দলীয় পদ ফিরে পেলেন শামা ওবায়েদ ও বাবুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দলীয় পদ ফিরে পেলেন শামা ওবায়েদ ও বাবুল
শামা ওবায়েদ ও শহিদুল ইসলাম বাবুল।

দীর্ঘ আড়াইমাস পর দলীয় পদ ফিরে পেলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) শামা ওবায়েদ ও কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল।

রবিবার (১০ নভেম্বর) তাদের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে বিএনপি। এদিন রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেন।

আরো পড়ুন
কাস্টমসের ৩২১ রাজস্ব কর্মকর্তার বদলি

কাস্টমসের ৩২১ রাজস্ব কর্মকর্তার বদলি

 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত ২১ আগস্ট বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) শামা ওবায়েদের প্রাথমিক সদস্য পদসহ বিএনপির সকল পর্যায়ের পদ স্থগিত করা হয়েছিলো।

আজ তার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।’

একই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২১ আগস্ট বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক পদসহ বিএনপির সকল পর্যায়ের পদ স্থগিত করা হয়েছিল। আজ তার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
 

মন্তব্য

নির্বাচন ছাড়া দেশের ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখার চিন্তা করলে জনগণ মেনে নেবে না : রুমিন ফারহানা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
নির্বাচন ছাড়া দেশের ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখার চিন্তা করলে জনগণ মেনে নেবে না : রুমিন ফারহানা

বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, ‘আমাদের লড়াই এখনো শেষ হয়নি, আমরা এখনো ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে পারিনি। নির্বাচন ছাড়া কেউ যদি দেশের শাসন ক্ষমতা দীর্ঘদিন আঁকড়ে ধরে রাখার চিন্তা করে তাহলে জনগণ মেনে নেবে না।’ 

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর সূর্যকুমার দাস চৌধুরী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ‘১৫ বছর আগে যে তরুণ-তরুণীরা ভোটার হয়েছিলেন তারা আজও ভোট দিতে পারেননি।

তারা এখন ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে আছেন। তাই ভোটের মাধ্যমে দ্রুত জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

লালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি হাজি মো. জামাল মিয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবিএম মুমিনুল হক মুমিন, বিএনপি নেতা ভিপি জহিরুল হক লিটন, সরাইল উপজেলা বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন মাস্টার, আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি নেতা মো. নাসির মুন্সী প্রমুখ।

মন্তব্য

আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জীর মৃত্যুতে জামায়াত আমিরের শোক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জীর মৃত্যুতে জামায়াত আমিরের শোক

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জীর (রহ.) মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ডা. শফিকুর রহমান এ শোক জানায়।

শোকবার্তায় জামায়াত আমির বলেন, ‘আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জীর ইন্তেকালে জাতি একজন আলেমে দ্বীন, ইসলামী চিন্তাবিদ ও অভিভাবককে হারাল। আতাউল্লাহ হাফেজ্জী ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে হাফেজ্জী হুজুর প্রতিষ্ঠিত জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়া মাদরাসার মুহতামিম, সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের (সাবেক) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সহ-সভাপতি ছিলেন।

তিনি সারা জীবন ইসলামের খেদমত করে গেছেন। দেশে ইসলামী শিক্ষার বিস্তার ও প্রসারে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ইলমে দ্বীনের খেদমতের জন্য এ দেশের মানুষ তাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। তার শূন্যতা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।
আমি তার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাকে জান্নাতে উচ্চ মাকাম দান করুন। আমি তার শোকাহত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী, সহকর্মী ও গুণগ্রাহীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

প্রসঙ্গত, মাওলানা হাফেজ ক্বারি আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর নিজ মাদ্রাসা জামেয়া নুরিয়ায় শুক্রবার বেলা ১১টার পর ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মন্তব্য

যত দিন বাংলাদেশ থাকবে, তত দিন ‘জয় বাংলা’ থাকবে : কাদের সিদ্দিকী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
যত দিন বাংলাদেশ থাকবে, তত দিন ‘জয় বাংলা’ থাকবে : কাদের সিদ্দিকী

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, স্বাধীনতাকামী মানুষের, বাংলাদেশের মানুষের স্লোগান হবে ‘জয় বাংলা’। যত দিন বাংলাদেশ থাকবে, তত দিন ‘জয় বাংলা’ থাকবে। আমি গত ২৫ বছরে একবারের জন্যও ‘জয় বাংলা’ বলিনি। মা-বাবার কবরে শপথ করে গেলাম আজ থেকে আমি ‘জয় বাংলা’ বলব।

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ছাতিহাটী নিজ গ্রামে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আল্লাহ আমাদের জয় দিয়েছিলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। আজকে এত দালানকোঠা, ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাট বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে এর কিছুই হতো না। আজ বড় দুর্ভাগ্যের বিষয়, আজকে এই স্বাধীনতাকে অনেকে মনেই করতে চায় না।

তিনি আরো বলেন, ‘গত ২৬ মার্চ জাতীয় স্মৃতিসৌধে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ার জন্য কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি এর নিন্দা জানাই। স্বাধীন বাংলাদেশে ‘জয় বাংলা’ ছিল মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান। এটা কারো দলের নয়, ব্যক্তির নয়, কোনো গোষ্ঠীর নয়।

