বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেছেন, ‘ঢাকার সরকারি সাত কলেজ নিয়ে যে সমস্যাগুলো ছিল সেখানে প্রতিটি ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা পেয়েছি। আশা করছি, খুব সুন্দর একটি সমাধান আসবে।’
আজ সোমবার (২৪ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে শিক্ষাবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব)-এর ইফতার মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।
ইরাবের উদ্দেশে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনারা হলেন ঐক্যের প্রতীক।
এখানে আমরা ইউজিসির সবাই আছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবৃন্দসহ সবাই একটি টিম। আমি মনে করি, ইউজিসির যদি কোনো সফলতা থাকে এর কারণ আমরা সবাই একসাথে আছি। আমাদের ভুল ধরিয়ে দেবেন, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন। আমরা আপনাদেরই একটি অংশ। আমাদের তরফ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে।’
আরো পড়ুন
সেনাবাহিনীর প্রতি যে আহ্বান জানালেন হাসনাত
তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালে দেখতাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) ডাকে দল-মত-নির্বিশেষে সবাই একসঙ্গে হতো। এতে প্রতিটি ছাত্রসংগঠন, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই উপস্থিত থাকতেন। এখানেও এমন একটি সহাবস্থানের পরিবেশ দেখছি।
’
অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালায়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান, প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, ইউসিজির সচিব ড. ফখরুল ইসলাম, পরিচালক ড. একে এম শামসুল আরেফিন, মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক), প্রফেসর ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহাম্মদ, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, সহ-সভাপতি এইচ এম আবু জাফর, ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, মাউশির উপপরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) মো. শাহজাহান, ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশা, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের আন্তর্জাতিক সম্পাদক মুতাসিম বিল্লাহ শাহেদী, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পাবলিক রিলেশন অ্যাসোসিয়েশনের (পকুরোয়া) সভাপতি মনিরুল ইসলাম রিন্টু প্রমুখ।
ইরাব সভাপতি ফারুক হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান সালমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ইরাব সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ছেলে-মেয়ে বৈষম্যহীনও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার সুযোগ এনে দিয়েছে এবং আমরা সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে চাই। আপনারাও (সাংবাদিক) দেশ গড়ার কাজে অংশীদার হবেন।
’
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ইরাবে যারা রয়েছেন, তারা সব সময় গঠনমূলক সমালোচনাসহ সংবাদ প্রকাশ করে আমাদের সমৃদ্ধ করেন। সেই জায়গায় তাদের অবদান প্রশংসনীয়।’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, ‘৫ আগস্টের পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যে অবস্থায় ছিল সেখানে থেকে আজকের যে উত্তরণ, সেই জায়গায় আসতে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছেন সাংবাদিকরা। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া কোনোভাবেই এটাকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হতো না।’