স্বাস্থ্যকর রান্নায় এয়ার ফ্রায়ার

  • অতিরিক্ত তেল ছাড়া মজাদার খাবার রান্নায় এয়ার ফ্রায়ারের জুড়ি নেই। স্বাদ অটুট রেখেও প্রায় ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কম তেল ব্যবহার করে এতে রান্না করা যায়। তাই মজাদার খাবারও হয় স্বাস্থ্যকর। এয়ার ফ্রায়ারের বিস্তারিত জানাচ্ছেন এস এম তাহমিদ
শেয়ার
স্বাস্থ্যকর রান্নায় এয়ার ফ্রায়ার
ওয়ালটন এএন-০৬এল এয়ার ফ্রায়ার

নামে এয়ার ফ্রায়ার হলেও ভাজা খাবার তৈরি ছাড়াও এতে ওভেনের মতোই বেকিং বা রোস্টিংও করা যায়। বেকিংয়ের জন্য অতিরিক্ত তেল বা মাখনের প্রয়োজনও হয় না। ফলে পুরো বিশ্বে এয়ার ফ্রায়ারের জনপ্রিয়তা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে।

 

কিভাবে কাজ করে

ভাজা খাবার মুচমুচে হয় মেইলার্ড রি-অ্যাকশনের মাধ্যমে।

তেলের সংস্পর্শে তাপের প্রভাবে এর মধ্যে থাকা প্রোটিন ও চিনি মিলে তৈরি হয় শক্ত প্রলেপ, যার ফলে খাবার হয় মুচমুচে ও সুস্বাদু। প্রক্রিয়াটি যাতে ঠিকঠাক হয়, সে জন্য বের করে দিতে হয় খাবারের আর্দ্রতা এবং তাপ প্রবেশ করাতে হয় সমানভাবে। ডুবো তেলে ভাজার সময় খাবারের মধ্যে থাকা পানি সরিয়ে দিয়ে গরম তেল খাবারের প্রতিটি অংশে সমানভাবে তাপ পৌঁছে দেয়। বেকিং বা রোস্টিংয়ের সময়ও ঠিক একই কারণে তেল ব্রাশ করতে হয়।
খাবারের স্বাদ ও গন্ধে তেলের ভূমিকা থাকলেও এর জন্য অনেক বেশি পরিমাণ তেলের প্রয়োজন হয় না।

আর্দ্রতা দূর করা এবং খাবারে সমানভাবে তাপ পৌঁছে দেওয়ার কাজটি তেল ছাড়াই করে এয়ার ফ্রায়ার। যন্ত্রটিতে হিটার আছে তাপ তৈরির জন্য, খাবারে সমানভাবে তাপ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আছে শক্তিশালী ফ্যান এবং খাবার রান্নার জন্য আছে জালিযুক্ত ট্রে বা বাস্কেট। বাস্কেটের মধ্যে খাবার রেখে অল্প পরিমাণ তেল ব্রাশ বা স্প্রে করে যন্ত্রটি চালু করলেই চলবে।

হিটারের তাপ শক্তিশালী ফ্যানের মাধ্যমে পুরো বাস্কেটে সঞ্চালিত হবে, ফলে খাবার হয়ে উঠবে শুকনো ও মুচমুচে। ঠিক ডুবো তেলে ভাজার মতোই।

 স্বাদ ও গন্ধের জন্য ঠিক যেটুকু তেল প্রয়োজন, ঠিক ততটুকুই খাবারে প্রবেশ করবে, অপ্রয়োজনীয় তেল খাবারে থাকবে না। স্বাদও থাকবে অটুট।

 

https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2025/03.March/15-03-2025/kalerkantho-sd-1a.jpgকী রান্না করা যায়

ভাজা খাবার তৈরিতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় এয়ার ফ্রায়ার।

ফ্রাইড চিকেন, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চপ বা কাবাবের মতো বিভিন্ন খাবার এতে ভাজা যায়। মাছ বা মাংস রোস্ট করার জন্যও এয়ার ফ্রায়ার খুবই কাজের। বিশেষ করে রেডি-টু-কুক ফ্রোজেন খাবারগুলো ভাজা বা রোস্ট করার জন্য এয়ার ফ্রায়ার আদর্শ।

