ঢাকা, মঙ্গলবার ২৫ মার্চ ২০২৫
১১ চৈত্র ১৪৩১, ২৪ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, মঙ্গলবার ২৫ মার্চ ২০২৫
১১ চৈত্র ১৪৩১, ২৪ রমজান ১৪৪৬

জাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
জাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি। ছবি : কালের কণ্ঠ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, রেজিস্ট্রার অফিস ও পরিবহন অফিসের যাবতীয় কার্যক্রমে অটোমেশন প্রক্রিয়া চালুর দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল থেকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’র ব্যানারে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে অবস্থান নেন। এতে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট, জাহাঙ্গীরনগর সংস্কার আন্দোলন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা সংহতি জানিয়ে অংশগ্রহণ করেন। দুপুর আড়াইটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চলছে।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসে পরীক্ষার ফরম পূরণ, ফলাফল প্রকাশ করা এবং সকল ফি অনলাইনে গ্রহণ করে পরীক্ষার সময়সূচি, প্রবেশপথ ও সাময়িক সনদপত্র অনলাইনে প্রদান করতে হবে। রেজিস্ট্রার অফিসে সব শিক্ষার্থীর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ডেটাবেজ তৈরি করে প্রয়োজনীয় তথ্যের প্রবেশাধিকার দিতে হবে। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের বই ও জার্নালের অনলাইন প্রবেশাধিকার প্রদান করতে হবে এবং গ্রন্থাগারের যাবতীয় কার্যক্রম অনলাইনভিত্তিক করতে হবে। এছাড়াও পরিবহন সংক্রান্ত সব দরকারি তথ্য অনলাইনে সহজলভ্য করতে হবে এবং অটেমেটেড বাস ট্রাকিং সিস্টেম চালু করতে হবে।

সমাবেশ সঞ্চালনা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার সদস্য সচিব তৌহিদ সিয়াম। সমাবেশে বক্তারা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে অটোমেশনের রোডম্যাপ প্রকাশ না করা হলে কাঠোরতর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।

এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ফারহানা বিনতে জিগার ফারিনা বলেন, ‘কোনো চূড়ান্ত পরীক্ষার ফরম পূরম করতে হলে প্রথমে হল অফিসে যেতে হয়, তারপর বিভাগীয় প্রধানের কাছে, তারপর আবার হল অফিসে, তারপর ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া, তারপর রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের শিক্ষা শাখায়, তারপর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অফিসে গিয়ে ফরম জমা দিতে হয়। এতগুলো জায়গায় আমাদেরকে ঘুরতে হয়।

এই প্রশাসনের উচিত ছিল দায়িত্বে আসার পরেই সমস্যাগুলো সমাধানের কাজ শুরু করা। কিন্তু আমাদের দেখতে পাই, এই বিষয়গুলো নিয়ে না তারা কোনো প্রক্রিয়া শুরু করেছে, না তারা কোনো সহযোগিতা আমাদের কাছ থেকে নিচ্ছে। অটোমেশনের জন্য একটি মোবাইল আ্যাপ একজন শিক্ষার্থী তৈরি করেছেন কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখিনি। এজন্য আমরা আজকে অটোমেশনের দাবিতে এখানে দাঁড়িয়েছি। প্রশাসন এমন কোন কাজে ব্যস্ত যে অটোমেশন চালুর জন্য কোনো কাজ শুরু করত পারছে না?’

জাহাঙ্গীরনগর সংস্কার আন্দোলনের মুখপাত্র নাজিবুল ইসলাম বলেন, ‘৫ আগস্টের ধারাবাহিকতায় আমাদের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও নতুন প্রশাসন এসেছে।

আমরা ধারণা করেছিলাম এই নতুন প্রশাসন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কাঠামোকে ডিজিটালাইজেশনের মধ্যে নিয়ে আসবে কিন্তু আমরা দেখতে পাই প্রায় ৬ মাস পার হয়ে গেলেও আগের থেকে দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন দেখি নাই। আমাদের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের একটি প্রাণের দাবি ছিলো যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আমাদের যেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস আর রেজিস্ট্রার ভবনে দৌড়াদৌড়ি করে আমাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করতে না হয়। কিন্তু এই জায়গাগুলোতে এখনো কোনো পরিবর্তন আসেনি। আমরা আশা রাখবো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অতিদ্রুত এই সমস্যার সমাধান করবেন।’

