<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে নারায়ণগঞ্জে চালু হয়েছে শিক্ষার্থীদের </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিনা লাভের বাজার</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">। একই ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন ময়মনসিংহের শিক্ষার্থীরাও। ছোট পরিসরে হলেও এ নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে কাজ করছে স্বস্তি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ময়মনসিংহ : গতকাল সোমবার সকাল থেকে কলেজের মুক্তমঞ্চের সামনে ন্যায্য মূল্যে শাক-সবজি বিক্রির কার্যক্রম শুরু করেন ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজের একদল শিক্ষার্থী। দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সবজি কিনতে আসা নগরের বাউন্ডারি রোড এলাকার বাসিন্দা নিলুফার ইয়াসমীন (৫০) বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাজারের চেয়ে সব সবজির দাম এখানে কম। শিক্ষার্থীরা এই কার্যক্রম চালু রাখলে বাজারে জিনিসের দাম কমতে পারে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিক্ষার্থীদের ন্যায্য মূল্যের দোকানে ছিল ১৩ ধরনের সবজি। স্থানীয় বাজারে কাঁচা মরিচ কেজিপ্রতি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হলেও তাঁদের দোকানে রাখা হয় ২৫০ টাকা। এভাবে বাজারে ৮০ থেকে ১০০ টাকার ঢেঁড়স এখানে ৭০ টাকা, ১০০ টাকার লম্বা বেগুন ৮০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন শিক্ষার্থীরা। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ছাড়া ২০ টাকা কমে পটোল বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায়, বাজারে ৬০ টাকার আলু এখানে ছিল ৫৫ টাকা, ৭০ টাকার শসা ৫০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ন্যায্য মূল্যে সবজি বিক্রি উদ্যোক্তাদের একজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাজারে আসা সবজি কৃষক থেকে আসতে কয়েকটি হাতবদল হওয়ায় দাম বেড়ে যায়। আমরা প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের কাছ থেকে সবজি সংগ্রহ করায় কম দামে বিক্রি করতে পারছি। এতে কৃষক যেমন ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন, তেমনি ভোক্তাও কম দামে কিনতে পারছেন। বাজার যত দিন অস্থিতিশীল থাকবে, তত দিন আমাদের কার্যক্রম চলবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নারায়ণগঞ্জ : </span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> সকাল ৯টায় শহরের চাষাঢ়ার কলেজ রোড এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই বাজার বসান। দুপুর পর্যন্ত বাজারে চলে বেচাকেনা। জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত প্রতিদিন এই বাজার বসানো হবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরেজমিনে দেখা যায়, বাজারটিতে আকারভেদে লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, প্রতি পিস ডিম ১৩ টাকা, প্রতি কেজি আলু ৫০ টাকা, পেঁয়াজ ১১৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা, প্রতি পিস লেবু পাঁচ টাকা, বাতাবি লেবু ১০ টাকা, প্রতি আঁটি ডাঁটা শাক ১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাজারটিতে পণ্য কিনতে আসা ইসরাফিল হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জিনিসপত্রের অতিরিক্ত দামে একজন গরিব মানুষের জন্য বর্তমানে বাজার করা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বাজারে সব কিছুরই দাম কম। শিক্ষার্থীরা ভালো একটি উদ্যোগ নিয়েছেন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>