ঢাকা, বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫
২৫ চৈত্র ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫
২৫ চৈত্র ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৬

ভারতের কোনো ষড়যন্ত্র টিকবে না : ফয়জুল করীম

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ভারতের কোনো ষড়যন্ত্র টিকবে না : ফয়জুল করীম
ছবি : কালের কণ্ঠ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘শ্রমের বিনিময়ে ন্যায্য মজুরি পাওয়ার জন্য শ্রমিকরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। দেশের গার্মেন্টস সেক্টর অর্থনীতির ভারসাম্য রক্ষা করে যাচ্ছে। দেশের গার্মেন্টস সেক্টর ধ্বংস করতে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে।

এক শ্রেণির অসাধু লোক ঠুনকো অজুহাতে বিভিন্ন আন্দোলন করে দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করার চক্রান্ত করছে।’

আজ বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য দেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি এইচ এমন রফিকুল ইসলাম, মুহাম্মাদ হায়দার আলী, শাহাদাত হোসেন প্রধানিয়া ও মুহাম্মাদ মাহবুব আলম প্রমুখ।

এ সময় ফয়জুল করীম বলেন, ‘সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দেশকে ধ্বংস করার চক্রান্তের অংশ হিসেবে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

তাদের মজুরি ঠিকভাবে দেওয়া হচ্ছে না। গার্মেন্টস সেক্টর পরিচালনার বর্তমান আইন শ্রমিকদের জন্য কল্যাণকর নয়। যার কারণে শ্রমিকদের অবৈধভাবে অপসারণ করা হয়। কোনো কোনো গার্মেন্টস শ্রমিকরা জানেনই না কখন তাদের বিদায় নিতে হবে।
এ কারণে অনেক শ্রমিক সন্তুষ্টির সাথে কাজে মনোনিবেশ করে না। যে কারণে কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি না করে জুলুম বন্ধ করে যথাযথ অধিকার দেওয়া হলে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে শ্রমিক, মালিক ও দেশ লাভবান হত। শ্রমিক ও মালিকদের মধ্যে পরিকল্পিতভাবে বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে। শ্রমিকদের জন্য প্রয়োজনীয় মানসম্পন্ন আবাসন ও পরিবহন ব্যবস্থার অভাব রয়েছে।

বিশেষ করে কলকারখানায় নারী শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা থাকা দরকার।

তিনি মালিক শ্রমিকদের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে গার্মেন্টস সেক্টরের জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে। শ্রমিকরা কোনো অবস্থাতেই যাতে অধিকার বঞ্চিত না হয় সে ব্যবস্থা করতে হবে। অসুস্থ শ্রমিক বা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতার অঙ্গীকার থাকতে হবে।’

চামড়া শিল্পের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে দেশের চামড়া খাতকে ধ্বংস করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরাসরি বা ইউরোপে চামড়া বিক্রি করতে পারে না, বাংলাদেশকে ভারত হয়ে চামড়া বিক্রয় করতে হয় বলে ট্যানারি মালিকরা জানিয়েছেন।’

তিনি এজন্য চামড়া রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রচলিত বিধি-বিধান পরিবর্তন করতে গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘গার্মেন্ট শিল্প ধ্বংস প্রায় গার্মেন্টস শিল্প যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে দিকে নজর দেয়া জরুরি।’

সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘ভারতে আমাদের সহকারী হাইকমিশনে আক্রমণ করা হয়েছে। বাংলাদেশের পতাকাকে অপমান করা হয়েছে। ভারতে থাকা আমাদের দেশের কূটনীতিকদের আক্রমণের কারণ কী? ভরত কি বাংলাদেশের পায়ে পাড়া দিয়ে যুদ্ধ বাজাতে চায়? ভারত যদি যুদ্ধ বাজাতেই চায় তবে তারা আমাদের কেমন বন্ধু? ভারত আমাদের কেমন বন্ধু তা মমতা ব্যানার্জির বক্তব্যে প্রমাণিত হয়েছে। তার বক্তব্যে শত্রুতা প্রমাণিত হয়েছে।’