বিস্কুট, মাফিন বা কেকও তৈরি করা যায় এয়ার ফ্রায়ারে। মুচমুচে ক্রাস্টযুক্ত পেস্ট্রিজাতীয় খাবার, যেমনক্রসেন্ট বা পাই তৈরি করতেও এয়ার ফ্রায়ারের জুড়ি নেই। তবে শুকনো খাবার ছাড়া অন্য কিছু এতে রান্না করা সম্ভব নয়।

বাড়তি সুবিধা

স্বাস্থ্যকর রান্নার পাশাপাশি এয়ার ফ্রায়ার ব্যবহারের বাড়তি কিছু সুবিধাও আছে। যেমন

 

ওভেনে বেকিং বা ডিপ ফ্রায়ারে ডুবো তেলে ভাজার তুলনায় দ্রুত রান্না করা যায়। ১০ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যেই প্রস্তুত হয় খাবার।

ইনডাকশন চুলা, মাল্টি কুকার বা ওভেনের চেয়ে এয়ার ফ্রায়ার অধিক বিদ্যুৎসাশ্রয়ী।

তাপমাত্রা ও রান্নার সময় সেট করা যায়। ফলে খাবার রান্নার সময় দেখভাল করার প্রয়োজন নেই।

রান্নার পর এয়ার ফ্রায়ার পরিষ্কার করাও সহজ। খাবারের ট্রে বা বাস্কেট প্রয়োজনে ডিশ ওয়াশারেও পরিষ্কার করা যায়।

ভাজা শেষে পোড়া তেল সামলানোর ঝামেলা নেই, তেলের অপচয়ও হয় না।

তেলে ভাজার গন্ধ পুরো বাসায় ছড়িয়ে যায়, এয়ার ফ্রায়ারে এই সমস্যা নেই।

গরম তেল অত্যন্ত বিপজ্জনক। এয়ার ফ্রায়ার ব্যবহারে সেই ঝুঁকি নেই।

 

দরদাম

বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও মডেলের এয়ার ফ্রায়ার পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। ধারণক্ষমতা ও ফিচার অনুযায়ী মডেলগুলোর দাম কম-বেশি হয়ে থাকে। দেশীয় নির্মাতা ওয়ালটনের বিভিন্ন মডেলের এয়ার ফ্রায়ার বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। ফিচার, মান ও ডিজাইনে প্রতিটি মডেলই অনন্য। ওয়ালটনের তৈরি এয়ার ফ্রায়ারের দাম পাঁচ হাজার ৮০০ টাকা থেকে শুরু, ওয়ারেন্টিও থাকছে ২৪ মাস পর্যন্ত। ছোট-বড় সব মডেলেই থাকছে প্রয়োজনীয় সব ফিচার। অনলাইনে কিনতে চাইলে ই-প্লাজা ওয়েবসাইট থেকে অর্ডার করা যাবে।

অন্যান্য ব্র্যান্ডের এয়ার ফ্রায়ার মিলবে ১০ থেকে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে। ইলেকট্রনিক সামগ্রী অথবা ক্রোকারিজের দোকানে পাওয়া যাবে এয়ার ফ্রায়ার। অনলাইনেও বেশ কিছু ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে এটি বিক্রি হচ্ছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সাক্ষাৎকার

দেশেও জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এয়ার ফ্রায়ার

    গৃহস্থালি ইলেকট্রনিক সামগ্রী তৈরিতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে দেশীয় নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। এর মধ্যে আছে এয়ার ফ্রায়ারও। এর ব্যবহার ও ফিচারের বিষয়ে ওয়ালটন হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সের চিফ বিজনেস অফিসার মোস্তফা কামালের সঙ্গে কথা বলেছেন অলকানন্দা রায়
শেয়ার
দেশেও জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এয়ার ফ্রায়ার
মোস্তফা কামাল, চিফ বিজনেস অফিসার, ওয়ালটন হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স

এয়ার ফ্রায়ার কেনার আগে কোন বিষয়গুলো জানা জরুরি?

