ঢাকা, বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৬

বলিউড ও ভুটান অভিজ্ঞতা

  • ‘ম্যাক্স কি গান’ ও ‘রলং’—ভুটানে বলিউডের একই প্রযোজকের দুটি ছবিতে অভিনয় করে এলেন বাংলাদেশের দুই অভিনয়শিল্পী—জাকিয়া বারী মম ও সাইফ খান। তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা জেনেছেন মীর রাকিব হাসান
অন্যান্য
অন্যান্য
শেয়ার
বলিউড ও ভুটান অভিজ্ঞতা

প্রথম বলিউড সিনেমার শুটিং করে দেশে ফিরলেন ২৬ আগস্ট বিকেলে। সেদিনই কথা হলো মমর সঙ্গে। ‘প্রথমত ওরা ভীষণ প্রফেশনাল। ওদের একটা স্থির লক্ষ্য ছিল।

আমি সেই লক্ষ্যের পার্ট হয়েছি। সবাই মিলে সেটা এক্সিকিউট করেছি। একজন প্রফেশনাল অভিনেত্রী হিসেবে বলব, এটা আমার জন্য নতুন এক অভিজ্ঞতা। ওরা প্রত্যেকে নিজের কাজটা নিয়ে খুবই সচেতন এবং অবগত’— বললেন মম।

১৪ আগস্ট ‘ম্যাক্স কি গান’-এর শুটিং ইউনিটের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন ভুটানে। রীতিমতো ভুটানের প্রেমে পড়ে গেলেন মম, ‘মেডিটেশনের জন্য বাংলাদেশের মানুষের যাওয়া উচিত ভুটানে। ওরা এত সুন্দর করে নিজেদের দেশকে তৈরি করেছে! ওদের বাতাস নির্মল, দারুণ প্রাকৃতিক দৃশ্য।’

মমর কাছে ‘ম্যাক্স কি গান’-এর সব অভিজ্ঞতাই নতুন।

‘ওরা আমাকে যেভাবে গ্রহণ করেছে, ধাপে ধাপে আমাকে সম্মান দিয়েছে, তাতেই আমি মুগ্ধ। বিশেষ করে পরিচালক সামির খান ও প্রযোজক ফয়সাল সাইফের প্রতি কৃতজ্ঞ।’

বলিউডের সিনেমা। ভাষাগত সমস্যা হয়নি? ‘হিন্দি গান আমার অনেক পছন্দের। বাংলা গানের সঙ্গে অসংখ্য হিন্দি গান ও সিনেমাও দেখা হয়েছে, যেটা আসলে আমাদের দেশের মানুষের হয়।

তাই হিন্দি শব্দগুলো অতটা অপরিচিত লাগেনি। যে শব্দগুলোর সঙ্গে অভ্যস্ত ছিলাম না, সেগুলোতে ওরা হেল্প করেছে’—বললেন মম।

‘ম্যাক্স কি গান’-এর শুটিংয়ে জাকিয়া বারী মম

এই ছবির গল্প ১৬ বছর ধরে মাথায় নিয়ে ঘুরেছেন পরিচালক সামির। গত বছরই শুটিং হওয়ার কথা ছিল ছবিটির। এক বছর পর শুটিং হচ্ছে বা দেরি হয়েছে, এসব আমলে নিতে চাইছেন না মম, ‘ফাইনালি সিনেমাটির শুটিং হয়েছে সেটাই বড় কথা। সেটাই আসলে ভালো খবর। আমি চাই মানুষ ভালো কিছু চিন্তা করুক। ভালো খবরগুলো জানুক। আর দেরি কেন হয়েছে, সেটা ওদের ব্যাপার। যখন ডেট দিয়েছে, অভিনেত্রী হিসেবে তখন গিয়ে কাজটা করে এসেছি।’

