মূল্যবান ধাতুর কারিগর 'স্যাকরা'

সাদিয়া আফরিন হীরা
সাদিয়া আফরিন হীরা
শেয়ার
মূল্যবান ধাতুর কারিগর 'স্যাকরা'
সোনার অলংকার তৈরি করছেন স্যাকরারা। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্বর্ণকারদের বলা হয় স্যাকরা। এরা হলেন সেই কারিগর, যাঁরা সোনা, রুপা ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর অলঙ্কার তৈরি করেন। তাঁদের তৈরি চুড়ি, বাজুবন্দ, হার, হাঁসুলি, সীতাপাট, দুল, কানপাশা, নোলক, নথ, নাকছাবি, মলসহ নানাবিধ গয়না আজও নারীদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির অন্যতম অনুষঙ্গ।

স্যাকরাদের ইতিহাস হাজার বছরের পুরনো।

মরক্কোতে এক লাখ ৪২ হাজার থেকে এক লাখ ৫০ হাজার বছর আগের কিছু ঝিনুকের গয়না পাওয়া যায়। ধারণা করা হয়, এটি ছিল আদিম মানব সমাজের প্রথম অলংকার। আর প্রথম স্বর্ণের গহনা পাওয়া গেছে প্রায় ছয় হাজার বছর আগের মিসরীয় সভ্যতায়। স্যাকরারা সেখানে রাজপরিবার ও পুরোহিতদের জন্য বিশেষ অলংকার তৈরি করতেন।

ভারতে স্যাকরাদের উল্লেখ পাওয়া যায় বৈদিক যুগে (১৫০০ খ্রিস্টপূর্ব), যখন তাঁরা শুধু অলংকারই নয়, দেব-দেবীর মূর্তিও নির্মাণ করতেন।

ভারতে স্যাকরা সম্প্রদায় ঐতিহ্যগতভাবে স্বর্ণকার, শাঁখরা, সুবর্ণকার নামে পরিচিত। বাংলায় এই সম্প্রদায়কে চারটি অনুসম্প্রদায়ে ভাগ করা হয়েছে—ব্রাহ্মণদেশী, দক্ষিণ রাঢ়ি, খলঙ্গি ও উত্তর রাঢ়ি। শুধু গয়না তৈরি নয়, একজন স্যাকরা কাজ সোনার বিশুদ্ধতা যাচাই, নতুন ডিজাইন তৈরি ও পুরনো গয়নাকে নতুন করে গড়ার।

অনেক পরিবারে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম এই পেশা চলে আসছে। তাঁদের মধ্যে কিছু গোপন কৌশল বা ডিজাইন পরম্পরাগতভাবে মুখে মুখে শেখানো হয়, সাধারণত যা বাইরের কেউ জানে না। প্রাচীনকালে স্বর্ণকাররা সোনার বিশুদ্ধতা পরীক্ষার জন্য সেটিকে দাঁতে কামড় দিতেন। কারণ খাঁটি সোনা নরম হয় এবং এতে কামড়ের দাগ পড়ে যায়। অনেকেই আবার শব্দ শুনে সোনার বিশুদ্ধতা বুঝতে পারেন।

এটি তাঁদের দীর্ঘ অভিজ্ঞতার ফল।

প্রাচীনকালে সোনার পাতের ওজন ও আকার ঠিক রাখার জন্য স্যাকরারা গণিত ব্যবহার করতেন, যা আজকের আধুনিক ইঞ্জিনিয়ারদের মতোই নিখুঁত ছিল। ইউরোপ ও এশিয়ার অনেক রাজসভায় স্যাকরাদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করা হতো। অনেক সময় শত্রুদের কাছে গোপন তথ্য পৌঁছে দিতে তাঁরা গুপ্তচরের ভূমিকাও পালন করতেন।

স্যাকরারা আমাদের ঐতিহ্যকে ধরে রাখেন। তাঁরা সোনার পাতের মধ্যে শিল্পের একটি অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি স্থাপন করেন, যা শতাব্দী ধরে চলে আসছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

পবিপ্রবিতে গুচ্ছ পরীক্ষার্থীদের বিশেষ নির্দেশনা

পবিপ্রবি প্রতিনিধি
পবিপ্রবি প্রতিনিধি
শেয়ার
পবিপ্রবিতে গুচ্ছ পরীক্ষার্থীদের বিশেষ নির্দেশনা

কৃষি গুচ্ছভুক্ত ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা আগামী শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেল ৩টা থেকে ৪টা অনুষ্ঠিত হবে। পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি)-তে এবার অংশ নিচ্ছেন চার হাজার পরীক্ষার্থী।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক নিরাপত্তা সভায় এসব কথা জানান ভাইস চ্যান্সেলর। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এসএম হেমায়েত জাহান, সভাপতিত্ব করেন প্রক্টর প্রফেসর আবুল বাশার।