এটা মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান, স্বাধীনতার স্লোগান।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। কেউ কেউ মনে করতে চায়, এটা স্বাধীনতার পতন হয়েছে। না, কোনোমতেই না। আজকে যে নেতারা একটা বিপ্লব ঘটিয়েছে; আমি তাদের এই বিপ্লবকে সাধুবাদ জানাই এবং তারা যদি ঠিকভাবে চলতে পারতেন তাহলে বহু বছর মানুষ তাদের স্মরণ রাখত।

কিন্তু তারা স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলেছেন। তারা বঙ্গবন্ধুকে মানে না, তারা জিয়াউর রহমানকে মানে না। তারা আমাদের কাউকেই মানে না। এটা ভালো কথা নয়।’

কাদের সিদ্দিকী আরো বলেন, ‘প্রতিহিংসার জন্য নয়, আমি রাজনীতি করি মানুষকে পাহারা দেওয়ার জন্য, দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়াবার জন্য। আজ থেকে আমাদের সক্রিয় রাজনীতি করা দরকার।’  

মন্তব্য

ভারতে বিতর্কিত ওয়াকফ বিল পাস, ছাত্রশিবিরের নিন্দা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভারতে বিতর্কিত ওয়াকফ বিল পাস, ছাত্রশিবিরের নিন্দা
ফাইল ছবি

ভারতে মুসলিম স্বার্থবিরোধী ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাস ও বিজেপি সরকারের ধারাবাহিক মুসলিমবিরোধী পদক্ষেপের প্রতিবাদে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এই নিন্দা  জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৩ এপ্রিল ভারতের লোকসভায় পাসকৃত বিতর্কিত ওয়াকফ সংশোধনী বিল মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতা, মালিকানা ও অধিকার হরণে বিজেপি সরকারের সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টার আরেকটি ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত। এই আইনের মাধ্যমে মুসলিমদের দানকৃত মসজিদ, মাদরাসা, কবরস্থান ও আশ্রয়কেন্দ্রের মতো ধর্মীয় সম্পদগুলোতে সরকারি হস্তক্ষেপ ও দখলের পথ তৈরি করা হয়েছে।

বিল অনুযায়ী, ওয়াকফ বোর্ড ও কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিলে মুসলিম নয় এমন দুজন সদস্য রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যা ওয়াকফের ধর্মীয় স্বাতন্ত্র্যকে নস্যাৎ করার শামিল।

ছাত্রশিবির নেতারা বলেন, ভারতে বর্তমানে আট লাখ ৭২ হাজারেরও বেশি ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে। যার মধ্যে জমির পরিমাণ প্রায় চার লাখ পাঁচ হাজার হেক্টর (১০ লাখ একর), যা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই ওয়াকফ সম্পত্তিগুলো ভারতের বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রীয় অঞ্চলগুলোর ওয়াকফ বোর্ডগুলোর অধীনে থাকে এবং এটি ভারতের শহুরে ভূমির সর্বোচ্চ মালিকানার অন্যতম।

সামরিক বাহিনী ও রেলওয়ের পর ওয়াকফ বোর্ডগুলোর মালিকানাধীন ভূমির পরিমাণই সর্বাধিক। বিশেষ করে ভারতীয় পার্লামেন্টে নতুন ওয়াকফ আইন সংস্কারের প্রস্তাব সরকারকে ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে অবাধ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দেবে, যা মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি আরেকটি আঘাত। আমরা এ বিলের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

আরো পড়ুন
বিতর্কিত ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদে উত্তাল কলকাতা-চেন্নাই

বিতর্কিত ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদে উত্তাল কলকাতা-চেন্নাই

 

তারা আরো বলেন, ভারতে বর্তমানে প্রায় ২৫ কোটি মুসলমান বসবাস করছেন, যারা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠী।

এই জনগোষ্ঠীর ওপর একের পর এক দমনমূলক আইন চাপিয়ে দিয়ে এবং তাদের ধর্মীয় কাজে ব্যবহৃত সম্পদের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে ভারতের শাসকগোষ্ঠী দেশটিকে একক হিন্দু রাষ্ট্রে রূপান্তরের হীন-অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এর আগে ২০১৯ সালে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জির মতো মুসলিমবিরোধী আইন পাস করে মুসলমানদের রাষ্ট্রহীন করার চেষ্টা করা হয়। এ ছাড়া হিজাব ও গরু জবাই নিষিদ্ধ করে মুসলমানদের জীবিকা ধ্বংস এবং প্রকাশ্যে কোরআন অবমাননার ঘটনাও প্রতিনিয়ত ঘটেছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে। এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে মুসলিম জনজীবনকে আরো সংকুচিত এবং কঠিন করা হচ্ছে।

অবিলম্বে মুসলিম ও মানবতাবিরোধী সব আইন বাতিল করে মানবিক মর্যাদা ও অধিকার পুনঃস্থাপন করার দাবি জানানো হয় ছাত্রশিবিরের বিবৃতিতে।

সংগঠনটি মুসলিম স্বার্থবিরোধী এই বিতর্কিত আইন বাতিল করে মুসলিম সম্প্রদায়ের অধিকার সংরক্ষণের জন্য ভারত সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানায়।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