বিদায় গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট

সাদিয়া আফরিন হীরা
সাদিয়া আফরিন হীরা
শেয়ার
বিদায় গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট
ভয়েস কমান্ডে ব্যবহার করা যেত গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট। ছবি : সংগৃহীত

গুগল অ্যাসিস্ট্যান্টের অধ্যায় প্রায় শেষ, শিগগিরই এটি প্রযুক্তি ইতিহাসের অংশে পরিণত হবে। ব্যবহারকারীরা এর পরিবর্তে অ্যাসিস্ট্যান্ট সেবা পাবেন জেমিনির মাধ্যমে। গুগল প্রতিটি সেক্টরেই জেমিনি যুক্ত করায় কাজ করছে। এই পরিবর্তন গুগলের প্রযুক্তির জগতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হতে চলেছে।

এখন থেকেই পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ব্যবহারকারীর ফোনে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্টের বদলে জেমিনি ইনস্টল করা হবে এবং ২০২৫ সালের শেষে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যাবে অ্যাসিস্ট্যান্ট। এরপর অ্যাপটি প্লে স্টোর ও অ্যাপ স্টোর থেকে সরিয়ে ফেলা হবে।

 

অ্যাসিস্ট্যান্টের শুরু

গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রথম চালু হয় ২০১৬ সালে। এটি স্মার্টফোন, স্মার্ট স্পিকার, টিভি, স্মার্টওয়াচ, হেডফোনসহ বিভিন্ন ডিভাইসে ব্যবহার করা যায়।

এটি মূলত ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমে কাজ করে, তবে চাইলে টেক্সট লিখেও ব্যবহার করা যায়। ব্যবহারকারীদের সঙ্গে আলাপচারিতা চালানো, বিভিন্ন বিষয়ে অনুসন্ধান করা, নোট নেওয়া, টাইমার সেট করা, রিমাইন্ডার তৈরি করা, স্মার্ট হোম ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করার মতো কাজ সহজ করেছে অ্যাসিস্ট্যান্ট। তবে সময়ের সঙ্গে অ্যাসিস্ট্যান্টের সীমাবদ্ধতাগুলো স্পষ্ট হয়ে উঠতে শুরু করে। অ্যাসিস্ট্যান্টে ব্যবহৃত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তেমন উন্নত নয়।
অনেক ব্যবহারকারীর অভিযোগ, এটি মাঝেমধ্যেই ভুল তথ্য দেয় এবং অনেক সময়ই ঠিকভাবে কাজ করে না।

 

কেন বাদ যাচ্ছে অ্যাসিস্ট্যান্ট

গুগল এখন জেনেরেটিভ এআই তৈরির দিকে সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছে। শক্তিশালী মেশিন লার্নিং ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে জেমিনি খুবই স্বতঃস্ফূর্তভাবে আলাপচারিতা চালাতে পারে। পাশাপাশি জেমিনি কাজ করছে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্টের সব সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার। অ্যাসিস্ট্যান্টের তুলনায় জেমিনিকে আরো ফিচারসমৃদ্ধ সহায়তাকারী করার কাজ চলছে।

গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট ছিল মূলত ভয়েস কমান্ডভিত্তিক, জেমিনি এর পাশাপাশি সাবলীল ভাষায় লেখা টেক্সট এবং চিত্রও বিশ্লেষণ করতে পারে। জেমিনি এর এআই মডেলটি একসঙ্গে অনেক তথ্য প্রসেস করতে পারে। ফলে অ্যাসিস্ট্যান্টের তুলনায় জটিল সব প্রশ্নের উত্তর দিতে এটি প্রস্তুত। কথার বিষয়বস্তু বা কনটেক্সট ধরে রেখে দীর্ঘ সময় কথোপকথন চালিয়ে যেতে পারে জেমিনি। তবে এখনো কিছু ফিচার; যেমনটাইমার সেট করা বা স্মার্ট হোম নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি নিখুঁতভাবে করতে পারে না জেমিনি। 

 

ব্যবহারকারীরা কবে পাবেন জেমিনি?

