<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><img alt="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12 December/03-12-2024/2/kalerkantho-sp-1a.jpg" height="127" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12 December/03-12-2024/2/kalerkantho-sp-1a.jpg" style="float:left" width="250" />ক্রীড়া প্রতিবেদক : জয় নিশ্চিত হওয়ার পর নিগার সুলতানার মুখের চওড়া হাসি বলে দিচ্ছিল, আয়ারল্যান্ড মেয়েদের বিপক্ষে সোনায় মোড়ানো একটি সিরিজই শেষ করল বাংলাদেশ। ব্যাটে-বলে এর চেয়ে বেশি কিছু সতীর্থদের কাছে চাইতে পারতেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক। গতকাল তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতেও প্রথম দুই ম্যাচের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে খেলেছেন স্বাগতিক মেয়েরা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৭ উইকেটের জয় সে কথাই বলছে। আগে ব্যাটিং করে আয়ারল্যান্ড মেয়েদের বেশিদূর যেতে দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। বেশ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন স্পিনাররা। পাঁচ স্পিনার</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সুলতানা খাতুন, নাহিদা আক্তার, রাবেয়া খান, ফাহিমা খাতুন আর স্বর্ণা আক্তার মিলেই আইরিশদের সব উইকেট নিয়েছেন। ১৮৫ রানে গুটিয়ে যাওয়া অতিথিদের সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছেন লেগ স্পিনার ফাহিমা। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার নাহিদা ও অফ স্পিনার সুলতানা। বাকি দুই উইকেট ভাগাভাগি করেছেন রাবেয়া ও স্বর্ণা। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে আইরিশ মেয়েদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫২ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক গ্যাবি লুইস।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><img alt="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12 December/03-12-2024/2/kalerkantho-sp-1a.jpg" height="364" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12 December/03-12-2024/2/kalerkantho-sp-1b.jpg" style="float:right" width="250" />বোলারদের সাজিয়ে দেওয়া মঞ্চে আরেকবার ব্যাট হাতে আলো জ্বেলে দলকে জয় এনে দিয়েছেন ফারজানা হক পিংকি ও শারমিন আক্তার সুপ্তা। ওপেনার মুর্শিদা খাতুনের দ্রুত বিদায়ের পর দ্বিতীয় উইকেটে ১৪৩ রানের জুটি গড়েন ফারজানা ও শারমিন। ৮৮ বলে ৭২ রান করে শারমিন আউট হলে এই জুটি ভাঙে। সিরিজে এটি তার দ্বিতীয় ফিফটি। প্রথম ম্যাচে ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করা শারমিন এই সিরিজে ৭০.৩৩ গড়ে ও ৮৭.৯২ স্ট্রাইক রেটে ২১১ রান করেছেন। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে তার চেয়ে বেশি রান নেই বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটারের। তিনি পেছনে ফেলেছেন এই সিরিজে তার মতোই দারুণ ব্যাট করা ফারজানাকে। গতকাল ৬১ রান করে আউট হওয়া এই ওপেনারের সিরিজে এটি টানা তৃতীয় ফিফটি। সব মিলিয়ে আইরিশ মেয়েদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে ফারজানা করেছেন ১৭২ রান। সিরিজসেরার পুরস্কারও উঠেছে তার হাতে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সিরিজজুড়ে শারমিন-ফারজানার এমন ব্যাটিং ওয়েস্ট ইন্ডিজ মেয়েদের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ সিরিজের আগে স্বস্তি দেবে বাংলাদেশ দলকে; বিশেষ করে শারমিনের ব্যাটিং। তিন ম্যাচেই বেশ দ্রুত রান তুলেছেন ১৬ মাস পর দলে ফেরা এই ব্যাটার। দ্রুত রান তোলা নিয়ে অনেক দিন ধরে ভোগান্তি পোহাচ্ছিল বাংলাদেশ। শারমিনের ব্যাটিং কিছুটা হলেও সেই দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেবে। অথচ দল থেকে বাদ পড়ার আগে ফর্ম নিয়ে বেশ সংগ্রাম করছিলেন শারমিন। নিজেকে নতুনভাবে তৈরি করা নিয়ে তিনি বলছিলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দলের বাইরে যখন ছিলাম, আমার নিয়মিত রুটিন কাজগুলোই চালিয়ে নিচ্ছিলাম। আমাদের ঘরোয়া লিগগুলো লক্ষ্য করে খেলছিলাম। শেষ এনসিএলটাও ভালো গেছে। আমার প্রস্তুতির মধ্যে যেটা ছিল, আমার কোন জায়গাগুলোতে দুর্বলতা আছে, কোনটা করলে ভালো হয় এবং কোথায় খারাপ করছি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এগুলো নিয়েই আসলে কাজ করেছিলাম।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>
