কৃষি গুচ্ছ ভর্তির আবেদন শুরু ১৫ ফেব্রুয়ারি, পরীক্ষা ১২ এপ্রিল

বাকৃবি প্রতিনিধি
বাকৃবি প্রতিনিধি
শেয়ার
কৃষি গুচ্ছ ভর্তির আবেদন শুরু ১৫ ফেব্রুয়ারি, পরীক্ষা ১২ এপ্রিল
সংগৃহীত ছবি

দেশের কৃষি গুচ্ছভুক্ত ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু হবে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি। আবেদন চলবে ১৬ মার্চ পর্যন্ত। আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা (ট্রান্সজেকশন ফি ছাড়া)। আগামী ১২ এপ্রিল এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

 

এবার কৃষিগুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন ৩ হাজার ৮৬৩টি। গত বছরের তুলনায় আসন বেড়েছে ১৪৫টি। গত বছর আসন সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৭১৮টি। এবার কৃষি গুচ্ছের দায়িত্বে থাকবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)।

আরো পড়ুন
জুলাই আন্দোলন নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ

জুলাই আন্দোলন নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ

 

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাকৃবির জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে, বাকৃবির রেজিস্ট্রার ও কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব ড. মো হেলাল উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি গুচ্ছভুক্ত ৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক ভর্তিচ্ছু ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে অনলাইনে আবেদন আহ্বান করা হয়। 

কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কত আসন

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এক হাজার ১১৬টি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর ৪৩৫টি, শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৭০৫টি, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৪২৩টি, চট্টগ্রাম ভেটেনারি ও এনিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় ২৭৫টি, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৫৮০টি, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ১৫০টি, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৯৯টি ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮০টি আসন রয়েছে।

আবেদনের যোগ্যতা

বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের যোগ্যতায় বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের ২০২০/২০২১/২০২২ সালে এসএসসি/সমমান এবং ২০২৩/২০২৪ সালে এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় যারা বিজ্ঞান বিভাগ হতে জীববিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত বিষয়সহ উত্তীর্ণ হয়েছেন, কেবল তাঁরাই আবেদন করতে পারবেন। ২০২৩ সালে এসএসসি/সমমান মানোন্নয়ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনকারীর এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় উভয় ক্ষেত্রে প্রতিটির চতুর্থ বিষয় ছাড়া ন্যূনতম জিপিএ ৪ এবং সর্বমোট জিপিএ ৮ দশমিক ৫০ থাকতে হবে।

O এবং A লেভেল পাসকৃত প্রার্থীর ক্ষেত্রে লেভেল পরীক্ষার অন্তত ৫ টি বিষয়ে এবং A লেভেল পরীক্ষায় বিজ্ঞানের অন্তত ২টি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। উভয় পরীক্ষায় প্রতিটিতে ন্যূনতম জিপিএ ৪ এবং সর্বমোট ন্যূনতম জিপিএ ৮ দশমিক ৫০ থাকতে হবে।

এক্ষেত্রে A ও B গ্রেডের জন্য যথাক্রমে ৫ ও ৪ জিপিএ গণনা করা হবে।

শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মুক্তিযোদ্ধা কোটায় এবং প্রকৃত উপজাতি/ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী/পার্বত্য অঞ্চলের অ-উপজাতি প্রার্থীরা উপজাতি/ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী/পার্বত্য অঞ্চলের অ-উপজাতি কোটায় আবেদন করতে পারবে।

কোটায় আবেদনের ক্ষেত্রে, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটার প্রার্থীদেরকে পিতা-মাতার অনুকূলে সরকার কর্তৃক স্বীকৃত মুক্তিযোদ্ধার সনদপত্রের সফট কপি এবং (উপজাতি/ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী/পার্বত্য অঞ্চলের অ-উপজাতি প্রার্থীদের স্ব-স্ব জেলা প্রশাসক কর্তৃক প্রদত্ত জেলার স্থায়ী বাসিন্দা সম্পর্কিত প্রত্যয়নপত্রের সফট কপি অনলাইনে আপলোড করতে হবে।

নম্বর বন্টন

২০২৪ সালের এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষার সিলেবাস অনুযায়ী ইংরেজিতে ১০, প্রাণিবিজ্ঞানে ১৫, উদ্ভিদবিজ্ঞানে ১৫, পদার্থবিজ্ঞানে ২০, রসায়নে ২০ এবং গণিতে ২০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ (এক) নম্বর প্রদান করা হবে এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে। এমসিকিউ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা হবে কৃষি গুচ্ছে।