পরিবারের সদস্যসংখ্যা কতজন, সেই অনুযায়ী এয়ার ফ্রায়ারের মাপ বেছে নিতে হবে। পাশাপাশি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে জানা জরুরি। বিভিন্ন তাপমাত্রায় রান্নার জন্য অ্যাডজাস্টেবল কন্ট্রোল না থাকলে নানা রকম ঝামেলায় পড়তে হয়। কতটুকু বিদ্যুৎ খরচ হবে, সহজে পরিষ্কার করা যাবে কি না, কিভাবে যত্ন নিতে হবে, প্রিসেট রান্নার সুযোগ আছে কি না এবং ব্যবহার করা কতটা সহজ; সেই সঙ্গে জেনে নিতে হবে ভালো একটি গাইডলাইন আছে কি না।

 

শুধু ভাজা খাবারের জন্য, নাকি এতে অন্যান্য খাবারও তৈরি করা যায়?

এয়ার ফ্রায়ার শুধু ভাজা খাবারের জন্য নয়, এটি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের রান্নাও করা যায়। যেমন : বিভিন্ন রকমের স্ন্যাকসফ্রেঞ্চ ফ্রাই, নাগেটস, চিপস, সমুচা। আমিষচিকেন গ্রিল, ফিশ ফ্রাই, শিক কাবাব। সবজিগ্রিলড ভেজিটেবল, রোস্টেড ব্রকোলি।

  বেকিংকেক, ব্রেড, বিস্কুট। দেশীয় খাবারের মধ্যে পরোটা, শিক কাবাব, বেগুনি, আলুর চপ ইত্যাদি রান্না করা যায়।

 

দেশীয় রান্নায় এটি কতটা উপযোগী?

বাংলাদেশি অনেক খাবারে বেশি তেল ব্যবহার করা হয়; যেমনপরোটা, বেগুনি, শিঙ্গাড়া ইত্যাদি। এয়ার ফ্রায়ার ব্যবহার করলে এগুলো তুলনামূলক কম তেলে স্বাস্থ্যকরভাবে রান্না করা সম্ভব।

এ দেশের মানুষ খেতে ভালোবাসে এমন কিছু খাদ্য, যেমনভুনা বা ঝোলজাতীয় খাবার তৈরি করতে এয়ার ফ্রায়ার উপযুক্ত নয়। কাবাব, শামি কাবাব, চিকেন টিক্কা, রোস্ট, মাছের ফ্রাই ইত্যাদি সহজেই তৈরি করা যায়।

 

এয়ার ফ্রায়ার ব্যবহারে বিদ্যুৎ খরচ বেশি হয় কি?

এয়ার ফ্রায়ার ব্যবহারে সাধারণত ১২০০-১৫০০ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হয়ে থাকে। এটি অনেকটাই ইলেকট্রিক ওভেনের মতো। তবে এতে খাবার দ্রুত রান্না হয়, ফলে বিদ্যুৎ বা গ্যাসের চুলার তুলনায় খরচ কম হয়।

 

এটি পরিষ্কার করা কতটা সহজ?

এয়ার ফ্রায়ারের বাস্কেট ও ট্রে সাধারণত নন-স্টিক হওয়ায় এটি সহজে পরিষ্কার করা যায়। কিছু মডেলে ডিশওয়াশার সেফ বাস্কেট আছে, ফলে পরিষ্কার করা আরো সহজ। প্রতিবার ব্যবহার শেষে হালকা গরম পানি ও সাবান দিয়ে ধুয়ে নিলে পরিষ্কার রাখা সহজ।

 

বাংলাদেশের বাজারে এয়ার ফ্রায়ারের চাহিদা কেমন?

বাংলাদেশে এয়ার ফ্রায়ারের বাজার ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে; বিশেষ করে শহরাঞ্চলে স্বাস্থ্যসচেতন মানুষদের মধ্যে এর চাহিদা বেড়েছে। কভিড মহামারির পর থেকে মানুষ ঘরে তৈরি খাবারের প্রতি আগ্রহী হয়েছে। স্বাস্থ্যকর উপায়ে খাবার তৈরি করার প্রবণতাও বৃদ্ধি  পেয়েছে। মধ্যবিত্ত ও উচ্চমধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতার মধ্যে মূলত এয়ার ফ্রায়ার কেনার প্রবণতা বেশি থাকলেও কম তেলে, কম সময়ে ঝামেলামুক্ত রান্নার সহায়ক বলে কম আয়ের ব্যাচেলর, ছোট পরিবার ও কর্মজীবী মানুষদের রান্নাঘরেও শোভা পাচ্ছে।

 

ওয়ালটনের এয়ার ফ্রায়ারের বিশেষত্ব ও সুবিধা কী?

