জবিতে সাংবাদিক সমিতির কর্মশালা অনুষ্ঠিত

জবি প্রতিনিধি
জবি প্রতিনিধি
শেয়ার
জবিতে সাংবাদিক সমিতির কর্মশালা অনুষ্ঠিত
সংগৃহীত ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) সাংবাদিকতা বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইমরান হুসাইনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহতাব হোসেন লিমনের সঞ্চালনায় প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ মো. নিস্তার জাহান কবির, প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেসসচিব ফয়েজ আহম্মেদ, বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিশেষ প্রতিবেদক মানিক মুনতাসির ও কালের কণ্ঠের মাল্টিমিডিয়া প্রধান জাকারিয়া ইবনে ইউসুফ।

আরো পড়ুন
জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হলে ৫ আগস্টের মতো পরিণতি হবে : তারেক রহমান

জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হলে ৫ আগস্টের মতো পরিণতি হবে : তারেক রহমান

 

অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষকরা সাংবাদিকতার প্রাথমিক ধারণা, নৈতিকতা, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা, মোবাইল সাংবাদিকতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় তারা শিক্ষার্থীদের নিকট নিজেদের সাংবাদিকতা জীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা তুলে ধরে দিকনির্দেশনা দেন।

এদিন কর্মশালা শেষে কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন শিক্ষার্থীরা। কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রথম হয় বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল বুশরা, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে একই বিভাগের আসাদুজ্জামান ও সাগর।

এ ছাড়া চতুর্থ স্থান অধিকার করেন ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রোহান এবং পঞ্চম হয় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মঈন উদ্দীন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ফ্যাসিস্টের দোসর অপসারণসহ ৩ দাবিতে জাবি ছাত্রদলের অবস্থান

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
ফ্যাসিস্টের দোসর অপসারণসহ ৩ দাবিতে জাবি ছাত্রদলের অবস্থান
ছবি : কালের কণ্ঠ

প্রশাসনের সব পদ থেকে ফ্যাসিস্টের দোসরদের অপসারণসহ তিন দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদল।

আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হন শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। 

তাদের বাকি দুটি দাবি হলো জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের হামলায় জড়িতদের দ্রুত বিচার এবং জাকসুর গঠনতন্ত্র সংস্কার।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব অনিক বলেন, ‘জাকসু নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারে যারা বসে আছেন তারা আওয়ামী লীগের দোসর। তাদের বসিয়ে রেখে কোনোভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।’

‘তা ছাড়া জাকসুর যে গঠনতন্ত্র রয়েছে সেটা অনেক আগের। এই গঠনতন্ত্র সংস্কার করতে হবে এবং এই কাজগুলো সম্পন্ন করে নির্বাচন দিতে হবে অন্যথায় তা মেনে নেওয়া হবে না।

আজকে আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে আমরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।’

আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর বলেন, ‘জাকসুর গঠনতন্ত্র সংস্কার এবং ১৫ জুলাই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যারা জড়িত তাদের বিচার দাবিতে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। সেই দাবির আপডেট জানতে আজকে আমাদের এই বিক্ষোভ মিছিল এবং অবস্থান কর্মসূচি। আমাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়া না হলে আমরা পরবর্তী কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো।

মন্তব্য

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় ছাত্রদল কর্মীর শাস্তি মওকুফ

বেরোবি প্রতিনিধি
বেরোবি প্রতিনিধি
শেয়ার
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় ছাত্রদল কর্মীর শাস্তি মওকুফ
সংগৃহীত ছবি

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করায় ছাত্রদল কর্মী মো. রিফাত হোসেন রাফির শাস্তি মওকুফ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশন। সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের জন্য তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। তবে মানবিক দিক বিবেচনায় তাকে মানোন্নয়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সালের বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০২২-২০২৩ সেশনের ২০২৩ সালের ১ম বর্ষ ১ম সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা (মানোন্নয়ন) পিএইচওয়াই ১১০১ বিষয়ের পরীক্ষা চলছিল।

এ সময় শিক্ষার্থী মো. রিফাত হোসেন রিফা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর মোবাইলের ছবি দেখে লিখছিলেন। এ সময় কক্ষ পরিদর্শকের নিকট ধরা পড়েন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী, এ ঘটনায় তার সংশ্লিষ্ট সেমিস্টারের সব পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করা হয়। একইসঙ্গে তাকে পরবর্তী ব্যাচের সঙ্গে পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।

তবে, রাফি বিশেষ বিবেচনায় শাস্তি মওকুফের জন্য আবেদন করলে শৃঙ্খলা বোর্ড বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন করে। জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার প্রেক্ষাপটে এবং মানবিক দিক থেকে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তার শাস্তি মওকুফ করা হয়। ফলে তাকে পূর্বের সেমিস্টারের পরীক্ষা সম্পন্ন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই মওকুফ শুধুমাত্র একবারের জন্য প্রযোজ্য।