ছবিতে সিবিআই অফিসার মম, যিনি কলকাতা থেকে ভুটানে একটি কেসের সমাধান করতে গেছেন। ছবিতে তাঁর নাম জাকিয়া খান। বাংলাদেশ থেকে মম ছাড়াও বলিউডের এই ছবিতে অভিনয় করছেন ভারত ও ভুটানের বেশ কয়েকজন অভিনেতা—সোনম ম্যাকি পেনজোর, কবিতা রাধেশ্যাম, নিশাত পাণ্ডে ও অমিতা নানজিয়া। ‘শুটিংয়ের ফাঁকে জেনেছি, ওরা আমাদের অনেক কিছুই দেখে। ইউটিউবে সার্চ করে বাংলাদেশের নাটক দেখে, সিনেমার গান দেখে। ভাষা অতটা না বুঝলেও আমাদের অনেক কিছুরই খোঁজখবর রাখে। আমার কাছে মোশাররফ করিম, চঞ্চল ভাইদের কথা বলেছে। ওরা ফলো করে সবাইকে। আমাকে নিয়ে কাজ করার আগে আমার প্রচুর নাটক-সিনেমা দেখেছে। ওদের কথায় সেটা বুঝেছি’—বললেন মম।

২০২০ সালের শুরুর দিকে ভারতে মুক্তি পাবে ‘ম্যাক্স কি গান’। প্রথম আন্তর্জাতিক ছবি, মম নিশ্চয়ই এক্সাইটেড? ‘জয়া আপুরা কলকাতায় প্রমাণ করেছেন, আমাদের এখানে প্রতিভা আছে। একজন শিল্পী নিজের এরিয়াটা বড় করতে চায়, কোনো গণ্ডিতে আটকে থাকতে চায় না; চায় আরো বেশি মানুষ তার কাজটা দেখুক। সে ক্ষেত্রে বলিউড আমার কাছে অনেক বড় একটা জায়গা। আমি বাংলাদেশের অভিনেত্রী, বাংলাদেশের মানুষ আমাকে ভালোবাসে। কিছু ভালোবাসা যদি ওখান থেকেও পাই, কোনো ক্ষতি তো নেই।’

ভারত-ভুটানের যৌথ প্রযোজনার ছবির নাম ‘রলং’। পরিচালক মুম্বাইয়ের ফয়সাল সাইফ। এই পরিচালক বাংলাদেশের নিরবকে নিয়ে ‘শয়তান’ করেছিলেন। তখন থেকেই ফেসবুকে তাঁর সঙ্গে ‘হাই-হ্যালো’। নতুন কোনো কাজ করলে ক্লিপিংস পাঠাতাম তাঁকে। এভাবে সম্পর্ক ভালো হয়ে যায়। তবে কখনো আশা করিনি তিনি আমাকে নিয়ে চিন্তা করবেন। হুট করেই একদিন আমাকে একটা স্ক্রিপ্ট পাঠালেন। বললেন, ‘আপনি কি একটু শুট করে আমাকে পাঠাতে পারবেন? যেটাকে আমরা অডিশন বলি।’ তিনি আমাকে ইংরেজিতে হিন্দি সংলাপ লিখে পাঠালেন। সেটার ভিডিও শুট করে পাঠালাম। কিছুদিন পর জানান, ‘আপনি ঠিক আছেন। হিন্দি উচ্চারণও ভালো।’ আমার ক্যারেক্টারটা বললেন। আর জানালেন, এমন ডেট যদি ফাঁকা থাকে তাহলে আমরা শুটিংয়ে যেতে পারি।

আমার হিন্দি সাবলীল, এর পেছনের কথা বলতে চাই। মিরপুরে বড় হয়েছি তো, ওখানেই বিহারিপট্টি। আমার অনেক বন্ধু উর্দুভাষী। ওদেরটা শুনে শুনে ভাষাটা আয়ত্তে চলে এসেছে। হিন্দি আর উর্দুর পার্থক্য কমই। আর যারা হিন্দি সিনেমার পোকা, ভাষাটা তারা ভালোই বোঝে।

