ঢাকা, বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫
৫ চৈত্র ১৪৩১, ১৮ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫
৫ চৈত্র ১৪৩১, ১৮ রমজান ১৪৪৬

সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি-২০২৫

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি-২০২৫
সংগৃহীত ছবি

ঢাকার সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি প্রকাশ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করবে এ সময়সূচি। ২ মার্চ প্রথম রোজার সাহরির শেষ সময় ভোর ৫টা ৪ মিনিট ও ইফতারের সময় ৬টা ২ মিনিট। 

আরো পড়ুন
যেসব কারণে রোজা ভেঙে যায়

যেসব কারণে রোজা ভেঙে যায়

 

ইসলামিক ফাউন্ডেশন আরো জানায়, দূরত্ব অনুযায়ী ঢাকার সময়ের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৯ মিনিট যোগ করে অথবা ৯ মিনিট বিয়োগ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ সাহরি ও ইফতার করবেন।

সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি দেখুন এখানে

রোজা মার্চ বার সাহরি শেষ ফজর শুরু ইফতারের সময়
*০১ ২ মার্চ রবিবার ৫-০৪ মি. ৫-০৫ মি. ৬-০২ মি.
০২ ৩ মার্চ সোমবার ৫-০৩ মি. ৫-০৪ মি. ৬-০৩ মি.
০৩ ৪ মার্চ মঙ্গলবার ৫-০২ মি. ৫-০৩ মি. ৬-০৩ মি.
০৪ ৫ মার্চ বুধবার ৫-০১ মি. ৫-০২ মি. ৬-০৪ মি.
০৫ ৬ মার্চ বৃহস্পতিবার ৫-০০ মি. ৫-০১ মি. ৬-০৪ মি.
০৬ ৭ মার্চ শুক্রবার ৪-৫৯ মি. ৫-০০ মি. ৬-০৫ মি.
০৭ ৮ মার্চ শনিবার ৪-৫৮ মি. ৪-৫৯ মি. ৬-০৫ মি.
০৮ ৯ মার্চ রবিবার ৪-৫৭ মি. ৪-৫৮ মি. ৬-০৬ মি.
০৯ ১০ মার্চ সোমবার ৪-৫৬মি. ৪-৫৭ মি. ৬-০৬ মি.
১০ ১১ মার্চ মঙ্গলবার ৪-৫৫ মি. ৪-৫৬মি. ৬-০৬ মি.
১১ ১২ মার্চ বুধবার ৪-৫৪ মি. ৪-৫৫ মি. ৬-০৭ মি.
১২ ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার ৪-৫৩ মি.     ৪-৫৪ মি. ৬-০৭ মি.
১৩ ১৪ মার্চ শুক্রবার ৪-৫২ মি. ৪-৫৩ মি. ৬-০৮ মি.
১৪ ১৫ মার্চ শনিবার ৪-৫১ মি. ৪-৫২ মি. ৬-০৮ মি.
১৫ ১৬ মার্চ রবিবার ৪-৫০ মি.     ৪-৫১ মি. ৬-০৮ মি.
১৬ ১৭ মার্চ সোমবার ৪-৪৯মি. ৪-৫০ মি. ৬-০৯ মি.
১৭ ১৮ মার্চ মঙ্গলবার ৪-৪৮ মি. ৪-৪৯মি. ৬-০৯ মি.
১৮ ১৯ মার্চ বুধবার ৪-৪৭ মি. ৪-৪৮ মি. ৬-১০ মি.
১৯ ২০ মার্চ বৃহস্পতিবার ৪-৪৬ মি. ৪-৪৭ মি. ৬-১০ মি.
২০ ২১ মার্চ শুক্রবার ৪-৪৫মি.     ৪-৪৬ মি. ৬-১০ মি.
২১ ২২ মার্চ শনিবার ৪-৪৪ মি. ৪-৪৫মি. ৬-১১ মি.
২২ ২৩ মার্চ রবিবার ৪-৪৩ মি. ৪-৪৪ মি. ৬-১১ মি.
২৩ ২৪ মার্চ সোমবার ৪-৪২ মি. ৪-৪৩ মি. ৬-১১ মি.
২৪ ২৫ মার্চ মঙ্গলবার ৪-৪১ মি. ৪-৪২ মি. ৬-১২ মি.
২৫ ২৬ মার্চ বুধবার ৪-৪০ মি. ৪-৪১ মি. ৬-১২ মি.
২৬ ২৭ মার্চ বৃহস্পতিবার ৪-৩৯ মি. ৪-৪০ মি. ৬-১৩ মি.
২৭ ২৮ মার্চ শুক্রবার ৪-৩৮ মি. ৪-৩৯ মি. ৬-১৩ মি.
২৮ ২৯ মার্চ শনিবার ৪-৩৬ মি. ৪-৩৮ মি. ৬-১৪ মি.
২৯ ৩০ মার্চ রবিবার ৪-৩৫ মি. ৪-৩৬ মি. ৬-১৪ মি.
৩০ ৩১ মার্চ সোমবার ৪-৩৪ মি. ৪-৩৫ মি. ৬-১৫ মি.
আরো পড়ুন
ইফতারের ফজিলত ও বরকত