এছাড়া, তাকে দ্রুত বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

এ বিষয়ে ছাত্রদল নেতা রিফাত হোসেন রিফা বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন সময় আমার কাছে মোবাইল পাওয়ায় তৎকালীন সময় আওয়ামী লীগের দোসররা আমাকে বহিষ্কার করেছে। আমি ছাত্রদল করায় আমার উপরে আরো বেশি চওড়া হয়েছে। সেজন্য আমি শৃঙ্খলা বোর্ডে আবেদন করি। আমার সঙ্গে অন্যায় হয়েছে সেটি আমি উল্লেখ করি।

 

জুলাই-আগস্ট বিবেচনায় শাস্তি মওকুফের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, আমি আহত শিক্ষার্থী হিসেবে আবেদন করেছি। সে হিসেবে তারা বিবেচনা করেছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য ড. মো. ফেরদৌস রহমান বলেন, জুলাই-আগস্টের আহত শিক্ষার্থী হিসেবে সে বিভাগের কাছে শাস্তি মওকুফের জন্য আবেদন করে। শৃঙ্খলা কমিটি জুলাই- আগস্টের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মানবিক দিক বিবেচনা করে তার শাস্তি মওকুফের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে এই সিদ্ধান্তটি সিন্ডিকেট মিটিংয়ে পাস হওয়ার পরেই সে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

অনশনে অসুস্থ তিতুমীর কলেজের দুই শিক্ষার্থী, নেওয়া হয়েছে হাসপাতালে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
অনশনে অসুস্থ তিতুমীর কলেজের দুই শিক্ষার্থী, নেওয়া হয়েছে হাসপাতালে
সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিসহ সাত দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অনশন কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে দুই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসেছেন।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে অসুস্থ অবস্থায় সহপাঠিরা ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসে।

অসুস্থরা হলো, গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রায়হান (২২) ও বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রানা আহমেদ (২৩)।

শিক্ষার্থীরা বলেন, তিতুমীর কলেজ পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়সহ সাত দফা দাবিতে এই অনশন চলছে।

এতে দুই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত এই অনশন চলবে।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক বলেন, মহাখালী তিতুমীর কলেজ থেকে অসুস্থ ২ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।

জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাদের দুজনকে মেডিসিন ওয়ার্ডে পাঠিয়েছে। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন আছেন।

মন্তব্য

‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ ঘোষণা তিতুমীর শিক্ষার্থীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ ঘোষণা তিতুমীর শিক্ষার্থীদের
সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রাষ্ট্রীয় ঘোষণার দাবি পূরণের আল্টিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার বিকেল ৪টার মধ্যে দাবি মেনে নেওয়া না হলে ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ (উত্তর সিটি করপোরেশনের অধীন এলাকা) নামের অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের অনশনও চলবে। গতকাল শুক্রবার রাত সোয়া ১১টার দিকে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘তিতুমীর ঐক্য’র পক্ষ থেকে এই কর্মসূচির কথা জানানো হয়।

শিক্ষার্থীরা বলেন, “শনিবার বিকেল ৪টার মধ্যে আমরণ অনশনরত শিক্ষার্থীদের সাত দফা দাবি মেনে নিয়ে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে। তা না হলে ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচি অনির্দিষ্টকালের জন্য পালন করা হবে। রেল ও সড়কপথ কর্মসূচির আওতায় থাকবে। একই সঙ্গে আমাদের আমরণ অনশনও চলমান থাকবে।

এ ছাড়া বিশ্ব ইজতেমার কথা বিবেচনা করে ভোর ৬টা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত ব্যারিকেড শিথিল থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।

এর আগে একই দাবিতে শিক্ষার্থীরা গুলশান-১ নম্বর মোড় প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন। ফলে পুরো সময়জুড়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। তৈরি হয় দীর্ঘ যানজটের।

গত বুধবার বিকেল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবিতে অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁরা সাত দফা দাবি জানান। দাবিগুলো হচ্ছে :

১. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে।

২. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

৩. শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ নতুবা অনতিবিলম্বে শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসিক খরচ বহন করতে হবে।

৪. ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ন্যূনতম দুইটি বিষয় ‘আইন’ ও ‘জার্নালিজম’ বিষয় সংযোজন করতে হবে।

৫. একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।

৬. শিক্ষার গুণগত মান শতভাগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আসনসংখ্যা সীমিত করতে হবে।

৭. আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার বিনির্মাণের লক্ষ্যে জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ করতে হবে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