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘আমরা অটোমেশন নিয়ে কাজ শুরু করেছি। আজকে অটোমেশন নিয়ে মিটিং চলছে। কয়েকজন শিক্ষকের ওপর অটোমেশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা কাজ করছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যাপ্ত টাকা নেই। হিট নামক একটি প্রজেক্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও অটোমেশন নিয়ে কাজ করে। ওই প্রজেক্টটি পেলে আমরা কাজ শুরু করতে পারি। আর অটোমেশন নিয়ে যারা মিটিং করছে তাদের মিটিং শেষ হলে রোডম্যাপ ঘোষণার বিষয়ে কথা বলতে পারব।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ছাত্রদলের সভাপতি পলিন, সম্পাদক নাফিস

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ছাত্রদলের সভাপতি পলিন, সম্পাদক নাফিস
সংগৃহীত ছবি

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ছাত্রদলের ১৫ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে সভাপতি করা হয়েছে শাহারিয়ার হোসেন পলিনকে এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন নাফিস ইমতিয়াজ।

আজ সোমবার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি মো. আবু হোরায়রা ও সাধারণ সম্পাদক এম রাজিবুল ইসলাম তালুকদার (বিন্দু) এ কমিটির অনুমোদন দেন।

সেই সঙ্গে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এ কমিটি পূর্ণাঙ্গ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের দপ্তরে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কমিটির অন্য পদে রয়েছেন সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবিহা জাকির, সহ-সভাপতি মোস্তাফিদ আল অবিব, তমাল কান্তি রয়, সুমিত চৌধুরী, ফেরদৌস নাভিদ, কাইফ ইনতিসার তাপরিম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস. এম শিহাব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তামিম তামজিদ উৎস, মো. মাহির শাহরীয়ার দিপ্ত, আলভি আহমেদ ভূঁইয়া, মো. রাকিবুল ইসলাম (তুর্য্য), সাংগঠনিক সম্পাদক 
মো. তানভীর আঞ্জুম খান এবং প্রচার সম্পাদক (সহ সভাপতি পদমর্যাদা) মো. ফাইজুল আজিম।

মন্তব্য

ঢাবি বিজ্ঞান ইউনিটের ফল প্রকাশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
ঢাবি বিজ্ঞান ইউনিটের ফল প্রকাশ
সংগৃহীত ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।

সোমবার (২৪ মার্চ) রাত ৮টার দিকে এই ফলাফল প্রকাশিত হয়।

এই ইউনিটে বিজ্ঞান শাখা থেকে প্রথম হয়েছে নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান ওয়াসিফ। তার সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বর ১১০।

বাণিজ্য শাখায় প্রথম হয়েছেন নরসিংদী সরকারি কলেজের মো. সাজিত মিয়া। তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৩.৮৮। মানবিক শাখা থেকে প্রথম হয়েছেন হলিক্রস কলেজের শিক্ষার্থী তাবাসসুম তিথি। তার মোট প্রাপ্ত নম্বর ১০৮.৫।

এ বছর ‘বিজ্ঞান ইউনিট’-এর ভর্তি পরীক্ষায় ১ লাখ ২০ হাজার ৪শ’ ৮৮ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এই ইউনিটে ৭ হাজার ৪শ’ ৩৭ জন শিক্ষার্থী পাস করেছে। এর মধ্যে বিজ্ঞান শাখায় ৬ হাজার ৯শ’ ২২ জন, মানবিক শাখায় ৩শ’ ৯৩ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ১শ’ ২২ জন পাস করেছে। পাসের হার ৫.৯৩%।

এই ইউনিটে মোট আসন সংখ্যা রয়েছে ১ হাজার ৮শ’ ৯৬টি। এর মধ্যে বিজ্ঞান শাখার জন্য ১ হাজার ৮শ’ ২০টি, মানবিক শাখার জন্য ৫১টি এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখার জন্য ২৫টি আসন রয়েছে।

ফলাফল admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইটে জানা যাবে। এছাড়া, টেলিটক, রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক মোবাইল নম্বর থেকে DU SCI ˂roll no˃  টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে send  করে ফিরতি  SMS -এ ফলাফল জানা যাবে।

বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদের আগামী ২৫ মার্চ বিকাল ৩টা থেকে ১৬ এপ্রিল তারিখ পর্যন্ত বিভাগ নির্বাচনের জন্য ভর্তি পরীক্ষার ওয়েব সাইটে (https://admission.eis.du.ac.bd) লগইন করে বিস্তারিত তথ্যের ফরম ও বিষয়ের পছন্দক্রম পূরণ করতে হবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন বিজ্ঞান ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার কোঅর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম।

 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফলাফল নিরীক্ষণের জন্য আগামী ৬ এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত অফিস চলাকালীন সময়ে এক হাজার টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে পুনঃনিরীক্ষার নির্ধারিত আবেদন ফরম সংগ্রহ করে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্রের ফটোকপিসহ বিজ্ঞান অনুষদ অফিসে আবেদন জমা দিতে হবে।

ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে যারা কোটা সুবিধা প্রাপ্তির যোগ্য তাদেরকে আগামী ১৩ এপ্রিল থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত অফিস চলাকালীন সময়ে ৩০০ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে কোটার ফরম সংগ্রহ করে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্রের ফটোকপি ও বিষয় পছন্দক্রম পূরণকৃত ফরম ডাউন লোড করে বিজ্ঞান অনুষদ অফিসে আবেদন জমা দিতে হবে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

মন্তব্য

সাত কলেজ নিয়ে যৌক্তিক সমাধান আসবে : ইউজিসি চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সাত কলেজ নিয়ে যৌক্তিক সমাধান আসবে : ইউজিসি চেয়ারম্যান
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেছেন, ‘ঢাকার সরকারি সাত কলেজ নিয়ে যে সমস্যাগুলো ছিল সেখানে প্রতিটি ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা পেয়েছি। আশা করছি, খুব সুন্দর একটি সমাধান আসবে।’

আজ সোমবার (২৪ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে শিক্ষাবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব)-এর ইফতার মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।

ইরাবের উদ্দেশে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনারা হলেন ঐক্যের প্রতীক।

এখানে আমরা ইউজিসির সবাই আছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবৃন্দসহ সবাই একটি টিম। আমি মনে করি, ইউজিসির যদি কোনো সফলতা থাকে এর কারণ আমরা সবাই একসাথে আছি। আমাদের ভুল ধরিয়ে দেবেন, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন। আমরা আপনাদেরই একটি অংশ।
আমাদের তরফ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে।’

আরো পড়ুন
সেনাবাহিনীর প্রতি যে আহ্বান জানালেন হাসনাত

সেনাবাহিনীর প্রতি যে আহ্বান জানালেন হাসনাত

 

তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালে দেখতাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) ডাকে দল-মত-নির্বিশেষে সবাই একসঙ্গে হতো। এতে প্রতিটি ছাত্রসংগঠন, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই উপস্থিত থাকতেন। এখানেও এমন একটি সহাবস্থানের পরিবেশ দেখছি।

অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালায়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান, প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, ইউসিজির সচিব ড. ফখরুল ইসলাম, পরিচালক ড. একে এম শামসুল আরেফিন, মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক), প্রফেসর ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহাম্মদ, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, সহ-সভাপতি এইচ এম আবু জাফর, ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, মাউশির উপপরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) মো. শাহজাহান, ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশা, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের আন্তর্জাতিক সম্পাদক মুতাসিম বিল্লাহ শাহেদী, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পাবলিক রিলেশন অ্যাসোসিয়েশনের (পকুরোয়া) সভাপতি মনিরুল ইসলাম রিন্টু প্রমুখ।

ইরাব সভাপতি ফারুক হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান সালমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ইরাব সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। 

অনুষ্ঠানে সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ছেলে-মেয়ে বৈষম্যহীনও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার সুযোগ এনে দিয়েছে এবং আমরা সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে চাই। আপনারাও (সাংবাদিক) দেশ গড়ার কাজে অংশীদার হবেন।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ইরাবে যারা রয়েছেন, তারা সব সময় গঠনমূলক সমালোচনাসহ সংবাদ প্রকাশ করে আমাদের সমৃদ্ধ করেন। সেই জায়গায় তাদের অবদান প্রশংসনীয়।’

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, ‘৫ আগস্টের পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যে অবস্থায় ছিল সেখানে থেকে আজকের যে উত্তরণ, সেই জায়গায় আসতে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছেন সাংবাদিকরা। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া কোনোভাবেই এটাকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হতো না।’

মন্তব্য

ভিক্টোরিয়া কলেজের কর্মচারীদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি

কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লা প্রতিনিধি
শেয়ার
ভিক্টোরিয়া কলেজের কর্মচারীদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি
ছবি : কালের কণ্ঠ

ন্যায্য ভাতা না পেয়ে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের কর্মচারীরা। আজ সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুর ১টায় কলেজের প্রশাসনিক ভবন থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়।

কলেজ সূত্র জানায়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পরীক্ষায় শিক্ষক ও কর্মচারীরা দায়িত্ব পালন করেন। এতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নির্ধারিত একটি অভ্যন্তরীণ অর্থ পরীক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত কর্মচারী, শিক্ষক ও অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ পেয়ে থাকেন।