ইফতারের ফজিলত ও বরকত

 

* চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল।

সূত্র: ইসলামিক ফাউন্ডেশন

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আজকের নামাজের সময়সূচি, ১৯ মার্চ ২০২৫

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আজকের নামাজের সময়সূচি, ১৯ মার্চ ২০২৫

আজ বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১, ১৮ রমজান ১৪৪৬
ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি নিম্নরূপ—

জোহরের সময় শুরু ১২টা ১০ মিনিট। 

আসরের সময় শুরু - ৪টা ২৭ মিনিট।

মাগরিব- ৬টা ১৩ মিনিট।

এশার সময় শুরু - ৭টা ২৬ মিনিট।

আগামীকাল ফজর শুরু - ৪টা ৫১ মিনিট।

আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত - ৬টা ৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয়- ৬টা ১৯ মিনিটে।

সূত্র : ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, বসুন্ধরা, ঢাকা।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
প্রশ্ন-উত্তর

সূর্যোদয়ের পাঁচ মিনিট পর ইশরাকের নামাজ পড়ে ফেলা যাবে?

ইসলামী জীবন ডেস্ক
ইসলামী জীবন ডেস্ক
শেয়ার
সূর্যোদয়ের পাঁচ মিনিট পর ইশরাকের নামাজ পড়ে ফেলা যাবে?
প্রতীকী ছবি

প্রশ্ন : সূর্যোদয়ের পাঁচ মিনিট পর ইশরাক পড়ে ফেলার বিধান কী?

-সালাউদ্দীন, নোয়াখালী

উত্তর : এ ব্যাপারে অভিজ্ঞ ওলামারা নিরীক্ষণের মাধ্যমে কমপক্ষে ১০ মিনিট নির্ধারণ করেছেন। সুতরাং ১০ মিনিটের আগে ফরজ-ওয়াজিবের নিয়ত করে নামাজ শুরু করলে তা শুদ্ধ হবে না। আর নফল নামাজ শুরু করা সহিহ হলেও মাকরুহ হবে। (আল-বাহরুর রায়েক : ১/২৪৯-২৫০, ফাতাওয়ায়ে কাজি খান : ১/৩৬, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ৪/৫৪০)।

সমাধান : ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বাংলাদেশ বসুন্ধরা, ঢাকা
 

মন্তব্য

আল্লাহ যাদের রোজা কবুল করেন না

সাইফুল ইসলাম
সাইফুল ইসলাম
শেয়ার
আল্লাহ যাদের রোজা কবুল করেন না

আত্মসংযম, আত্মনিয়ন্ত্রণ, আত্মশুদ্ধি ও আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধনে রোজা একটি অপরিহার্য ইবাদত। ব্যক্তির আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধন এবং তাকওয়ার প্রশিক্ষণ গ্রহণের নিমিত্তে রোজার বিধান প্রবর্তন করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে মানুষ! তোমরা যারা ঈমান এনেছ, তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করে দেওয়া হয়েছে, যেমন করে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর। যেন তোমরা (রোজার মাধ্যমে) মুত্তাকি হতে পারো (আল্লাহকে ভয় করতে পারো)।

’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ১৮৩)

