<p>চলতি বছর বৈশ্বিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৩.২ শতাংশ। আগামী বছরও প্রবৃদ্ধি ৩.২ শতাংশই থাকবে। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) অর্থনৈতিক পূর্বাভাস রিপোর্টে এ তথ্য জানিয়েছে ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি)। গত মে মাসের দেওয়া পূর্বাভাসে তারা জানিয়েছিল এ বছর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হবে ৩.১ শতাংশ।</p> <p>ওইসিডি তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি হবে ২.৬ শতাংশ। আগামী বছর তাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির মাত্রা কমে দাঁড়াবে ১.৬ শতাংশ। মে মাসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ সালে তাদের প্রবৃদ্ধি হওয়ার কথা ছিল ১.৮ শতাংশ। জি৭ জোটের দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পরই প্রবৃদ্ধির দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে আছে যুক্তরাজ্য। </p> <p>গত মে মাসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, তাদের প্রবৃদ্ধি হওয়ার কথা ছিল ০.৪ শতাংশ। ওইসিডির সর্বশেষ রিপোর্টে জানা গেছে, চলতি বছর তাদের প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়াবে ১.১ শতাংশ। আগামী বছর তাদের প্রবৃদ্ধি হবে ১.২ শতাংশ। জি৭ জোটের অন্যতম শক্তিশালী দেশ জাপান, ইতালি ও জার্মানির প্রবৃদ্ধি যুক্তরাজ্যের চেয়ে কম হবে। </p> <p>তবে জি৭ জোটের অন্য দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্যের মূল্যস্ফীতি হবে সর্বোচ্চ। বছরজুড়ে তাদের মূল্যস্ফীতির হার হবে ২.৭ শতাংশ। চলতি বছর ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলোর অর্থনীতি বড় হবে ০.৭ শতাংশ হারে। তাদের অর্থনীতির চাকা সচল হবে ২০২৫ সালে। আগামী বছর তাদের প্রবৃদ্ধি হবে ১.৩ শতাংশ হারে। বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ অর্থনীতির দেশ চীনের প্রবৃদ্ধি হবে ৪.৯ শতাংশ। আগামী বছর তাদের অর্থনীতি বড় হবে ৪.৫ শতাংশ হারে। চীনের প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার মূলে রয়েছে বেশ কিছু কারণ। দেশটির সরকার অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে খরচের পরিমাণ বাড়িয়েছে। কিন্তু ক্রেতাদের হাতে অর্থ নেই। তাদের খরচের হার কমেছে। এর ওপর দেশটির আবাসন খাতের ব্যবসাও ধুঁকছে। সব মিলিয়ে আশানুরূপ হারে তাদের প্রবৃদ্ধি বাড়বে না।</p> <p>ওইসিডি জানিয়েছে, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে মূল্যস্ফীতি কমে এসেছে। খাবার, জ্বালানি ও পণ্যের দাম কমায় সাধারণ মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে। ফলে তারা খরচের হারও বাড়িয়েছে। তবে কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও ভূরাজনৈতিক সংঘাত ঘিরে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা মানুষের সামনে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।</p>