‘রলং’ মানে ভুটানের ভাষায় আত্মা। থ্রিলার এই ছবি ব্ল্যাক ম্যাজিকের ওপর। ছবিতে আমি বিনোদ চ্যাটার্জি, ব্ল্যাক ম্যাজিশিয়ান। কলকাতা থেকে ভুটানে যায় বিনোদ। আমার অংশের শুটিং হয়েছে ভুটানের টিংকু, পারু ও হা-তে। চীনের সীমান্তের কাছাকাছি জায়গা হা। ভয়ানক ঠাণ্ডা অঞ্চল। ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা ছিল ওখানে। আমি ব্লেজার, জ্যাকেট বা এই টাইপের মোটা কাপড় নিয়ে গিয়েছিলাম। ইউনিটের অন্যরা জানতই না ওই জায়গায় এত ঠাণ্ডা! আমি ছাড়া প্রায় সবারই কষ্ট করতে হয়েছে। ভুটানিদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে ভাষাগত কিছু সমস্যা হয়েছিল। সাত দিন ছিলাম সেখানে। ভুটানের ভারতীয় অ্যাম্বাসাডর শুটিং টিমকে দাওয়াত করেছিলেন। বাংলাদেশি অ্যাম্বাসাডর যখন জানতে পারেন বাংলাদেশের এক নায়ক এই ছবিতে অভিনয় করছেন, তিনিও আমাদের ফুল টিমকে দাওয়াত করেছেন। আমি ভীষণ সম্মানিত বোধ করেছি। আমার জন্য সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা এটা।

‘রলং’-এর শুটিংয়ে সাইফ খান

‘রলং’-এর শুটিং শেষ। আমার শুটিং ছিল ছয় দিন। ২০২০ সালের মাঝামাঝি ছবিটির মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। আমার সহশিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন ভারতের কবিতা রাধেশ্যাম, নিশাত পাণ্ডে, চৈন্তন বৈদ্য এবং ভুটানের সোনম। ডিসেম্বরে ডাবিংয়ে যাব মুম্বাই। পরিচালকের আরেকটি ছবিতেও আমার কাজ করার কথা চলছে। সেটা হবে ডিসেম্বরের পর। তাঁরা এখন আমাদের জাকিয়া বারী মমকে নিয়ে ‘ম্যাক্স কি গান’-এর শুটিং নিয়ে ব্যস্ত। এই দুটির কাজ শেষ হলেই ধরবেন নতুন ছবির কাজ।

‘রলং’-এর শুটিংয়ের সময়ই ওরা মম সম্পর্কে আমার কাছে জানতে চেয়েছে। বলেছি, বাংলাদেশের প্রথম সারির যে কজন অভিনেত্রী আছেন, মম তাঁদের অন্যতম। তাঁর সঙ্গে আমি নাটকে অভিনয় করেছি। আমার চেয়েও কয়েক গুণ ভালো শিল্পী মম। আমার সঙ্গে কাজ করে পরিচালক সন্তুষ্ট হয়েছেন। মমর ছবির শুটিংয়ের মধ্যেই পরিচালকের সঙ্গে আলাপ হলো আমার। জানালেন, মমর সঙ্গে কাজ করে তাঁরা মহাখুশি।

টালিগঞ্জের ছবিও করেছি আমি। এ সপ্তাহেই শুটিং শেষ করে এলাম শুভঙ্কর ভৌমিকের ‘কলি অর্জুন ২’-এর। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যয়, খরাজ মুখোপাধ্যায়ের মতো সিনিয়র শিল্পীরা অভিনয় করেছেন এখানে। বাংলাদেশের সঙ্গে বাকি ইন্ডাস্ট্রিগুলোর কাজের পার্থক্য খুব বেশি কিছু নয়। ওরা সময়টা খুব মেইনটেন করে, যেটা আমরা  পারি না। আমরা ভোর ৪টায় উঠে মেকআপ নিয়েও কাজ করেছি, এই পরিশ্রম আমরা বাংলাদেশে বসে হয়তো করি না। ওদের প্রত্যেকেই শুটিং স্পটে যাওয়ার আগে নিজের কাজ সম্পর্কে অবহিত থাকে। এটা আমাদের এখানে কমই দেখা যায়।

