ঢাকা, মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারি ২০২৫
৭ মাঘ ১৪৩১, ২০ রজব ১৪৪৬

ঢাকা, মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারি ২০২৫
৭ মাঘ ১৪৩১, ২০ রজব ১৪৪৬

নিহতদের স্মরণে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মোমবাতি প্রজ্বালন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
নিহতদের স্মরণে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মোমবাতি প্রজ্বালন

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন করেছেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে প্রদীপ প্রজ্বালন করা হয়।

সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন এবং পরিচ্ছন্নতা, বৃক্ষরোপণ, দেয়াল লিখন, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণসহ আরো নানা স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে নিজেদের নিয়োজিত করতে থাকেন। সন্ধ্যা হতেই শিক্ষার্থীরা ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে একত্র হন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী, শিক্ষক, আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় ব্যক্তিরা এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি মেহরাব সাবাব এ সময় সবার উদ্দেশে বক্তব্য দেন। বক্তব্যে তিনি কিভাবে ছাত্র-জনতার ওপর স্বৈরাচার সরকার আক্রমণ করে সে কথা উল্লেখ করেন। উপস্থিত সবাইকে নিয়ে ভাই-বোনদের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা রক্ষা এবং দেশ পুনর্গঠনের শপথ নেন।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই সদস্য মোসাব্বির রাহমান শিক্ষার্থীদের পক্ষে সারা দেশে লুটপাট, ভাঙচুর ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদ জানান।
 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আইইএলটিএস

প্রস্তুতি গ্রহণ-পরীক্ষা দিতে বেছে নিতে পারেন ব্রিটিশ কাউন্সিল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
প্রস্তুতি গ্রহণ-পরীক্ষা দিতে বেছে নিতে পারেন ব্রিটিশ কাউন্সিল

যেকোনো শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ধাপটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় গ্রহণ করা প্রতিটি সিদ্ধান্তেরই ব্যক্তিজীবনে সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে। দেশের অনেক শিক্ষার্থীর স্কুল ও কলেজ পর্যায় থেকেই ইচ্ছা থাকে বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের। শিক্ষার্থীরা এ সময় থেকেই মনস্থির করে রাখে দেশের বাইরে পড়তে যাওয়ার।

গবেষণামুখী শিক্ষা, প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা এবং উন্নত জীবনযাত্রার লক্ষ্যে দেশ থেকে প্রতিবছর হাজারো শিক্ষার্থী বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে। দেশেও সমান তালে বাড়ছে বিদেশি ডিগ্রির গ্রহণযোগ্যতা। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে বিদেশে যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীর সংখ্যাও ক্রমবর্ধমান হারেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এ ক্ষেত্রে দেশের শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও জার্মানির মতো দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

২০২৪ ওপেন ডোরস রিপোর্ট অন ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন এক্সচেঞ্জের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ১৭ হাজারের বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছে, যা যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ। দেশটিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর বর্তমান সংখ্যা পূর্ববর্তী শিক্ষাবর্ষের (২০২২-২৩) তুলনায় ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এরপর বলা যেতে পারে যুক্তরাজ্যের কথা। 

আরো পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রে ভারি তুষারপাত, দক্ষিণে জরুরি অবস্থা

যুক্তরাষ্ট্রে ভারি তুষারপাত, দক্ষিণে জরুরি অবস্থা

 

ইউনেসকোর সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে ৫২ হাজার ৭৯৯ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বিদেশে পড়াশোনা করেছে।

এর মধ্যে ছয় হাজার ৫৮৬ জন যুক্তরাজ্যকে বেছে নিয়েছে, যা দেশটিকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য দ্বিতীয় জনপ্রিয় গন্তব্যে পরিণত করেছে। জার্মানিও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য পছন্দের গন্তব্য। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে মোট ছয় হাজার ৪৩৪ জন শিক্ষার্থী জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হয়েছে।