বক্তব্য রাখেন ভাষা ও যোগাযোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুলতানা জাহান ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা মুকিত মিয়াসহ অনেকে।

পরীক্ষার দিন শিক্ষার্থীদের জন্য পাঁচটি হেল্প ডেস্ক, ওয়াশরুম সুবিধা, মেডিকেল টিম ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত থাকবে। ভর্তি পরীক্ষাকে ঘিরে নিরাপত্তা ও অন্যান্য প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম জানান, পরীক্ষার দিন দুপুর ১২টার মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হবে।

পাশাপাশি আগের রাত থেকেই পুরো ক্যাম্পাসে বিশেষ নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। চার স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনি নিশ্চিত করতে আনসার, পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয় থাকবে।

নিরাপত্তা বিষয়ে ভাইস চ্যান্সেলর আরো বলেন, ভর্তি পরীক্ষা একটি বিশাল আয়োজন। প্রশাসনের একার পক্ষে এটি সফলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়।

তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিএনসিসি, রোভার স্কাউটস ও বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল টিমসহ সবাইকে নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করছি।

ঢাকায় একই দিনে ‘মার্চ টু গাজা’ কর্মসূচির কারণে যানজটের আশঙ্কা থাকায় পরীক্ষার্থীদের নির্ধারিত সময়ের কমপক্ষে এক ঘণ্টা আগেই কেন্দ্রে পৌঁছাতে বলা হয়েছে। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে সকাল ৮টার পর প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনমুখী সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। শুধু পরীক্ষাসংক্রান্ত যানবাহন এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।

ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি রোধে থাকছে কঠোর নজরদারি।

প্রশ্নপত্র বিতরণে জিপিএস ট্র্যাকিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে, যাতে নির্ধারিত কেন্দ্র ও উপকেন্দ্রে প্রশ্ন পৌঁছানো নিশ্চিত করা যায়। পরীক্ষার হলে প্রবেশের আগে পরীক্ষার্থীদের পুরো দেহ তল্লাশি করা হবে এবং কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস বহনের সুযোগ থাকবে না। 

এবার কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট আসন সংখ্যা ৩ হাজার ৮৬৩ (পবিপ্রবিতে ৪২৩ জন)। আবেদন করেছেন ৯৪ হাজার ২০ জন শিক্ষার্থী, যার মধ্যে ছাত্র ৪৬ হাজার ৯৩২ জন এবং ছাত্রী ৪৭ হাজার ৮৮ জন। গড়ে প্রতিটি আসনের জন্য প্রতিযোগিতা করছেন ২৫ জন শিক্ষার্থী। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৯টি কেন্দ্রে ও ১৩টি উপকেন্দ্রে। সম্ভাব্য ফল প্রকাশের তারিখ ১৫ এপ্রিল। 

উল্লেখ্য, কৃষি গুচ্ছের অন্তর্ভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো—বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ), শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা), গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
 

মন্তব্য

অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর

    অষ্টম শ্রেণির চারু ও কারুকলা বইয়ের তৃতীয় অধ্যায়ে তোমরা অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে পড়েছ। ঠাকুর পরিবারের অন্যতম এই গুণী ব্যক্তির বিষয়ে আরো যা জানতে পারো—
অঞ্জয় কুমার
অঞ্জয় কুমার
শেয়ার
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বাঙালি চিত্রশিল্পী, নন্দনতাত্ত্বিক ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ছবি : সংগৃহীত

শিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একজন বিখ্যাত উপমহাদেশীয় বাঙালি চিত্রশিল্পী, নন্দনতাত্ত্বিক ও লেখক। স্বদেশের প্রতি ছিল তাঁর অগাধ ভালোবাসা। তিনি ১৮৭১ সালের ৭ আগস্ট উপমহাদেশের কলকাতার সুপরিচিত জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিশ্বকবি ও নোবেল পুরস্কার বিজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চাচাতো ভাই গুণেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কনিষ্ঠ পুত্র।

ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকতে ভালোবাসতেন তিনি। তাঁর সময়ে অনেক ভারতীয় শিল্পী পাশ্চাত্য নিয়ম কপি বা অনুকরণ করতেন। কিন্তু অবনীন্দ্রনাথ অনন্য কিছু তৈরি করতে চেয়েছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন তাঁদের শিল্পকর্মে এ দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতিফলন থাকা উচিত।