ওয়ালটন এয়ার ফ্রায়ারের উন্নত প্রযুক্তি ও ব্যাবহারিক সুবিধার কারণে বাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে রয়েছে। এর কিছু মূল বৈশিষ্ট্য হলোউন্নত র‌্যাপিড এয়ার সার্কুলেশন প্রযুক্তি, যা খাবারকে সমানভাবে রান্না করে এবং বাইরের অংশ মুচমুচে রাখে। তেলের ব্যবহার ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কম হওয়ায় এটি স্বাস্থ্যকর ও লো-ফ্যাট রান্নার জন্য উপযুক্ত। দুটি ক্যাপাসিটি অপশন যেমন৬ লিটার (এএন-০৬এল) বড় পরিবার বা বেশি রান্নার জন্য উপযোগী এবং ৪ লিটার (কেবি-০৪এল) ছোট পরিবার ও ব্যাচেলরদের জন্য সুবিধাজনক। এতে রয়েছে ডিজিটাল টাচ স্ক্রিন ও ম্যানুয়াল কন্ট্রোল অপশন, যা ব্যবহার সহজ করে। ৪০ থেকে ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত টেম্পারেচার কন্ট্রোল থাকায় বিভিন্ন ধরনের খাবার সহজে রান্না করা যায়। ৬০ মিনিট পর্যন্ত টাইমার সেটিংস থাকায় রান্না স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন হয়, বারবার মনিটর করার প্রয়োজন নেই। সহজ পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণে নন-স্টিক কোটিং থাকায় এটি দ্রুত পরিষ্কার করা যায়। ওয়ালটন এয়ার ফ্রায়ার দেশি রান্নার উপযোগী করেই ডিজাইন করা হয়েছে। এ ছাড়া ওয়ালটনের বিক্রয়োত্তর সেবা, ওয়ারেন্টি সুবিধা রয়েছে।

মন্তব্য

দরদাম

শেয়ার
দরদাম

বাংলাদেশের বাজারে প্রচলিত পাম্পের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়ালটন, মারকুইস, পেড্রোলো, গাজী ও আরএফএল। বর্তমানে স্ট্যান্ডার্ড ও সাবমারসিবল—এ দুই শ্রেণিতে পানির পাম্প বিক্রি করা হয়ে থাকে।

 

সারফেস পাম্প

ওয়ালটন

১ ঘোড়ার WWP-HY-JSW10M-J মডেলের দাম ৭ হাজার ৬০০ টাকা; ১ ঘোড়ার WWP-HY-JSW10M-X মডেলের দাম ৭ হাজার ৯০০ টাকা; ১.৫ ঘোড়ার WPSJm3CL-1.5 মডেলের দাম ১০ হাজার ১৫০ টাকা এবং ২ ঘোড়ার WPSJm3BM-2.0 মডেলের দাম ১০ হাজার ৭০০ টাকা।

আরএফএল

০.৫ ঘোড়ার RYC 802-4 মডেলের দাম ৭ হাজার ৬০ টাকা; ১ ঘোড়ার RYC 90L-4 মডেলের দাম ৮ হাজার ৬০০ টাকা এবং ২ ঘোড়ার RYL100L-4 মডেলের দাম ১৩ হাজার ৭৫০ টাকা।

গাজী

১ ঘোড়ার TJSW-100XL মডেলের সারফেস জেট পাম্পের দাম ৭ হাজার থেকে ৭ হাজার ৪০০ টাকা; ১ ঘোড়ার TJSW-10M মডেলের দাম ৮ হাজার ২০০ থেকে ৮ হাজার ৭০০ টাকা এবং ১.৫ ঘোড়ার TJSW 3CL মডেলের দাম ১২ হাজার ৮০০ থেকে ১৩ হাজার ৬০০ টাকা।

এসিআই

০.৭৫ ঘোড়ার ACI-JSW 0.7m মডেলের সারফেস জেট ওয়াটার পাম্পের দাম ৮ হাজার ২৩০ থেকে ৮ হাজার ৭০০ টাকা; ১ ঘোড়ার ACI-JSW 100m মডেলের দাম ৮ হাজার ৭০০ থেকে ৯ হাজার ২০০ টাকা এবং ১.৫ ঘোড়ার ACI-JSW 15m মডেলের দাম ১২ হাজার ২৮০ থেকে ১২ হাজার ৯০০ টাকা।

