ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৬

৩৮ কোটিবার ই-সেবা গ্রহণ, প্রযুক্তির সুফল পাচ্ছেন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা

  • ►সরকারের ডিজিটাল অবকাঠামো দেশের মানুষের প্রযুক্তিনির্ভরতা বাড়াচ্ছে
  • ►এসএমই উদ্যোক্তারা ব্যবসার প্রসার ঘটাচ্ছে
মাসুদ রুমী
মাসুদ রুমী
শেয়ার
৩৮ কোটিবার ই-সেবা গ্রহণ, প্রযুক্তির সুফল পাচ্ছেন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা

সরকারের ডিজিটাইজেশনের সুফল কাজে লাগিয়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (এসএমই) উদ্যোক্তারা ব্যবসার প্রসার ঘটাচ্ছে। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে বিদ্যুৎ বিল, জমির ই-পর্চা, মিউটেশন, ব্যাংকিং, পাসপোর্ট ফরম পূরণ, ভিসা আবেদন, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, ই-চালান, পেনশন ভাতাসহ নানা সেবা মিলছে। ঘরে বসে কোনাকাটা, মোবাইল রিচার্জ, ইউটিলিটি বিল, ব্যাংক-বীমার কিস্তি পরিশোধ, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতা পরিশোধ, রেমিট্যান্স, রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ মুহূর্তেই হয়ে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের ডিজিটাল অবকাঠামো আর সময়োপযোগী নীতি সহায়তায় দেশের মানুষের মধ্যে প্রযুক্তিনির্ভরতা বাড়ছে।

এর ফলে দেশে ডিজিটাল অর্থনীতির দ্রুত বিকাশ ঘটছে। 

করোনাকালে পড়ালেখা, আড্ডা, কেনাকাটাসহ অনেক কাজই এখন হচ্ছে অনলাইনে। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে গত এক দশকে দেশের বিভিন্ন সেবা ব্যাপকভাবে ডিজিটাইজ হয়েছে। আর এর সুফল নিতে এখন দেশের ১৬ কোটি ২৯ লাখ মোবাইল গ্রাহকের একটি বড় অংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।

তাদের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে তাই সরকারি সেবার ডিজিটাইজেশনে জোর দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন সরকরি দপ্তরের মাধ্যমে ৩৮৯ ধরনের ই-সেবা চালু করা হয়েছে। নতুন বছরে এক হাজার ৮৮৭ ধরনের ই-সেবা দেওয়া হবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন প্রকল্প সূত্র জানায়, গত ১২ বছরে বর্তমান সরকার এ পর্যন্ত বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের মাধ্যমে এ পর্যন্ত সরকারি সেবা সহজ করা হয়েছে ৩৭৪টি। ২০২১ সালে এ সংখ্যা হবে এক হাজার ৮৬৭টি। এ ছাড়া ৩৮৯ ধরনের ই-সেবা চালু করেছে। ২০২১ সাল নাগাদ মোট এক হাজার ৮৮৭ ধরনের ই-সেবা দেওয়া হবে। এ পর্যন্ত ৩৮ কোটি ই-সেবা নিয়েছে মানুষ।

২০২১ সাল নাগাদ এ সংখ্যা ৯২ কোটি ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের কর্মকর্তারা।

বিশ্বের ৬৭টি দেশে তথ্য-প্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন পণ্য ও সেবা রপ্তানি হচ্ছে। এ খাতের রপ্তানি আয় ছাড়িয়ে গেছে এক বিলিয়ন ডলার। ২০২৫ সালের মধ্যে এ খাত থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলার আয় করতে চায় সরকার। এ জন্য দেশে ২৮টি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক তৈরি করা হচ্ছে। দেশের সফটওয়্যার সেবার বাজার দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।

তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ঘোষণা করেছিলেন। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে আরো এগিয়ে নিতে এর রোডম্যাপ, পলিসি, অবকাঠামোয় নেতৃত্ব দিয়েছেন তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির আওতায় গত ১১ বছর যে তথ্য-প্রযুক্তি অবকাঠামো গড়ে উঠেছে তার সুফল পেতে শুরু করেছে দেশের মানুষ। করোনা সংকটকালেও জরুরি সেবাসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু রাখা যাচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তির কল্যাণে।

বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকীতে ১০০টি নতুন নাগরিক সেবাকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আনবে আইসিটি ডিভিশন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহেমদ পলক বলেন, ‘বৈষম্য কমাতে সরকার প্রযুক্তি ব্যবহার বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশন দিয়েছেন, সেখানে সজীব ওয়াজেদ জয় ভাইয়ের রোডম্যাপ, পলিসি, অবকাঠামোয়, পরিকল্পনায় ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বাস্তব।’ তিনি আরো বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে গ্রামের ১০ কোটি মানুষ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের আওতায় আসবে। আর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে ২০ লাখ মানুষের। এ ছাড়া ২০২৫ সালের মধ্যে আইসিটি পণ্য ও সেবা রপ্তানি করে পাঁচ বিলিয়ন ডলার আয় হবে। ফলে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ১ শতাংশের বেশি বাড়বে বলে আশা করছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।