কর্মচারীরা পূর্বে ন্যায্য হিস্যা পেলেও বর্তমান অধ্যক্ষ আসার পর থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। ন্যায্য পাওনা বুঝে পাওয়ার দাবিতে কর্মচারীরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দেন। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে মাস্টার্সের ভর্তির কার্যক্রমসহ বিভিন্ন নথির কার্যক্রম। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন কলেজের শিক্ষার্থীরা।
 

আরো পড়ুন
দেশের অর্থনীতিতে সন্দ্বীপের প্রবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন : প্রধান উপদেষ্টা

দেশের অর্থনীতিতে সন্দ্বীপের প্রবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন : প্রধান উপদেষ্টা

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মচারী জানান, এখন পর্যন্ত পাঁচ থেকে ছয়টি পরীক্ষা হয়েছে। দুটি পরীক্ষা কমিটি টাকা ভাগ করে নিয়ে গেছে। আমরা আগে যা পেতাম তা এখন অর্ধেকের থেকেও নিচে নামিয়ে আনা হয়েছে। আমরা কীভাবে চলব? পিকে ভিত্তিক চাকরি করে কয় টাকা বেতন পাই? অথচ বিসিএস ক্যাডার শিক্ষকরা আমাদের গরিব মানুষদের টাকা নিয়ে যাচ্ছেন।

যেখানে তারা আমাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করার কথা। আমরা কয়েকবার স্যারের কাছে গিয়েছি। কিন্তু কোনো সুরাহা পাইনি। তারা যখন নতুন হিস্যা করবেন তখন আমাদের সঙ্গে বসার ও আলোচনার কথা ছিল। কিন্তু তারা তা করেননি।
নিজের ইচ্ছামতো সব ভাতার হিস্যা করে নিয়েছেন। এ জন্য আমরা কর্মীরা কর্মবিরতিতে গিয়েছি। আমাদের সমস্যার সমাধান হলেই আবার কাজে ফিরব।

আরো পড়ুন
কালিয়াকৈরে ঈদের ছুটি বৃদ্ধির দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

কালিয়াকৈরে ঈদের ছুটি বৃদ্ধির দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

 

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ও অধ্যক্ষের প্রধান সহকারী মাজহারুল আলম বলেন, ‘টিকাভিত্তিক কর্মচারীরা সামান্য কিছু টাকা পান। সেই টাকা দিয়ে কীভাবে চলে? আমাদের শিক্ষক কর্মকর্তাদের বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত ছিল। আমি বারবার গিয়েছি উনাদের কাছে। উনারা বলেছিলেন কর্মবিরতিতে যাবেন। তাদের নিবৃত্ত করে রেখেছিলাম। কিন্তু তারা ন্যায্য ভাতা পেয়ে এখন আন্দোলনের নেমে পড়েছেন। এই সমস্যাটা দ্রুত সমাধান করা হোক। আমাদের সঙ্গে তারা বসুক।’

কলেজের একাধিক শিক্ষক জানান, নতুন অধ্যক্ষ এসে এমনটা করেছেন। এটা ঠিক হয়নি। কারণ এখানে কমিটি লাভবান হবে। কিন্তু আমাদের কর্মচারীরা তেমন সুবিধা পাবেন না। আমরা এটা স্যারকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু কর্মচারীদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ করেনি বণ্টন কমিটি। সুতরাং বণ্টননীতি করার সময়ই শিক্ষকদের পক্ষে করা হয়েছে। যার কারণে আজ এই সমস্য সৃষ্টি হয়েছে।

আরো পড়ুন
৮ মাস শেষ হলো, এখনো টাকায় শেখ মুজিবের ফটো কেন : প্রশ্ন কর্নেল অলির

৮ মাস শেষ হলো, এখনো টাকায় শেখ মুজিবের ফটো কেন : প্রশ্ন কর্নেল অলির

 

বণ্টন নীতিমালা কমিটির সভাপতি প্রধান অধ্যাপক মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মন্ত্রণালয়ের নথি অনুযায়ী করেছি। যারা বলছেন বণ্টন ঠিক হয়নি সেটা আপেক্ষিক বিষয়। কর্মচারীরাও আমাদের অংশ।’

বণ্টনের সময় কর্মচারীদের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছিল কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের জানিয়েছি। তারা অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু এটা তো আমি একা করিনি। বোর্ডের সিদ্ধান্ত হয়েছিল।’

আরো পড়ুন
ছেলে ও বউয়ের সঙ্গে অভিমানে মায়ের আত্মহনন

ছেলে ও বউয়ের সঙ্গে অভিমানে মায়ের আত্মহনন

 

এ বিষয়ে জানতে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আবুল বাসার ভূঁঞাকে একাধিকবার ফোন করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