আলোচ্য আয়াতের মাধ্যমে মহান আল্লাহ তাআলা গোটা ঈমানদারদের সতর্ক করেছেন, যেন তারা তাদের জাগতিক কাজকর্মে সর্বাবস্থায় মহান আল্লাহকে ভয় করে। অর্থাৎ তাদের সব কাজকর্ম যেন শরিয়াভিত্তিক হয়, কোরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক হয় তথা আল্লাহর নির্দেশ এবং আল্লাহর রাসুলের আদর্শ অনুযায়ী হয়। মহান আল্লাহর কাছে রোজাদারের মর্যাদা সীমাহীন। মহান আল্লাহ হাদিসে কুদসির মাধ্যমে বলেন, ‘রোজা আমার জন্য এবং আমিই এর প্রতিদান দেব।

প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘যখন রমজান মাসের আগমন ঘটে তখন বেহেশতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানদের শৃঙ্খলিত করা হয়।’ (সহিহ বুখারি ও মুসলিম)

কোরআন-হাদিসে রোজাদারদের সম্মানে এত কিছু বলার পরও কিছু কিছু মানুষের রোজা থাকা একেবারে মূল্যহীন হবে; অর্থাৎ তাদের জন্য রোজা থাকা হবে শুধু না খেয়ে থাকা। নিম্নে তাদের বিষয়ে আলোচনা করা হলো—

মিথ্যাবাদী : আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলা এবং তা অনুসারে কার্যকলাপ করা পরিত্যাগ করেনি, তার পানাহার পরিত্যাগ করাতে (রোজা রাখাতে) আল্লাহর কাছে কোনো মূল্য নেই।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)

আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠায় বাধাদানকারী : পবিত্র আল-কোরআনে অতি স্পষ্টভাবে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠায় বাধাদানকারীদের বিষয়ে কঠোর সতর্কবাণী উচ্চারিত হয়েছে।

মহান আল্লাহ বলেন, ‘যেসব লোক আল্লাহ যা নাজিল করেছেন, তদানুযায়ী বিচার-ফয়সালা করে না, তারা কাফির।’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৪৪)

সুতরাং আলোচ্য আয়াতের ভাষ্য অনুসারে কাফিরের রোজা রাখা আর না খেয়ে থাকা সমান।

নেশাকারী : নেশাকারীর বিষয়ে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘নেশাদ্রব্য পানকারী যদি তাওবা না করে মারা যায়, তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ (সুনান আন-নাসাঈ)

পিতা-মাতার সঙ্গে খারাপ ব্যবহারকারী : মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি পিতা-মাতা উভয়কে অথবা তাঁদের একজনকে বার্ধক্যে পাওয়ার পরও (তাঁদের সেবা করে) জান্নাত লাভ করতে পারল না, ধ্বংস হোক সে ব্যক্তি।’ (সুনান আত-তিরমিজি ও সহিহ ইবনে হিব্বান)

আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রোজা রাখা সত্ত্বেও মিথ্যা কথা বলা এবং মিথ্যার ভিত্তিতে কাজ করা ছাড়তে পারেনি, তার পানাহার ত্যাগে আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই।

’ (বুখারি, হাদিস : ১৯০৩)

আবু হুরাইরা (রা.) আরেক বর্ণনায় বলেন, নবী (সা.) ইরশাদ করেন, ‘অনেক রোজাদার এমন আছে, রোজা থেকে তার প্রাপ্য কেবলই ক্ষুধার্ত থাকা ও পিপাসার্ত থাকা। এবং অনেক রাতের নামাজ আদায়কারী এমন আছে, যাদের এ নামাজের অংশ শুধুই দাঁড়িয়ে থাকা।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৩৪৮১)