বাংলাদেশে মোহাম্মদ আসলামের ‘সমাধান’ করছি। একই পরিচালকের ‘বেগমজান’ এ বছরই মুক্তি পাবে। দেওয়ান নাজমুলের ‘তোরে কত ভালোবাসি’ও মুক্তির অপেক্ষায়।

 

অনুলিখন : ইসমাত মুমু

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

স্টার অব দ্য উইক : জিয়াউল ফারুক অপূর্ব

শেয়ার
স্টার অব দ্য উইক : জিয়াউল ফারুক অপূর্ব

তুমুল জনপ্রিয় এক চলচ্চিত্র তারকার হত্যাকাণ্ড নিয়ে ওয়েব সিরিজ। ভক্ত অপূর্ব নামছেন হত্যা রহস্য উদঘাটনে। সেই তারকা যে প্রয়াত সালমান শাহ, সেটা অবশ্য কোথাও উল্লেখ নেই। তবু ভক্তরা দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে নিয়েছেন।

‘বুকের মধ্যে আগুন’ সিরিজে অপূর্বর লুক নিয়ে প্রশংসা ঝরেছে সর্বমহলে। এ সিরিজ দিয়েই হইচইয়ের শিল্পী তালিকায় ঢুকল এই অভিনেতার নাম। 

মন্তব্য

শুভ জন্মদিন

শেয়ার
শুভ জন্মদিন
সোমনুর মনির কোনাল

এ সপ্তাহে যাঁদের জন্মদিন

(২৬ জানুয়ারি—১ ফেব্রুয়ারি)

সারিকা সাবরিন, দেবাশীষ বিশ্বাস, সাবিনা বারী লাকী (২৭ জানুয়ারি) 

 কোনাল, কল্যাণ কোরাইয়া, নিঝুম রুবিনা, শাওন জামান (২৮ জানুয়ারি) 

খন্দকার বাপ্পী (৩০ জানুয়ারি)

 কৃষ্ণকলি ইসলাম, কামরুজ্জামান কামু

(৩১ জানুয়ারি)

অনন্ত হীরা, সায়রা রেজা (১ ফেব্রুয়ারি)

মন্তব্য

ভারত ভুগছে ‘পাঠান’ জ্বরে

    শাহরুখ খানের ‘পাঠান’ মুক্তি পেয়েছে গতকাল। ছবিটি ঘিরে ভারতজুড়ে চলছে উত্তেজনা। সেই উত্তেজনার কিছুটা জানাচ্ছেন শারমিন নুশি
শেয়ার
ভারত ভুগছে ‘পাঠান’ জ্বরে
‘পাঠান’-এ শাহরুখ খান ও দীপিকা পাড়ুকোন

৯ হাজার পর্দায় ‘পাঠান’

সারা দুনিয়ার ৯ হাজার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। এর মধ্যে ভারতে চলছে সাড়ে পাঁচ হাজার হলে। হিন্দি ভাষায় পাঁচ হাজার এবং তামিল ও তেলুগুতে চলছে ৪৫০ প্রেক্ষাগৃহে।

 

প্রথম সপ্তাহেই ৩০০ কোটি?

আজ ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস।

আগের দিন কর্মব্যস্ত দিনে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। তাতেও বিপুল সাড়া অনুরাগীদের মধ্যে। গতকাল বিকেল পর্যন্ত বক্স অফিসের তথ্য পর্যালোচনা করে বলিউড বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রথম দিনেই ৫৬ কোটি রুপির ব্যবসা করে ফেলতে পারে এই ছবি। এমনকি প্রথম সপ্তাহেই আয় করে নেবে ৩০০ কোটির মাইলফলক! অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে ‘পাঠান’ পেছনে ফেলেছে ‘কেজিএফ ২’কে।
সামনে আরো অনেক রেকর্ড ভাঙার দ্বারপ্রান্তে ছবিটি।

 