যাঁরা নতুন অ্যানড্রয়েড ফোন কিনছেন, তাঁরা অ্যাসিস্ট্যান্টের পরিবর্তে সরাসরি জেমিনি পাবেন। পুরনো ব্যবহারকারীদের জন্য গুগল একটি আপডেটের মাধ্যমে তাঁদের ফোনে অ্যাসিস্ট্যান্ট সরিয়ে এর বদলে জেমিনি চালু করবে। গুগলের অ্যানড্রয়েড অটো চালিত গাড়ি, স্মার্টওয়াচ, হেডফোন, স্মার্ট স্পিকার ও টিভির জন্যও প্রকাশ করা হবে এই আপডেট। তবে সব ডিভাইসই এর আওতায় আসবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। গুগল বলছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এ বিষয়ে বিস্তারিত ঘোষণা আসবে। পাশাপাশি চলমান থাকবে জেমিনির বিভিন্ন ফিচারে উন্নয়ন, নতুন ফিচার সংযোজন এবং পুরনো ডিভাইসগুলোর জন্য সমাধানের বিষয়ে তথ্য জানানো।

 

ব্যবহারকারীরা কী বলছেন

জেমিনি চালুর পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কিছু ব্যবহারকারী এআইয়ের শক্তিশালী পারফরম্যান্সের প্রশংসা করছেন আবার অনেকে বেসিক ফিচার অনুপস্থিত থাকার কারণে হতাশ। অনেকে অভিযোগ করেছেন যে জেমিনি এখনো ঠিকমতো ভয়েস কমান্ড বুঝতে পারে না। সামগ্রিকভাবে গুগলের এই সিদ্ধান্ত প্রযুক্তিজগতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। ব্যবহারকারীদের আরো ভালাভাবে সাহায্য করতে পারে কি না, সেটিই আসল পরীক্ষা।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

লেজারভিত্তিক ইন্টারনেটসেবা আনছে ট্যারা

আশিক উল বারাত
আশিক উল বারাত
শেয়ার
লেজারভিত্তিক ইন্টারনেটসেবা আনছে ট্যারা
ট্যারার লেজার ট্রান্সমিটার টাওয়ার। ছবি : সংগৃহীত

দূর-দূরান্তে ইন্টারনেটসেবা পৌঁছে দেওয়ার সেবা ট্যারা এখন থেকে স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে। ২০১৬ সালে এই প্রকল্পটি প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে কার্যক্রম শুরু করে। এত দিন এটি ছিল গুগলের কর্ণধার প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেট-এর অধীন। তবে এটি স্বাধীনভাবে কাজ করলেও এর কিছু শেয়ার এখনো অ্যালফাবেট ধরে রেখেছে।

এর মাধ্যমে ইন্টারনেটসেবা ব্যবসায় শক্ত অবস্থান প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে অ্যালফাবেট। এর মধ্যেই শহরাঞ্চলে ইন্টারনেট দিচ্ছে গুগল ফাইবার। ট্যারার মাধ্যমে দুর্গম অঞ্চলেও ইন্টারনেট পৌঁছাতে পারবে অ্যালফাবেট।

দূরবর্তী স্থানে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়ার জন্য ট্যারা ব্যবহার করছে লেজার প্রযুক্তি।

গ্রাহকের কাছে থাকা রিসিভারের সঙ্গে ট্রান্সমিশন টাওয়ারের সংযোগ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয় অবলাল লেজার রশ্মি, যা খালি চোখে দেখা যায় না। অতএব ট্যারার প্রযুক্তি অনেকটাই ফাইবার অপটিক সংযোগের মতো, শুধু ফাইবার গ্লাসের তারের বদলে সরাসরিই ট্রান্সমিটার থেকে রিসিভারে পাঠানো হয় লেজার। ফলে এতে ফাইবার অপটিক সংযোগের মতোই উচ্চগতির ইন্টারনেটসেবা পাওয়া যায়। ট্যারা কর্তৃপক্ষের দাবি, স্টারলিংকের তুলনায় ১০০ গুণ বেশি ব্যান্ডউইডথ দিতে সক্ষম তাদের সেবা।
নেটওয়ার্কের স্থাপনা তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় তূলনামূলক কম। ফলে এটি হয়ে উঠতে পারে স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেটসেবা স্টারলিংকের শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী।

গুগলের নিজস্ব সিলিকন ফটোনিক চিপ হচ্ছে ট্যারার মূল প্রযুক্তি। নখের সমান ক্ষুদ্র এই চিপ ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত লেজার বিম পাঠাতে সক্ষম। আর এর তথ্য সঞ্চালনের গতি প্রতি সেকেন্ডে ২০ গিগাবিট পর্যন্ত।

ফাইবার ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক তৈরিতে প্রয়োজন কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত। একই কাজ ট্যারার মাধ্যমে কয়েক ঘণ্টায়ই করা সম্ভব। প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য একদিন পুরো বিশ্বকেই একটি বিস্তীর্ণ নেটওয়ার্কের অংশ করা। ফলে যেখানেই প্রয়োজন, সেখানেই ইন্টারনেটসেবা পৌঁছানো যাবে। 