উচ্চশিক্ষা গ্রহণে বিদেশে যাওয়ার আগে শিক্ষার্থীদের কিছু ধাপ পাড়ি দিতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে এসব ধাপে তাদের নিজেদের যোগ্যতা ও দক্ষতার প্রমাণ দিতে হয়।

তাই প্রস্তুতি গ্রহণের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের এসব বিষয় মনে রেখে সেভাবে নিজেদের প্রস্তুত করে তোলা উচিত, যা তাদের পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের স্বপ্ন সত্যি করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ ক্ষেত্রে প্রথমেই শিক্ষার্থীদের নিজেদের যে দক্ষতা প্রমাণের প্রয়োজন হয় তা হচ্ছে ভাষাগত দক্ষতা। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে ইংরেজি ভাষার প্রয়োজন হয়।

আরো পড়ুন
‘দয়া করে আমাদের থাকতে দিন’, ট্রাম্পের কঠোর পদক্ষেপে কাঁদছে অভিবাসীরা

‘দয়া করে আমাদের থাকতে দিন’, ট্রাম্পের কঠোর পদক্ষেপে কাঁদছে অভিবাসীরা

 

যাদের মাতৃভাষা ইংরেজি নয়, তাদের জন্য ইংরেজি ভাষা দক্ষতা যাচাইয়ের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও সবচেয়ে জনপ্রিয় টেস্ট হচ্ছে আইইএলটিএস (ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম)। ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা প্রমাণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সাধারণত ভাষা দক্ষতার প্রমাণ হিসেবে আইইএলটিএসের সনদ গ্রহণ করে। উল্লেখ্য, বিশ্বের ১৪০টি দেশের ১০ হাজারের বেশি বিশ্ববিদ্যালয় আইইএলটিএস স্কোরকে ইংরেজি ভাষার দক্ষতা যাচাইয়ের মানদণ্ড হিসেবে গ্রহণ করে। ইংরেজিভাষী দেশগুলোর পাশাপাশি ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও আইইএলটিএস স্কোরকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সাধারণত ভাষার দক্ষতা যাচাই স্কোরের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি ও ভিসার জন্য নির্বাচন করে। এ ক্ষেত্রে আবার ন্যূনতম স্কোর কত হতে হবে, সেটাও উল্লেখ করে দেওয়া থাকে। তাই বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে শিক্ষার্থীদের ভাষাগত দক্ষতার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে যারা বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের বিষয়টি বিবেচনা করছে, তাদের উচিত যত দ্রুত সম্ভব এ নিয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করে দেওয়া। যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ ও পরীক্ষা দিয়ে ইংরেজি ভাষা দক্ষতা নিয়ে সনদ অর্জনে দেশে যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম সেরা হচ্ছে ব্রিটিশ কাউন্সিল।

দুটি মডিউলে আইইএলটিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়—আইইএলটিএস একাডেমিক মডিউল ও আইইএলটিএস জেনারেল মডিউল। তবে উচ্চশিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে আইইএলটিএস একাডেমিক মডিউল পরীক্ষা দিতে হয়। এবং চারটি ক্ষেত্রে আইইএলটিএস পরীক্ষায় দক্ষতা যাচাই করা হয়। এগুলো হচ্ছে স্পিকিং, লিসেনিং, রাইটিং ও রিডিং। এসব ক্ষেত্রে মূল্যায়নের ভিত্তিতে আইইএলটিএস স্কোর প্রদান করা হয়।

আরো পড়ুন
শীতে সবচেয়ে বেশি রুক্ষ হয় নাকের চারপাশ, দূর করবেন যেভাবে

শীতে সবচেয়ে বেশি রুক্ষ হয় নাকের চারপাশ, দূর করবেন যেভাবে

 