ভর্তি পরীক্ষা

১২ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

পরীক্ষাকেন্দ্র

সারা দেশে পরীক্ষাকেন্দ্র ৯টি। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর; শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা; পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী; চট্টগ্রাম ভেটেনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম; সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট; খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ এবং কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, কুড়িগ্রামে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

ফলাফল প্রস্তুত

মোট ১৫০ নম্বরের ভিত্তিতে ফলাফল প্রস্তুত করা হবে। ভর্তি পরীক্ষার ১০০ নম্বরের সঙ্গে এসএসসি/সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের (চতুর্থ বিষয় ব্যতীত) ভিত্তিতে ২৫ এবং এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের (চতুর্থ বিষয় ব্যতীত) ভিত্তিতে ২৫ নম্বর যোগ করে ফলাফল প্রস্তুত করে মেধা ও অপেক্ষমান তালিকা তৈরি করা হবে।

ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য https://acas.edu.bd ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। ওয়েবসাইটের ভর্তি নির্দেশিকা অনুযায়ী অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আইআইটি-জেইউ স্পোর্টস ক্লাবের পুরস্কার বিতরণী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আইআইটি-জেইউ স্পোর্টস ক্লাবের পুরস্কার বিতরণী
সংগৃহীত ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজিতে আইআইটি-জেইউ স্পোর্টস ক্লাবের পুরস্কার বিতরণী হয়েছে। অনুষ্ঠানে ক্রিকেট, ফুটবল এবং শাটলচ্যাম্পস ২.০ (ব্যাডমিন্টন)-এর প্রতিযোগীদের কৃতিত্বকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইআইটির পরিচালক ড. রিসালা তাসিন খান। তিনি অংশগ্রহণকারীদের প্রশংসা করেন এবং শিক্ষার্থীদের জীবনে খেলাধুলার গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেন।

তিনি এবং অন্যান্য শিক্ষকরা বলেন, ‘এমন প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের মধ্যে দলগত চেতনা, শৃঙ্খলা ও মানসিক সুস্থতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে।’

আইআইটি-জেইউ-এর সাবেক পরিচালক ড. এম. কায়সার অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং অন্যান্য শিক্ষকদের সঙ্গে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেন।

আইআইটি-জেইউ স্পোর্টস ক্লাবের সাবেক সভাপতি (২০২৩-২৪) মুয়াম্মার শাহরিয়ার শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর খেলাধুলার ইতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘এমন কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের একাডেমিক চাপ কমাতে সহায়তা করে এবং তাদের নেতিবাচক কার্যকলাপ থেকে দূরে রেখে গঠনমূলক ও ইতিবাচক কর্মকাণ্ডে যুক্ত রাখে।

অন্যদিকে, আইটিপিএল ক্রিকেট এ প্রাইজমানি স্পন্সর করার জন্য সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম তন্ময় ৪২ আবর্তনকে ধন্যবাদ জানান।

মন্তব্য

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে জবিতে বিক্ষোভ মিছিল

জবি প্রতিনিধি
জবি প্রতিনিধি
শেয়ার
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে জবিতে বিক্ষোভ মিছিল
জবিতে বিক্ষোভ মিছিল

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (২১ মার্চ) জুমার নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে ক্যাম্পাস ঘুরে ভিক্টোরিয়া পার্ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে অবস্থা নেন তারা। 

এসময় শিক্ষার্থীরা ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি, বন্ধ করো করতে হবে’ , ‘ছাত্রলীগ বাংলাদেশ, একসাথে চলে না’ ; ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ ; ‘গড়িমশি বন্ধ করো, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করো’ ;  ‘চব্বিশের হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রায়হান রাব্বি বলেন, ‘কথা ছিলো আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে।

কিন্তু এখন বলা হচ্ছে হবে না। কেন করা হবে না। আমরা বিপ্লবীরা কি মরে গেছি? জুলাই বিপ্লবে যারা আমাদের ভাইদের পাখির মতো হত্যা করেছে তাদেরকে আমরা বেচে থাকতে এই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেবো না। আমরা এখানে জড়ো হয়েছি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে।
যতদিন না আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়, আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো ‘

শাখা ছাত্র শিবিরের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল বলেন, ‘হাজার মায়ের বুক খালি হওয়ার মধ্য দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশে বসবাস করছি। শত সহস্র ভাইয়ের রক্তে যাদের হাত রঞ্জিত, তাদের আমরা বাংলাদেশের রাজনীতি করতে দিতে চাই না। গুম, খুন সন্ত্রাসের রাজনীতি আমরা ফিরে আসতে দিতে চাই না। ইন্টেরিম সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলে দিতে চাই আপনারা ভুলে যাবেন না, আপনার ওই ক্ষমতার চেয়ার আমার ভাইয়ের রক্তের ওপর বসে আছে।