২০১৯ সালে আফ্রিকার কিছু দেশে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে ইন্টারনেটসেবা দেওয়া শুরু করে ট্যারা। এখন ১২টি দেশে কাজ করছে ট্যারা। স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে ট্যারাকে আলাদা করার মূল উদ্দেশ্য, ট্যারা যাতে মুক্তবাজার থেকে বিনিয়োগ সংগ্রহের সুযোগ পায়। এটি যদি পুরোপুরি অ্যালফাবেটের অধীনে রাখা হতো, তাহলে সেটি সম্ভব ছিল না। অতএব প্রযুক্তি বাজার বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, ট্যারা দ্রুতই প্রযুক্তি উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

 

মন্তব্য
চিপ তৈরির নতুন প্রযুক্তি

ইন্টেল ১৮এ

    বহুদিন ধরেই মাইক্রোপ্রসেসর নির্মাণ প্রযুক্তিতে তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কম্পানির (টিএসএমসি) তুলনায় পিছিয়ে আছে ইন্টেল। অবশেষে প্রতিষ্ঠানটি ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তাদের নতুন আবিষ্কার ‘১৮এ’ প্রযুক্তি সহজেই টিএসএমসিকে হারিয়ে দিতে পারবে। বিস্তারিত জানাচ্ছেন টি এইচ মাহির
শেয়ার
ইন্টেল ১৮এ
মাইক্রোচিপ ওয়েফার হাতে ইন্টেলের ইঞ্জিনিয়ার। ছবি : সংগৃহীত

ইন্টেল ১.৮ ন্যানোমিটার প্রযুক্তির সেমিকন্ডাক্টর ওয়েফার তৈরিতে সফল হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের আরিজোনায় অবস্থিত ইন্টেলের নিজস্ব সেমিকন্ডাক্টর কারখানায় তৈরি হয়েছে এই ওয়েফার, যার নাম দেওয়া হয়েছে ১৮এ। একে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক বলছেন ইন্টেলের প্রকৌশলীরা। প্রসেসরের পাশাপাশি বেশ কয়েক ধরনের সেমিকন্ডাক্টর চিপ উৎপাদনে ভূমিকা রাখবে এই প্রযুক্তিএমনটাই আশা করছেন গবেষকরা।

সেমিকন্ডাক্টর ওয়েফারের ওপর লেজার এচিংয়ের মাধ্যমে ট্রানজিস্টর তৈরি করা হয়। অসংখ্য ট্রানজিস্টর মিলে তৈরি হয় ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট। কয়েক বিলিয়ন ট্রানজিস্টরের সমষ্টিতে তৈরি হয়েছে আজকের প্রতিটি প্রসেসর ও অন্যান্য মাইক্রোচিপ। ইন্টেলের ঈগল দলের উদ্ভাবিত এই প্রযুক্তি আরো শক্তিশালী চিপ উৎপাদনে অবদান রাখবে।

নতুন ১৮এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইন্টেলের সেমিকন্ডাক্টর নোড প্রযুক্তি আর তাইওয়ানের চিপ নির্মাতা টিএসএমসির চেয়ে পিছিয়ে নেই। দুটি প্রতিষ্ঠান আলাদাভাবে ট্রানজিস্টর পরিমাপ করে। তাই ইন্টেলের ১.৮ ন্যানোমিটার প্রযুক্তির সঙ্গে টিএসএমসির ২ ন্যানোমিটার সরাসরি তুলনা করা যায় না। ১৮এ প্রযুক্তির মূলে আছে রিবনফেট ট্রানজিস্টর।

এই গেট অল অ্যারাউন্ড ট্রানজিস্টরের সাহায্যে মাইক্রোচিপের মধ্যে বিদ্যুত্প্রবাহ সুচারুভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ফলে চিপগুলোর কর্মক্ষমতা আরো বৃদ্ধি পায় এবং এর পাশাপাশি বিদ্যুৎ খরচ যায় কমে। নতুন প্রযুক্তির মাইক্রোচিপে ব্যবহার করা হচ্ছে পাওয়ারভায়া প্রযুক্তি। এতে ওয়েফারের ট্রানজিস্টরগুলো পেছন থেকে বিদ্যুৎ নিতে পারবে। ফলে প্রসেসরের মধ্যে নিশ্চিত করা যাবে একেবারে নিখুঁত ভোল্টেজ ও কারেন্ট।
নতুন পদ্ধতিতে প্রতি ওয়াটে কর্মক্ষমতা ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা সম্ভব। পাশাপাশি ট্রানজিস্টর ঘনত্ব ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর আশা করা হচ্ছে। ফলে বর্তমান ২০এ প্রযুক্তির তুলনায় ১৮এ-এর কর্মদক্ষতা ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে।