 

সাবমারসিবল পাম্প

ওয়ালটন

০.৩৩ ঘোড়ার WP3SDM 2.5/8-0.33 মডেলের দাম ৮ হাজার ৭০০ টাকা; ০.৫ ঘোড়ার WP3SDM 3.5-8-0.5 মডেলের দাম ৯ হাজার ৪০০ টাকা; ০.৭৫ ঘোড়ার WP3SDM 3/16-0.75hp মডেলের দাম ১১ হাজার ৫০০ টাকা; ১ ঘোড়ার WP3SDM 3/21-1.0hp মডেলের দাম ১২ হাজার ৭০০ টাকা এবং ১ ঘোড়ার WP4SDM6/9-1.0 মডেলের দাম ১৩ হাজার ২০০ টাকা।

আরএফএল

১ ঘোড়ার 3RKm746 মডেলের দাম ১২ হাজার ৮৮৫ টাকা এবং ১.৫ ঘোড়ার 75QRm4/25A মডেলের দাম ১৭ হাজার ৫৯০ টাকা।

গাজী

২ ঘোড়ার 4 SDM-10-10 মডেলের দাম ১৫ হাজার ৮০০ থেকে ১৭ হাজার টাকা।

 

সেন্ট্রিফিউগাল পাম্প

এসিআই

১ ঘোড়ার ACI-CP-1.0 মডেলের দাম ৯ হাজার ১০০ থেকে ৯ হাজার ৫৫০ টাকা এবং ২ ঘোড়ার ACI-2CPm-2.0 মডেলের দাম ১৯ হাজার ১০০ থেকে ২০ হাজার টাকা।

ওয়ালটন

২ ঘোড়ার WP2XCm25/160B-2.0 মডেলের দাম ১৪ হাজার ২০০ টাকা।

গাজী

২ ঘোড়ার 2TCP-25/160B মডেলের দাম ১৬ হাজার ৭৫০ থেকে ১৭ হাজার ৫০০ টাকা।

মন্তব্য
[ সাক্ষাৎকার ]

ভবিষ্যতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পাম্প নিয়ে আসব

শেয়ার
ভবিষ্যতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পাম্প নিয়ে আসব
মোস্তফা কামাল

দেশে একসময় পানির পাম্প ছিল আমদানিনির্ভর। এখন সেখানে দাপট দেখাচ্ছে ওয়ালটনের মতো দেশি কম্পানিগুলো। এমনকি দেশে উৎপাদনের অনুকূল পরিবেশ কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে রপ্তানিরও সম্ভাবনা দেখছে তারা। এ বিষয়ে ওয়ালটনের হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সের চিফ বিজনেস অফিসার মোস্তফা কামালের সঙ্গে কথা বলেছেন পিন্টু রঞ্জন অর্ক

 

বাজারে বিভিন্ন কম্পানির ওয়াটার পাম্প আছে।

ঠিক কী কী কারণে ক্রেতারা আপনাদের পাম্প বেছে নেবেন?

সঠিক উচ্চতায় অধিক পানির প্রবাহ, কম খরচে পানির নিশ্চয়তা, সর্বোচ্চ বিক্রয়োত্তর সেবা, লো ভোল্টেজে ব্যবহারের সুবিধা, অধিক হিট প্রতিরোধী সুরক্ষাব্যবস্থা থাকার কারণে মানুষ ওয়ালটন পাম্প বেছে নিচ্ছে। তা ছাড়া শতভাগ তামার তার ব্যবহৃত হওয়ায় পাম্প হয় অধিক টেকসই। পাম্প শব্দহীন করতে ব্যবহার করা হয় উন্নত প্রযুক্তির বেয়ারিং।

 

কত ধরনের ওয়াটার পাম্প আছে আপনাদের?

বর্তমানে বাজারে ওয়ালটনের পেরিফেরাল, জেট, ইরিগেশন, ড্রেনেজ, সাবমারসিবল, সেন্ট্রিফিউগালসহ মোট ছয় ধরনের পাম্প রয়েছে।

এ ছাড়া ভবিষ্যতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পাম্প বাজারজাতকরণের পরিকল্পনা রয়েছে।

 

আপনাদের সাবমারসিবল পাম্প কি যেকোনো উচ্চতায় পানি সরবরাহে সক্ষম?

ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী সাবমারসিবল পাম্পের একেকটি মডেল একেক উচ্চতার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। বাজারের সাধারণ সাবমারসিবল পাম্পের তুলনায় ওয়ালটন পাম্প ব্যবহারের অনেক সুবিধা। যেমন—কম খরচে অধিক উচ্চতায় সঠিক পানির নিশ্চয়তা, মরিচা প্রতিরোধী স্টেইনলেস স্টিল ব্যবহার, সঠিক বৈদ্যুতিক সংযোগের জন্য উন্নতমানের নীল-ফ্ল্যাট কেবল ব্যবহার করা হয় ওয়ালটন পাম্পে।

স্থিতিশীল পানির প্রবাহ নিশ্চিত করতে সঠিক মানের ক্যাপাসিটরও ব্যবহার করা হয়। চলে লো ভোল্টেজেও।

 

বর্ষাকালে নানা জায়গায় জমে থাকা পানি নিরসনে কোন পাম্পের কার্যকারিতা বেশি?

বর্ষাকালে জমে থাকা পানি দ্রুত নিরসনে ড্রেনেজ পাম্প সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ওয়ালটন ড্রেনেজ পাম্প সেগমেন্টে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী ১ ঘোড়া, ১.৫ ঘোড়া ও ২ ঘোড়া—এই তিনটি ক্যাপাসিটির পাম্প বাজারজাত করেছে।

 

পাম্প কেনার সময় একজন ক্রেতার কোন কোন জিনিস লক্ষ রাখা দরকার?

ব্যবহারের ক্ষেত্র অনুযায়ী পানি উত্তোলনের উচ্চতা এবং পানির লেয়ার অনুযায়ী সঠিক পাম্প নির্বাচন করা একজন ক্রেতার জন্য অত্যন্ত জরুরি।

বিক্রয়োত্তর সেবা দ্রুত নিশ্চিত করা হয় কি না, সেটাও যাচাই করে দেখা দরকার।

 

পাম্প ব্যবহারের ক্ষেত্রে মোটরের স্বাস্থ্য ভালো রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে কী কী নিয়ম মানা জরুরি বলে মনে করেন?

দক্ষ টেকনিশিয়ান দ্বারা পাম্প সংযোগ করা, ওয়্যারিংয়ের জন্য সঠিক মানের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার, সারফেস পাম্প খোলা ও স্যাঁতসেঁতে জায়গায় ব্যবহার না করা, বৃষ্টির পানি এবং কেমিক্যাল রি-অ্যাকশনের সংস্পর্শে পাম্প না রাখা, ব্যবহারের ক্ষেত্র অনুযায়ী সঠিক পাম্প নির্বাচন, পাম্প ব্যবহারের পূর্বে সঠিকভাবে প্রাইমিং করা।

মন্তব্য

পানির পাম্পের হালহকিকত

শেয়ার
পানির পাম্পের হালহকিকত
ব্যবহার অনুযায়ী সঠিক পাম্প নির্বাচন করা উচিত। ছবি : লুৎফর রহমান

ফসল ফলানোর সেচ থেকে শুরু করে সুউচ্চ দালানে পানি তোলা কিংবা জমে থাকা ময়লা পানি পরিষ্কারের জন্য চাই পাম্প। হরেক কাজের জন্য আছে হরেক রকম পানির পাম্প। আর সেই সব পাম্পের খোঁজখবর জানাচ্ছেন  আল সানি

শুষ্ক মৌসুমে ফসলের মাঠে চাষাবাদে লাগে অতিরিক্ত পানি। এ সময় কৃষকদের ভরসা পানির পাম্প।

শহরের বাসিন্দারা তো বটেই, গ্রামের মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারেও দেখা মেলে পানির পাম্পের। শখের সবজিবাগান, পারিবারিক ফলদ বাগান কিংবা গাড়ি ধোয়ার কাজেও ব্যবহৃত হয় পাম্প।

পাম্পের রকমফের

কৃষিজমিতে সেচ দেওয়া এবং গৃহস্থালির কাজকর্মে পানি সরবরাহের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের পাম্প ব্যবহার করা হয়। মোটাদাগে দুই ভাগে এই পাম্পগুলোকে ভাগ করা হয়—সারফেস পাম্প ও সাবমারসিবল পাম্প।