ব্রিটিশ কাউন্সিলে আইইএলটিএস
আইইএলটিএস পরীক্ষার ক্ষেত্রে দেশে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। আইইএলটিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী যে কেউ ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে আইইএলটিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন। আইইএলটিএস পরীক্ষাকে আরো স্বচ্ছন্দ করতে সুবিধাজনক নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল, যা আইইএলটিএসে অংশগ্রহণকারীদের পরীক্ষা প্রস্তুতি ও যাত্রাকে আরো সহজ ও ফলপ্রসূ করবে।

ব্রিটিশ কাউন্সিলে ‘অন কম্পিউটার’ আইইএলটিএস পরীক্ষা দেওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীরা চিরাচরিত শ্রেণিকক্ষের বাইরে বিশেষভাবে প্রস্তুত করা কক্ষে বসে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। ‘আইইএলটিএস অন কম্পিউটার’-এ পরীক্ষার্থীরা উপভোগ করবে এক নতুন অভিজ্ঞতা। এর মাধ্যমে উত্তর টাইপ করা শুধু দ্রুতই হবে না, পাশাপাশি প্রুফ রিড ও এডিট করাও সহজ হবে, ফলে রাইটিং হবে আরো পরিমার্জিত।

আরো পড়ুন
আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না যারা

আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না যারা

 

আইইএলটিএসের রিডিং অংশ অনেকের জন্যই চ্যালেঞ্জিং একটি বিষয়। পছন্দমতো ফন্ট সাইজ ও টেক্সট থেকে সরাসরি কপি ও পেস্ট করার সুযোগের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীরা এখন রিডিং প্রক্রিয়া আরো সহজ ও চাপমুক্ত করে তুলতে পারবে। ব্রিটিশ কাউন্সিলের আইইএলটিএস সেন্টারগুলোতে ভিড় থাকে কম, যে কারণে পরীক্ষাও দেওয়া যায় ঝামেলামুক্তভাবে। আর পরীক্ষার সময় নিয়েও খুব একটা ঝামেলায় পড়তে হয় না; কেননা পরীক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে ব্রিটিশ কাউন্সিল পরীক্ষার স্লটসংখ্যা বাড়িয়েছে, আর ফলও প্রকাশ করছে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে। এ ছাড়া ব্রিটিশ কাউন্সিলে আইইএলটিএস পরীক্ষার্থীরা পাবে ওয়ান স্কিল রিটেকের সুবিধা, যার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী প্রথম চেষ্টায় অনাকাঙ্ক্ষিত ফল পেলে আবার সেই বিষয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে। এই সুবিধাটি শুধু কম্পিউটারের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করা আইইএলটিএস পরীক্ষার্থীরা পাবে।

সম্প্রতি ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে কম্পিউটারভিত্তিক আইইএলটিএস পরীক্ষা দিয়েছেন তানভীর আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমি প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না আইইএলটিএস পরীক্ষার অভিজ্ঞতা এত সহজ হবে। পরীক্ষা শুরুর মুহূর্ত থেকেই মনে হচ্ছিল, পরীক্ষার্থীদের স্বাচ্ছন্দ্য বিবেচনা করেই সেন্টারটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে।’

পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আর্থিক অসুবিধা লাঘবে বিনা ইন্টারেস্টে ইনস্টলমেন্টে পেমেন্ট করার সুবিধা নিয়ে এসেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। পরীক্ষার্থীরা এখন ব্রিটিশ কাউন্সিলের ইএমআই অপশনের মাধ্যমে পরীক্ষার ফি পরিশোধ করতে পারবে।

আরো পড়ুন
১৬ লাখ টাকা নিয়ে এএসআইকে তালাক দিলেন কলেজছাত্রী

১৬ লাখ টাকা নিয়ে এএসআইকে তালাক দিলেন কলেজছাত্রী

 