এরই মধ্যে ১৮এ ওয়েফার কাজে লাগিয়ে প্রসেসর তৈরির কাজ শুরু করেছে ইন্টেল। প্রতিষ্ঠানটির ফ্যাব ৫২ ও ফ্যাব ৬২ কারখানায় চলছে ওয়েফার এচিং সিস্টেম তৈরির প্রস্তুতি। নতুন সেমিকন্ডাক্টর কারখানাগুলোর প্রযুক্তি একেবারেই আলাদা। এই দুটি কারখানা তৈরির জন্য ইন্টেল প্রায় সাড়ে আট বিলিয়ন ডলারের তহবিল পেয়েছে। সেমিকন্ডাক্টর ওয়েফার তৈরির পাশাপাশি তা মাইক্রোচিপে পরিণত করার জন্য বাকি সব ধাপ; যেমনফটোলিথোগ্রাফি বা ডোপিংয়ের মতো প্রক্রিয়াও নতুন ফ্যাবগুলোতে করা যাবে।

শুধু নিজেদের প্রসেসর আর জিপিইউ তৈরিতেই নতুন প্রযুক্তিটি সীমাবদ্ধ রাখবে না ইন্টেল। এর মধ্যেই জিপিইউ ও এআই চিপ নির্মাতা এনভিডিয়া ও ব্রডকমের সঙ্গে মিলিতভাবে কাজ করছে তারা। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর ডিজাইন করা চিপ তৈরিতে ১৮এ কতটা কার্যকর, তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। ইন্টেলের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এএমডিও আছে এই তালিকায়। এআই চিপ তৈরিতে ইন্টেল ১৮এ প্রক্রিয়া ব্যবহার কার্যকর হবে কি না, তা মূল্যায়ন করছে এএমডি। হয়তো এএমডির তৈরি জিপিইউ তৈরিতেও ১৮এ প্রক্রিয়া ব্যবহৃত হতে পারে। ইন্টেলের টিম ঈগল প্রাথমিকভাবে কিছু ওয়েফার এসব প্রতিষ্ঠানে পৌঁছানো শুরু করেছে। প্রসেস ডিজাইন কিট এবং ওয়েফার পরীক্ষা করছে গ্রাহক প্রতিষ্ঠানগুলো।

বছরের শেষ প্রান্তিকে বাজারে আসবে ১৮এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি প্রথম চিপ। কোডনেম প্যান্থার লেক সিরিজের প্রসেসরের তৈরিতে এটি ব্যবহার করবে ইন্টেল। এর পাশাপাশি ডেটা সেন্টারের জন্য তৈরি জিওন ৭ সিরিজের নতুন প্রসেসর, কোডনেম ক্লিয়ারওয়াটার ফরেস্ট সিরিজ তৈরিতেও ব্যবহৃত হবে এই প্রযুক্তি। টিএসএমসির ২ ন্যানোমিটার এন২ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরাসরি প্রতিযোগিতা করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে ইন্টেলের ১৮এ প্রক্রিয়া। প্রযুক্তিবিদদের মতে, এটি এন২ থেকে আরো বেশি ট্রানজিস্টর ঘনত্ব দিতে সক্ষম হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ট্যারিফ নীতিমালা অনুযায়ী চিপ ডিজাইন করে তাইওয়ান থেকে তৈরি করে আনার খরচ অনেক বেড়ে যাবে। এর ফলে ইন্টেলের চিপ তৈরির কারখানাগুলোতে বাড়বে কাজের চাপ। ইন্টেল আশা করছে, এর মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক মন্দা কেটে যাবে।

 

