<p>গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীরা যদি রাজনৈতিক দল গঠন করেন, সেই দলকে ৪০ শতাংশ মানুষ ভোট দেবেন। আর শিক্ষার্থীদের দলকে ভোট না দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ৪৪ শতাংশ মানুষ। বাকি ১৬ শতাংশ মানুষ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) ‘পালস সার্ভের’ দ্বিতীয় ধাপের জরিপের ফলাফলে এমন চিত্র দেখা গেছে।</p> <p>বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশে (পিআইবি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। বিআইজিডির আয়োজনে ‘অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশ : মানুষ কী ভাবছে’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা সহযোগী শেখ আরমান তামিম অনুষ্ঠানে জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন। গত ১৫ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে এ জরিপ চালানো হয়।</p> <p>জরিপে গ্রাম ও শহরের নানা শ্রেণি-পেশার ৪ হাজার ১৫৮ মানুষের মতামত নেওয়া হয়। তাদের ৫৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৭ শতাংশ নারী। আঞ্চলিক হিসাব অনুযায়ী- ৫১ শতাংশ গ্রামের এবং ৪৯ শতাংশ শহরের। এ ছাড়া জরিপে দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ, নির্বাচন, চলমান সমস্যা, সংস্কার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করে মানুষের মতামত জানতে চাওয়া হয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="নির্বাচন নিয়ে কিছু মানুষ অস্থির হয়ে গেছে : মাসুদ সাঈদী" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/11/1733924570-e06d061a77a7bde916b8a91163029d41.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>নির্বাচন নিয়ে কিছু মানুষ অস্থির হয়ে গেছে : মাসুদ সাঈদী</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/12/11/1456409" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এদিকে দেশে এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে ভোট দেওয়ার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেননি ৩৮ শতাংশ মানুষ। বাকি ৬২ শতাংশ মানুষের মধ্যে ১৬ শতাংশ বিএনপিকে, ১১ শতাংশ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে এবং ৯ শতাংশ ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে, ৩ শতাংশ মানুষ অন্যান্য ইসলামী দল ও এক শতাংশ জাতীয় পার্টিকে ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।</p> <p>জরিপের ফল প্রকাশের পর অনুষ্ঠানে প্যানেল ও উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অংশ নেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফেরদৌস আজিম, পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক আহমেদ আহসান, বিআইজিডির জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো মির্জা এম হাসান, নির্বাহী পরিচালক ইমরান মতিন প্রমুখ।</p>