রেডি প্রিমিয়াম সুবিধা
ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে আইইএলটিএস পরীক্ষা বুকিং করলে দ্রুত তারিখ পাওয়া যাবে শুধু তা-ই নয়, পাশাপাশি সুযোগ থাকবে সঠিক প্রস্তুতির জন্য বিনা খরচে প্রিমিয়াম টুলস ব্যবহার করার। ব্রিটিশ কাউন্সিলের আইইএলটিএস রেডি প্রিমিয়ামে থাকবে ৪০টি পূর্ণাঙ্গ প্র্যাকটিস টেস্ট (২৫টি একাডেমিক ও ১৫টি জেনারেল) এবং সঠিক পরামর্শ ও নির্দেশনা পেতে লাইভ ও রেকর্ডেড লেসন। সঙ্গে প্র্যাকটিস কোয়েশ্চেনের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীরা ঝালাই করে নিতে পারবে তাদের রিডিং, রাইটিং ও লিসেনিংয়ের দক্ষতা। সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে, এই টুলগুলো সব মোবাইলেই ব্যবহার করা যাবে।

দেশে আইইএলটিএস পরীক্ষার্থীদের স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে নিজেদের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে এসব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। ব্রিটিশ কাউন্সিলে আইইএলটিএস পরীক্ষা অগ্রিম বুকিং করলে পরীক্ষার্থীরা সুবিধাজনক স্লট নিশ্চিতের পাশাপাশি আইইএলটিএস রেডি প্রিমিয়ামের মতো মূল্যবান রিসোর্স ব্যবহারের সুযোগ পাবে। তাই উচ্চশিক্ষা গ্রহণে ভবিষ্যত্ সাফল্যের জন্য সঠিক ও সুবিধাজনক উপায়ে আইইএলটিএস দিতে আগ্রহীরা যোগাযোগ করতে পারবে ব্রিটিশ কাউন্সিলে।
 

মন্তব্য
বিদেশে উচ্চশিক্ষা

১০ বছরে বিদেশমুখিতা দ্বিগুণ হয়েছে

শরীফুল আলম সুমন
শরীফুল আলম সুমন
শেয়ার
১০ বছরে বিদেশমুখিতা দ্বিগুণ হয়েছে

আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা জ্যামিতিকভাবে বাড়লেও উচ্চশিক্ষায় শিক্ষার্থীদের বিদেশে যাওয়ার আগ্রহ ব্যাপকভাবে বাড়ছে। গত ১০ বছরে বিদেশে যাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। এর পেছনে অন্যতম কারণ বিদেশে উন্নতমানের জীবনযাত্রা, আধুনিক পড়াশোনা এবং শিক্ষার পাশাপাশি চাকরির ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা। এ ছাড়া বাংলাদেশসহ বিশ্বের যেকোনো দেশে চাকরির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয় বিদেশি ডিগ্রিকে।

ফলে প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের বিদেশমুখী স্রোত বেড়েই চলছে।

শিক্ষাবিদরা বলছেন, মানের দিক দিয়ে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রমাগত পিছিয়ে পড়া, কর্মসংস্থানের সীমিত সুযোগ, ভবিষ্যত্ নিয়ে অনিশ্চয়তা, জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণেই মূলত আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা বিদেশমুখী হচ্ছে। ইদানীং বিদেশি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নানা ধরনের স্কলারশিপ আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের বিদেশিমুখী করছে।

ইউনেসকোর ‘গ্লোবাল ফ্লো অব টারশিয়ারি লেভেল স্টুডেন্টস’ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে ৫২ হাজার ৭৯৯ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনার জন্য গেছে ৫৫টি দেশে।

২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪৯ হাজার ১৫১ এবং ২০২১ সালে ছিল ৪৪ হাজার ৩৩৮। আর ২০১৩ সালে বিদেশে গিয়েছিল ২৪ হাজার ১১২ জন শিক্ষার্থী। অর্থাত্ ১০ বছরের ব্যবধানে এই সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে; যদিও প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি বলে মনে করেন এসংক্রান্ত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

ফরেন অ্যাডমিশন অ্যান্ড ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট কনসালট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ফ্যাডক্যাব) তথ্য মতে, বিদেশগামী শিক্ষার্থীর সংখ্যা কয়েক বছর ধরে বাড়ছে।