মন্তব্য

ড্রিমস অব বাংলাদেশের চন্দ্রাভিলাষ

    নাসা আয়োজিত ‘হিউম্যান এক্সপ্লোরেশন রোভার চ্যালেঞ্জ ২০২৫’ (এইচইআরসি) প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে ‘ড্রিমস অব বাংলাদেশ’। বাংলাদেশি তরুণদের এ গবেষণাদল অংশ নিতে যাচ্ছে প্রতিযোগিতার রিমোট কন্ট্রোল ডিভিশনে। এবারই প্রথমবার এ বিভাগটি চালু হয়েছে এইচইআরসি-তে। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে ‘ড্রিমস অব বাংলাদেশ’-এর সদস্যরা তাঁদের গল্প শুনেছেন অলকানন্দা রায়কে
শেয়ার
ড্রিমস অব বাংলাদেশের চন্দ্রাভিলাষ
ড্রিমস অব বাংলাদেশ দল ও তাদের মুন-রোভার মাইরেজ ১। ছবি : সংগৃহীত

২৮ মার্চ ঢাকা ছাড়বে ড্রিমস অব বাংলাদেশ-এর সদস্যরা। নাসার প্রতিযোগিতায় প্রথমবার অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের মুন-রোভার দলটি। সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছে তাদের তৈরি চন্দ্রযান মাইরেজ ১ড্রিমস অব বাংলাদেশ-এর স্বপ্ন, একদিন চাঁদের ধূসর মাটিতে উড়বে বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা।

এমন স্বপ্ন নিয়ে পাঁচ মাস আগে যাত্রা শুরু করে ড্রিমস অব বাংলাদেশ। মহাকাশ গবেষণার জগতে বাংলাদেশের তরুণ অগ্রযাত্রীদের এই যাত্রা সহজ ছিল না। এর পেছনে রয়েছে তাদের অনেক রাত জাগার গল্প, পরীক্ষা-নিরীক্ষা আর অদম্য জেদ।

মুন ল্যান্ডার রোভার টিমকে নেতৃত্বে রয়েছেন লেভেল পরীক্ষার্থী সানজিম হোসাইন।

প্রজেক্ট লিড ও সহদলনায়ক বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী মাহদির ইসলাম। ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী আন নাফিউ দলের সেফটি অফিসার, মেকানিক্যাল লিড ঢাকার সিপিআই পলিটেকনিকের শিক্ষার্থী মো. রিফাত হোসাইন, টেকনিক্যাল লিড বিএএফ শাহীন কলেজের শিক্ষার্থী মো. ইয়াসিন আরাফাত, সফটওয়্যার লিড দিচ্ছেন ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী অর্কপ্রতীক আচার্য, সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী মার্জিয়া আফিফা পৃথিবী দলের ইলেকট্রিক লিডার ও রোভারের ডিজাইন লিডার ঢাকা ইমপিরিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল জুনায়েদ। দলের উপদেষ্টা হিসেবে আছেন এমআইএসটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক শাহ মো. আহসান সিদ্দিক। এমআইএসটির প্রতিনিধি ও মেন্টর হিসেবে দলকে পথ দেখাচ্ছেন জওয়াদুর রহমান ও মো. ফয়সাল হোসেন।

 

মাইরেজ ১-এর বৈশিষ্ট্য

ড্রিমস অব বাংলাদেশের চন্দ্রাভিলাষপ্রথমে চার চাকার একটি রোভার ডিজাইন করে ড্রিমস অব বাংলাদেশ-এর সদস্যরা। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে ট্রায়ালে দেখা যায়, অসমতল ভূমিতে চলতে হিমশিম খাচ্ছে এটি। ভারসাম্য বজায় রাখা হয়ে পড়ে কঠিন এবং মাটি পরীক্ষার সময় প্রথম ডিজাইনটি একদম উড়ে যায়জানালেন দলনেতা সানজিম হোসেন। হতাশ না হয়ে ফের সবাই মিলে রোভারটির পুনর্নির্মাণ করেন তারা। নতুন ডিজাইনে ছয় চাকার একটি কনফিগারেশন করা হয়, যা নাসার মঙ্গল গ্রহে পাঠানো কিউরিওসিটি রোভারের মতো অনেকটা, রকার-বগি সাসপেনশন সিস্টেম ব্যবহার করে তৈরি।

নতুন ডিজাইনটি রোভারকে অত্যন্ত বিষম ভূমিতেও সহজে চলাচল করতে সাহায্য করে। যখন এর কোনো একটি চাকা বাধার সম্মুখীন হয়, তখন অন্য চাকাগুলো তাকে সামলে নেয়।