জানতে চাইলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে এম-গভর্ন্যান্সে জোর দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য আমরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার সঙ্গে সরকারি সেবার ডিজিটাইজেশনে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এরই মধ্যে সারা দেশে ৯ হাজার ২২৪টি ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এখন থেকে ৬০০ ধরনের সেবা পাচ্ছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী।’

জিয়াউল আলম আরো বলেন, ‘শুধু ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকেই প্রতি মাসে ৪৫ লাখ মানুষ বিভিন্ন ধরনের সেবা গ্রহণ করছে। ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চরকুকরিমুকরি এবং চট্টগ্রামের উপকূলীয় দ্বীপ মহেশখালীকেও ডিজিটাল সেবার আওতায় আনা হয়েছে। আমাদের প্রচেষ্টা সারা দেশের প্রতিটি অংশে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেওয়া, যাতে প্রযুক্তির মাধ্যমে বৈষম্য কমে আসে।’

মন্তব্য

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের প্রভাব কেমন হবে, জানালেন বিশেষজ্ঞরা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের প্রভাব কেমন হবে, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
সংগৃহীত ছবি

ভারতীয় স্থল শুল্ক স্টেশন ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে রপ্তানি পণ্য পরিবহনের জন্য বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ভারতের কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর ও শুল্ক বোর্ডের (সিবিআইসি) জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এরপর থেকে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের প্রভাব কেমন হতে পারে তা নিয়ে চলছে আলোচনা। তবে, অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা বলছেন ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত যে আদেশ জারি করেছে তার ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপরে বড় কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।

আরো পড়ুন
ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে বাংলাদেশের রপ্তানিতে কোনো প্রভাব পড়বে না : ভারত

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে বাংলাদেশের রপ্তানিতে কোনো প্রভাব পড়বে না : ভারত

 

এ বিষয়ে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ‘সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ও অর্থনীতিবিদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের সিদ্ধান্তটা বেশ অপ্রত্যাশিতই বলা চলে। তবে আমরা এই সুবিধাটা খুব যে বেশি ব্যবহার করতাম, তা না। ফলে ট্রান্সশিপমেন্ট বন্ধের ফলে আমাদের অর্থনীতিতে বড় ধরনের কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করি না।’

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ট্রান্সশিপমেন্টের আওতায় ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে নেপাল ও ভুটানে কিছু পণ্য রপ্তানি করতো বাংলাদেশ।

সম্প্রতি বাংলাবান্ধা দিয়ে নেপালে প্রায় তিন হাজার মেট্রিক টন আলু রপ্তানি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এর বাইরে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে ইউরোপ-আমেরিকায় তৈরি পোশাকের পাঠানো হতো।

তিনি আরো বলেন, ‘গার্মেন্টসের রপ্তানিকারকরা অনেক সময় দ্রুততম সময়ের মধ্যে ক্রেতা দেশগুলোর কাছে পণ্য পাঠানোর জন্য ভারতীয় বিমানবন্দর ব্যবহার করতেন। এখন তারা সেটা পারবেন না।

ফলে বাংলাদেশ থেকেই পণ্য পাঠাতে হবে।’

এদিকে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকখাতের একজন রপ্তানিকারক জানিয়েছেন, ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে গার্মেন্টস পণ্যের ‘সামান্য কিছু অংশ’ পশ্চিমা দেশগুলোতে যায়। ফলে ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের কারণে খাতটিতে সেভাবে প্রভাব পড়বে না।

ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে ঠিক কী পরিমাণ পণ্য অন্য দেশে রপ্তানি করা হয়, সেটার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য ব্যবসায়ীরা জানাতে পারেননি।

তবে, ভারত সরকারের ২০২৩ সালের এক হিসাব থেকে জানা যাচ্ছে, ওই বছরের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দিল্লি বিমানবন্দর দিয়ে তৈরি পোশাক ও অন্যান্য পণ্য মিলিয়ে মাত্র পাঁচ হাজার কিলোগ্রামের মতো বাংলাদেশি পণ্য অন্য দেশে রপ্তানি হয়েছিল।

মন্তব্য

অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন

বিবিসি
বিবিসি
শেয়ার
অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
সংগৃহীত ছবি

বিশ্বব্যাপী মার্কিন পাল্টা শুল্ক কার্যকর হওয়ার প্রথম দিনে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে।

বুধবার ব্রেন্টের অপরিশোধিত তেলের দাম কমে ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলারে বিক্রি হচ্ছে, যা করোনাকালে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের পর সর্বনিম্ন।

বিশ্লেষক অ্যাশলে কেলি বলছেন, হোয়াইট হাউস চায় তেলের দাম আরো কমে যাক। কারণ এটাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য লাভজনক হবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ব্যাংকের টাকা লোপাট করে কেউ পালাতে পারবে না : গভর্নর

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ব্যাংকের টাকা লোপাট করে কেউ পালাতে পারবে না : গভর্নর
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ‘ব্যাংকের টাকা লোপাট করে কাউকে পালিয়ে যেতে দেওয়া হবে না।’ তিনি বলেন, ‘ব্যাংকগুলোতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা হবে, যাতে কেউ লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করতে না পারে। অনিয়ম, কেলেঙ্কারি ও সুশাসনের ব্যর্থতার কারণে ব্যাংক ও ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান উভয়ের জন্য প্রয়োজন সংস্কার।’

বুধবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর বিআইবিএম কার্যালয়ে দশম বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

গভর্নর বলেন, সংস্কারের জন্য গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর টাস্কফোর্স গঠন, নতুন আইন প্রবর্তন ও ব্যাংক কম্পানি আইনের মতো বিদ্যমান আইন সংশোধনসহ ব্যাংকিং খাতের একগুচ্ছ সংস্কারের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলস্বরূপ লুটপাট করা কিছু ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করলেও কোমর ভেঙে আছে বেশ কিছু ব্যাংকের।
 
আর সব ব্যাংকের অবস্থা খারাপ নয়, তবে যেগুলো খারাপ সেগুলোর অবস্থা খুব খারাপ উল্লেখ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘ব্যাংকের টাকা লোপাট করে আর কাউকে পালিয়ে যেতে দেওয়া হবে না এবং ব্যাংকগুলোতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা হবে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আরো বলেন, ‘গ্রাহকের স্বার্থে ব্যাংকের বোর্ডে হস্তক্ষেপ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরো একটি ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দেওয়া হবে।

এ সময় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার বলেন, ‘ব্যাংকের প্রকৃত মালিক গ্রাহকরাই। তাই তাদের আস্থার দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। না হলে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবে না এই খাত।’

মন্তব্য

বসুন্ধরা গ্রুপে বিনিয়োগে আগ্রহী ফিনল্যান্ড

অনলাইন প্রতিবেদক
অনলাইন প্রতিবেদক
শেয়ার
বসুন্ধরা গ্রুপে বিনিয়োগে আগ্রহী ফিনল্যান্ড
ছবি: কালের কণ্ঠ

ফিনল্যান্ডের কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে, বিশেষ করে বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, স্বাস্থ্য ও টেকসই উন্নয়ন খাতে ব্যবসা সম্প্রসারণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল হেডকোয়ার্টারে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত কিমো লাহদেভির্তা এ আগ্রহের কথা জানান।

তিনি বলেন, “বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গে ইতোমধ্যেই কিছু ফিনিশ কোম্পানির সহযোগিতামূলক ব্যবসায়িক সম্পর্ক আছে, আমরা সেটি আরো সম্প্রসারিত করতে আগ্রহী।”

রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিজনেস ফিনল্যান্ড-এর প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন প্রযুক্তি ও শিল্প খাতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।

বসুন্ধরা গ্রুপের সেক্টর-সি-এর চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) শাহেদ জাহিদ প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানান।

প্রতিনিধি দলে ছিলেন কুলব্রুক প্রজেক্ট ডিরেক্টর শ্রীনিবাসন শ্রীরামুলু, এলেম্যাটিক-এর সন্দীপ কুমার, কোনক্রেইনস-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর রতন বিশ্বাস, মিরাসিস -এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর অরিন্দম দাস সরকার, রাউটা ডিজিটাল-এর সিইও কুমার অভিজিৎ, ওয়ার্টসিলা বাংলাদেশের সাইফুল ইসলাম, ওয়্যারপাস-এর মারুতি মাল্লেপল্লি এবং ফিনল্যান্ড দূতাবাস ও বিজনেস ফিনল্যান্ড-এর অন্যান্য প্রতিনিধিরা।

মিডিয়ার সঙ্গে আলাপকালে রাষ্ট্রদূত জানান, প্রতিনিধি দল আগের দিন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেছে। আজ আমরা বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছি।

আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল প্রযুক্তি, টেকসই নির্মাণ, প্রকৌশল, স্বাস্থ্য খাত এবং টেকসই উন্নয়ন।

বিনিয়োগ পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এখনই কিছু নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।”

বৈঠক শেষে বসুন্ধরা গ্রুপের সিওও শাহেদ জাহিদ জানান, ফিনল্যান্ডের প্রতিনিধি দল সিমেন্ট, পেপার এবং প্রি-কাস্ট বিল্ডিংসহ বেশ কিছু খাতে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছে। সিমেন্ট খাতে ফসিল ফুয়েলের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি প্রক্রিয়া চালুর বিষয়ে প্রযুক্তি স্থানান্তরের প্রস্তাব তারা দিয়েছেন, যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।

তিনি আরো বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশে স্বল্পসুদে অর্থায়নের অভাব রয়েছে। ১৫ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা দাঁড় করানো কঠিন। ফিনল্যান্ড সরকার দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ কাঠামোর মাধ্যমে এ বিষয়ে সহায়তা করতে পারে। প্রতিনিধি দলটি আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে, তারা স্বল্প সুদে ঋণ ও যৌথ বিনিয়োগের সুযোগ অনুসন্ধান করবে। 

সভায় বসুন্ধরা গ্রুপের সিনিয়র ডিএমডি মোস্তাফিজুর রহমান, ডিএমডি কে এম জাহিদ উদ্দিনসহ গ্রুপের অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