ইসকন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ইসকন হিন্দুদের কোনো ধর্মীয় সংগঠন নয়। এটা সন্ত্রাসীদের সংগঠন। দেশের হাজারো হিন্দু দেশপ্রেমিক। তারা দেশ নিয়ে ভাবে। দেশের উন্নয়নের জন্য চেষ্টা করে। কিন্তু ইসকন দেশ নিয়ে নয় বরং দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ইসকনের সদস্যরা বাংলাদেশের নাগরিক হলে বাংলাদেশে হস্তক্ষেপ করতে ভারতের কাছে দাবি জানাত না। তারা বাংলাদেশের অফিস আদালত ও আইনের প্রতি আস্থাশীল নয়। তারা অন্য কোনো দেশের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে কি না, তা তদন্ত করে খুঁজে বের করা দরকার।’

মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের মানুষের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। বৃটিশ ও পাকিস্তানিরা ষড়যন্ত্র করে টিকতে পারেনি। ভারতও কোনো ষড়যন্ত্র করে টিকতে পারবে না। বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের বক্তব্য আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি। বাংলাদেশের মানুষ বৃটিশকে ভয় পায়নি। পশ্চিম পাকিস্তানের কামান ও ট্যাংক ভয় পায়নি। আর বাংলাদেশের মানুষ ভারতকে ভয় পাওয়ার প্রশ্নই আসে না।’

সম্মেলনে মুহাম্মাদ হারুন অর রশিদকে সভাপতি ও হাজী মো. ফারুক হাওলাদারকে সাধারণ সম্পাদক করে গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলনের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।

গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি হারুন অর রশিদ বলেন, ‘বৈষম্যের কারণে গার্মেন্টস শ্রমিকরা অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে। ছাত্র শ্রমিক জনতার আন্দোলনে শ্রমিকরা রক্ত দিলেও সরকারে কোনো শ্রমিক নেই। আমরা চাই সরকারে শ্রমিকদের প্রতিনিধি থাকবে।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

প্রতিবাদ মিছিল থেকে যারা লুটপাট করেছে তারা মানবতার কলঙ্ক : দুদু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
প্রতিবাদ মিছিল থেকে যারা লুটপাট করেছে তারা মানবতার কলঙ্ক : দুদু
সংগৃহীত ছবি

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘গতকাল সোমবার সারা বিশ্ব ইসরায়েলের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেছে। মানবতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশও ঘৃণা প্রকাশ করেছে। আমাদের দেশের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিলের মধ্যে কিছু দুষ্কৃতকারী, কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আক্রমণ এবং লুটপাট করেছে। এটা ঘৃণ্য ব্যাপার, সমর্থনযোগ্য নয়।

যারা এটা করেছে, তারা মানবতার কলঙ্ক।’ 

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশের আয়োজন করে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন।

আরো পড়ুন
পুরুষের যে কথায় দুর্বল হয়ে যায় নারী

পুরুষের যে কথায় দুর্বল হয়ে যায় নারী

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘জাতিগতভাবে আমাদের যে গৌরব, আমাদের অহংকার করার মতো যে মুক্তিযুদ্ধ, মানবতার সপক্ষে যে প্রতিবাদ, সেটাকে তারা কলঙ্কিত করেছে।

আগামীতে এই লুটপাটকারী, দখলদারদের বিরুদ্ধে আমাদের সজাগ ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

ফিলিস্তিন রক্ষায় সারা বিশ্বের মুসলমানদের এক হতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাঙালি জাতি, মুসলিম জাতি, ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু যাদের রুখে দাঁড়ানোর জন্য আমরা প্রত্যাশা করি, তারা কার্যকর ভূমিকা না নিয়ে নিরব ভূমিকা পালন করছে। আমার মনে হয় এটা পরিহার করে সারা বিশ্বের সঙ্গে এই মানবতার স্বপক্ষে আমাদের দাঁড়াতে হবে।

এই মানবতার রক্ষা যদি আমরা না করতে পারি, তাহলে হযরত মোহাম্মদ (স.) এর প্রতি আমাদের যে শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা সেটাও প্রশ্নের মধ্যে পড়ে যাবে।

দুদু বলেন, ‘জাতিসংঘের মানবতা সনদের স্বাক্ষরকারী হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ। যেকোনো মানবতাবিরোধী দেশ, জাতি, গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান থাকবে। আমরা সশস্ত্র সংগ্রাম এবং লড়াই করে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের মাতৃভূমি পেয়েছি। ৭১ সালের আমাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা করেছিল পাকিস্তান।