রোভারটির দৈর্ঘ্য ৭০০ মিমি, প্রস্থ ৪৬০ মিমি, উচ্চতা ২৮০ মিমি, হুইলবেস ১৮০ মিমি, গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ৩৬০ মিমি। হালকা কিন্তু টেকসই নানা উপাদান ব্যবহার করে রোভারটি নির্মাণ করা হয়েছে। কার্বন ফাইবার টিউব ব্যবহার করা হয়েছে কাঠামোগত শক্তি বাড়াতে, পলিল্যাকটিক এসিড ব্যবহার করা হয়েছে প্রোটোটাইপিং ও হালকা কম্পোনেন্টের জন্য, থার্মোপ্লাস্টিক পলিউরেথেন ব্যবহার করা হয়েছে নমনীয় জয়েন্ট ও প্রভাব প্রতিরোধী অংশের জন্য, যেমন এর চাকায়। ফ্রেম ও ভার বহনকারী কাঠামো তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যালুমিনিয়াম বার।

সফটওয়্যার লিডার অর্কপ্রতীক আচার্য বলেন, রোভারটির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো এর অত্যাধুনিক সেন্সিং এবং নেভিগেশন সিস্টেম। এতে ইন্টিগ্রেটেড স্ল্যামটেক আরপি-লাইডার সিস্টেম রয়েছে, যা ৩৬০ ডিগ্রি দৃষ্টিকোণ থেকে আশপাশের জমি ম্যাপ করতে পারে। টাইম অব ফ্লাইট প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই লাইডার লেজার রশ্মি ছড়িয়ে বিষয়বস্তুর দূরত্ব পরিমাপ করার মাধ্যমে বিস্তৃত পয়েন্ট ক্লাউড তৈরি করে, যা প্রক্রিয়াকরণের ফলে তৈরি হয় ২ডি মানচিত্র।

সহদলনেতা মাহদির ইসলাম বলেন, আমাদের রোভারের সিস্টেমের বড় সাফল্য হলো এটি অন্ধকারে, ধুলাচ্ছন্ন অবস্থায়, এমনকি বৈরী আবহাওয়ায়ও সঠিকভাবে ডেটা সংগ্রহ করতে পারে। পরীক্ষাগারের নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে এটি তথ্য সংগ্রহে ৯৮ শতাংশ নির্ভুলতার হার অর্জন করেছে।

রোভারটির মূল হৃত্স্পন্দন এর কেন্দ্রীয় প্রসেসিং ইউনিট এবং যোগাযোগব্যবস্থা। ইএসপিভিত্তিক মাইক্রোকন্ট্রোলার রোভারের মস্তিষ্ক হিসেবে কাজ করে এবং সব ডেটা প্রসেসিং ও রোভার নিয়ন্ত্রণের কাজও করে এটি। এর সঙ্গে সংযুক্ত একটি রিসিভার ইউনিট আছে, যা প্রধান রিমোট কন্ট্রোলারের সঙ্গে বেতার যোগাযোগ স্থাপন করে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি বা ওয়াই-ফাই প্রটোকলের মাধ্যমে। রোভারটিতে আরো সজ্জিত ছয়টি ডিসি মোটর, মোটর ড্রাইভার মডিউল, উচ্চ রেজল্যুশনের দৃশ্য ধারণের ক্যামেরা সিস্টেম এবং বিশেষভাবে ডিজাইন করা পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম দিয়ে, যা লিথিয়াম পলিমার ও ১৮৬৫০ ব্যাটারির সমন্বয়ে তৈরি।

 

মাটি সংগ্রহের মেকানিজম

দলটির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উদ্ভাবনের মধ্যে একটি হচ্ছে তাদের নিজস্ব ডিজাইনের মাটি সংগ্রহের মেকানিজম। শুরুতে তারা একটি ড্রিলিং সিস্টেম ডিজাইন করেছিল, যা ছিল স্কুপজাতীয় কাঠামোসহ একটি একচুয়েটরের সঙ্গে সংযুক্ত। কিন্তু দুই ধরনের নমুনা সংগ্রহের কারণে তারা দুটি সম্পূর্ণ সংগ্রহব্যবস্থা রোভারে অন্তর্ভুক্ত করেছিল, যা রোভারকে অত্যধিক ভারী করে তুলেছিল। এই সমস্যা সমাধানের জন্য তারা সম্পূর্ণ নতুন একটি ডিজাইন করেন। যার মধ্যে রয়েছে একটি ছয় ইঞ্চি আর্থ অগার ড্রিল বিট ও একটি একচুয়েটর সিস্টেম।

অর্কপ্রতীক আচার্য বলেন, চন্দ্রপৃষ্ঠের নমুনা সংগ্রহে কোনো ত্রুটি থাকুক আমরা চাইনি। আমাদের সিস্টেম এত নিখুঁত যে এটি ক্রস-কন্টামিনেশন ছাড়াই দুটি আলাদা নমুনা সংগ্রহ করতে পারে।