আরো পড়ুন
ঢাকায় তাপমাত্রা কমতে পারে

ঢাকায় তাপমাত্রা কমতে পারে

 

তাই তিনি বেঙ্গল স্কুল অব আর্ট বা বঙ্গীয় শিল্প নামে শিল্প আন্দোলন শুরু করেন, যা শিল্পীদের ভারতীয় থিম ও কৌশল ব্যবহার করতে উৎসাহিত করে।

অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর মুঘল ও রাজপুত চিত্রকলার পাশাপাশি জাপানি শিল্পকলা দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তাঁর কাজ উপমহাদেশীয় শিল্পকে বিশ্বমঞ্চে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। তাঁর বিখ্যাত চিত্রকর্মগুলোর মধ্যে একটি হলো ‘ভারত মাতা’।

এতে দেখানো হয়েছে একজন মহিলা গেরুয়া পোশাক পরিহিত। হাতে একটি বই, চালের আঁটি, সাদা কাপড়ের টুকরা ও একটি মালা। এই চিত্রকর্ম ভারতের স্বাধীনতাসংগ্রামের প্রতীক হয়ে উঠেছে। তাঁর অন্যান্য বিখ্যাত চিত্রকর্মের মধ্যে রয়েছে : ‘কৃষ্ণলীলা’, ‘শাহজাহানের মৃত্যু’, ‘কালিদাসের ঋতুসঙ্ঘার বিষয়ক চিত্রকলা’ এবং ‘বুদ্ধ ও সুজাতা’। এ ছাড়া জাপানি চিত্রকর্মের প্রভাবে তিনি সৃষ্টি করেন তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ চিত্রকর্ম ‘ওমর খৈয়াম  চিত্রাবলী’।

আরো পড়ুন
নিউ ইয়র্কের হাডসন নদীতে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, শিশুসহ নিহত ৬

নিউ ইয়র্কের হাডসন নদীতে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, শিশুসহ নিহত ৬

 

অবনীন্দ্রনাথ লেখক হিসেবেও ছিলেন বেশ দক্ষ। শিশুদের জন্য বেশির ভাগ গল্প লিখতেন তিনি। গল্পগুলো ছিল রূপকথার ও দুঃসাহসিক অভিযানের। তাঁর বিখ্যাত কিছু গ্রন্থ হলো : ‘শকুন্তলা’, ‘ক্ষীরেরপুতুল’, ‘রাজকাহিনী’, ‘বুড়ো আংলা’ ইত্যাদি। এ ছাড়া তিনি কিছু যাত্রাপালা ও পুঁথি রচনা করেন। যেমন—‘অরণ্যকান্ত পালা’, ‘কাক ও পানির পালা’, ‘ঋষিযাত্রা’, ‘মারুতির পুঁথি’, ‘চাই বুড়োর পুঁথি’ ইত্যাদি।

১৮৯৬ সালে উপমহাদেশীয় চিত্রশিল্পীদের মধ্যে তিনিই প্রথম কলকাতা আর্ট স্কুলের সহকারী অধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত হন। ১৯১৩ সালে লন্ডনে ইংরেজ সরকারের কাছ থেকে সিআইই উপাধি অর্জন করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ১৯২১ সালে ডক্টর অব লিটারেচার ডিগ্রি প্রদান করে।

চিত্রকর্ম ও গল্পের মাধ্যমে ভারতের সৌন্দর্য বিশ্বকে দেখিয়েছিলেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এই গুণী শিল্পী ১৯৫১ সালের ৫ ডিসেম্বর মারা যান। কিন্তু তাঁর চিত্রকর্ম ও গল্প এখনো অনেককে অনুপ্রাণিত করে।

মন্তব্য

নটর ডেম কলেজে শুরু হয়েছে জাতীয় বিতর্ক উৎসব ও ডিবেটার্স লিগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
নটর ডেম কলেজে শুরু হয়েছে জাতীয় বিতর্ক উৎসব ও ডিবেটার্স লিগ
সংগৃহীত ছবি

নটর ডেম কলেজে শুরু হয়েছে ৩৬তম এনডিডিসি ন্যাশনালস এবং ১৩তম এনডিডিসি ডিবেটার্স লিগ। নটর ডেম ডিবেটিং ক্লাবের (এনডিডিসি) আয়োজনে তিন দিনব্যাপী এই উৎসব আজ বৃহস্পতিবার শুরু হয়ে চলবে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত।

এ বছর উৎসবের টাইটেল স্পন্সর হিসেবে যুক্ত হয়েছে বসুন্ধরা খাতা, কো-পাওয়ার্ড পার্টনার হিসেবে আছে মাইগ্রেশন অ্যান্ড একাডেমিক সেন্টার এবং নর্ডিক সোর্সিং সহযোগী পার্টনার হিসেবে যুক্ত রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বিতর্ক জগতে নটর ডেম ডিবেটিং ক্লাব আরেকটি গৌরবময় অধ্যায়ের সাক্ষী হতে যাচ্ছে।