আমাদের বিরুদ্ধে তারা নির্মম নির্যাতন করেছিল। গণহত্যা কি সেটা বাঙালি জাতি জানে। গণহত্যা কত নির্মম, ভয়ংকর সেটা জাতি ও দেশ হিসেবে আমরা জানি। এমনকি ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে আমরা দেখেছি, তৎকালীন গায়ের জোরে প্রধানমন্ত্রী দাবিদার শেখ হাসিনা কিভাবে মানবতাবিরোধী ভূমিকা নিয়েছিলেন। একটা পর্যায়ে ছাত্র-জনতার রক্ত যখন রাজপথে রঞ্জিত হয়েছে, তখন সে পালাতে বাধ্য হয়েছে। সে কারণে যেকোনো দেশের গণহত্যাবিরোধী ভূমিকায় বাঙালি জাতি, বাংলাদেশিরা তীব্র প্রতিবাদ ও ঘৃণা প্রকাশ করে।

আরো পড়ুন
মিথ্যা তথ্য প্রচার, প্রথম আলোর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবে শিবির

মিথ্যা তথ্য প্রচার, প্রথম আলোর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবে শিবির

 

সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ফিলিস্তিনির পক্ষে ছিলেন। ফিলিস্তিনকে সমর্থন দিয়েছেন। বিএনপি আগেও ফিলিস্তিনকে সমর্থন দিয়েছে এখনো দেয়।

সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, সাবেক এমপি শামীম কায়সার লিংকন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার প্রমুখ।

মন্তব্য

মিথ্যা তথ্য প্রচার, প্রথম আলোর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবে শিবির

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মিথ্যা তথ্য প্রচার, প্রথম আলোর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবে শিবির
সংগৃহীত ছবি

মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদন প্রকাশের ঘটনায় প্রথম আলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম এবং সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম স্বাক্ষরিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোতে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

আরো পড়ুন
‘জামায়াত-শিবির চাঁদাবাজির সাথে সম্পৃক্ত নয়, এটি প্রতিষ্ঠিত সত্য’

‘জামায়াত-শিবির চাঁদাবাজির সাথে সম্পৃক্ত নয়, এটি প্রতিষ্ঠিত সত্য’

 

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘চাঁদা না পেয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ শিবিরকর্মীদের বিরুদ্ধে’—এই শিরোনামে দেশের বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদীতে ঈদের আগে চাঁদা না পেয়ে ইসলামী ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে সড়কে ফেলে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। যেখানে ভুক্তভোগী তাঁর বক্তব্যে অভিযুক্তদের ছাত্রশিবিরকর্মী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তবে প্রথম আলো ছাত্রশিবিরের কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তির বক্তব্য গ্রহণ না করে একপাক্ষিকভাবে এবং যাচাই-বাছাই ছাড়া ছাত্রশিবিরকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন প্রচার করেছে, যা সাংবাদিকতার মৌলিক নীতিমালার স্পষ্ট লঙ্ঘন।

তারা বলেন, ‘আমরা মনে করি, প্রথম আলোর মতো একটি প্রসিদ্ধ সংবাদমাধ্যম এ ধরনের একপাক্ষিক, যাচাইবিহীন এবং মনগড়া প্রতিবেদন দুর্ঘটনাবশত করেছে—এমনটি বিশ্বাস করার কোনো যুক্তিগ্রাহ্য কারণ নেই।

বরং এটি স্পষ্ট যে, সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক পূর্বপরিকল্পিতভাবে ছাত্রশিবিরের গঠনমূলক কর্মকাণ্ড এবং ইতিবাচক ইমেজকে প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন। একই সাথে, প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ কোনো নির্দিষ্ট পক্ষ বা গোষ্ঠীর প্ররোচনায় এই ধরনের মানহানিকর প্রতিবেদন প্রকাশের সুযোগ দিয়েছে। আমরা প্রথম আলো কর্তৃপক্ষের এই দায়িত্বহীন, অসত্য এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রিপোর্টের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এ ছাড়া আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ওই ঘটনার সাথে ছাত্রশিবিরের কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ইতিপূর্বে প্রথম আলো ছাত্রশিবিরকে নিয়ে একাধিক মনগড়া ও হাস্যকর শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেমন—‘শিবিরের কমিটিতে পূজা চেরী, যা বললেন নায়িকা!’,  ‘২৬ বছর পর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ‘শিবির নাছির’। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে ছাত্রশিবিরকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে, যা সাংবাদিকতার নীতির পরিপন্থী।

শিবিরের শীর্ষ দুই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ছাত্র ও জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জাতির কাছে একটি আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। এ সংগঠনের অর্থায়নের সুনির্দিষ্ট পন্থা তার গঠনতন্ত্রে সুস্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ রয়েছে।

