবজাতকের বেশি মৃত্যু হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বিষয়ে শিশু বিশেষজ্ঞ ও আইসিডিডিআরবির বিজ্ঞানী ড. আহমেদ এহসানুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের শিশুদের ঘর থেকে বের করতে চায় না। যখন বের করে, ততক্ষণে শিশুর রোগটি প্রকট আকার ধারণ করে। অন্যান্য অঞ্চলে শিশুমৃত্যুর প্রধান কারণ নিউমোনিয়া ও জন্মগত ত্রুটি; এ ছাড়া পানিতে ডুবে মৃত্যু। সামাজিকভাবে চিন্তা করলে যাত্রাপথে শিশু মারা যাচ্ছে। এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যাওয়ার পথে পাঁচজন শিশুর একজন মারা যাচ্ছে। অর্থাৎ ভালো রেফারেল সিস্টেম ও অবকাঠামোগত দুর্বলতার কারণে শিশু মারা যাচ্ছে। হাসপাতালে আসার আগেই এক-তৃতীয়াংশ শিশু মারা যাচ্ছে। এই মৃত্যু প্রতিরোধে স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি আরো বলেন, এখনো দেশের অনেক শিশুর জন্ম হয় বাড়িতে অদক্ষ ধাত্রীর মাধ্যমে। সেখানে প্রসূতি ও নবজাতকের জটিলতা তৈরি হলে শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সন্তান জন্মদান বাড়াতে হবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশে শিশুমৃত্যুর কারণ বিষয়ে জরিপ করে তথ্য বিশ্লেষণ করেছে বিবিএস। প্রতিষ্ঠানটির জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর বিষয়ে বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। জরিপে বলা হয়েছে, দেশের ২৪ শতাংশ শিশু এখনো নিউমোনিয়ায় মারা যাচ্ছে।</span></span></span></span></p>