রোজা রাখার বিধান প্রবর্তনের অন্যতম কারণ হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি ও তাকওয়া অর্জন তথা আল্লাহভীতি। সুতরাং রোজা রেখে মহান আল্লাহর অপছন্দীয় ও নিষেধাজ্ঞামূলক কাজ করা রোজার উদ্দেশ্য পরিপন্থী। যেমন—আর্থ-সামাজিক অসাধুতা, প্রতারণা, মিথ্যাচার, অশ্লীলতা, বেপর্দায় চলা, অন্যায়-অত্যাচার, অনাচার-পাপাচার, খুন-রাহাজানি, সন্ত্রাসবাদ, ব্যভিচার, মদ-জুয়া, সুদ-ঘুষ, অযথা কথা বলা, গিবত করা, পণ্যে ভেজাল, ওজনে কম দেওয়া, ধোঁকাবাজি করা, মজুদদারি ও কালোবাজারি, ব্যবসায় অধিক মুনাফা অর্জন, অন্যায়ভাবে ওপরে উল্লেখিত সম্পদ অর্জনে চেষ্টা করা, দুর্নীতি করা, অপচয়-অপব্যয়, প্রতিবেশীর প্রতি দায়িত্ব পালন না করা, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা, অধীন কর্মচারীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, অধীন কর্মচারীর ওপর অযৌক্তিক কাজ চাপিয়ে দেওয়া, অবিচার করা, কারো মনে কষ্ট দেওয়া, নাচ-গান করা, হারাম উপার্জন করা—সর্বোপরি পৃথিবীতে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠায় বিরোধিতা করা ইত্যাদি।

মন্তব্য

ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধ

আসআদ শাহীন
আসআদ শাহীন
শেয়ার
ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধ
সংগৃহীত ছবি

রমজান পবিত্র, রহমতপূর্ণ ও ফজিলতসমৃদ্ধ মাস। এই মাস শুধু রোজা ও ইবাদতের জন্যই নয়, বরং ইসলামের ইতিহাসে এটি একাধিক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী, বিশেষ করে ১৭ রমজান; একটি স্মরণীয় দিন, যা ইসলামের ইতিহাসে অমর হয়ে আছে। এই দিনে সংঘটিত হয়েছে এমন কিছু ঘটনা নিম্নে তুলে ধরা হলো—

১. বদরের যুদ্ধ : ইসলাম ও কুফরের প্রথম যুদ্ধ 

ইসলামের ইতিহাসে যে যুদ্ধটি সর্বপ্রথম হক ও বাতিলের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করেছিল, তা হলো বদরের যুদ্ধ। এটি ইসলামের এক মহিমান্বিত অধ্যায়, যা চিরকাল মুসলমানদের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

বদরের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল দ্বিতীয় হিজরির ১৭ রমজান, যা ‘ইয়াওমুল ফুরকান’ বা ‘হক-বাতিলের পার্থক্যের দিন’ নামে আল-কোরআনে উল্লেখিত হয়েছে।(সুরা : আল-আনফাল, আয়াত : ৪১)

বদরের প্রান্তরে মুসলমানদের সেনাবাহিনী ছিল মাত্র ৩১৩ জন, যাঁদের মধ্যে নবীন সাহাবিদের পাশাপাশি প্রবীণ ও যুবকরাও অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের কাছে অস্ত্রসজ্জা ছিল অত্যন্ত সীমিত—মাত্র তিনটি ঘোড়া, ছয়টি বর্শা, আটটি তলোয়ার ও বাহনের জন্য ৭০টি উট ছিল। অন্যদিকে মক্কার কাফিররা এক বিশাল ও সুসজ্জিত বাহিনী নিয়ে উপস্থিত হয়েছিল।

তাদের সংখ্যা ছিল প্রায় এক হাজার, সঙ্গে ছিল ১০০টি ঘোড়া, ৭০০টি উট এবং বিপুল পরিমাণ অস্ত্র। বাহ্যিক দৃষ্টিতে মুসলমানদের পক্ষে বিজয় অসম্ভব মনে হলেও আল্লাহর সাহায্য ছিল তাঁদের সঙ্গে। (সিরাতে ইবনে হিশাম, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-২৩৮)

মুসলমানদের ঈমানের শক্তি ও আল্লাহর অদৃশ্য সাহায্যের ফলে কাফিরদের বিশাল বাহিনী পরাজিত হলো। যুদ্ধ শেষে কুরাইশ নেতাদের ৭০ জন নিহত হয় এবং ৭০ জন বন্দি হয়।