জনশক্তি ও শুভানুধ্যায়ীদের স্বতঃস্ফূর্ত অনুদানে ছাত্রশিবিরের সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। তবে একটি অসাধু মহল মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে এবং পরিকল্পিতভাবে ছাত্রশিবিরের সুনাম ও গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। ওই প্রতিবেদন তারই অংশ বলে আমরা মনে করি।’

তারা বলেন, ‘আমরা প্রথম আলো কর্তৃপক্ষকে সাংবাদিকতার পেশাগত শিষ্টাচার মেনে অবিলম্বে প্রকাশিত প্রতিবেদন প্রত্যাহার, দুঃখ প্রকাশ এবং সংশোধনী প্রকাশের আহ্বান জানাই। অন্যথায় আমরা আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হবো।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

‘জামায়াত-শিবির চাঁদাবাজির সাথে সম্পৃক্ত নয়, এটি প্রতিষ্ঠিত সত্য’

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
‘জামায়াত-শিবির চাঁদাবাজির সাথে সম্পৃক্ত নয়, এটি প্রতিষ্ঠিত সত্য’
ফাইল ছবি

‘জামায়াত-শিবির কখনো চাঁদাবাজি ও দখলবাজির সাথে সম্পৃক্ত নয়, এটি প্রতিষ্ঠিত সত্য’ উল্লেখ করে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটির নরসিংদী জেলা শাখা।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) নরসিংদী জেলা জামায়াতের আমির মোছলেহুদ্দীন এবং সেক্রেটারি মো. আমজাদ হোসাইন এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ৭ এপ্রিল সোমবার জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো ও নিখাদ নিউজ পোর্টালসহ কতিপয় সোশ্যাল মিডিয়ায় জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানাই।

আরো পড়ুন
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে শিবিরের বিক্ষোভ

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে শিবিরের বিক্ষোভ

 

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, প্রথম আলোসহ কতিপয় নিউজ পোর্টালে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে যে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে, তা যথার্থ নয়। বাস্তবে ছাত্রশিবিরের কেউ এই ঘটনার সাথে জড়িত নন।

জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কোনো দায়িত্বশীলের বক্তব্য না নিয়ে একপক্ষীয়ভাবে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে। 

নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ইসলামী ব্যাংকের মাধবদী শাখা ব্যবস্থাপক আবু সাইদ তার বক্তব্যে বলেছেন, বেশ কিছুসংখ্যক খেলাপি গ্রাহকের বিরুদ্ধে মামলা করায় এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে তার আশঙ্কা। অথচ তিনি যার নাম বলেছেন, তিনি ব্যাংকের বিনিয়োগ গ্রাহক নন। 

তারা বলেন, ‘জামায়াত-শিবির কখনো চাঁদাবাজি ও দখলবাজির সাথে সম্পৃক্ত নয়, এটি প্রতিষ্ঠিত সত্য।

একপক্ষীয়ভাবে ব্যাংক ম্যানেজার মিডিয়ার সামনে জামায়াত শিবিরের সুনাম সুখ্যাতি ধ্বংস করার জন্য পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিডিয়ায় বক্তব্য দিয়ে জামায়াত-শিবিরের প্রতি তিনি বিষোদগার করেছেন। আমরা তার এই অন্যায় ও অনভিপ্রেত বক্তব্যের নিন্দা জ্ঞাপন করছি এবং অনতিবিলম্বে তার এই বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সাথে আমাদের প্রতিবাদটি যথাস্থানে ছেপে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসন করার জন্য পত্রিকা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে শিবিরের বিক্ষোভ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে শিবিরের বিক্ষোভ
সংগৃহীত ছবি

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় সংগঠনের ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে শাহবাগ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে মৎস্য ভবন ও জাতীয় প্রেস ক্লাব হয়ে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

আরো পড়ুন
ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে ছাত্রদলের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৯

ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে ছাত্রদলের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৯

 

ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দামের নেতৃত্বে মিছিলে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ, প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মু’তাসিম বিল্লাহ শাহেদী, ছাত্রঅধিকার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, প্রকাশনা সম্পাদক আবু সাদিক কায়েমসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

এছাড়াও ঢাকাস্থ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মহানগর শাখার সভাপতি, সেক্রেটারিসহ হাজার হাজার নেতাকর্মী মিছিলে অংশগ্রহণ করেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