প্রতিক্রিয়া ও ফাঁস

ভারতের বিভিন্ন শহরে শাহরুখ ভক্তরা মিছিল নিয়ে রীতিমতো ভিড় করেছে প্রেক্ষাগৃহে। বাংলাদেশ থেকেও কয়েকজন ভক্ত কলকাতায় গিয়ে প্রথম দিনের প্রথম শো দেখেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই খবর ও ছবি শেয়ার করেছেন তাঁরা।

সমালোচকরাও ছবিটিকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন। শাহরুখ খান তো ভালো করেছেনই, জন আব্রাহাম ও দীপিকা পাড়ুকোনের প্রশংসাও ঝরেছে তাঁদের কণ্ঠে। বলিউড হাঙ্গামার তরণ আদর্শ ছবিটি সম্পর্কে বলেছেন, ‘অ্যাকশন, আবেগ, দেশপ্রেম, হাস্যরস, উত্তেজনা মিলিয়ে পরিপূর্ণ বিনোদন।’ রেটিং দিয়েছেন ৫-এ ৪.৫। ফিল্মফেয়ার ও রেডিফ ৫-এ দিয়েছে ৪।
এ ছাড়া টাইমস অব ইন্ডিয়া, পিঙ্কভিলা, ডিএনএ, ইন্ডিয়া টুডে দিয়েছে ৫-এ ৩.৫। তবে ছবি মুক্তির ৪ ঘণ্টার মধ্যেই অনলাইনে ফাঁস হয়ে পড়েছে ‘পাঠান’-এর হল প্রিন্ট। তাতেও ভয়ের কিছু দেখছেন না সমালোচকরা।

 

‘বয়কট’ তুলে নিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

‘আমাদের আপত্তিতে সিনেমাটিতে যে যে পরিবর্তন করা হয়েছে, তা একদম সঠিক। যদি আবার কিছু সমস্যা পাই, তাহলে আপত্তি করব।’ এই মন্তব্য করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে তুলে নেওয়া হলো ‘বয়কট’।

 

আলিয়ার শুভেচ্ছা

কোনো ছবি নিয়ে নাকি এর আগে এত উত্তেজিত হননি আলিয়া ভাট, দাবি করেছেন খোদ ‘হাইওয়ে’ অভিনেত্রী। ‘পাঠান’-এর জন্য শুভেচ্ছাবার্তাও পাঠিয়েছেন অভিনেত্রী।

মন্তব্য

সাবরিনা এখন জাহান

    গত বছর হইচইতে হয়েছিলেন ‘সাবরিনা’, আজ চরকিতে মুক্তি পাবে আতিক জামানের ওয়েব ছবি ‘জাহান’। এই ছবির নাম ভূমিকায়ও আছেন নাজিয়া হক অর্ষা। অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন মীর রাকিব হাসান
শেয়ার
সাবরিনা এখন জাহান

জাহান শান্ত স্বভাবের মেয়ে। স্বামী শিহাবকে নিয়ে তার সংসার। পোস্ট ট্রমাটিক ডিস-অর্ডারের কারণে প্রায়ই কল্পনা আর বাস্তব গুলিয়ে ফেলে। একদিন একটা দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে জাহান।

সেটার সুরাহা কিভাবে হয়, তা নিয়েই ওয়েব ছবি ‘জাহান’।

গত বছর মার্চে আশফাক নিপুণের ওয়েব সিরিজ ‘সাবরিনা’র নাম ভূমিকায় মেহজাবীন ও অর্ষা বেশ আলোচিত হয়েছিলেন। মুক্তির পর হঠাৎ ডুব দিয়েছিলেন অর্ষা। ডুবেছিলেন আতিক জামানের ‘জাহান’-এ।

এই ছবির শুটিংয়ের আগে প্রায় ছয় মাসের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন অভিনেত্রী।

অর্ষা বলেন, ‘চরিত্রটার জন্য ওজন বাড়িয়েছি। যতগুলো সাইকোলজিক্যাল ডিস-অর্ডার আছে, এগুলোর অসুস্থতায় বিভিন্ন ধরনের লেয়ার থাকে। জাহান আসলে কোন জনরার পেশেন্ট।

