ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটনে নায়ক হতে পারতেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে এক গোলে পিছিয়ে থাকা রিয়াল দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি শট আকাশে উড়িয়ে মেরে হতাশায় মুখ লুকিয়েছেন ভিনি। তবে ভিনিকে খলনায়ক হতে হয়নি। উত্তেজনা ও বারুদে ঠাসা ম্যাচ টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জিতে রিয়াল পৌঁছে গেছে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে।
প্রথম লেগে রিয়াল ৩-২ গোলে এগিয়ে ছিল, ফিরতি লেগে গালাগারের গোলে অ্যাতলেতিকো ১-০ ব্যবধানে জিতলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানেই বাজিমাত রিয়ালের। সেমিতে যাওয়ার লড়াইয়ে রিয়ালের প্রতিপক্ষ আর্সেনাল।
টাইব্রেকারে নাটকীয়তার সঙ্গে মিশে ছিল রোমাঞ্চও।
রিয়ালের এমবাপ্পে, বেলিংহাম, ভালভের্দে ও রুডিগার লক্ষ্যভেদ করলেও মিস করেন লুকাস ভাস্কুয়েস। অন্যদিকে অ্যাতলেতিকোর আলেক্সান্ডার সরলোথ ও আনহেল কোরেয়া জাল খুঁজে নিলেও ব্যর্থ হন হুলিয়ান আলভারেস ও মার্কোস ইয়োরেন্তে। আলভারেসের শট নিয়ে হয়েছে নাটকীয়তা। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড বল জালে পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর শট বাতিল হয়ে যায় অদ্ভুত নিয়মে। শটটি নেওয়ার সময় আলভারেসের বাঁ পা পিছলে গিয়েছিল। ডান পায়ে শট নেওয়ার আগেই বাঁ পা বলে লেগে যায়। যেটাই নিয়মের বহির্ভূত। টাইব্রেকার শট নেওয়ার সময় বল একবারই স্পর্শ করা যাবে। আলভারেস দুবার করায় ভিএআর পরীক্ষা করে শট বাতিল করে দেন রেফারি।
শট বাতিল করায় রেফারির ওপর ক্ষুব্ধ অ্যাতলেতিকো কোচ ডিয়েগো সিমিওনে, ‘ভিডিও ফুটেজ দেখেছি আমি। রেফারি বলছেন, আলভারেস বলে স্পর্শ করেন সাপোর্টিং পা দিয়েও। কিন্তু আমি তো দেখছি, বল নড়েনি। সে যখন শট নিয়েছে, বল তো একটুও নড়েনি। পেনাল্টি শুটআউটে ভিএআর রিভিউ হতে আমি কখনো দেখিনি।’ ইতিহাস ধরে রেখে জিততে পেরে খুশি রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলোত্তি, ‘আমরা চেয়েছিলাম টাইব্রেকারের আগেই খেলা শেষ করতে। তবে এখনো আমরা টিকে আছি, লড়াই করছি।’ লিলকে ২-১ গোলে হারিয়ে শেষ আটে বার্সেলোনাকে পেয়েছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। পিএসভির সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেও দুই লেগ মিলিয়ে ৯-৩ ব্যবধানে জিতে পরের রাউন্ডে আর্সেনাল। ক্লাব ব্রুজকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে অ্যাস্টন ভিলা। তাদের প্রতিপক্ষ পিএসজি। এএফপি
কোয়ার্টার ফাইনালে
রিয়াল - আর্সেনাল
বার্সেলোনা - ডর্টমুন্ড
বায়ার্ন - ইন্টার
পিএসজি - অ্যাস্টন ভিলা