সারফেস পাম্পেরও আছে বেশ কিছু প্রকারভেদ—পেরিফেরাল বা টানা পাম্প ও সেন্ট্রিফিউগাল পাম্প। পেরিফেরাল বা টানা পাম্প সাধারণত বাসাবাড়িতে, যেখানে অল্প পরিমাণে পানি দরকার হয়, সেখানে অধিক কার্যকর। অগভীর উৎস থেকে পানি টেনে আনার ক্ষেত্রে বেশ সহায়ক এটি। দামে কম হওয়ায় এই পাম্প বেশ জনপ্রিয়।
সেন্ট্রিফিউগাল পাম্প মূলত কেন্দ্রমুখী বল কাজে লাগিয়ে নিচু জায়গা থেকে অধিক উচ্চতায় পানি তোলে। এই পাম্পেরও আছে বেশ কিছু ধরন—জেট পাম্প বা স্যে প্রাইমিং পাম্প, রোটারি পাম্প ও টারবাইন পাম্প। ১৯২৮ সালে আর্মেনিয়ার তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী আরমাইস অরুতুনফ তেল সরবরাহের জন্য নতুন একটি পাম্প তৈরি করেন, যেটি আধুনিককালে সাবমারসিবল পাম্প হিসেবে পরিচিত। এই পাম্প তিন প্রকার—আবাসিক সাবমারসিবল পাম্প, ইন্ডাস্ট্রিয়াল সাবমারসিবল পাম্প ও ড্রেনেজ বা সুয়্যারেজ সাবমারসিবল পাম্প।

আপনার জন্য কোন পাম্প

পানির পাম্প কেনার আগে খেয়াল রাখা উচিত পাম্পটি কী কাজে ব্যবহার করা হবে।

একটি পাম্পের ক্ষমতা নির্ধারিত হয় পাম্পটি প্রতি সেকেন্ডে কী পরিমাণ পানি উত্তোলন করতে পারে তার ওপর ভিত্তি করে। পাম্পের কাজ করার এই ক্ষমতার একক হচ্ছে কিউসেক বা ঘনফুট/সেকেন্ড। তবে বোঝার সুবিধার্থে পাম্পের ক্ষমতাকে হর্সপাওয়ার বা অশ্বশক্তি কিংবা ঘোড়া হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়। প্রয়োজন না থাকলে বেশি শক্তির পাম্প ব্যবহার না করাই ভালো, এতে বিদ্যুত্শক্তি ও পাম্পের স্বাস্থ্য দুই-ই সুরক্ষিত থাকে। সাধারণত একতলা বাড়ি বা টিনশেড বাড়ির ক্ষেত্রে ০.৫ ঘোড়া পাম্পই যথেষ্ট।

যেসব এলাকার ভূগর্ভস্থ পানির স্তর শুষ্ক মৌসুমে নেমে ১৫ থেকে ৩০ ফুটের মধ্যে থাকে তাদের জন্য ১ ঘোড়া শক্তিসম্পন্ন পাম্প নেওয়াটা জরুরি। এ ক্ষেত্রে জেট পাম্প বেশি ব্যবহৃত হয়। ১ ঘোড়া জেট পাম্প ৩০ ফুট নিচ থেকে পানি টেনে তুলে ছয়তলা পর্যন্ত পাঠাতে পারে অনায়াসেই। ১ ঘোড়া শক্তিসম্পন্ন পাম্প ভূগর্ভ থেকে প্রতি মিনিটে ৪০ থেকে ৬০ লিটার পানি তুলতে পারে। তবে পুকুর বা নদীর মতো উন্মুক্ত স্থান থেকে এটি পানি তুলতে পারে মিনিটে ৮০ লিটার পর্যন্ত। ঘোড়া যত বৃদ্ধি পাবে পাম্পের শক্তিও তত বাড়বে। ১.৫ ঘোড়ার একটি পাম্প ১৫০ ফুটের বেশি উচ্চতায় পানি সরবরাহ করতে পারে এবং মিনিটে পানি উত্তোলনের ক্ষমতা ৩৫০ থেকে ৩৮০ লিটার পর্যন্ত।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