<p style="text-align:justify">প্রতারণার মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের চার কোটি পাঁচ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় সাবেক এমডিসহ ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। গতকাল রবিবার ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালত-৫-এর বিচারক ইকবাল হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের স্টেনোগ্রাফার সোহানুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।</p> <p style="text-align:justify">কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সাবেক এমডি ও সিইও হুমায়ুন কবির, জিএম ননী গোপাল নাথ, এজিএম সাইফুল হাসান, প্যারাগন প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা, পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং মণ্ডল ট্রেডার্সের মালিক মকুল হোসেন, ডিএমডি মাইনুল হক, জিএম মীর মহিদুর রহমান, ডিজিএম সফিজ উদ্দিন আহমেদ ও এজিএম কামরুল হোসেন খান।</p> <p style="text-align:justify">তাঁদের মধ্যে প্রথম ছয়জনকে দুটি ধারায় ১০ বছর ও সাত বছর করে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। শেষের চারজনকে অসুস্থ বিবেচনায় দুটি ধারায় সাত বছর ও তিন বছর করে মোট ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">আসামিদের মধ্যে রায় ঘোষণার সময় কারাগারে থাকা মাইনুল হক, সফিজ উদ্দিন আহমেদ, মহিদুর ও কামরুল হোসেনকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণা শেষে তাঁদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়। অপর ছয় আসামি পলাতক থাকায় আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।</p> <p style="text-align:justify">২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি দুদকের উপপরিচালক মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে রমনা থানায় করা ওই মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সোনালী ব্যাংকের হোটেল শেরাটন শাখার অস্তিত্ববিহীন গ্রাহক মণ্ডল ট্রেডার্সের একটি হিসাবে ভুয়া আইবিপি বাবদ চার কোটি পাঁচ লাখ টাকা পরিশোধ না করে এবং পরে সমন্বয়ের মাধ্যমে আইবিপি ঋণ সৃষ্টি করে ওই টাকা আত্মসাৎ করেন।</p> <p style="text-align:justify">মামলাটি তদন্ত করে ২০১৪ সালের ২২ মে দুদকের সহকারী পরিচালক মশিউর রহমান চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৫ সালের ১৮ মে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৬২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।</p>