২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে প্রায় এক লাখ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশে গেছে।
 
বিদেশে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষার্থী বাড়ছে : ২০২৪ সালের ‘ওপেন ডোর্স রিপোর্ট অন ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনাল এক্সচেঞ্জ’-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের তুলনায় ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৬ শতাংশ বেড়েছে। এতে বাংলাদেশ এক বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পাঠানো দেশের তালিকায় ১৩তম থেকে অষ্টম স্থানে উঠে এসেছে। ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে যেখানে শিক্ষার্থী ছিল চার হাজার ৮০২ জন, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৯৯ জনে। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্যুরো অব এডুকেশনাল অ্যান্ড কালচারাল অ্যাফেয়ার্স এবং ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন প্রতিবছর এই ‘ওপেন ডোর্স রিপোর্ট’ প্রকাশ করে।


ইউনেসকোর প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাড়ি দিয়েছে মোট ৫২ হাজার ৭৯৯ জন শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও তাদের উচ্চশিক্ষার পছন্দের দেশের তালিকায় রেখেছে যুক্তরাজ্য, কানাডা, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জার্মানিসহ ইউরোপের দেশগুলোকে। যথাক্রমে এসব দেশে পাড়ি জমিয়েছে মোট শিক্ষার্থীর অর্ধেকেরও বেশি। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যে ছয় হাজার ৫৮৬, কানাডায় পাঁচ হাজার ৮৩৫, মালয়েশিয়ায় পাঁচ হাজার ৭১৪ এবং জার্মানিতে পাঁচ হাজার ৪৬ জন শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশ ছেড়েছে।

এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় চার হাজার ৯৮৭, জাপানে দুই হাজার ৮২, প্রতিবেশী দেশ ভারতে দুই হাজার ৬০৬, কোরিয়ায় এক হাজার ২০২ এবং এক হাজার ১৯০ জন শিক্ষার্থী সৌদি আরবে উচ্চশিক্ষার জন্য গেছে। এর আগে ২০২২ সালে  উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশ ছাড়ে ৪৯ হাজার ১৫১ জন শিক্ষার্থী, যা তার আগের বছর অর্থাত্ ২০২১ সালে ছিল ৪৪ হাজার ৩৩৮ জন। এ ছাড়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমিয়েছে সুইডেন, ডেনমার্ক, ইতালি, হাঙ্গেরি, লিথুয়ানিয়া, ফিনল্যান্ড, তুরস্ক, কাতার, নরওয়ে এবং এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে।

বাংলাদেশ এখন ‘রাইজিং স্টার’ : প্রতিবছরই ক্রমান্বয়ে বাড়ছে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে উচ্চশিক্ষার যাত্রীর সংখ্যা। তবে এই সংখ্যা প্রতিবেশী ভারত, পাকিস্তান ও নেপালের তুলনায় এখনো অনেক কম। অন্যদিকে দেশের শিক্ষাবিদরা বলছেন, শিক্ষার্থীরা বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যাচ্ছে এবং উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছে, এটি আপাত অর্থে ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। কিন্তু এদের মধ্যে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর দেশে ফেরত না আসা অথবা দেশে তাদের জন্য ভালো কোনো সুযোগ সৃষ্টি করতে না পারা ভবিষ্যেক হুমকির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

২০২৩ সালে ব্রিটিশ কাউন্সিলের এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেশটিতে শিক্ষার্থী পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ‘রাইজিং স্টার’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ‘দি আউটলুক ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট মবিলিটি : অ্যামিড আ চেঞ্জিং ম্যাক্রোইকোনমিক ল্যান্ডস্কেপ’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে জিডিপি বৃদ্ধির সঙ্গে বিদেশগামী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি সম্পর্কও তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদেশে উচ্চশিক্ষার সঙ্গে ভর্তি ফি, টিউশন ফিসহ অর্থনৈতিক বিষয়গুলো জড়িত থাকায় যেসব দেশে জিডিপি বৃদ্ধির হার এবং অর্থনৈতিক অবস্থা তুলনামূলক ভালো, সেসব দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের প্রবণতাও বেশি।