 

নাসা প্রতিযোগিতা : চ্যালেঞ্জ

নাসা হিউম্যান এক্সপ্লোরেশন রোভার চ্যালেঞ্জে দুটি প্রধান মিশনে অংশ নিচ্ছে ড্রিমস অব বাংলাদেশ। প্রথমটি হলো মাটির নমুনা সংগ্রহ, যেখানে রোভারকে ক্রস-কন্টামিনেশন এড়িয়ে দুটি আলাদা স্থান থেকে মাটি সংগ্রহ করতে হবে। দ্বিতীয়টি হলো টেরেইন ম্যাপিং, যেখানে রোভার লাইডার ব্যবহার করে আশপাশের অঞ্চলের একটি বিস্তৃত মানচিত্র তৈরি করবে। এ ছাড়া ধূলিময়, অসমান ভূমিসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক বাধা অতিক্রম করার ক্ষমতা পরীক্ষা করবে। প্রতিটি বাধার জন্য বিস্তৃত কৌশল তৈরি করেছে ড্রিমস অব বাংলাদেশ।

 যুক্তরাষ্ট্রের হান্টসভিল, অ্যালাবামায় অবস্থিত ইউএস স্পেস অ্যান্ড রকেট সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে এ প্রতিযোগিতা। এতে হিউম্যান পাওয়ার এবং রিমোট কন্ট্রোল, মোট দুটি বিভাগে বিভিন্ন দেশের ৭৫টি দল অংশ নিচ্ছে। রিমোট কন্ট্রোল বিভাগে ড্রিমস অব বাংলাদেশের সঙ্গে অংশ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, থাইল্যান্ড ও ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ২৫টি দল।

১১ ও ১২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে প্রতিযোগিতার প্রধান পর্ব। প্রতিটি দলের ডিজাইন করা রোভারের কার্যক্ষমতা পরীক্ষা করা হবে চন্দ্রপৃষ্ঠের আদলে তৈরি পরিবেশে। প্রতিটি দলের তৈরি রোভারের কার্যক্ষমতা ছাড়াও এর ডিজাইন ডকুমেন্টেশন, দলটি নিজেদের চিন্তা সাবলীলভাবে তুলে ধরতে পারছে কি নাএমন বেশ কিছু ক্ষেত্রে প্রতিটি দলকে নম্বর দেয়া হবে। প্রতিযোগিতা শেষে দলের প্রাপ্ত মোট স্কোর অনুযায়ী নির্ধারণ করা হবে বিজয়ী।

 

প্রত্যাশা

প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি হিসেবে ড্রিমস অব বাংলাদেশ নিরন্তর তাদের রোভারের পারফরম্যান্স পরীক্ষা করেছে। সফটওয়্যার আপডেট করছে এবং বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলার অনুশীলন করছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে তারা শুধু শিল্প-প্রযুক্তিগত দক্ষতাই অর্জন করেনি, বরং দলগত কাজ, সমস্যা সমাধান এবং জটিল প্রকল্প ব্যবস্থাপনার দিকেও নজর রেখেছে। দলটি আশা করছে, প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েই ফিরবে।

 

 

মন্তব্য
গেম

লেক ডিস্ট্রিক্ট রহস্য

শাহরিয়ার মোস্তফা
শাহরিয়ার মোস্তফা
শেয়ার
লেক ডিস্ট্রিক্ট রহস্য

বাস্তবেই ১৯৫৭ সালে যুক্তরাজ্যের উইন্ডস্কেলে অবস্থিত পারমাণবিক চুল্লিতে ঘটেছিল এক প্রলয়ংকরী দুর্ঘটনা। বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছিল তেজস্ক্রিয় পদার্থ। দুর্ঘটনাটির ওপর ভিত্তি করেই অ্যাটমফলের কাহিনি সাজানো হয়েছে,যদিও এর সঙ্গে বাস্তবতার মিল সামান্যই।

