কুড়িগ্রামের চিলমারীতে পাম্পের পাশেই গড়ে উঠেছে অবৈধ মিনি পাম্প। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই ফিলিং স্টেশনের মতো ডিসপেন্সার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে তেল বিক্রি করায় একদিকে যেমন ঝুঁকি বেড়েছে, অন্যদিকে সঠিক মিটার না থাকায় মানুষজন প্রতারিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম-চিলমারী মহাসড়কের পাশে উপজেলার মাটিকাটার মোড়ের পাশে মেসার্স সাগর ফিলিং স্টেশন ও এলপিজি গ্যাস স্টেশন অবস্থিত। ফিলিং স্টেশনটি দীর্ঘদিন ধরে তেল সরবরাহ করে এলেও এর প্রায় ১০০ মিটারের ভেতরে গড়ে উঠেছে মেসার্স সোহেল অ্যান্ড ব্রাদার্স নামের একটি মিনি পাম্প।
২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর যমুনা, পদ্মা ও মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা তদন্ত করে অবৈধভাবে জ্বালানি তেল বিক্রি কার্যক্রম পরিচালনাকারী মেসার্স সোহেল অ্যান্ড ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেন।
মেসার্স সোহেল অ্যান্ড ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী সামিউল আলম সোহেল বলেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে তেল বিক্রির (এনওসি) অনুমোদন রয়েছে। সম্পূর্ণ বৈধভাবে তেল বিক্রি করা হচ্ছে বলে দাবি এই ব্যবসায়ীর।
মেসার্স সাগর ফিলিং স্টেশন স্বত্বাধিকারী আলহাজ মাহফুজার রহমান বলেন, ‘২০০৭ সাল থেকে আমার পাম্পটি পরিচালিত হয়ে আসছে।
হঠাৎ কয়েক বছর ধরে নিয়ম-নীতি না মেনেই সোহেল
অ্যান্ড ব্রাদার্স পাম্প ঘেঁষে অবাধে মেশিন, কুপি ও চোঙা দিয়ে দেদার জ্বালানি তেল মজুদ ও বিক্রি করে আসছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি।
যমুনা অয়েল কম্পানি লিমিটেডের সহকারী মহাব্যবস্থাপক জসীম উদ্দিন বলেন, অবৈধভাবে তেল বিক্রি বন্ধ করতে সম্প্রতি আবারও পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা এই তিন কম্পানি সম্মিলিতভাবে জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছে।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।