বিদেশে পড়তে যেতে হলে যা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন : বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই এইচএসসির পর স্নাতক লেভেলে পড়ার জন্য পাড়ি জমায় তাদের স্বপ্নের দেশে। তবে শিক্ষার্থী যে লেভেলেরই হোক না কেন, বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে তার কিছু পূর্বপ্রস্তুতির প্রয়োজন পড়ে। বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আপনার যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তা হলো ভাষাগত দক্ষতা যাচাই করা।

শিক্ষার্থীদের যদি টার্গেট থাকে ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা যাওয়া, তাহলে অবশ্যই ইংরেজি দক্ষতা যাচাই পরীক্ষার জন্য ভালো স্কোর অর্জন করতে হবে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ইংরেজি দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষার নাম হলো আইইএলটিএস, টোফেল ইত্যাদি।  আমাদের দেশে এখন ইংরেজি দক্ষতা যাচাইয়ের বিভিন্ন পরীক্ষার মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় আইইএলটিএস।

কেন বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থীরা বিদেশে যায় : গত অক্টোবরে যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই) ২০২৫ সালের বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিং প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং ২০২৫’-এ আছে বাংলাদেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিংয়ে প্রথম ৮০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় নেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আর্থিকভাবে সচ্ছল পরিবার তাদের সন্তানদের বিদেশে উচ্চশিক্ষায় পাঠায়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিদেশে গবেষণামুখী শিক্ষা, পর্যাপ্ত পরিমাণ সুযোগ-সুবিধা, চাকরির নিশ্চয়তা, রেসিডেন্সি পারমিট পাওয়ার সুযোগ থাকায় অনেক শিক্ষার্থী নিজেদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ছুটে চলছে বিদেশে। একসময় শুধু উচ্চবিত্ত শিক্ষার্থীদের বিদেশমুখিতা থাকলেও এখন মধ্যবিত্তরাও সমান তালে দৌড়াচ্ছে।

যা বলছেন শিক্ষাবিদরা : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষার পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। আমাদের দেশের দু-চারটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বাদে বাকিগুলো খুবই দুর্বল। আবার কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় পুরোপুরিই বাণিজ্যিক। অন্যদিকে বিদেশে উন্নতমানের শিক্ষা পাওয়া যায়। অনেকেই নানা ধরনের স্কলারশিপ পায়। অনেকে পড়ালেখা শেষে সেই দেশে স্থায়ীও হয়ে যায়।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ভর্তি পরীক্ষা নেবে বশেমুরবিপ্রবি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ভর্তি পরীক্ষা নেবে বশেমুরবিপ্রবি
ছবি : কালের কণ্ঠ

 

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে বের হয়ে নিজস্ব প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থী ভর্তি নেবে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আবেদন নেওয়া শুরু হবে। আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর বলেন, ‘গুচ্ছে না থাকার বিষয়ে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ফ্যাসিস্ট আমলে উদ্ভাবিত ত্রুটিপূর্ণ গুচ্ছ পরীক্ষা পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক বৈষম্যের সৃষ্টি করে চলছে। ফলে আমরা এই সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী সবাই গুচ্ছ থেকে বের হয়ে নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

তিনি বলেন, ‘গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় যুক্ত হওয়ার পর মানসম্মত শিক্ষার্থীর সংকট, সবশেষ বছরের ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম এখনো শেষ না হওয়ার ফলে একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করা যায় না। এতে সেশন জটের সৃষ্টি হয়।’ গুচ্ছে গোপালগঞ্জের বাইরের শিক্ষার্থী না পাওয়া, পর্যাপ্ত টেকনিক্যাল ও সফটওয়্যার সাপোর্টের সীমাবদ্ধতাসহ নানা সমস্যার কথা তিনি তুলে ধরেন।