অ্যাটমফলের পটভূমি ১৯৬০-এর দশকের উত্তর ইংল্যান্ডের লেক ডিস্ট্রিক্ট অঞ্চল।

তেজস্ক্রিয়তার প্রভাবে পুরো এলাকার গাছপালা ও প্রাণীর মধ্যে দেখা দিয়েছে অদ্ভুত সব মিউটেশন, বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে বিস্তীর্ণ জায়গা। সরকারি সিদ্ধান্তে একে কোয়ারেন্টিন অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। লেক ডিস্ট্রিক্ট এখন শক্তিশালী মিউট্যান্ট প্রাণী, উন্মাদ কাল্টের সদস্য, পরীক্ষামূলক রোবট ও অদ্ভুত সব প্রযুক্তির আস্তানা। পাশাপাশি অঞ্চলটির নিরাপত্তায় থাকা সামরিক বাহিনীর সদস্যরাও আছে।
মূল্যবান প্রযুক্তির সন্ধানে আসা ভাগ্য অন্বেষণকারীরও অভাব নেই।

ফার্স পারসন সারভাইভাল অ্যাকশন ঘরানার গেম অ্যাটমফল। এর মূল চরিত্রের কোনো নাম-পরিচয় নেই। অতীতের সব স্মৃতি কোনো এক অজানা কারণে হারিয়ে ফেলেছে সে।

জ্ঞান ফেরার পর সে নিজেকে লেক ডিস্ট্রিক্টে আবিষ্কার করে। এখানে কী ঘটেছিল, তার সঙ্গে সম্পর্কই বা কী, এ রহস্যের জট ছাড়ানোর মাধ্যমেই কাহিনি এগিয়ে যাবে।

পটভূমি ও ঘরানায় গেমটির সঙ্গে মিল হওয়ার কথা স্টকার বা মেট্রো সিরিজের। অথচ গেমপ্লের দিক থেকে এর সঙ্গে বরং ফার ক্রাই সিরিজেরই মিল বেশি। গেমারের মূল শত্রু এক ডুমস ডে কাল্ট, তাদের বিভিন্ন আউটপোস্ট দখল করা গেমের বড় অংশ।

এ ছাড়া গেমটিতে অস্ত্রপাতি ও রসদ সংগ্রহের ওপর খুব জোর দিয়েও খেলতে হবে না। শত্রুদের পরাস্ত করাও খুব কঠিন নয়। অন্যান্য সারভাইভাল গেমের মতো লুকিয়ে থেকে শত্রুদের চোখ ফাঁকি দেওয়ার তেমন প্রয়োজন নেই।

অ্যাটমফলের গেমপ্লে পুরোপুরি গেমারের স্বাধীনতার দিকে লক্ষ রেখে সাজানো হয়েছে। নিজের ইচ্ছামতো যেমন পুরো এলাকা ঘুরে বেড়ানো যাবে, কোন মিশন গেমার খেলবে বা সেটা শেষ করবে কিভাবে, তার কোনো কিছুতেই বাধ্যবাধকতা নেই। গেমারকে মিশন দেওয়ার সময়েও চরিত্রগুলো সরাসরি কোনো নির্দেশনা দেবে না, প্রতিটি মিশনই যেন ধাঁধার সমাধান করা।

বিভিন্ন রসদ জোগাড় করা এবং নতুন সব অস্ত্র ও যন্ত্রপাতি তৈরি করা গেমপ্লের অন্যতম অংশ। পাশাপাশি নিজেকে আরো শক্তিশালী করতে মূল চরিত্রের স্কিল বাড়াতে হবে। গেমটিতে স্ট্যামিনা সিস্টেম দেওয়া হয়নি, এর বদলে আছে হার্টবিট সিস্টেম। দৌড়ালে বা দেয়াল বেয়ে ওঠার পর হৃত্স্পন্দন বেড়ে যাবে গেমারের। সে সময় লক্ষ্যভেদ করা হবে যেমন কঠিন, তেমনই দীর্ঘ সময় হার্টবিট বেশি থাকলে শরীরের ক্ষতিও হতে পারে।

গেমটির গ্রাফিক মনোমুগ্ধকর। সবুজ বনভূমি দেখে বিশ্বাস করা কঠিন, এর মধ্যেই ভয়ংকর বিপদ লুকিয়ে আছে। তবে যারা ফলআউট  বা স্টকারের মতো গেমপ্লে খুঁজছেন তাঁদের অ্যাটমফল ভালো না-ও লাগতে পারে।

 

বয়স : শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এই গেম।
খেলতে লাগবে : ইন্টেল কোরআই ৫ ৯৪০০এফ অথবা এএমডি রাইজেন ৫ ২৬০০ প্রসেসর, ১৬জিবি র‌্যাম, এনভিডিয়া আরটিএক্স ২০৬০ অথবা রেডিওন আরএক্স ৫৮০ জিপিইউ এবং ৬০ জিবি জায়গা।
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