<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের নির্দেশের এক মাসেও অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। চলতি মৌসুমেও এ উপজেলায় চালু হয়েছে সাতটি অবৈধ ইটভাটা। আর এসব ইটভাটা নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে তিন ফসলি আবাদি জমি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পেশিশক্তি আর রাজনৈতিক দলের নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রতিবছর টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গড়ে উঠছে এসব অবৈধ ইটভাটা। এ উপজেলায় সব মিলিয়ে ১১৪টি ভাটায় ইট তৈরি ও পোড়ানো হচ্ছে। এসব ভাটার কারণে ভূ-প্রকৃতি ও পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা কৃষি অফিস, বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও জেলা প্রশাসকের ছাড়পত্র পাওয়ার পর ইটভাটা তৈরির বিধান থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা গেছে, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর ৮ ধারায় বলা হয়েছে, আবাসিক, বাণিজ্যিক এলাকা, পৌর এলাকা, সরকারি বা ব্যক্তিমালিকানাধীন বন, অভয়ারণ্য, জলাভূমি, কৃষিজমি, নিষিদ্ধ এলাকার সীমারেখা থেকে ন্যূনতম এক কিলোমিটার ও সরকারি বনাঞ্চলের সীমারেখা থেকে দুই কিলোমিটার, টিলার পাদদেশ থেকে আধাকিলোমিটার, রেলপথ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল থেকে কমপক্ষে এক কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ রয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত ১৯ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিবিএমওএ) নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়সভা হয়। এতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ুু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ইটভাটাজনিত বায়ুদূষণ রোধে আর কোনো নতুন ইটভাটার ছাড়পত্র দেওয়া হবে না বলে উল্লেখ করেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপদেষ্টার এমন ঘোষণার পরও চলতি মৌসুমে মির্জাপুরে নতুন সাতটি ইটভাটা চালু হয়েছে। এ নিয়ে মির্জাপুরে ১১৪টি ভাটায় ইট তৈরি ও পোড়ানো হচ্ছে। যার মধ্যে ৬৯টি ভাটার পরিবেশগতসহ প্রশাসনিক ছাড়পত্র নেই বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত ৬ নভেম্বর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান মির্জাপুরে একটি প্রকল্প পরিদর্শনে আসেন। সেখানে গণমাধ্যমকর্মীরা অবৈধভাবে ইটভাটা নির্মাণ ও বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি অভিযান চালানোর আশ্বাস দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পরিবেশ অধিদপ্তরের টাঙ্গাইল কার্যালয়ের উপপরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক জানান, অবৈধ ভাটাগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।</span></span></span></span></span></p>