৩৬তম এনডিডিসি ন্যাশনালসে ইংরেজি বিতর্ক অনুষ্ঠিত হচ্ছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি ফরম্যাটে; যেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ৪০টি দল যুক্তি, বিশ্লেষণ ও বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছে।

আরো পড়ুন
সীতাকুণ্ডে এবার যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

সীতাকুণ্ডে এবার যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

 

একই সঙ্গে ১৩তম ডিবেটার্স লিগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলা বিতর্ক, এশিয়ান পার্লামেন্টারি ফরম্যাটে। যেখানে ১৬টি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে শিরোপার জন্য। 

এবারের লিগে যোগ হয়েছে নতুন একটি ব্যতিক্রমধর্মী মাত্রা—যেখানে প্রত্যেকটি দল পরিচালিত হচ্ছে একজন অভিজ্ঞ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের বিতার্কিকের নেতৃত্বে।

এই প্রতিযোগিতার জন্য বিতার্কিকদের নির্বাচন করা হয়েছে ২২ মার্চ কলেজ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত এক নিলামের মাধ্যমে, যা প্রতিযোগিতাকে করে তুলেছে আরো রোমাঞ্চকর।

উৎসবে বিতর্কের পাশাপাশি থাকছে একটি বিশেষ সেগমেন্ট— ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কুইজ’, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা তাদের আন্তর্জাতিক এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট সংক্রান্ত জ্ঞানের প্রতিফলন ঘটাবেন, যা উৎসবে যুক্ত করছে অনন্য মাত্রা।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
সিকৃবির গবেষণা

লিচু ও লাউয়ের নতুন পোকার জাত শনাক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
শেয়ার
লিচু ও লাউয়ের নতুন পোকার জাত শনাক্ত
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশে লিচুর গান্ধী পোকা ও লাউ ফসলের স্যাপ বিটলের নতুন জাত শনাক্ত করেছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) একদল বিজ্ঞানী। বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ফুয়াদ মণ্ডলের নেতৃত্বে গবেষকদের দল এ দুটি জাত শনাক্ত করে।

গবেষকরা বলছেন, তাদের এ গবেষণা বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি পূরণে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সিকৃবির উপাচার্যের সচিবালয়ের কনফারেন্স রুমে আনুষ্ঠানিকভাবে পোকা দুটির পরিচিত ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক লিফলেট উন্মোচন করা হয়।

এতে গবেষণালব্ধ ফলাফল উপস্থাপন করে গবেষকরা জানান, লিচুর গান্ধী পোকার আকৃতি সাধারণত গান্ধী পোকার চেয়ে বড়। এই শোষক পোকা লিচুর কচি পাতা, কাণ্ড এবং ফলের রস শোষণ করার কারণে কচি অবস্থায়ই লিচু শুকিয়ে যায় এবং মাটিতে ঝড়ে পরে। গবেষণায় দেখা গেছে, মারাত্মক আক্রমণের ফলে লিচুর ৮০ শতাংশ ফলনই কমে যায়।

গবেষকরা আরো জানান, লাউয়ের স্যাপ বিটল দলবদ্ধভাবে লাউয়ের প্রজনন পর্যায়ে পুরুষ ফুলে ব্যাপকভাবে আক্রমণ করে সব পরাগ রেণু খেয়ে ফেলে।

ফলে পরাগায়ন না হওয়ায় লাউয়ের ফল ধারণ সম্ভব হয় না। এতে ফলন ব্যাপক হারে হ্রাস পায়।

সিকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলামের সভাপতিত্বে লিফলেট উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. সাইফুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিএইয়ের ফিল্ড সার্ভিস উইংয়ের পরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডল, অর্থ ও সাপোর্ট সার্ভিসের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মো. কাজী মজিবুর রহমান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএইয়ের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. সাইফুল আলম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাকাজে ডিএইয়ের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’ 

তিনি বলেন, ‘কৃষিপ্রধান বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি পূরণে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পাশাপাশি গবেষণা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ এ সময় তিনি প্রযুক্তি সম্প্রসারণে যেকোনো সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন মো. সাইফুল আলম।

অনুষ্ঠান শেষে সিকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম ডিএইয়ের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. সাইফুল আলমের কাছে নতুন দুটি পোকার পরিচিতি ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক লিফলেট কৃষক পর্যায়ে বিতরণের জন্য হস্তান্তর করেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