অন্যদিকে ১৪ জন সাহাবি শহীদ হন। এই বিজয় মক্কার মুশরিকদের অহংকারকে ধূলিসাত্ করে দেয় এবং ইসলামের প্রসারকে শক্তিশালী করে। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, খণ্ড-৩, পৃষ্ঠা-২৮৩)

বদরের যুদ্ধ ছিল কেবল একটি সামরিক বিজয় নয়, বরং এটি ছিল ঈমান ও আত্মত্যাগের এক অবিস্মরণীয় ইতিহাস, যা চিরকাল মুসলিম উম্মাহর জন্য এক অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

২. উম্মুল মুমিনিন আয়েশা সিদ্দিকা (রা.)-এর ইন্তেকাল

ইসলামী ইতিহাসের সূর্যালোকে এক অনন্য উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম আয়েশা সিদ্দিকা (রা.)। তিনি ছিলেন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সর্বাধিক প্রিয় স্ত্রী এবং প্রথম খলিফা আবু বকর সিদ্দিক (রা.)-এর কন্যা।

তাঁর নাম আয়েশা, উপাধি সিদ্দিকা ও হুমায়রা এবং তাঁর সম্মানজনক উপাধি উম্মুল মুমিনিন (মুমিনদের জননী)। আয়েশা (রা.) ছিলেন মেধা, প্রজ্ঞা ও অসাধারণ স্মৃতিশক্তির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। প্রখ্যাত সাহাবি আবু মুসা আশআরি (রা.) বলেন, ‘আমরা, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সাহাবিরা, যখনই কোনো জটিল বিষয়ে সমস্যায় পড়তাম, তখনই আয়েশা (রা.)-এর শরণাপন্ন হতাম। তাঁর কাছে এমন কোনো বিষয় ছিল না, যার সমাধান তিনি জানতেন না।’ (জামে আত-তিরমিজি : কিতাবুল মানাকিব, হাদিস : ৩৮৮৩)

তাঁর প্রজ্ঞা ও অসাধারণ স্মৃতিশক্তির কারণেই তিনি ছিলেন অন্যতম প্রধান মুহাদ্দিস, যাঁর মাধ্যমে বহু হাদিস সংকলিত হয়েছে। তিনি প্রায় দুই হাজার ২০০-এরও বেশি হাদিস বর্ণনা করেছেন, যা ইতিহাসের পাতায় অমূল্য ভাণ্ডার হয়ে রয়েছে। আয়েশা (রা.) ছিলেন ইবাদত ও আত্মত্যাগের মূর্ত প্রতীক। তিনি বেশির ভাগ সময় রোজা রাখতেন এবং রাতের বেশির ভাগ অংশ নফল নামাজে অতিবাহিত করতেন।

তাঁর অন্তর ছিল দানশীলতায় পরিপূর্ণ। উমর (রা.) তাঁর জন্য একটি ভাতা নির্ধারণ করেছিলেন, কিন্তু তিনি তা গরিবদের মধ্যে বিলিয়ে দিতেন। একবার তিনি ৬০ হাজার দিরহাম সদকা করে দেন অথচ নিজে মাত্র দুটি খেজুর খেয়ে দিন অতিবাহিত করেন। (সিরাতে রাসুল,খণ্ড-৬, পৃষ্ঠা-১১৪)

৫৮ হিজরি সনের পবিত্র রমজান মাসে আয়েশা (রা.) অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থতার সময় যখন লোকেরা তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইতেন, তিনি বিনয়ের সঙ্গে বলতেন, ‘আল্লাহর রহমতে আমি ভালো আছি।’ (তাবাকাতে ইবনে সাদ, খণ্ড-৮, পৃষ্ঠা-৫৮)

অবশেষে ১৭ রমজান, ৫৮ হিজরি সালে রাতের বেলায় তিনি ইন্তেকাল করেন। তাঁর জানাজার নামাজ পড়ান প্রখ্যাত সাহাবি আবু হুরায়রা (রা.) এবং তাঁর ইচ্ছানুযায়ী তাঁকে মদিনার জান্নাতুল বাকি কবরস্থানে দাফন করা হয়। (আল মুজামুল কাবির, খণ্ড-২৩, পৃষ্ঠা-২৮; সিয়ারু আলামিন নুবালা, খণ্ড-৩, পৃষ্ঠা-৪২৬)

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