এয়ার ফ্রায়ার কেনার আগে কোন বিষয়গুলো জানা জরুরি?
পরিবারের সদস্যসংখ্যা কতজন, সেই অনুযায়ী এয়ার ফ্রায়ারের মাপ বেছে নিতে হবে। পাশাপাশি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে জানা জরুরি। বিভিন্ন তাপমাত্রায় রান্নার জন্য অ্যাডজাস্টেবল কন্ট্রোল না থাকলে নানা রকম ঝামেলায় পড়তে হয়। কতটুকু বিদ্যুৎ খরচ হবে, সহজে পরিষ্কার করা যাবে কি না, কিভাবে যত্ন নিতে হবে, প্রিসেট রান্নার সুযোগ আছে কি না এবং ব্যবহার করা কতটা সহজ; সেই সঙ্গে জেনে নিতে হবে ভালো একটি গাইডলাইন আছে কি না।
শুধু ভাজা খাবারের জন্য, নাকি এতে অন্যান্য খাবারও তৈরি করা যায়?
এয়ার ফ্রায়ার শুধু ভাজা খাবারের জন্য নয়, এটি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের রান্নাও করা যায়। যেমন : বিভিন্ন রকমের স্ন্যাকস—ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, নাগেটস, চিপস, সমুচা। আমিষ—চিকেন গ্রিল, ফিশ ফ্রাই, শিক কাবাব। সবজি—গ্রিলড ভেজিটেবল, রোস্টেড ব্রকোলি।
বেকিং—কেক, ব্রেড, বিস্কুট। দেশীয় খাবারের মধ্যে পরোটা, শিক কাবাব, বেগুনি, আলুর চপ ইত্যাদি রান্না করা যায়।
দেশীয় রান্নায় এটি কতটা উপযোগী?
বাংলাদেশি অনেক খাবারে বেশি তেল ব্যবহার করা হয়; যেমন—পরোটা, বেগুনি, শিঙ্গাড়া ইত্যাদি। এয়ার ফ্রায়ার ব্যবহার করলে এগুলো তুলনামূলক কম তেলে স্বাস্থ্যকরভাবে রান্না করা সম্ভব।
এ দেশের মানুষ খেতে ভালোবাসে এমন কিছু খাদ্য, যেমন—ভুনা বা ঝোলজাতীয় খাবার তৈরি করতে এয়ার ফ্রায়ার উপযুক্ত নয়। কাবাব, শামি কাবাব, চিকেন টিক্কা, রোস্ট, মাছের ফ্রাই ইত্যাদি সহজেই তৈরি করা যায়।
এয়ার ফ্রায়ার ব্যবহারে বিদ্যুৎ খরচ বেশি হয় কি?
এয়ার ফ্রায়ার ব্যবহারে সাধারণত ১২০০-১৫০০ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হয়ে থাকে। এটি অনেকটাই ইলেকট্রিক ওভেনের মতো। তবে এতে খাবার দ্রুত রান্না হয়, ফলে বিদ্যুৎ বা গ্যাসের চুলার তুলনায় খরচ কম হয়।
এটি পরিষ্কার করা কতটা সহজ?
এয়ার ফ্রায়ারের বাস্কেট ও ট্রে সাধারণত নন-স্টিক হওয়ায় এটি সহজে পরিষ্কার করা যায়। কিছু মডেলে ডিশওয়াশার সেফ বাস্কেট আছে, ফলে পরিষ্কার করা আরো সহজ। প্রতিবার ব্যবহার শেষে হালকা গরম পানি ও সাবান দিয়ে ধুয়ে নিলে পরিষ্কার রাখা সহজ।
বাংলাদেশের বাজারে এয়ার ফ্রায়ারের চাহিদা কেমন?
বাংলাদেশে এয়ার ফ্রায়ারের বাজার ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে; বিশেষ করে শহরাঞ্চলে স্বাস্থ্যসচেতন মানুষদের মধ্যে এর চাহিদা বেড়েছে। কভিড মহামারির পর থেকে মানুষ ঘরে তৈরি খাবারের প্রতি আগ্রহী হয়েছে। স্বাস্থ্যকর উপায়ে খাবার তৈরি করার প্রবণতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। মধ্যবিত্ত ও উচ্চমধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতার মধ্যে মূলত এয়ার ফ্রায়ার কেনার প্রবণতা বেশি থাকলেও কম তেলে, কম সময়ে ঝামেলামুক্ত রান্নার সহায়ক বলে কম আয়ের ব্যাচেলর, ছোট পরিবার ও কর্মজীবী মানুষদের রান্নাঘরেও শোভা পাচ্ছে।
ওয়ালটনের এয়ার ফ্রায়ারের বিশেষত্ব ও সুবিধা কী?
ওয়ালটন এয়ার ফ্রায়ারের উন্নত প্রযুক্তি ও ব্যাবহারিক সুবিধার কারণে বাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে রয়েছে। এর কিছু মূল বৈশিষ্ট্য হলো—উন্নত র্যাপিড এয়ার সার্কুলেশন প্রযুক্তি, যা খাবারকে সমানভাবে রান্না করে এবং বাইরের অংশ মুচমুচে রাখে। তেলের ব্যবহার ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কম হওয়ায় এটি স্বাস্থ্যকর ও লো-ফ্যাট রান্নার জন্য উপযুক্ত। দুটি ক্যাপাসিটি অপশন যেমন—৬ লিটার (এএন-০৬এল) বড় পরিবার বা বেশি রান্নার জন্য উপযোগী এবং ৪ লিটার (কেবি-০৪এল) ছোট পরিবার ও ব্যাচেলরদের জন্য সুবিধাজনক। এতে রয়েছে ডিজিটাল টাচ স্ক্রিন ও ম্যানুয়াল কন্ট্রোল অপশন, যা ব্যবহার সহজ করে। ৪০ থেকে ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত টেম্পারেচার কন্ট্রোল থাকায় বিভিন্ন ধরনের খাবার সহজে রান্না করা যায়। ৬০ মিনিট পর্যন্ত টাইমার সেটিংস থাকায় রান্না স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন হয়, বারবার মনিটর করার প্রয়োজন নেই। সহজ পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণে নন-স্টিক কোটিং থাকায় এটি দ্রুত পরিষ্কার করা যায়। ওয়ালটন এয়ার ফ্রায়ার দেশি রান্নার উপযোগী করেই ডিজাইন করা হয়েছে। এ ছাড়া ওয়ালটনের বিক্রয়োত্তর সেবা, ওয়ারেন্টি সুবিধা রয়েছে।