এর কাছাকাছি যত সিনেমা বা টেক্সট আছে সেগুলো স্টাডি করার চেষ্টা করেছি। স্ক্রিপ্টের অনেক ড্রাফট হয়েছে। ফাইনালি আমরা সবাই মিলে একটা স্ক্রিপ্ট পছন্দ করেছি। মোটা দাগে যেন মনে না হয় জাহান রোগী। খুবই কন্ট্রোলড ওয়েতে চরিত্রটি করার চেষ্টা করেছি।
একজন সাইকোলজিক্যাল ডিস-অর্ডার ব্যক্তি পাগলামি করবে, উল্টাপাল্টা কথা বলবে—এটা চাইনি। তার যে অস্বাভাবিকতা, সেটা কী। সেটা জানতে হলে ছবিটা দেখতেই হবে।’

 

তবে এই ‘চ্যালেঞ্জিং’ ছবিটি ঘিরে অর্ষার কোনো প্রত্যাশা নেই, আছে শুধু আবদার। অর্ষা যা বললেন, ‘কাজটি করতে আমার বেশ কষ্ট হয়েছে। জাহান চরিত্রটির ইনার সাইট ডার্ক, আবার কিছুটা ইনোসেন্ট। জাহান অনেক কিছু ইনোসেন্সের জায়গা থেকে করে বসে, তবে সচেতন অবস্থায় তা ব্যালান্স করতে পারে না। ছবিটি নিয়ে দর্শকের কাছে তেমন প্রত্যাশা নেই আমার, গল্প সহজে সবাই বুঝবে কি না সেটাও একটা ব্যাপার। যে ওয়েতে গল্পটা উপস্থাপন করা হয়েছে সেটা ডিফারেন্ট। আমি চাই সবাই যেন কনটেন্টটা দেখে তারপর প্রতিক্রিয়া জানায়।’

‘জাহান’-এ অর্ষার স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোস্তাফিজ নূর ইমরান। এর আগে ‘সাহস’ ছবিতেও স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন দুজন। এবার কাজ করে কেমন লাগল?

অর্ষা বলেন, ‘পেশাদারির জায়গায় সহকর্মীদের আমরা সব সময় কমফোর্ট জোনে রাখার চেষ্টা করি। চ্যালেঞ্জিং ক্যারেক্টার এলে সেটাকে কিভাবে পোট্রে করব সেটা নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করতে হয়। উনি সেই সময়টা দেওয়ার চেষ্টা করেন। উনি তো মেথড অ্যাক্টিংয়ের প্র্যাকটিস করেন। সব সময় চরিত্রের মধ্যে থাকার চেষ্টা করেন। আমিও চেষ্টা করি শুটিংয়ের সময় চরিত্রের মধ্যে থাকতে। এমন ভালো বন্ডিং আছে বলেই আমরা উত্তর মেরু, দক্ষিণ মেরু দুই ধরনের দুই কাজ করতে পারলাম।’

জাহান-এর শুটিংয়ের পর অভিনয় থেকে কিছুটা ‘বিরতি’ নিয়েছিলেন অর্ষা। কারণ বললেন, ‘আমার বিশ্রাম নিতে হয়েছে। শুটিং করার পর ভয়ংকর মানসিক প্রেসার তৈরি হয়েছিল। এত ডার্ক শেড চরিত্রটাতে, সেটার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত অবস্থাও কখনো ম্যাচ হয়, কখনো হয় না। বিরতি নিয়ে চরিত্রটা থেকে বের হতে হয়েছে আমাকে।’

‘জাহান’-এর পর করেছেন দুটি কাজ। একটি পঙ্কজ চৌধুরীর ‘বনফুল’। আগামীকাল মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত হবে নাটকটি। এখন অর্ষা ব্যস্ত রয়েছেন আবু হায়াত মাহমুদের পরিচালনায় ওটিটি প্ল্যাটফরম দীপ্ত প্লের সিরিজ ‘হৃদমাঝারে’ নিয়ে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