প্রসঙ্গত, গত ১১ ডিসেম্বর ও ১৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্রভাবে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

মন্তব্য

বেরোবির ৭২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তির সিদ্ধান্ত

বেরোবি প্রতিনিধি
বেরোবি প্রতিনিধি
শেয়ার
বেরোবির ৭২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তির সিদ্ধান্ত
আবু সাঈদ। ছবি : সংগৃহীত

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, ভাঙচুর এবং শহীদ আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ৭১ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন শাস্তি এবং এক শিক্ষার্থীকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ১০৯তম সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাসে সংঘটিত একাধিক বিশৃঙ্খলার ঘটনায় অভিযুক্ত ৭১ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

অভিযুক্তদের মধ্যে ১৫ জনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে, ৩৩ জনকে দুই সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে এবং ২৩ জনকে এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

পমেল বড়ুয়া, শামীম মাহাফুজ, ধনঞ্জয় কুমার টগর, গ্লোরিয়াস (ফজলে রাব্বি), বাবুল, বিধান, তানভীর, আবদুল্লাহ আল নোমান খান, রিফাত, ফারহাদ হোসেন এলিট, মোমিনুল, আরিফুজ্জামান ইমন, গাজীউর, শাহিদ হাসান, মামুনের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

দুই সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কৃতরা হলেন সেজান আহমেদ (ওরফে আরিফ), মো. আরাফাত রহমান আবির, আবু সালেহ নাহিদ, ইমরান চৌধুরী আকাশ, কফি আনান মান্নান, মাসুদুল হাসান, উজ্জ্বল মিয়া, হাবিবুর রহমান, সাখাওয়াত হোসেন, শোয়াইবুল (সাল্লু), আবদুল্লাহ আল রায়হান, বায়েজিদ মোস্তাফী, রাসেল, সিয়াম আল নাহিদ, অমিত, আখতার হোসেন, তানজিল, মুন্না হাসান লিওন, জিহান আলী, মো. সাব্বির হোসেন (রিয়ান), গালিব হাসান, মাহমুদুর রহমান হৃদয়, মো. মোশারফ হোসেন, পিপাস আলী, মোজাম্মেল হক, মৃত্যুঞ্জয় রায়, মো. সাজ্জাদ হোসেন, মানিক চন্দ্র সেন, রবীন্দ্র রায়, সিয়াম আরাফাত, মো. সাব্বির আহমেদ, মো. মুসান্না-বিন-আহমেদ, শাহীন ইসলাম।

এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কৃতরা হলেন মো. হাসানুজ্জামান সৌমিক, সুদিপ্ত সরকার বাঁধন, জুবায়ের মাহমুদ, কোমল দেবনাথ, মো. রিজন মন্ডল, মো. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, ফিলিপ রায়, জিহাদ উল্লাহ, এস এম লাবু ইসলাম, জয়ন্ত চন্দ্র রায়, সবুজ কুমার, সবুজ মহস্ত, মো. মেহেদী হাসান মিরাজ, জামাল মিয়া, তৌফিক কিবরিয়া, মেজবাহুল সরকার জয়, দেবাশীষ কুমার রায়, আতেফ আসহাব দিল মণ্ডল, নাফিউল ইসলাম, তপন চৌধুরী, সাজেদুর রহমান, আমিরুল ইসলাম শুভ, শফিউল আযম ওরফে (সম্রাট)।

উপাচার্য বলেন, তথ্য অনুসন্ধান কমিটি ৭২ জন শিক্ষার্থীর লিস্ট দিয়েছিল। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা বোর্ড ২৩ জনকে এক সেমিস্টার, ৩৩ জন দুই সেমিস্টার ও ১৫ জন প্রাক্তন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক বাকি ১৫ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার ও তাদের বিরুদ্ধে আইনানুসারে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