রক্তের সাথে বেইমানি করবেন না। 

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ আমাদের শত্রু, দেশের শত্রু। সুতরাং যারা আওয়ামী লীগের গোলামী করতে চাইবে তারাও আমাদের শত্রু হিসেবে গণ্য হবে।

মন্তব্য

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগরে বিক্ষোভ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগরে বিক্ষোভ
ছবি: কালের কণ্ঠ

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।

আজ শুক্রবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তাঁরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গিয়ে শেষ হয়।

এরপর সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

সমাবেশে সাভার-আশুলিয়ার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষার্থীও অংশ নেন।

সমাবেশের সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জিয়া উদ্দিন আয়ান। এ সময় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদ সিয়াম বলেন, ‘যে ফ্যাসিস্ট দল বাংলাদেশে একাধিক গণহত্যা চালিয়েছে তাদের নিষিদ্ধ করার জন্য নতুন কোনো কারণ দরকার নেই। আমরা মনে করি, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা শেখ হাসিনাকে বিদায় করার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখান করেছে।

আওয়ামী লীগকে এই বাংলায় কোনো নির্বাচনী কার্যক্রম, রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে দেওয়া যাবে না।’

ইসলামী ছাত্রশিবিরের জাবি শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি চলা মানে আমাদের শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানি করা। আমাদের শরীরে এক ফোঁটা রক্ত থাকা পর্যন্ত আমরা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেব না। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।

আমরা রক্ত দিতে চাই না, আমরা প্রচুর রক্ত দিয়েছি। এই রক্তের বদলা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের মাধ্যমেই দিতে হবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে গণহত্যাকারী দল হিসেবে চিহ্নিত করে অতিদ্রুত নিষিদ্ধ করতে হবে। বাংলাদেশে কারা রাজনীতি করবে সেটা ঠিক করবে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা। পার্শ্ববর্তী কোনো দেশের প্রেসক্রিপশনে আর বাংলাদেশ চলবে না।

মন্তব্য

জীবন দেব, জুলাই দেব না

রংপুর অফিস
রংপুর অফিস
শেয়ার
জীবন দেব, জুলাই দেব না
সংগৃহীত ছবি

আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ ও গণহত্যাকারী এবং ফ্যাসিবাদীদের ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (২১ মার্চ) বেলা আড়াইটায় ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে অংশ নেন।

এসময় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মহানগর সদস্য সচিব রহমত আলী, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক শামসুর রহমান সুমন, জাহিদ হাসান জয়, জাকের হোসেন পাশা, আশিক মিয়া প্রমুখ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক শাসমুর রহমান সুমন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের গণহত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত যে বা যারাই আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসিত করার চেষ্টা করবে, তাদেরকে ছাত্র জনতা প্রতিহত করবে।

আওয়ামী লীগ যে গণহত্যা চালিয়েছে বিশ্বে এর আর কোন নজির নেই। তারা শিশু, কিশোর, যুবক , তরুণ, ছাত্র, জনতা, কৃষক মজুরসহ ২ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। ৩০ হাজার মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করিয়েছে। সেই আওয়ামী লীগকে কোনভাবেই বাংলার মাটিতেক পুনর্বাসন করা হবে না।
সেনাবাহিনী আমাদের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। তাদের যারা কলুষিত করার চেষ্টা করছে। তাদেরকেও আমরা প্রতিহত করবো।’

আরো পড়ুন
প্রেমের দায়ে কারাগারে ইয়াশ, পাগলা গারদে নিহা!

প্রেমের দায়ে কারাগারে ইয়াশ, পাগলা গারদে নিহা!

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মহানগর সদস্য সচিব  রহমত আলী বলেন, ‘প্রয়োজনে বাংলাদেশের ৪ কোটি তরুণ জীবন দেব।

তবু আর জুলাই ফিরতে দেব না। বাংলাদেশ চলবে জনগণের ইচ্ছানুযায়ী। যারা অপতৎপরতায় লিপ্ত তাদের বিরুদ্ধে আবারও ছাত্র-জনতা মাঠে দাড়াবে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতেই হবে। রক্তের দাগ এখনও শুকায়নি তাতেই আওয়ামী লীগকে ফেরাতে যারা কলকাঠি নাড়ছেন তাদের বিরুদ্ধে রাজপথে থাকবো আমরা।
গণহত্যাকারীদের বিচার ছাড়া বাংলার জমিনে আর কিছুই মানি না আমরা।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